![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চারুকলার জয়নুল গ্যালারিতে চলছে ছবির পোস্টারের প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে আছে বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রায় ৬৫ বছরের খতিয়ান থেকে নির্বাচিত ৫০ টার মতো ছবির পোস্টার। পোস্টারে আছেন রহমান-শবনম, রাজ্জাক-কবরী-সুজাতা-শাবানা-ফারুক-সুবর্ণা-আসাদ-মোস্তফা-নাদিম-চম্পা-শাবনুর...পোস্টারে সবাই খুব সেকালের, কিন্তু কমবয়েসি। অনেকেই বর্তমানে প্রয়াত। গতপরশু প্রদর্শনীর উদ্বোধনী মুহূর্তে প্রধান অতিথি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী বললেন,' উত্তম-সুচিত্রার ছবি না দেখে একদিন রহমান-শবনমের 'তালাশ' দেখেছিলাম, এসব পুরোনো ছবির পোস্টার দেখে ষাট ও সত্তুর-এর সোনালি দশক চোখের সামনে ভেসে উঠছে।' উদ্বোধনের বিশেষ অতিথি তথ্যসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, এনডিসি বললেন, 'সময় ধরে রাখা এধরনের প্রদর্শনীর গুরুত্ব অনেক। আয়োজকদের উৎসাহ দিলেন তিনি। সে-ক্ষণে উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম আর্কইভ-এর ডিজি কামরুন্নাহার আপা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, তথ্যচিত্রনির্মাতা মানযারে হাসীন মুরাদ, ক্রিটিক অনুপম হায়াৎএবং গণমাধ্যমের একঝাঁক সাংবাদিকসহ নানাবয়সের দর্শক। সব্বাই খুব কৌতূহলী, বাংলা ছবির পুরোনো দিন যেন জয়নুল গ্যালারিতে ফ্রেমবন্দি হয়ে ঝুলছে। বাংলাদেশের সামাজিক বিবর্তনও এই 'ছবি' বা 'সিনেমা'র পোস্টারের মধ্যদিয়ে ফুটে উঠেছে।
গতকাল, গ্যালারিতে পেলাম একজন প্রবীণ অভিনেতাকে, বললাম, কী দ্যাখেন? তিনি বললেন, 'হারিয়ে গিয়েছি। সেই হারানোকে দেখি।' তাকে সান্ত্বনা দিলাম, 'হারাননি, আছেন।'
গ্যালারিতে গান বাজানো হচ্ছে। সবই আমাদের ছবির গান। দেখতে দেখতে, ছবির পোস্টারের এই প্রদর্শনীটা চৈত্রের শেষ সপ্তাহে অনেকের মনেই হারিয়ে ফেলা জ্বলজ্বলে সময়ের জন্য হাহাকার হয়ে উঠেছে। পোস্টার দেখা শেষে গ্যালারি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই হয়তো অডিও লেভেল থেকে জব্বারের গলায় ভেসে আসছে বহুদিন বাড়িছাড়া এক সারেং এর মর্মের আকুতি-- ওরে নীল দরিয়া...আমায় দে রে দে ছাড়িয়া/ বন্দি হইয়া মনুয়া পাখি হায় রে/ কান্দে রইয়া রইয়া...
©somewhere in net ltd.