নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]
সামাজিক গণমাধ্যমের বিকাশের ফলে সমাজ ব্যবস্হায় আমাদের চিন্তা-ভাবনা -কর্মতৎপরতা ও সচেতনতার ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। বিশেষত বিশ্বব্যাপি যুব জনশক্তির সামাজিক গণমাধ্যমে যুক্ত হওয়া এবং চিন্তা আদান-প্রদানের প্রবণতা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবাই যার যার জায়গা থেকে সমাজকে নিয়ে, রাষ্ট্র কে নিয়ে, সামাজিক পরিবর্তন চিন্তা করছে। শুধুমাত্র চিন্তা আদান-প্রদান নয়, চিন্তাকে কার্যে পরিণত করার উদ্যোগও পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত এক দশকে বিশ্ব ব্যাপী সামাজিক পরিবর্তন এর পিছনে সামাজিক গণমাধ্যমের ব্যাপকতর ভূমিকার কথা আমরা সকলেই অবহিত। অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে সামাজিক অপরাধের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মানুষের অসহিঞ্চুতা বেড়ে যাওয়া; খাদ্যে ও ব্যবসায়ে ভেজাল; অর্থের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আকৃষ্টতা; সামাজিক অবস্থানে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অসুস্হ নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা; মূল্যবোধের অবক্ষয়; তথা সামাজিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক এক অন্যরকম অস্থিরতা; দাম্পত্য কলহ ও পারিবারিক সহিংসতা; নেতৃত্বের বিষণ্নতা , মাদকাসক্তির অবাধ বিচরণ সহ সর্ব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক হ্রাস পাওয়া ও সামাজিক-সংস্কৃতিক পরিবর্তনের আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিছিন্ন ভাবনা এক গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের। যার জন্য সামষ্টিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনের জন্য মাঠ দখল দরকার নেই । স্বদিচ্ছা থেকে সত্য কে সত্য বলা, অন্যায় কে অন্যায় বলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভৎর্সনা করার মধ্য দিয়েই পজেটিভ পরিবর্তন সম্ভব। সামাজিক অপরাধ ও সামাজিক অপরাধীদের প্রতিরোধ ও সংশোধন না করা গেলে তাদের মুখোশ উন্মোচনেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যুব সমাজকে যাতে বিকৃত সমাজ ব্যবস্হার প্রতি না ঠেলে দিতে পারে তার প্রতি নজর রাখা আবশ্যক। তাই সকলের ভাবনার সময় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা কাযর্ত পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছি না এর আড়ালেই বেড়েই চলছে অন্ধকার!
-
মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ (MT Ullah)
আইনজীবী ও লেখক
[email protected]
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।