নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমুদ্রের তীরে বসেও মানুষের এত জলতৃষ্ণা!

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২

হোটেল সি-গাল। সম্ভবত ৭২০ নম্বর স্যুট। আমরা তিনজন। তদুপরি ক্যান-বোতল দুজনেই আছেন। কথা হচ্ছিল,কাগের ঠ্যাং-বগের ঠ্যাং নিয়ে। কথা হচ্ছিল সমুদ্র, ঝাউবন, বালুচর, বাংলা কবিতা, টেড হিউজ-সিলভিয়া প্লাথ থেকে সরাসরি বাংলা সিনেমার ভিলেনের ডায়লগ নিয়েও। কারণ, তখন ফরিদী ভাই তেজগাঁ ইন্ডাস্ট্রির এক নম্বর ভিলেন। কথা হচ্ছিল তাদের বন্ধু, রুদ্র, তসলিমা প্রসঙ্গেও। কথা হচ্ছিল বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়েও। সেই, সমুদ্রতীরবর্তী হোটেলের রাতে, পানরত আমরা। মাথা ১১১ পার্সেন্ট ঘোলা। ফরিদী ভাই বললেন, 'আচ্ছা, 'বনলতা সেন' কবিতার শেষ লাইনটা দিয়ে একটা বিজ্ঞাপন বানানো যায় না? মারজুক বলল, 'কোন লাইনডা?'

ফরিদী: ওই যে, 'তারপর থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার ডট ডট ডট...

এ সময় ফরিদী ভাইয়ের অ্যাজমার ব্যথা উঠল। তিনি নিজেই নিজের অ্যাজমার চিকিৎসা নিতে শুরু করলেন এবং আমাকে/মারজুককে বললেন, 'তোমরা চালাইয়া যাও।'

বললাম, 'কোন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন বানাচ্ছি আমরা?'

ফরিদী ভাই অ্যাজমার ইনহেলার খুলে প্রশ্নের উত্তর দিলেন, 'ব্ল্যাকলেবেলের বিজ্ঞাপন। স্ক্রিপ্টিং হবে এরকম, 'তারপর থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার ডট ডট ডট...ব্ল্যাকলেবেল।' বলেই তিনি আবার ইনহেলার নিলেন এবং চিকিৎসা-অধ্যায় চুকিয়ে এসে ফের আমাদের মুখোমুখি বসলেন, বললেন,'গ্লাস তো খালি...'

সমুদ্রের তীরে বসেও কেন যে মানুষের এত জলতৃষ্ণা, বুঝি না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: চমৎকার তো কথাটা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.