নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৩২ পৃষ্ঠায় খড়, ৩৩ পৃষ্ঠায় অাগুন

টোকন ঠাকুর

কবিতা গল্প লিখি, ছবি আঁকি-বানাই, একাএকা গান গাই...

টোকন ঠাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাফাল্গুনের ভালোবাসা

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

মহাফাল্গুনের ভালোবাসা



ছবি এঁকে তুলি, জলরঙের ওয়াশে আঁকতে পারি। আঁকতে পারি প্রজাপতি। যদিও, প্রজাপতি, এই প্রায়পাখিটির ডানায় আঁকা ম্যুরাল দেখেই মুগ্ধ হয়ে পড়ি। মনে মনে বলি, প্রজাপতি, তোমার আত্মজীবনী আমি মুখস্থ করতে চাই। শুনেই, এই প্রায়পাখিটি উড়ে যায়। হঠাৎ সামনে পড়ে পোড়ো রাজবাড়ি। রাজবাড়িটা ভাঙা ভাঙা এবং ভৌতিক। ভীতিলুব্ধ সিঁড়ির ফোকর দিয়ে উড়ে যায় প্রজাপতি। আমি প্রজাপতিকে লক্ষ করে ওপরে উঠতে থাকি। প্রত্নকোঠার ছাদের কিনারে গিয়ে বলি, প্রজাপতি, তুমি উড়ে গেলেও তোমার ছবি আমি ঠিকই এঁকে রেখেছি। ফুলদের আমি এঁকেছি। কিন্তু ফুলের ঘ্রাণ আঁকব কী করে? ফুলের ঘ্রাণ কি আঁকা যায়? চুলের ঘ্রাণ?

ফাঁকা ফাঁকা দিন চলে যায়। ফাঁকা ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ছুটে আসে হাওয়া। এই হাওয়া খুব প্ররোচনাকারী। এই হাওয়া বড্ড নেশাসূত্র ছড়িয়ে রেখে যায়। তারপরও, এই হাওয়াকে কেন যে সহ্য করি! হাওয়া, তোমার নামে নেশা মিশিয়ে রাখে। তুমি তাই নেশাই হয়ে ওঠো, এ রকম দিনে। দিনগুলো ফাঁকা ফাঁকা। দিনগুলো খুব লোনলি লোনলি। এর নাম মহাফাল্গুনের দিন।

এ রকম দিনেও আমি দেখি, তুমি ছাড়া আর সবকিছু আছে। ফুল আছে, হাওয়ার বাঁশি আছে, প্রধান অতিথি কোকিল আছে, গাছে গাছের পাতা ঝরা আছে, নৈশবারান্দার প্রান্তে শেষরাতেও আমার একা দাঁড়িয়ে থাকা আছে_ কিন্তু তুমি কোথায়? এ সময় তোমাকে ছাড়া থাকা ভালো লাগে না। এ সময় তোমাকে না দেখে থাকা মানে অন্ধ থাকার শামিল, এ সময় তোমাকে ছুঁয়ে না থাকা মানে আমার ষ্পর্শযোগ্য হাতই নেই। এ সময়, মহাফাগুনের সময়। এ সময় তুমি কোথায়? কত দূরে? এই দূরত্ব কি আমার জন্য মহাশাস্তি নয়? আমাকে কি নির্বাসন দিয়েছ তুমি, নিজেও নিয়েছ নির্বাসন?

গানগুলো তোমাকে ডাকতে সাহায্য করে। আমি গানের ভেতর দিয়ে তোমাকে ধরতে যাই। আমি জানি, পাতা ঝরা বনভূমিজুড়ে শূন্যতা সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। বনভূমির সব গাছই একা একা। আমার মতো। দু-একটা গাছ থেকে থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাচ্ছে। দু-একটা গাছ কেবল শ্রোতা। দু-একটা গাছ খুব উসখুস করছে। যেন প্রিয় কেউ আসবার কথা। আমি কাকে প্রশ্ন করব, কোন গাছকে শুধাব, ও গাছ ভাই, বল তো চণ্ডালিকা এখন কোথায়? এমন ফাগুনকালে সে কোথায়, সে কোথায়, সে কোথায়? সে কি জানছে না, আমি গাছের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি? তার কি একটুও টের পাওয়া হয় না, আমি একা বসে আছি অপেক্ষা শব্দটার পায়ের কাছে? তার কি মনে হওয়া উচিত নয়, এবার ফিরতে হবে। সে কি ভুলে গেছে ফেরার পিপাসা?

তরুলতা, তুমি শুনে রাখো, এ আমার ভালো লাগছে না। আমি বহুদিন, বহুপথ অতিক্রম করে করে আজ এই বনভূমিতে পেঁৗছেছি। কিন্তু কোনো পাতা ঝরা সঙ্গীত শুনতে আসিনি। আমি বহু বাঁক পেরিয়ে আজ এই ফাগুনফোটা জঙ্গলে এসেছি। আমি গ্রীষ্মদিনের রোদে পুড়ে পুড়ে, তপ্ত হাওয়ায় ঘামতে ঘামতে এসেছি। আমি বর্ষাদুপুর মাথায় করে হেঁটে হেঁটে এসেছি। পথে দেখেছি, একটা শালিক কত একা। পথে কত নদী পার হতে হলো। সাঁতরে সাঁতরে কতদূর ভেসে চললাম। নদীপাড়ের কাশবন আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমি শারদবেলার টানে দাঁড়িয়ে পড়িনি। আমি শিউলিফুলের ঘ্রাণ পেয়েছি বটে, কিন্তু সে ঘ্রাণে আটকে পড়িনি। আমি হেমন্তদিনের সন্ন্যাস নিতে নিতেও ব্রত ভেঙে বেরিয়ে পড়েছি। কেবল শীতে এসে একটু থামতে হলো, শীত কিছুটা ক্ষমতা রাখে বটে, তবে মূল ক্ষমতা শীতের কুয়াশার। ক্ষমতা রাখে শর্ষেফুলের মাঠ, শুকনো খালের সাঁকো, সন্ধ্যারাতের শিশির। আমি জানতাম, শীত গেলেই আসবে ফাগুন, আসবে বসন্ত। তাই বিহ্বলতা ছিল, বিহ্বলতা আছে। আমি ফাগুনদিনের চিত্রনাট্য লিখতে চেয়েও পারিনি। ভেবেছি, তুমি এলেই তোমার সঙ্গে যা যা কথা হবে, যা যা কথাহীন মুহূর্ত যাবে_ সব লিখে দেব চিত্রনাট্যে। চিত্রনাট্যে থাকবে তোমার একছত্র উপস্থিতি। পার্শ্বচরিত্রে চলে যাবে কোকিল, ফুল, ফুলের ঘ্রাণ, পাতাঝরা গাছ, মন হু হু করা হাওয়া, শরীর খাঁ খাঁ করা গান কিংবা তুমি আর আমি মুখোমুখি বসে থাকব বনের মধ্যে, আবহসঙ্গীতে থাকবে শেষপর্যন্ত রবি ঠাকুরের গান। আমরা হয়তো কথা বলব না, তবু গান বাজবে। আমরা হয়তো অনেকক্ষণ ধরে শুধু তাকিয়েই থাকব পরস্পর, যেন আমাদের কী বলার আছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক মনে পড়ছে না, আমরা হয়তো ফাল্গুনের হাওয়ায় আমাদের সব কথা ছড়িয়ে দেব নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে। তোমার প্রতিটা নিঃশ্বাস থেকে তুলে আনব সমস্ত ফাল্গুনের ইতিহাস, আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসে আমি লিপিবদ্ধ করে দেব আমার একা থাকা এক নাবিক জীবনের ইতিবৃত্ত। কিন্তু তুমি কোথায়? এ রকম আশ্চর্য ফাল্গুনের দিনে তুমি এত দূরে আছ কেন? কোথায় আছ?

তুমি কি জানবে না, ফাল্গুনের জ্বলন্ত ঘটনাবলি?

তোমাকে আমি দেখিনি আজও। তোমাকে আমি ছুঁইনি আজও। তুমি কি জানো না, আমি না দেখলে তোমার ফাগুন-উৎসব সম্পূর্ণ হবে না? তুমি কি মানো না, আমি ছুঁয়ে না দিলে তুমি কুরঙ্গগঞ্জন হবে না? কুরঙ্গ হচ্ছে হরিণ, কুরঙ্গগঞ্জন হচ্ছে, হরিণ নহে, হরিণের চেয়ে অধিক। আমি আজও কুরঙ্গগঞ্জন দেখিনি। আমি আজও তোমাকে দেখিনি। কিন্তু আমি জানি, তুমি আছ। তুমি হয়তো ফাল্গুনের ফুলের আড়ালে ফুল হয়ে আছ, তুমি হয়তো ফুলঘ্রাণের মধ্যে ঘ্রাণ হয়ে আছ। তুমি হয়তো হাওয়ার মধ্যে বাঁশি হয়ে আছ। তুমি গীতবিতানে আছ। তুমি হয়তো বনে বনে পাতা ঝরার মর্মরে আছ। আর তুমি আছ রঙে। তুমি ভার্মিলিয়ন রেড হয়ে আছ। তুমি বেলেসিঁদুর হয়ে আছ। তুমি মন পুড়ে যাওয়া সুর হয়ে আছ। তুমি প্রাণ খাঁ খাঁ করা শূন্যতার ভেতরে আছ। তুমি যে আছ, তা আমি টের পাই। তা আমার মন বলে। তুমি আছ, সে কথা খুব বড় করে লেখা এই মহাফাল্গুনের লোনলি হাওয়ায়। তাই প্রেম এসে যায়। প্রেমকে আর ঠেকাতে পারি না। তাই বসন্তের নাম করে সমস্ত প্রেম ছুটে যায় তোমার উদ্দেশে। একে তুমি গ্রহণ করবে না? ফুল জানে, পাখি জানে, বনভূমির সব গাছ জানে, আমি বসন্তের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার। আমি চণ্ডীদাসের ভাই, আমি উড়নচণ্ডী তাই। আর তুমি চণ্ডালিকা। তোমাকে আমি চিনে ফেলেছি। আমি তোমার প্রাসাদ-কোঠার ভেতরে ঢুকতে চাই। রবীন্দ্রনাথকে আমি এক্ষেত্রেই কিছুটা ঈর্ষা করি, তোমাকে নিয়ে তাঁরও কিছু গান লেখা আছে। তুমি এখনও তাঁর গান গাও। কিন্তু তুমি শোনো, উৎকর্ণ হয়ে শোনো, ভালোবাসাসমগ্র আজ উদগ্রীব হয়ে আছে, প্রণয়সকল আজ অস্থির হয়ে আছে, প্রেমসমস্ত আজ উদ্ব্যাকুল হয়ে আছে_ সে তো তোমারই জন্যে। আমি এই ফাগুনকে কথা দিয়েছি, আমি বসন্তের ফুলসকলকে মান্য করে শপথ করেছি, তোমার জন্যই ভালোবাসা সব বুকের মধ্যে জমিয়ে রেখেছি। বুকের মধ্যে ভালোবাসার পাহাড় দাঁড়িয়ে গেছে। তুমি সেখানে জুমচাষ কোরো। বুকের মধ্যে একাকিত্বের মিউজিয়াম গড়ে উঠেছে, তুমি সেখানে একক দর্শনার্থী। তুমিই মিউজিয়ামের কিউরেটর।

এর নাম ভালোবাসা। এই মহাফাল্গুন জানে, ভালোবাসতে না পারলে কেউ কেউ অকালেই মরে যায়। কিন্তু আমি বাঁচতে চাই। আমি ফুলঘ্রাণের ভেতর দিয়ে বাঁচতে চাই। আমি একটি জলরঙের ছবির ভেতর দিয়ে বাঁচতে চাই। আমি একটি কবিতার ভেতর দিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। আমি গানের ভেতর দিয়ে বেঁচে উঠতে চাই বার বার। ছবি-গান-কবিতা বেঁচে আছে তোমার ভেতর দিয়ে। তুমি বেঁচে থাকবে আমার ভেতর দিয়ে। আমরা বাঁচব ভালোবাসার ভেতর দিয়ে।

ভালোবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা যায় না। ভালোবাসা কবিতার মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকে। ভালোবাসা ছাড়া ভালোভাবে বাঁচা যায় না। ভালোবাসা ছবির মধ্যে ছবি হয়ে থাকে। ভালোবাসা ছাড়া ভালো করে বাঁচা যায় না, ভালোবাসা গানের মধ্যে, তোমার মধ্যে মূর্ছনা হয়ে থাকে। তুমি আমার ভালোবাসা গ্রহণ করো এই ফাগুনে, তুমি আমার ফুল গ্রহণ করো, আমার ঘ্রাণ গ্রহণ করো তোমার নাসারন্ধ্রে। তুমি 'আজ আমার প্রণতি গ্রহণ করো' রজঃস্বলা ব্যাকুলা, চণ্ডালিকা। আবার একটি কবিতা জন্ম হোক, আবার একটি জার্নি শুরু হোক, আবার আমরা পথে পথে পথ হয়ে হয়ে যাই তবে। আবার আমরা গান হয়ে যাই গানের ভেলায় চড়ে...

একদিন কথায় কথায় তুমি জানিয়েছ ফাল্গুনকে, বসন্তেই দেখা হবে তোমার সঙ্গে। বসন্তেই আমি হাঁটতে যাব সৌন্দর্যের উৎসভূমিতে। বসন্তেই আমি সম্পূর্ণ মাতাল হয়ে যাব তোমার নেশায়। তুমি এ নেশা থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। শোনো, তোমাকে বলি শীতাবসানের গল্প।

চিরকাল, ডাকে নেশা, ডাকে জুয়া। জুয়াড়ির পূর্বপুরুষ ছিল জোসনাখোর। তাই মাতাল হবার অধিকার শুধু তারই, যার জিন থেকে হ্রেষা ভেসে আসে, পাহাড়ি ঘোড়ার। হ্যাঁ, আমার ঘোড়াটি দাঁড়িয়ে আছে। আমি দূর থেকে উপত্যকার ওপারে তোমার দিকে চোখ রেখেছি। তুমি একবার ডাকলেই তাঁবু গেড়ে বসব। তুমি একবার সংকেত দিলেই আমি উপত্যকার খাঁড়ি থেকে লাফ দিয়ে পড়ব। তুমি তোমার চোখকে বলো, সে চোখ যেন দেখতে পায় আমি ফাগুনের সমস্ত রঙে-লেপা বর্ণমালা আমার চোখের মধ্যে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। এই আমার ভালোবাসা। এই আমার তোমাকে কাছে পাবার টান। এই আমার ভেতর-প্রদেশের সংবিধান, আমি যাব, তোমাকেও সঙ্গে নিয়ে যাব। আমি তোমাকে বলি, শোনো, কোনো শাস্ত্রগ্রন্থ ধর্মাচার-রীতিনীতি-সংবিধান আমাকে টলাতে পারবে না। প্রেমই আমার নৈতিক মনোবল। কোনো 'ন্যায়-অন্যায় জানি নে জানি নে জানি নে, শুধু তোমারে জানি'। রবীন্দ্রনাথ আর চার্চিলকে আমি এই ক্ষেত্রে ভালোলাগা গডফাদার মনে করি। চার্চিলও তো বললেন, যুদ্ধে আর প্রেমে কোনো ন্যায়-অন্যায় নেই। 'এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই' চাই-ই তো। তুমি এখনও কিছুই জানো না, আমার চোখ কত মুগ্ধতা প্রার্থনা করে আছে, জাস্ট তোমাকে দেখবে বলে। আমার মন কত মন্ময়তায় ব্যাকুল হয়ে আছে, জাস্ট তোমাকে কোথাও নিয়ে যাবার জন্যে। তুমি যাবে আমার সঙ্গে, সুধা? আমাকে রাজা অমল বলে ডাকে।

তবে চণ্ডালিকার চেয়ে আরেকটু ভিন্নভাবে সাজাতে চাই তোমাকে, সুধার চেয়ে আরেক রকম সুধা। তোমাকে একদম নন্দিনী নয়, আরেকটু অন্যরকম করে আঁকব আমি। তোমাকে শ্যামার চেয়ে, চিত্রাঙ্গদার চেয়ে আরেকটু রঙ মাখাতে চাই। রঙটা আমার পার্সোনাল। বেলেসিঁদুর। তোমার সীমান্তজুড়ে সিঁদুর মেখে দিতে চাই। এতক্ষণে মনে পড়ল সেই প্রাচীন চীনা কবিতাটি : বলব? 'তোমাদের ছাদের টাঙানো দড়িতে যখন শুকাতে দাও তোমার মাথার চুলের রিবন, সেটা দেখে, আমার মনে রঙপিয়াসী ভাব জমে খুব তখন। আর দড়িতে যখন দেখি তোমার কামিজ ঝুলছে, তখন আমার মনে ভালোবাসা ফালদে ওঠে, ডিগবাজি খায়; আর যখন দেখি, দড়িতে তুমি শুকাতে দিয়েছ তোমার ভেজা সায়া/পায়জামা, তখন মনে হয়, ভেজা সায়া-পায়জামা রোদে শুকিয়ে ওঠার আগেই তোমাকে আমি বিয়ে করি ফেলি গো...' চাইনিজ বসন্তের এই কবিতা এসে খোঁচা মারে আমাকেও। আমি খেয়াল করে দেখতে থাকি, কোথায় তোমাদের বাসা, কোথায় ছাদ, কোথায় ছাদের দড়ি আর কোথায় তোমার রিবন, কামিজ, সায়া-পায়জামা? আরে, আমি তো জানিই না যে, কোথায় তুমি? কে তুমি? তুমি কে? একটু একটু জানি। সে তো একান্তই নিজের জানা। আমি যা জানি, তুমি জানো না। তুমি যা জানো, আমি জানি না। দু'জনের জানাজানি কি একত্র করার দরকার না? ফাল্গুন কী বলে? বসন্ত কী বলে? পলাশের রঙ কী বলে? তুমি কী বলো?

ফাগুন আসে, বসন্ত আসে। ফুল ফোটে, পাখি গায়, বনে বনে উচ্চারিত হয়, কী যেন নেই, কী যেন নেই। কী নেই? বুকের মধ্যে খরখর করে ওঠে দগ্ধ শ্বাস, পোড়া পোড়া হাওয়া। আমরাও পড়ে যাই হাওয়ার খপ্পরে। ভালোবাসা এসে ডাক দেয়, প্রাণ বলে, পূর্ণ হ পূর্ণ হ। আমাদের কি সে সাধ্য আছে, আমরা বসন্তকে উপেক্ষা করব? অবহেলা করব? বকুলতলায় উৎসব হয়, বসন্ত খুব সেজেগুজে আসে। মন্দিরে বাজে মন্দিরা। সুহাসিনী কোথায়? কত কঠিন কঠিন প্রহর আমি অপেক্ষায় থাকব? কখন দেখা দেবে চোখের সামনে কুরঙ্গ-বালিকা? আমি তোমাকে ফুলসমগ্র, ঝিরিঝিরি হাওয়াসমগ্র, ফাগুনের অর্ঘ্যসমগ্র দান করে সম্পূর্ণ হতে চাই। বুঝেছ?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫২

বেলা শেষে বলেছেন: Beautiful & good description.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.