নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাই ব্লগ

রেইলগাড়ি ঝমাঝম

এখনো পর্যন্ত লেখার কিছুই নাই নিজের সম্পর্কে। খুঁজে পেলে লিখবো।

রেইলগাড়ি ঝমাঝম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজার মাস আর কপালে ঘাম

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:১০

আমাদের কাছে রোজার অর্থটাই ভিন্ন কিনা কে জানে। আমার মাথাতেও কুলায় না।

এ দেশে রোজা মানে গালিগালাজ না করা, মেয়েদের দিকে না তাকানো, খারাপ চিন্তা না করা, অ্যাডাল্ট ফিল্ম না দেখা কিম্বা মাস্টারবেটিং না করা।

রোজা রেখে এই ক'টি কাজ ঠিকঠাক মতো করতে পারলেই ইফতারি তে আমাদের চেহারাটা অটো-জান্নাতি টাইপের হয়ে যায়!

বাহ্ .. কত্তোগুলি খারাপ কাজ থেকে মুক্ত থাকে দেশ আর আমাদের যুব সমাজ!

এহেন অর্থ সম্বলিত ধর্মপালনকারী দেশ কে মৌলবাদী যে কারা বলে অনেকেই বুঝে না।

এতোকিছু বুঝেও রোজার মাস আসুক আমাদের দেশে, এটা আমি চাই না!

আমার এই ধৃষ্টতার জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগেভাগেই। তবু আমি এই কথাটাই বলবো বারবার।



কি শিক্ষাটা পাই বা পাচ্ছি আমরা দিনকে দিন?

আমার তো মনে হয় রোজা আসলেই ছা'পোষা মধ্যবিত্তদের চোখমুখ শুকনো হয়ে যায়। ঘামেভেজা মজুর আরেকবার চোখতুলে হয়তো বিধাতার কাছেই ফরিয়াদ জানায়, কি করে এই মাসটায় সন্তানগুলো আর স্ত্রী নিয়ে কেমন করে এই মাসটা কাটাবে, আর যদি ঘরে বাবা পেনশনে গিয়ে থাকেন এই মাসটাতেই তাইলে তো কথাই নেই।

আমার তো মনে হয় না, ধর্ম আর সমাজের দিকে তাকিয়ে এই রোজার মাসটাকে গ্রহন করবার ছাড়া তাদের আর কোন কারণ থাকে।



রোজার মাসটায় খুশি কারা থাকেন তাদের দিকে তাকাই একটু।

আড়ৎদার, ব্যাবসায়ী, সরকারী চাকুরিজিবী ( যাদের ঘুষ খাবার সুযোগ আছে) আর বিত্তবান।

আড়ৎদার দের কাজ হচ্ছে সারা বছর মজুদ রেখে কৃত্রিম ক্রাইসিস তৈরী করে রোজার মাসটায় লাভ কামিয়ে নেয়া। তাদের চোখে বছরের আর কোন সময় এসে ধরা দেয় না। সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মভীরুতাই তাদের পুঁজি। ভেজাল তেল, ভেজাল ফল, ভেজাল খাদ্য সবকিছু ভেজালে ভেজালে ভাজাভাজি করতে চাও, রমজান মাসের তুলনাই নাই।

ঘুষখোর রা কারেন্ট জাল নিয়ে বসে থাকে ক্যামন করে একটা দাও মারা যায়। বাগে একজনকে পেলেই হলো, হাতে পায়ে ধরেও কাজ হবে না।



পুলিশের অপরাধ প্রবণতা বেড়ে হয় দ্বিগুণ ( কই যাই বলেন), ছিনতাই বাড়ে ঈদ সামনে রেখে।

এসবের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় বিত্তবানরাই।

সবকিছুকে কমোডিফাইড করার চেষ্টা তাদের। তাদেরকে দেখে মর্ডানাইজড হবার চেষ্টা করে উচ্চমধ্যবিত্তরা ঈদভোগ্যবস্তু সামনে রেখে, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া নিম্নমধ্যবিত্ত আর দরিদ্ররা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে 'বড় বাপের পুলায় খায়' কিম্বা ' কাশ্মিরী শরবত ' খাওয়া দেখে।



এই সব বৈষম্য আমার রোজার সময়টাতেই চোখে পড়ে বেশি।



মেয়েদের দিকে তাকানো বন্ধ করলেই কিম্বা গালিগালাজ বন্ধ করলেই সংযম পালন হয় না। স্বভাবগত পরিবর্তন তো হচ্ছেই না।



অথচ এই সংযম এর মাসে আমাদের ভাবা উচিৎ ছিলো এই একটা মাস অন্তত আমরা মানুষের দিকে তাকাই, তাদের স্বস্তির দিকে তাকাই, এই একটা মাস না হয় আমরা লাভ নাই বা করলাম, এই মাসটাতে অন্তত সাম্যবাদ নিয়ে ভাবি, সবাই একসাথে খুশি থাকি. . .



সেইরকম সংযম এর কথাই তো হবার কথা ছিলো রমজান এ...

কি জানি, নাকি এ আমার বোঝার ভুল।

যদি তাই হয়, এমন রোজার মাস আমার চাই না।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৬/-১

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২৩

মেঘলা মানুষ বলেছেন: হুমম

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২৭

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: হুমমমম

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৪

রক্তাক্ত যোদ্ধা বলেছেন: হুমম....ঠিকই বলেছেন...............+

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৯

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: :(

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭

রাতমজুর বলেছেন: আমরা সব নামে মুসলমান, কাজে ভোগবাদী। ধর্মের বাইরে এসে মেকী নিয়মকানুন গড়ে সেটাকে নিয়া লাফাই।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪১

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: :(

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৫০

স্বপ্নশিকারী বলেছেন: আমি বুঝি মানব ধর্ম।
এটা পালন করলেই সব ধর্ম পালন হয়ে যায়।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭

ইলা বলেছেন: বছরে একবার রোজা আসুক এটা আপনি চান না। হয়তো এটা আপনার ক্ষোভের কথা। তবুও এমন করে বলা ঠিক না। এটা রহমতের মাস, সংযমের মাস। মূলতঃ সমস্ত হেদায়েত মুত্তাকিদের জন্য। যারা আল্লাহকে ভয় করবেন, তারাই সৎপথে চলবেন এবং তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরষ্কার। সংযম বলতে শুধু উপোস থাকা বা উল্লিখিত কিছু পাপ থেকে বিরত থাকা নয়।

রোযার মৌলিক উপকার হল "তাকওয়া পরহিযগারী অবলম্বন" যার দ্বারা মানুষ সকল প্রকার পাপকার্য বর্জন করিতে পারে। আল্রাহ তা আলার নিষিদ্ধ কাজগুলি করা যেমন পাপ তেমনি তাঁর আদেশগুলি পালন না করাও পাপ। রোযা রাখার ফলে মানুষের মধ্যে পাপ প্রবণতা দূর হয়।

রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন "যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা বা অন্যায় কাজ ছাড়তে পারল না, তার আহার-পানাহার ছেড়ে দেওয়ার আল্লাহর কোন প্রয়োজনই নাই।

রোজার মাসে যেমন সৎ কাজ করলে আল্লাহ তা আলা এর সওয়াব দশগুন থেকে সাতশত গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করবেন, ঠিক তেমনি অন্য মাসে কোন অন্যায় কাজ করলে যত পাপ হবে এমাসে একটি গুনাহ করলে তার শাস্তিও অনেক হবে।

আর যারা বিশ্বাস করবেন শুধু তাদের জন্য হেদায়েত।

আপনি যা বলেছেন-আমি সম্পূর্ন একমত। রোজার সময় দ্রব্য সামগ্রির মূল্য এত বেশী বৃদ্ধি পায়, যে গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া সাধারন মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যায়। যা হওয়া উচিত ছিল-রোজায় মানুষ এত কম খাবে যে খাবার বাজারে পঁচে যাবে ক্রেতা থাকবে না।

ইয়।সিন কবির বলেছেন: আমি বুঝি মানব ধর্ম।
এটা পালন করলেই সব ধর্ম পালন হয়ে যায়।

লেখক এখানে যাদের কথা উল্লেখ করেছেন তাদের এই অপকর্ম কি মানব ধর্মের মধ্যে পড়ে না? @ ইয়াসিন কবির।




১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২২

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: আপনার মহামূল্যবান কথার জন্যে ধন্যবাদ।
কিন্তু আপনি যা বলেছেন, এটা বই পুস্তকের কথা, ওই কেউ শুনেনা, মানেওনা, শুধুমাত্র ভংবাজী করে লোকদেখানো মানা মানে। এই সব লোকদেখানো মানা নিয়ে আমিও আপনার মতো কোরানের হাজারটা উদাহরন দিতে পারবো।
আর আমি কিন্তু রোজা নিয়ে কথা বলি নাই, রোজার সময় মানুষের ভাবমূর্তি নিয়ে বলেছি।

আর মানব ধর্ম মানে হচ্ছে মানবতার ধর্ম, এটা নিশ্চই বুঝেছেন।

আর একটা কথা, রহমতের মাস বলে আমার অশেষ নেকী হাজিল করবো ভেবে ওই রকম রোজা কে স্বাগত জানিয়ে হাজারটা মানুষের বাঁশ দিবো, ওই নেকী আমার দরকার নেই গো আপু।

সংযম সব মাসেই দরকার। আর মানুষকে রোজা রাখবার জন্যে ইন্সপায়ার্ড করার জন্যে কোরান হাদিসের লেকচার এর চাইতে সচ্চরিত্র দিয়ে উদাহরন তৈরী করা বেশি প্রয়োজন।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭

নন্দিনী বলেছেন: !!! আমি আসতেসি পরে!
:-)

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৩

নন্দিনী বলেছেন: তোমার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো!একদম ঠিক ইস্যু গুলাকেই কভার করছো..

:-) গুড জব্‌!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৭

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: ধন্যবাদ তোমাকে।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৬

কানা বাবা বলেছেন:
পুস্টোডা পিরিয়োতে লৈয়া গ্যালাম্...
ডুন্ মাইন্...

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৯

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: মাইন্‌ করতে গিয়াও করলাম না। :)

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৬

সাইফুল আকবর খান বলেছেন: অনেক পরে এখানে কমেন্ট করছি। যদিও প'ড়ে গিয়েছিলাম এসে মোটামুটি নগদেই। আর, আমি তো এই মতামতের এক্সেস-ই পেয়েছি আপনার এই টপিক-এর বেশ পরে।
বিষয় হিসেবে অনেক অবভিয়াস ধরনের এটা, তাই সমর্থন-অসমর্থনের মুখাপেক্ষীই নয়। বরং স্বর মেলাতে গিয়ে - আমি যেহেতু মূলেই অন্য বিশ্বাস (বা অবিশ্বাস)-এর ঘরে - যদি ফসকে ফেঁসে কারও মৌল (ফান্ডামেন্টাল অর্থেই। কেউ এটিকে কোনো আখ্যার ইঙ্গিত জ্ঞান করবেন না আশা করি।) ধারণা বা বিশ্বাসেই আঘাত ক'রে ফেলি, সেই ঝুঁকি-বোধ একটু কাজ করে আমার মধ্যে এমন বিষয়ে। তাই নির্দিষ্ট কোনোকিছুতে ঢুকলাম না, দরকারও নাই সেই বাহুল্য-বলার।
লেখার ধরন বাস্তববাদী, সেটিও বক্তব্য এবং বিষয়ের প্রতিই সুবিচার। প'ড়ে ভালো লেগেছে- তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।
সবার জন্য ভালো সময় কামনা করি।
স্বপ্নে সুদিন, স্বপ্ন রঙিন।
সাদাকালো আলো-ভালো লেখাটির জন্য অভিনন্দন। :)
ভালো থাকেন, বস্। ভালো থাকুক সবখানে, সকলে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৯

রেইলগাড়ি ঝমাঝম বলেছেন: আপনার কমেন্টস এর জন্যেই এতোদিন অপেক্ষা ছিলো আমার। :)

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:২০

সাইফুল আকবর খান বলেছেন: :)

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৪৮

কানা বাবা বলেছেন:
এমন রোজার মাস আমার চাই না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.