![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সে রাতে পূর্ণিমা ছিল
কেউই কারো মতো নয়, স্বাতন্ত্র্যই সংবিধিবদ্ধ। তবু মাত্র ৫৩ বছরের অায়ুষ্কালের কবি জীবনানন্দ দাশ তার কবিতা নির্মাণে প্রকৃতপক্ষেই অধিক স্বতন্ত্র, সৌন্দর্যে শোভিত, লাবণ্যে থই থই, রহস্যে গভীর, অসহায়ত্বে অপার, যা এমন কোথাও নিয়ে যায় পাঠান্তে, যেখানে যেতে যেতে যেমন ভয় লাগে, ভালোও লাগে। সেই ভয়, ভালোলাগা উদযাপন করি। অনেকেই করে। বাংলা কথাসাহিত্যে এরকম স্বতন্ত্র শক্তিশালী ভালোলাগায় ভরপুর নিশ্চিত শহীদুল জহির (১৯৫৩-২০০৮=৫৫)। জীবনানন্দকে পেতে পেতে বাঙালি কবিতাপাঠকের যেমন সময় লেগেছে, কথাশিল্পের শহীদুল জহিরকেও পেতে পেতে পাঠকের সময় লাগছে, তা সত্য। নিউ এপিক-ইমেজে রচিত উপন্যাস 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল' শহীদুল জহিরের অন্যান্য বেশিরভাগ রচনার মতোই, জনশ্রুতির মতোই শক্তিমত্তায় পূর্ণ, ইতোপূর্বে যেমন পড়িনি অন্যতে, এমন।
নবীন নাট্যদল 'অারশিনগর' এর প্রথম প্রযোজনা ও রেজা অারিফের নির্দেশনায় 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল' ঢাকার মঞ্চে অাজ ছিল চতুর্থ প্রদর্শনী।
চমৎকার, সুন্দর, অনবদ্য, অসাধারণ এইসব বিশেষণের বাইরে গিয়ে দর্শক হিসেবে অামি দেখি রেজা অারিফের এই সফল নির্দেশনা কিম্বা 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল'র পাত্রপাত্রীদের মঞ্চ-চারণা কিম্বা এর অালোক প্রক্ষেপণা কিম্বা এর সাউন্ড-মিউজিক প্ররোচনা। 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল'র মঞ্চ-উপস্থাপনা বা কোরিওগ্রাফি কিম্বা স্রেফ বাঙালি গ্রামীণ জনপদের এই চন্দ্রঘোরলাগা বর্ণনাত্বক প্রাণ-মিথ-অাখ্যান নিয়ে অামি একটা ভাবনা লিখব, এই ইচ্ছে পোষণপূর্বক অাজ দেখলাম অামার দেখা তৃতীয় প্রদর্শনী। এজন্যে অামার অারো দুইবার এই নাটক না-দেখলেই নয়। চাই পরবর্তী প্রদর্শনী দ্রুত হোক, চাই অারো মানুষ দেখুক শহীদুল জহিরকে কিম্বা 'অারশিনগর'এর পড়শিদের। ক্রমশ, নির্দেশক রেজা অারিফ বা এই নগরের পড়শিদের অারো নিকটবর্তী হয়ে পড়ছি, সেই অানন্দ টের পাচ্ছি মনে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৪
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ও আচ্ছা ।