নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]
অনিয়ম-দুর্নীতিগ্রস্হ সরকারি ব্যাংকগুলো সচল রাখতে বাজেটের আগে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি চেয়ে আসছিলো সরকারি মালিকানাধীন পাঁচটি ব্যাংক। যতবারই মূলধন ঘাটতিতে পড়তেছে, ততবারই তা জনগণের করের টাকায় পূরণ করে আসছে সরকার। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য গত ছয় বছরেই সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। এসব ব্যাংকের জন্য এ বাজেটেও বরাদ্দ ২ দুই হাজার কোটি টাকা।
বাজেটে ‘মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ’- শীর্ষক একটি খাতের আওতায় অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে প্রতি বছর আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে এই ৯ টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। এদের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংকের; ১৭ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে; ৭ হাজার ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সোনালী ব্যাংকের; ৫ হাজার ৩৯৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এছাড়া বেসিক ব্যাংক ২ হাজার ৬৫৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ৮১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংক ৬৩৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং জনতা ব্যাংকের ১৬১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের সাথে তাল মিলিয়ে বেসরকারি খাতের ৩ টি ব্যাংকও এগিয়ে চলছে সমান তালে। তাদের মোট মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের; ১ হাজার ৪৯৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। রানার আপ ফারমার্স ব্যাংক ২৮২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং ৩য় হিসাবে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ২৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলো থেকে যে পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, সেই পরিমাণ টাকাই সরকারকে দিতে হচ্ছে। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির বোঝাও এখন সরকারকে বইতে হচ্ছে। যেমন অনিয়মে ডুবতে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের শেয়ার কিনতে হয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী, জনতার মতো ব্যাংকগুলোকে। অথচ এসব ব্যাংক নিজেরাই রয়েছে মূলধন ঘাটতিতে ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতেছে
কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে? স্বয়ং বেসরকারী ব্যাংকগুলোও কেন ব্যাংকিং নীতিমালা মানতেছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বদলে ব্যাংক মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশসন অব ব্যাংকসের (বিএবি) কথাতেই নীতি বদলে যাচ্ছে বলৈ যে গুঞ্জন রয়েছে তা কি বাস্তব নয়!।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী, ৪০০ কোটি টাকা অথবা ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশের মধ্যে যেটা বেশি সেই পরিমাণ অর্থ মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয় ব্যাংকগুলোকে। কিন্তু এ নিয়মের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকিং খাত নিজের খতিতে চলতে চলতে এখন প্রায় সাগরের কিনারে। বিলীন হওয়ার পথে। আর এ পথ থেকে টেনে ধরার প্রয়াস হিসাবে বাজেটে তাদের জন্য জনগণের করের টাকা দিয়ে মূলধন যোগান দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। লাখ লাখ গ্রাহকের আমানত নিয়ে খেলা কি বন্ধ হবে না? দুর্নীতি ও লুটপাটের ভারে নিমজ্জিত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনঃমূলধনীকরণ সুবিধা বাজেটে রাখলে স্বাভাবিকভাবেই খেলাপি ঋণ ও তারল্য সঙ্কটে নিমজ্জিত হবেই এবং যথারীতি তা ঋণখেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রণোদনার সামিল।
[email protected]
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইজান কি বিবাহের পাত্রী খুজতেছেন ব্লগে?
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৪
এম টি উল্লাহ বলেছেন: হয়তো!
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
চাঙ্কু বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইজান কি বিবাহের পাত্রী খুজতেছেন ব্লগে?
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চাঙ্কু বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইজান কি বিবাহের পাত্রী খুজতেছেন ব্লগে?
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প আছে যেখানে, লেখক যাবে সেখানে,
নাকি
লেখক আছে যেখানে, গল্প যাবে সেখানে?
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভাবার বিষয়!
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সাদা মনের মানুষবলেছেন:
চাঙ্কু বলেছেন:
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাইজান কি বিবাহের পাত্রী খুজতেছেন ব্লগে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: হতাশ।
এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
আচ্ছা, ফাউল ব্যাংকগুলো কি উন্নয়নমূলক/লাভজনক কোন কাজে দু-পয়সা বিনিয়োগ করতে পারে না?