নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমির নামজারি বৃত্তান্ত

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৬

জমির মালিক হওয়ার পর মিউটেশন বা নামজারি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জমির মালিকানা দাবি করা, মালিকানা করা জমি ক্রয় বা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জমির `নামজারি` গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি একটু সচেতন হোন ও সতের্কতা অবলম্বন করেন, তাহলে নামজারি খুব কঠিন কিছু নয়।

জমির নামজারির জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করতে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিউটেশন সহকারি পদের একজন দায়িত্বে থাকে। নাজির পদের একজন ফি জমা নেন। তহশিলদাররা তদন্তের দায়িত্বে থাকেন।

কোনো আবেদন করা হলে এ নামজারি করা জমির ওপর তদন্ত করার নিয়ম আছে। অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তহশিলদারের অফিসে নামজারির আবেদন করে থাকে। এটা ঠিক নয়। সব সময় মিউটেশন বা নামজারির জন্য আবেদন করতে হবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে।

**নামজারি করা কখন প্রয়োজন হয়:

• ভূমি মালিকের মৃত্যুর কারণে উত্তরাধিকারদের নাম সরকারি রেকর্ডে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়;

• জমি বিক্রি, দান, হেবা, ওয়াকফ, অধিগ্রহণ, নিলাম ক্রম, বন্দোবস্ত ইত্যাদি সূত্রে হস্তান্তর হলে নতুন ভূমি মালিকের নামে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়;

• দেওয়ানী বা সিভিল কোর্টের রায় বা ডিক্রীমূলে মালিকানা লাভ করলে সে রায় মোতাবেক নামজারির আবেদন করা যায়।


**নামজারি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন, একটি পূর্ণাঙ্গ নামজারি আবেদনের জন্য আপনার নিচের কাগজপত্রগুলি থাকতে হবে:

• মূল আবেদন ফরম্ (এটি বাধ্যতামূলক)

• ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্যও প্রযোজ্য) (বাধ্যতামূলক)

• সর্বশেষ খতিয়ান (যাঁর নিকট হতে জমি ক্রয় করেছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন তাঁর খতিয়ান) (এটি বাধ্যতামূলক)

• ২০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি (বাধ্যতামূলক)

• ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা লাভ করলে অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত মূল ওয়ারিশন সনদ (শুধুমাত্র ওয়ারিশগনদের জন্য বাধ্যতামূলক)। এর সাথে মনে রাখতে হবে যে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩B ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডিয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন। উক্ত রেজিস্টার্ড বন্টননামাসহ নামজারির জন্য আবেদন জানাবেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য-বেশিরভাগ ওয়ারিশগণ এই নিয়মটি প্রতিপালন করেন না এবং ভবিষ্যতে সমস্যার মুখোমুখি হন।

• জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জাতীয়তা সনদ (ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক ইস্যুকৃত) (বাধ্যতামূলক)

• ক্রয়সূত্রে মালিক হলে দলিলের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (ক্রয়সুত্রে মালিক হলে বাধ্যতামূলক)

• বায়া/পিট দলিলের ফটোকপি (একাধিকবার উক্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে সর্বশেষ যার নামে খতিয়ান হয়েছে তার পর থেকে সকল দলিলের কপি প্রয়োজন হবে, অর্থাৎ বাধ্যতামূলক)

• চলতি বঙ্গাব্দ (বাংলা সনের) ধার্যকৃত ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) বা খাজনার রশিদ (বাধ্যতামূলক)

• আদালতের রায়ের ডিক্রির মাধ্যমে জমির মালিকানা লাভ করলে উক্ত রায়ের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)



উল্লেখ্য, উপরোক্ত কাগজপত্রের সবগুলিই যে আপনার জন্য প্রয়োজন হবে, তা নাও হতে পারে। কোনভাবে আপনি মালিকানা লাভ করেছেন তার উপর নির্ভর করবে কোন্ কোন্ সংযুক্তি আপনার প্রয়োজন হবে।


বিশেষ দ্রষ্টব্য
• কোন কোন নামজারি মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ/আপত্তি/দখল/দলিল/ওয়ারিশগণদের মধ্যে বন্টন সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নামজারি সম্পন্ন সম্ভব না-ও হতে পারে। এসব জটিলতার কারণে নির্ধারিত প্রক্রিয়ার বাইরে এসি (ল্যান্ড) এর নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়ে থাকে।
• একটি নামজারি প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য মহানগরের ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) কার্যদিবস সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রয়েছে।
• নামজারির ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের হেল্পডেস্ক (সেবাকেন্দ্র) হতে সর্বমোট 50 টাকায় সকল ফর্ম (কোর্ট ফি সহ) পাওয়া যায়। কাজেই এজন্য বাইরে অন্যদের নিকট হতে বেশি দামে ফর্ম বা কোর্ট ফি না কিনে এসি ল্যান্ড অফিস হতে নেয়াটাই বেশি সুবিধাজনক।
• নামজারি অনুমোদন হয়ে গেলে খতিয়ান গ্রহনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি হল সর্বমোট ১১৫০/- টাকা।
• কোন প্রকার দালাল/ব্রোকার/মুন্সী ব্যতিত আপনি নিজেই নামজারির আবেদন করুন কিংবা আইনজীবীর সহায়তা নিন।

- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এখানে ঘুষ কেমন লাগতে পারে?
ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া কি কোন কাজ করা সম্ভব?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ করুন

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

ching বলেছেন: পোরসবা কর্তৃক রাস্তা প্রশস্ত করার নামে বাউন্দারি ভাঙলে করনীয়?

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪০

এম টি উল্লাহ বলেছেন: কল দিন

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

ধন্যবাদ জনাব এম টি উল্লাহ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩৬

নতুন নকিব বলেছেন:



সকালবেলা আপনার এই প্রয়োজনীয় পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো। সরাসরি প্রিয়তে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

এমএলজি বলেছেন: Thank you!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

এম টি উল্লাহ বলেছেন: Welcome

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এখন অনলাইনে মিউটেশনের জন্য ই-নামজারীর আবেদন করা যায়
যা অত্যন্ত সহজ পন্থা। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে নামজারী
করতে গেলে টাকা পয়ংসা বেশী লাগবে এটা নিশ্চিত !!
আপনি কিছু মনে করবেন না প্লিজ !!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

এম টি উল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। আইনজীবীর সহায়তা আগে নিবেন না ঝামেলা পাকিয়ে নিবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত!

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমি এ মাসেই সামান্য কিছু জমি যা তিনটি দাগে অবস্থান, নামজারি করেছি যা পৈত্রিক ও কেনা সূত্রে পাওয়া, কিন্তু উক্ত ভুমির দখল আমার নেই ও উক্ত স্থাণে কোন স্থাপনা নেই সে ক্ষেত্রে আমি কিভাবে দখল পেতে পারি।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হকদারকে হক হতে বঞ্চিত করলে কি করতে হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.