নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের নির্বাচন: রাজনীতি, অর্থনীতি ও কূটনীতির হিসাব নিকাশ (পর্ব -১)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কূটনীতিকদের দৌড়-ঝাপ শুরু হয়ে যায়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র তথা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তারা বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েই মরিয়া হয়ে ওঠে। অতীতেও এমনটি হয়েছে, এখনো চলছে, ভবিষ্যতেও আরো গভীর থেকে গভীরতম ভাবে তাদের উদ্বিগ্নতা চলমান থাকবে। এমন উদ্বিগ্নতা কখনো তারা নিঃস্বার্থে হয় না, এখানে একটা হিসেব নিকেশ আছে। সহজ বাংলায় বলা চলে দর-কষাকষি। আর এ দরকষাকষির মোক্ষম সময় নির্বাচনকালীন বছর। বিষয়টা হলো পূর্বে এ দর-কষাকষির হিসেবটা অনেকটা একতরফা ছিলো। পশ্চিমারা বিশেষ এজেন্ট হয়ে তাদের মেসেজটি পোঁছাতো রাজনীতিক শক্তি গুলোর কাছে এখন আর তা নয়। পজেটিভভাবে হোক আর নেগেটিভভাবে হোক আশার কথা হলো আমরা এখন মোটামুটি প্রতিযোগিতার মুখে চলে এসেছি। সকল পরাশক্তির নজর আমাদের দিকে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত,যুক্তরাজ্য সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং তাদের এজেন্টগুলোর সমন্মিত হিসাবের বিষয়টি মূখ্য ভূমিকা রাখে ক্ষমতার পালাবদল বলি আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বলি। ক্ষমতার পালাবদল হোক নাকি ক্ষমতা দীর্ঘস্হায়ী হোক এটাই তাদের মূক্র বিষয় না মূখ্য বিষয় হলো কে কার থলে কটোতা ভারি করতে পারলো।

আপনি যে রাজনীতি মতাদর্শেই বিশ্বাস করুন না কেন এ দৃঢ় সত্যতা আমাদের মানতেই হবে কিংবা আমরা অবহিতই। দুঃখজনক হলেও সত্য এ দরকষাকষিতে আমাদেরকে বড় চওড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক দুর্বলতার সুযোগগুলো তারা নিচ্ছে। যে যেভাবে পারছে। একদিকে আমরা নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ যেহেতু নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের গ্রাজুয়েশন পক্রিয়া সমপন্ন করেছি অন্যদিকে আমার দেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারের কোটায়।(অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে বাংলাদেশের ঋণের পরিমান ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা)। মূল কথা হলো আমাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতির দরকষাকষি করতে করতে আমরা কোন দিকে ধাবিত হচ্ছি? টকশো, মিড়িয়া, কূটনীতিকদের বাংলাদেশ বিষয়ে চরম উদ্বিগ্নতা সাথে যোগ হওয়া রোহিঙ্গা মানবাধিকার এসব নিয়ে রাজনীতির মাঠ এই ৫/৬ মাস খুবই গরম থাকবে কিন্তু বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এগুলোই একমাত্র নিয়ামক নয।এ দরকষাকষির জায়গায় গত ৪৫ বছরের হিসাব আর ২০১৮ এর হিসাবের মধ্যে একটা জটিল সমীকরণ যোগ হয়েছে তা সুষ্পষ্ট।গত ৪৫ বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের দাদাগিরি মনোভাব ভারতকে অজনপ্রিয় করে তুলেছে পররাষ্ট্রনীতিতে। আর এ সুযোগটা হাতিয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছে চীন।ইতিমধ্যেই তার প্রধানত কৌশল একটাই- চীনের বিশাল বিনিয়োগ। বিনিয়োগের সঙ্গে প্রভাব বেড়েছে এবং এটা ভারতীয় মাথা ব্যথায় পরিণত হয়েছে। চীন গত দুই বছরে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগ করে দক্ষিণ এশিয়ার আন্তদেশীয় সম্পর্কে ভারসাম্য ভীষণ প্রভাবিত করেছে।

এই তিন দেশই তাই ভারতের সঙ্গে দরকষাকষিতে সুবিধার জায়গায় আছে। আর এ নিয়ে অনেকে ভাবতেছে চীন-বাংলাদেশর রাখি বন্ধনে আওয়ামীকেন্দ্রিক বাংলাদেশ-ভারতের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাবে কিংবা মোদি সরকারের আওয়ামী আস্হায় সংকট দেখা দিবে? । এমন প্রশ্ন যখন জনমনে তখন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও ভারতের সাংবাদিকদের নিকট এমন প্রশ্নের সন্মুখীন হলে তিনি জানিয়ে দেন, ‘‘চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক কৌশলগত আর ভারতের সাথে রক্তের। চীনের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতা শুধু উন্নয়নের জন্য এবং এমন সম্পর্ক বাংলাদেশ যারাই বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় আগ্রহী তাদের সাথে করতে চায়’’ । বাস্তবে আসলে কি হচ্ছে? বাংলাদেশের বিনিয়োগ ( ২৮ টি বড় প্রজেক্ট চলমান যার মধ্যে সর্ব শেষ এবং সর্ব বৃহৎ হলো চট্রগ্রামের মিরসরাইয়ে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল), সামরিক অস্ত্র ক্রয় সম্পূণ চীনা নির্ভর হয়ে যাচ্ছে না তো? একদিকে বাংলাদেশে-চীন নতুন প্রেমের সমীকরণে চীনা বিনিয়োগ ২০ বিলিয়ন ডলারে পোঁছে যাওয়া অন্যদিকে ভারতের সাথে বাণিজ্য ও শুল্ক বাধার বেড়াজল, আসামের নাগরিক নিবন্ধন ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, তিস্তার জল নিয়ে আশা-নিরাশার দোলে কি গণেশ উল্টে যাবে? ভারত কি আস্হা রাখতে পারবে বিএনপির’র প্রতি? এমন অসংখ্য অংকের হিসাব-নিকেশ নিয়ে একান্তই আমার ব্যক্তিগত অবজারবেশন থেকে চলবে আলোচনা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার কি ভোটাধিকার আছে?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি বলেছেন, " ... আমার ব্যক্তিগত অবজারবেশন থেকে চলবে আলোচনা।"

-এই পোষ্টে আপনার অবজারবেশন কোনটা, এবং কি? আমি অবজারবেশন খঁজে পাচ্ছি না

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: পরবর্তী পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইল।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনার লেখায় আরো কিছু চাচ্ছিলাম..

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: আগামী পর্বে ইনশাআল্লাহ

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আগের পোষ্ট গুলোতে নিজের নাম লিখে, নিজেই লিখেছেন কথাসাহিত্যিক। এই পোষ্ট তে নাম ও কথাসাহিত্যিক লিখলেন না?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৩২

এম টি উল্লাহ বলেছেন: যথাযথ বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.