নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় ২৪ টি অাইনি প্রশ্নের উত্তর।যা সবারই জানা থাকা দরকার।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৬


মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন:




!

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ✳✳✳দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় ২৪ টি অাইনি প্রশ্নের উত্তর।যা সবারই জানা থাকা দরকার।

( এম টি উল্যাহ)

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ✳✳✳দৈনন্দিন জীবনে অতি প্রয়োজনীয় ২৪ টি অাইনি প্রশ্নের উত্তর।যা সবারই জানা থাকা দরকার।

( এম টি উল্যাহ)
১।মুসলিম আইনে বিবাহের সহজ
পদ্ধতি কি?

✔সুস্থ সাবালক যুবক যুবতী, দুইজন পুরুষ
(বা একজন পুরুষ, দুইজন মহিলার)
মোকাবিলায় ইজাব কবুলের
মাধ্যমে বিবাহ করতে পারেন।
তৎসঙ্গে দেশীয় আইনে কাবীন
রেজিস্ট্রি করলেই যথেষ্ট।
বাকী ধুমধাম পালন কেবল
আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

২।আইনে ত্যাজ্যপুত্র/
কন্যা বলতে কি বুঝায়?

✔ত্যাজ্য পুত্র বা কন্যা বলতে কোন
আইনগত বিধান নেই,
তবে পিতা মাতা ইচ্ছা করলে তার
সমস্ত সম্পত্তি সাফ
কবলা রেজিঃ বা দান ইত্যাদি করে,
অপর সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারেন।
লিখিত রেজিস্ট্রিকৃত না হলে ত্যাজ্যপুত্র বা ত্যাজ্য কন্যা বললেই বা ঘোষণা করলেই
সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হবেনা বা সম্পর্ক
ছিন্ন হবেনা।

৩।দাদার
আগে বাবা মারা গেলে নাতিরা দাদার
সম্পত্তি পাবে ?

✔বর্তমানে লা ওয়ারিশ
প্রথা ওঠে গেছে। অর্থাৎ দাদার
বর্তমানে পুত্র
মারা গেলে নাতিরা সকলে দাদার
সম্পত্তিতে সেই অংশ পাবে,
যা তাদের পিতা পেত। ১৯৬১ সালের
মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশের
বিধান মতে এ নিয়ম চালু হয়। তবে এ
বিধান অন্যদের ক্ষেত্রে (যেমন:
ভাইয়ের আগে বোন
মারা গেলে নিঃসন্তান ভাইয়ের
সম্পত্তি মৃত বোনের
ছেলে মেয়েরা পাবে না) প্রযোজ্য
হবে না।

৪।বিবাহের বয়স সম্পর্কে আইন
কি বলে?

✔ ১৮ বছরের একদিন কমে কোন
মেয়ে স্বেচ্ছায় বিবাহ
করতে পারে না। আবার ছেলের জন্য ২১
বছর পূর্ণ হতে হবে। এই বয়সের কমে বিবাহ
করা যাবেনা। এক বার
সাবালিকা হলে আমৃত্যু বিবাহ
করা যাবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ
আইনে এ ধরণের বিয়ের
ব্যবস্থা যারা করবেন তাদের
শাস্তি হবে।

৫।মামলার সাজা বিলম্বের
কারণে তামাদি হয় কি?

✔সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১২ বছর
বা ততোধিক কাল পালিয়ে থাকলেও
তার অপরাধ মার্জনা হবেনা, মৃত্যু পর্যন্ত
সাজা বহাল থাকবে।

৬।ফৌজাদারী মামলায় তামাদির
সময় কত ?

✔ ফৌজদারী মামলা তামাদি হয়
না,
তবে বিলম্বে মামলা করলে সন্দেহের
সৃষ্টি হয় মাত্র।

৭।নামজারি না হলে মালিকানা চলে যায় কি ?

✔ভূমি রেকর্ড বা এটেস্টেশন
না হলেও বৈধ অধিকার হারায় না,
রেকর্ড বা এটেস্টেশন না হলেও বৈধ
দাবী থাকলে তা অভিযোগক্রমে কাটা যাবে
, অন্যের নামে রেকর্ড হলেই তার বৈধ
দাবী সম্পত্তিতে জন্মে না। কাজেই
রেকর্ড করার জন্য প্রচুর টাকা পয়সা খরচ
করা বা ব্যস্ত
হওয়া বা ঘাবড়িয়ে যাওয়ার কিছুই
নেই।

৮।আইনজীবী ছাড়া মামলা পরিচালনা করা যায়?

✔যে কোন ব্যক্তি আইনজীবীর
সাহায্য ছাড়াই, সংশ্লিষ্ট আদালতের
অনুমতি নিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারে।

৯।কতদিন জবর দখল করলে ভূমিতে জবর দখলদার স্বত্ব জন্মে ?

✔সম্পত্তির মালিক ১২ বছর বেদখল
থাকলে নিজ সম্পত্তিতে বৈধ
মালিকানা ও স্বত্ব হারায় এবং জবর
দখলকারীর অকাট্য মালিকানা স্বত্ব
জন্মে।

১০।ভালোবাসার
দাবীতে কাউকে স্ত্রী দাবী করা যায়
?

✔-প্রেমপত্র
বা ভালোবাসা থাকলেই
সে মূলে কোন বিবাহ
দাবী করা যায়না। কেবল বিরহ
বেদনাই সায় হয়। সাবালক
ছেলে মেয়ের
রেজিঃ কাবিননামা বিবাহের জন্য
অন্যতম প্রমাণ।

১১।আইনজীবী মানে কি ?

✔আইনজীবী মানে কোর্ট অফিসার,
সত্য উৎঘাটনের
লক্ষ্যে বিচারকার্যে সাহায্য
করা এডভোকেট এর কর্তব্য, শুধু
মক্কেলকে জিতানোই তার কর্তব্য
বা মুল দায়িত্ব নহে।

১২।কত টাকার দলিল
রেজিঃ করতে হয় ?

✔একশত টাকার ঊর্ধ্বে যে কোন
লেনদেন রেজিঃ করতে হবে।

১৩।ফৌজদারী মামলায়
কে বাদী হবেন ?

✔ফৌজদারী মামলায় যে কেউ
বাদী হতে পারেন। ভিকটিম
নিজে বা তার আপন কোন লোক
বাদী হতে হবে এমন কোন বিধান নেই।
ঘটনা সম্পর্কে যিনি জানেন,
দেখেছেন, শুনেছেন এমন যে কেউ
বাদী হতে পারেন। পুলিশ কেইছ এ
বাদী মানে সংবাদদাতা।

১৪।স্ত্রী তালাক
দিলে মোহরানা পাওয়া থেকে বঞ্চিত
হবে কি?

✔কোন স্ত্রী স্বামীকে তালাক
দিলেই দেন মোহর
পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না। দেন
মোহরের দায়ে দাম্পত্য জীবন, ঘর
সংসার করতে হবে আজীবন, এটা শর্ত
নহে, বিবাহ সম্ভোগ হলেই দেন মোহর
ফরজ হয়ে যায়।
সেটা দিতে হবে স্ত্রী ঘর সংসার
না করলেও।
স্ত্রী জওজিয়তে তুলে না নিলে বা বিবাহ
সম্ভোগ না হলে অর্ধেক দেন মোহর
দিতে হবে।

১৫।কন্যা সন্তান কি মায়ের
সম্পত্তি পুত্রের বেশি পায় ?

✔মায়ের
সম্পত্তি কন্যারা বেশি পায়না,
পিতার অংশের ন্যায়ই কন্যারা পুত্রের
অর্ধেক পায়। পিতা বা মাতার
সম্পত্তিতে পুত্রের মতই
কন্যারা ওয়ারিশ, সামান্য
টাকা দিয়ে বা ছল
চাতুরী করে কন্যাদেরকে বঞ্চিত
করা যায় না।

১৬।বিবাহ বিচ্ছেদে সন্তান কার
সাথে যাবে?

✔বিবাহ বিচ্ছেদের পর নাবালক
পুত্রের ৭ বছর বয়স পর্যন্ত
এবং বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত
নাবালিকা কন্যার
হেফাজতকারী মাতা। খোরপোষ
দিবেন পিতা। মাতা ২য় বার
বিয়ে করলে সন্তানদের
হেফাজতকারীর অধিকার হারায়।
তবে এক্ষেত্রে আদালত সন্তানের
কল্যাণকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে প্রচলিত
আইন ও নিয়মের ব্যতিক্রম সিদ্ধান্ত
দিতে পারবেন।

১৭।২য় বিবাহে কার
অনুমতি নিতে হয় ?

✔শুধু প্রথম স্ত্রীর
অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিবাহ
করা যায় না। আবার প্রথম স্ত্রী শুধু
বললেই হবে না, স্থানীয় ইউনিয়ন
পরিষদে শালিশী কাউন্সিলের
অনুমতি নিতে হবে।
লিখিতভাবে স্থানীয়
শালিশী কাউন্সিলের
অনুমতি ব্যাতীত ২য় বিবাহ
শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সুতরাং ২য়
বিবাহের অনুমতির জন্য ১ম
স্ত্রীকে চাপ দেওয়ার সুযোগ নেই।

১৮।জোর
করে কারো স্বীক্ষারোক্তি আদায়
করা যায়?

✔না। ফৌজদারী অপরাধে জড়িত
করে এমন কোন প্রশ্নের জবাব
দিতে কাকেও বাধ্য
করা যাবেনা বা সে বাধ্য নহে।

১৯।মামলা প্রমাণের জন্য কতজন
সাক্ষী প্রয়োজন?

✔শুধুমাত্র একজন সাক্ষী দিয়ে
(বিশ্বাসযোগ্য হলে) মামলা প্রমাণ
করা যায়।

২০।নির্দোষ ব্যক্তি রক্ষা কি?

✔ন্যায় বিচারের সূত্র হল আইনের
প্যাঁচে দোষী ব্যক্তি খালাস
হতে পারে, কিন্তু কোন নির্দোষীর
যেন সাজা না হয়।

২১।বিচারের
আগে কাউকে দোষী বলা যায়?

✔না, আদালত প্রথমে সকলকেই
নির্দোষ ধরে নেন,সাজা না হওয়া পর্যন্ত কাকেও দোষী বলা আইনসঙ্গত নয়।

২২।কাউকে অপমান করা যায় কি?

✔সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক কাকেও
গেট আউট, বাহির হও, দারোয়ান বের
করে দাও,আটক কর
ইত্যাদি বলা আইনগতভাবে অপরাধ।

২৩।রেজিস্ট্রিকৃত দান বৈধ?

✔মুসলিম আইনে মুসলমানদের
অরেজিস্ট্রিকৃত মৌখিক দান
বা অছিয়ত আইনতঃ কার্যকরী।
তবে বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন আইন
অনুযায়ী মৌখিক দান বেআইনী।

২৪।আমার মাত্র একজন কন্যা সন্তান।
আমার নিজের কোন ভাইবোন
নেই,আমার নামে কোন
সম্পত্তি থাকলে আমার
অবর্তমানে সেই সম্পত্তির মালিক
কে হবে?

✔ আপনার পুরো সম্পত্তির দুই
আনা আপনার স্ত্রী পাবেন
এবং একমাত্র কন্যা সন্তান
হিসেবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন
অনুযায়ী আপনার অবর্তমানে আপনার
বাকী সম্পত্তির অর্ধেক তার প্রাপ্য।
বাকী অর্ধেক আপনার ভাইবোনদের
মধ্যে নির্দিষ্ট অংশে বন্টন হবে।

* এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
[email protected]

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: পোস্টটিতে লেখা না আসায় দুঃখিত। কিন্তু পোস্ট টি এডিট করতে পারছি না। তাই লেখা কমেন্ট এ দিলাম।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.