নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় ২৪ টি অাইনি প্রশ্নের উত্তর। যা সবারই জানা থাকা দরকার।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২২


১। মুসলিম আইনে বিবাহের সহজ পদ্ধতি কি?


✔সুস্থ সাবালক যুবক যুবতী, দুইজন পুরুষ (বা একজন পুরুষ, দুইজন মহিলার) মোকাবিলায় ইজাব কবুলের
মাধ্যমে বিবাহ করতে পারেন। তৎসঙ্গে দেশীয় আইনে কাবীন রেজিস্ট্রি করলেই যথেষ্ট।
বাকী ধুমধাম পালন কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

২। আইনে ত্যাজ্যপুত্র/ কন্যা বলতে কি বুঝায়?
✔ত্যাজ্য পুত্র বা কন্যা বলতে কোন আইনগত বিধান নেই,
তবে পিতা মাতা ইচ্ছা করলে তার সমস্ত সম্পত্তি সাফ
কবলা রেজিঃ বা দান ইত্যাদি করে, অপর সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারেন।
লিখিত রেজিস্ট্রিকৃত না হলে ত্যাজ্যপুত্র বা ত্যাজ্য কন্যা বললেই বা ঘোষণা করলেই সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হবেনা বা সম্পর্র্ক
ছিন্ন হবেনা।

৩। দাদার আগে বাবা মারা গেলে নাতিরা দাদার সম্পত্তি পাবে ?

✔বর্তমানে লা ওয়ারিশ প্রথা ওঠে গেছে। অর্থাৎ দাদার
বর্তমানে পুত্র মারা গেলে নাতিরা সকলে দাদার সম্পত্তিতে সেই অংশ পাবে,
যা তাদের পিতা পেত। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশের
বিধান মতে এ নিয়ম চালু হয়। তবে এ বিধান অন্যদের ক্ষেত্রে (যেমন:
ভাইয়ের আগে বোন মারা গেলে নিঃসন্তান ভাইয়ের
সম্পত্তি মৃত বোনের ছেলে মেয়েরা পাবে না) প্রযোজ্য
হবে না।

৪। বিবাহের বয়স সম্পর্কে আইন কি বলে?

✔ ১৮ বছরের একদিন কমে কোন মেয়ে স্বেচ্ছায় বিবাহ
করতে পারে না। আবার ছেলের জন্য ২১ বছর পূর্ণ হতে হবে। এই বয়সের কমে বিবাহ
করা যাবেনা। এক বার সাবালিকা হলে আমৃত্যু বিবাহ
করা যাবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইনে এ ধরণের বিয়েরব্যবস্থা যারা করবেন তাদের
শাস্তি হবে।

৫। মামলার সাজা বিলম্বের কারণে তামাদি হয় কি?
✔সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১২ বছর বা ততোধিক কাল পালিয়ে থাকলেও
তার অপরাধ মার্জনা হবেনা, মৃত্যু পর্যন্ত সাজা বহাল থাকবে।

৬। ফৌজাদারী মামলায় তামাদির সময় কত ?
✔ ফৌজদারী মামলা তামাদি হয়
না, তবে বিলম্বে মামলা করলে সন্দেহের সৃষ্টি হয় মাত্র।

৭। নামজারি না হলে মালিকানা চলে যায় কি ?

✔ভূমি রেকর্ড বা এটেস্টেশন না হলেও বৈধ অধিকার হারায় না, রেকর্ড বা এটেস্টেশন না হলেও বৈধ
দাবী থাকলে তা অভিযোগক্রমে কাটা যাবে , অন্যের নামে রেকর্ড হলেই তার বৈধ
দাবী সম্পত্তিতে জন্মে না। কাজেই রেকর্ড করার জন্য প্রচুর টাকা পয়সা খরচ
করা বা ব্যস্ত হওয়া বা ঘাবড়িয়ে যাওয়ার কিছুই নেই।

৮।আইনজীবী ছাড়া মামলা পরিচালনা করা যায়?

✔যে কোন ব্যক্তি আইনজীবীর সাহায্য ছাড়াই, সংশ্লিষ্ট আদালতের
অনুমতি নিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারে।

৯। কতদিন জবর দখল করলে ভূমিতে জবর দখলদার স্বত্ব জন্মে ?

✔সম্পত্তির মালিক ১২ বছর বেদখল থাকলে নিজ সম্পত্তিতে বৈধ
মালিকানা ও স্বত্ব হারায় এবং জবর দখলকারীর অকাট্য মালিকানা স্বত্ব জন্মে।

১০।ভালোবাসার দাবীতে কাউকে স্ত্রী দাবী করা যায়?

✔-প্রেমপত্র বা ভালোবাসা থাকলেই
সে মূলে কোন বিবাহ দাবী করা যায়না। কেবল বিরহ
বেদনাই সায় হয়। সাবালক ছেলে মেয়ের রেজিঃ কাবিননামা বিবাহের জন্য অন্যতম প্রমাণ।

১১। আইনজীবী মানে কি ?

✔আইনজীবী মানে কোর্ট অফিসার, সত্য উৎঘাটনের
লক্ষ্যে বিচারকার্যে সাহায্য করা এডভোকেট এর কর্তব্য, শুধু
মক্কেলকে জিতানোই তার কর্তব্য বা মুল দায়িত্ব নহে।

১২। কত টাকার দলিল রেজিঃ করতে হয় ?

✔একশত টাকার ঊর্ধ্বে যে কোন লেনদেন রেজিঃ করতে হবে।

১৩। ফৌজদারী মামলায় কে বাদী হবেন ?
✔ফৌজদারী মামলায় যে কেউবাদী হতে পারেন। ভিকটিম
নিজে বা তার আপন কোন লোকবাদী হতে হবে এমন কোন বিধান নেই।
ঘটনা সম্পর্কে যিনি জানেন,দেখেছেন, শুনেছেন এমন যে কেউ
বাদী হতে পারেন। পুলিশ কেইছ এবাদী মানে সংবাদদাতা।

১৪। স্ত্রী তালাক দিলে মোহরানা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে কি?

✔কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক
দিলেই দেন মোহরপাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না। দেন
মোহরের দায়ে দাম্পত্য জীবন, ঘরসংসার করতে হবে আজীবন, এটা শর্ত
নহে, বিবাহ সম্ভোগ হলেই দেন মোহরফরজ হয়ে যায়।
সেটা দিতে হবে স্ত্রী ঘর সংসারনা করলেও।
স্ত্রী জওজিয়তে তুলে না নিলে বা বিবাহ সম্ভোগ না হলে অর্ধেক দেন মোহর
দিতে হবে।

১৫। কন্যা সন্তান কি মায়ের সম্পত্তি পুত্রের বেশি পায় ?
✔মায়ের
সম্পত্তি কন্যারা বেশি পায়না,
পিতার অংশের ন্যায়ই কন্যারা পুত্রের
অর্ধেক পায়। পিতা বা মাতার
সম্পত্তিতে পুত্রের মতই
কন্যারা ওয়ারিশ, সামান্য
টাকা দিয়ে বা ছল
চাতুরী করে কন্যাদেরকে বঞ্চিত
করা যায় না।

১৬। বিবাহ বিচ্ছেদে সন্তান কার সাথে যাবে?

✔বিবাহ বিচ্ছেদের পর নাবালক
পুত্রের ৭ বছর বয়স পর্যন্ত এবং বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত
নাবালিকা কন্যার হেফাজতকারী মাতা। খোরপোষ
দিবেন পিতা। মাতা ২য় বার বিয়ে করলে সন্তানদের
হেফাজতকারীর অধিকার হারায়। তবে এক্ষেত্রে আদালত সন্তানের
কল্যাণকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রচলিত আইন ও নিয়মের ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

১৭। ২য় বিবাহে কার অনুমতি নিতে হয় ?
✔শুধু প্রথম স্ত্রীরঅনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ
করা যায় না। আবার প্রথম স্ত্রী শুধুবললেই হবে না, স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদে শালিশী কাউন্সিলেরঅনুমতি নিতে হবে।
লিখিতভাবে স্থানীয়শালিশী কাউন্সিলের
অনুমতি ব্যাতীত ২য় বিবাহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং ২য়
বিবাহের অনুমতির জন্য ১মস্ত্রীকে চাপ দেওয়ার সুযোগ নেই।

১৮। জোর করে কারো স্বীক্ষারোক্তি আদায় করা যায়?

✔না। ফৌজদারী অপরাধে জড়িত করে এমন কোন প্রশ্নের জবাব
দিতে কাকেও বাধ্য করা যাবেনা বা সে বাধ্য নহে।

১৯। মামলা প্রমাণের জন্য কতজন সাক্ষী প্রয়োজন?
✔শুধুমাত্র একজন সাক্ষী দিয়ে (বিশ্বাসযোগ্য হলে) মামলা প্রমাণ
করা যায়।

২০। নির্দোষ ব্যক্তি রক্ষা কি?

✔ন্যায় বিচারের সূত্র হল আইনের প্যাঁচে দোষী ব্যক্তি খালাস
হতে পারে, কিন্তু কোন নির্দোষীর যেন সাজা না হয়।

২১। বিচারের আগে কাউকে দোষী বলা যায়?


✔না, আদালত প্রথমে সকলকেই নির্দোষ ধরে নেন,সাজা না হওয়া পর্যন্ত কাকেও দোষী বলা আইনসঙ্গত নয়।

২২। কাউকে অপমান করা যায় কি?

✔সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক কাকেও গেট আউট, বাহির হও, দারোয়ান বের
করে দাও,আটক কর ইত্যাদি বলা আইনগতভাবে অপরাধ।

২৩। রেজিস্ট্রিকৃত দান বৈধ?

✔মুসলিম আইনে মুসলমানদের
অরেজিস্ট্রিকৃত মৌখিক দান বা অছিয়ত আইনতঃ কার্যকরী।
তবে বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী মৌখিক দান বেআইনী।

২৪। আমার মাত্র একজন কন্যা সন্তান। আমার নিজের কোন ভাইবোন
নেই,আমার নামে কোন সম্পত্তি থাকলে আমার অবর্তমানে সেই সম্পত্তির মালিক কে হবে?

✔ আপনার পুরো সম্পত্তির দুই
আনা আপনার স্ত্রী পাবেন
এবং একমাত্র কন্যা সন্তান
হিসেবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন
অনুযায়ী আপনার অবর্তমানে আপনার
বাকী সম্পত্তির অর্ধেক তার প্রাপ্য।
বাকী অর্ধেক আপনার ভাইবোনদের
মধ্যে নির্দিষ্ট অংশে বন্টন হবে।।
-এম টি উল্যাহ
০১৭৩৩৫৯৪২৭০

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর লিখেছেন। অনেকের হয়তো কাজে লাগবে। +++

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতাবানরা আইনের তোয়াক্কা করে না।
আইন শুধু দরিদ্র মানুষদের জন্য।
কিছু মানূষের প্রচুর টাকা আছে তারা খারাপ কাজ করার
আর কিছু মানূষের টাকা নেই বলে তারা খারাপ কাজ করে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

অভীক অর্ণব বলেছেন: মুসলিম আইনে তো নারীদের তালাক দেবার ক্ষমতা নাই।
বাংলাদেশে তো ধর্মীয় আইন প্রযোজ্য না।
if there is any conflict between state law and religious law , then state law must be preferred .
আমার কথা গুলো কি ঠিক ? যদি ভুল হয় তাহলে সংশোধন করে দিন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: মুসলিম পরিবার আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুসারে মুসলিম নারীরা স্বামীতে তালাক দিতে পারে।
মুসলিম আইনে তালাকের বিষয়ে স্ত্রীর ক্ষমতা সীমিত। স্ত্রী’কে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেওয়া হলে তবেই একজন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে পারেন। স্ত্রীকে এরূপ ক্ষমতা অর্পনকে “তালাক-ই-তৌফিজ” বলে।
তালাক-ই-তৌফিজ স্ত্রীর একক ক্ষমতা নয়।

নিকাহমার ১৮ নং ঘরে “স্বামী স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা অর্পণ করছে কি না? করে থাকলে কী শর্তে?” এই প্রশ্নটি থাকে। এখানে স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা দেয়, তবেই স্ত্রীও স্বামীর মতো তালাক দিতে পারে।

সেক্ষেত্রে স্ত্রীকেও স্বামীর মতো ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টেশন আইন ও ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবাবিক আইন অধ্যাদেশ অনুযায়ী এখতিয়াভূক্ত বা সংশ্লিষ্ট নিকাহ্ রেজিস্টার বা কাজীর মাধ্যমে তালাক দিতে হবে এবং তালাকের নোটিশ স্বামী’কে ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পৌরসভা চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে পাঠাতে হবে।

তাছাড়া আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদ এর সুযোগ রয়েছে। নিম্মোক্ত ৯টি ক্ষেত্রের যে কোন একটি বা একাধিক কারণে একজন স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আদালতের শরনাপন্ন হতে পারেন। ১৯৩৯ সালের বিবাহ বিচ্ছেদ আইনে স্ত্রীকে এরূপ ক্ষমতা বা অধিকার দেওয়া হয়েছে। কারণগুলো হচ্ছে,

(১) স্বামী ৪ বছরের অধিক সময় নিরুদ্দেশ থাকলে;
(২) দুই বছর যাবত স্ত্রীর খোরপোষ দিতে স্বামী ব্যর্থ হলে;
(৩) স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধান লঙঘন করে অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে;
(৪) স্বামী সাত বছর বা তার বেশি সময় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে;
(৫) কোনো যুক্তি-সঙ্গত কারণ ছাড়া তিন বছর ধরে স্বামী তাঁর দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে;
(৬) স্বামী বিয়ের সময় পুরুষত্বহীন থাকলে এবং তা মামলা দায়ের করার সময় পর্যন্ত বজায় থাকলে;
(৭) স্বামী দুই বছর ধরে পাগল থাকলে অথবা মারাত্বক যৌনব্যধিতে আক্রান্ত থাকলে;
(৮) নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে হয়ে থাকলে অথবা সাবালকত্ব লাভের পর অর্থাৎ ১৮ বছর পূর্ণ হবার পর স্ত্রীর বিয়ে অস্বীকার করলে (কিন্তু এক্ষেত্রে স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়ে থাকলে এরকম মামলা দায়ের করা যাবে না)
(৯) নিম্নলিখিত যে কোনো অর্থে স্ত্রীর সাথে স্বামী নিষ্ঠুর আচরণ করলে:
(ক) যদি স্ত্রীকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা;
(খ) কুখ্যাত মহিলাদের (women of ill reputation) সঙ্গে স্বামীর মেলামেশা করা কিংবা নৈতিকতা-বর্জিত জীবন যাপন করা।
(গ) নৈতিকতা-বর্জিত জীবন যাপনের জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করা;
(ঘ) স্ত্রীর সম্পত্তি হস্তান্তর করা, কিংবা স্ত্রীকে তার সম্পত্তির আইনসম্মত অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া;
(ঙ) স্ত্রীকে তার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেওয়া;
(চ ) যদি স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকে, তবে পবিত্র কোরানের নির্দেশে তাদের সাথে সমান ব্যবহার না করা;

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: সবগুল পড়লাম, অনেক অজানা জানলাম। ভালো পোস্ট ছিল।

কিন্তু ৪নম্বর আইনটা সম্পর্কে আর একটু বিস্তারিত ভাবে বলে বুঝালে ভালো হত।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: আইনত মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ১৮ আর ছেলেদের ২১। এটাই মূল কথা।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

রিমন সাঁই বলেছেন: আইনের প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল, আসলে শ্রদ্ধশীল না হয়ে উপায় নেই। তবে, যদি শুনি যে কোন কারণে আদালতে যেতে হবে (অর্থাৎ উকিলের দ্বারস্থ হতে হবে) তখন মনের মধ্যে হুহু করে উঠে। না কোন অজানা শংকা নয়; শংকা হচ্ছে উকিল, মক্কেলের রক্ত চুষে খায়। আপনি হয়তো এর বিপরীতে সাফাই গাইবেন কিন্তু জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১২ সাল থেকে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জেলা দায়রা জজ আদালতে যাতায়াত। অভিজ্ঞতার একটা বিষয় তো আছে ! "জজ কোর্টের ঘাসেও টাকা চায়" আমি এখন ক্লান্ত।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

এম টি উল্লাহ বলেছেন: সেটা আপনার উকিলের বিষয়। "জজ কোর্টের ঘাসেও টাকা চায়" - এ জন্য কি উকিল দায়ী??‘‘ শংকা হচ্ছে উকিল, মক্কেলের রক্ত চুষে খায়’’ এ কথাটা ঢালাও ভাবে বলা উচিত নয়। কারণ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, উকালতি কোন স্বেচ্ছা-সেবামূলক কাজ নয়,এটিও পেশা। উকিলেরও পেট আছে, তাকেও জীবন নির্বাহের জন্য জীবিকা সংগ্রহ করতে হয়। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগেই রিসিড কোটতে হয় এবং আমরা অভ্যস্ত কিন্তু উকিলের কাছে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা খুচরা আলাপ করে, পরামর্শ নিয়ে আসার সময় পকেটে হাত দিলেই খারাপ লাগে আর কি!!

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট, সবার জানা দরকার তবে সবাই মানেনা, তায় আমাদের কোট কাচারীতে টাকা ঢেলে সর্বশান্ত হতে হয়

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে টাকাটা লাগেনা কোন জায়গায়??

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: আপনার পোস্টের মাধ্যমে আইনকে জানার সুযোগ হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তর করেন না কেন??


@ ২১। বিচারের আগে কাউকে দোষী বলা যায়?
✔না, আদালত প্রথমে সকলকেই নির্দোষ ধরে নেন,সাজা না হওয়া পর্যন্ত কাকেও দোষী বলা আইনসঙ্গত নয়।

২০। নির্দোষ ব্যক্তি রক্ষা কি?
✔ন্যায় বিচারের সূত্র হল আইনের প্যাঁচে দোষী ব্যক্তি খালাসহতে পারে, কিন্তু কোন নির্দোষীর যেন সাজা না হয়।

সুন্দর আইন।


@৮।আইনজীবী ছাড়া মামলা পরিচালনা করা যায়?
✔যে কোন ব্যক্তি আইনজীবীর সাহায্য ছাড়াই, সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারে।

.. ধরি, আমি একটা খুনের মামলার আসামি। আমি কি নিজেই নিজের হয়ে লড়তে পারবো??
(উল্লেখ্য যে, আমি আইনের ছাত্র নই। তবে, গোয়েন্দাগিরি পছন্দ করি, আইনের ধারাগুলোর উপর মোটামুটি পড়াশোনা করা আছে।)



এটার প্রতিউত্তর কিন্তু ধন্যবাদ দিয়ে হবে না। প্রশ্ন করা আছে , সেটার জবাব দিতে হবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৫

এম টি উল্লাহ বলেছেন: অবশ্যই পারবেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজের মামলায় নিজেই জেরা করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.