নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার হওয়া উচিত। জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণ করা দরকার। বিশেষ করে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের পোষ্য কোটায় ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মেধাবীদেরকে বঞ্চিত করা সংবিধানের ২৮(৩) অনুচ্ছেদের লংঘন কিনা তাও বিবেচনা করা উচিত। প্রতি বছর প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ১০০-২০০ জন পোষ্য কোটায় ভর্তি হন। তার মানে কম করে হলেও বছরে ৫০০০ জন পোষ্য কোটায় ভর্তি হচ্ছেন!
দেশের সমাজ বাস্তবতায় ক্ষেত্রবিশেষে কোটা প্রথা রাখার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এই সুবিধা কারা পাবেন, সে বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত। সংবিধানের ২৮ (৪) অনুচ্ছেদে ‘অনগ্রসর অংশের’ অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের সুযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত-হরিজনদের মতো পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠী যৌক্তিকভাবেই কোটা সুবিধা পেতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ত্রী-স্বামী-সন্তানদের জন্য কীভাবে ‘পোষ্য কোটা’ রাখা হয় তা বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোভাবেই সমাজের ‘অনগ্রসর অংশ’ বলা যায় না। এর চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, তাদের স্ত্রী-স্বামী-সন্তানরা অন্যদের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে বেশি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৫
এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না, সব জায়গায় সংস্কার হওয়া দরকার।