নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সজীব গ্রুপের সাথে আরো যারা দায়ী

১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:২৭


সেজান জুসের কারখানায় এতগুলো মানুষ লাশ হওয়ার পিছনে মূলত কাজ করছে তিনটি বিষয়; ১) আগুন লাগার পরও দরজা গুলো বন্ধ করে রাখা/খুলে না দেওয়া/ছাদের সিঁড়ির দরজা পর্যন্ত তালা মেরে রাখা; ২) অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না; ৩)ফায়ার এক্সিট/ইমাজেন্সী সিঁড়ি ছিলো না।
প্রথমটির জন্য নিঃসন্দেহে কারখানা কর্তৃপক্ষ দায়ী হলে পরের দুইটি কারণের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানেরও যৌথ দায় রয়েছে।

পরের দুইটি বিষয় নিশ্চিত করা না হলেও কিভাবে কারখানার স্থাপত্য নকশা অনুমোদন পেল, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর লাইসেন্স প্রাপ্ত হলো! আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হলো কারখানায় বেশির ভাগই শিশু শ্রমিক নিয়োজিত ছিলো। তাহলে সহজেই প্রশ্ন জাগে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নামে যে একটি সরকারি অফিস রয়েছে তাদের কাজটা কি??
কলকারখানার নির্মাণ/সম্প্রসারিত নকশা অনুমোদন, রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন করার পাশাপাশি শ্রমিকদের
নিরাপদ কর্মস্থল, শ্রমিকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকদের জন্য উন্নত জীবনমান নিশ্চিতকরণ ও বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব তো এই প্রতিষ্ঠানের উপরই অর্পিত ছিলো। ০১টি প্রধান কার্যালয় ও ২৩টি জেলা কার্যালয়ের সমন্বয়ে মোট ৯৯৩ জনবলের প্রতিষ্ঠানটির কি কোন দায়বদ্ধতা থাকতে নেই?

অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকের নির্মম মৃত্যুর পিছনে কারখানা মালিকের সাথে সাথে দায়িত্বে অবহেলাকারী বা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে দায়িত্বে গাফলতিকারীরা দায় এড়াতে পারে না। এখানে সামষ্টিক দায়ের নমুনা সুস্পষ্ট বিধায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের নিশ্চিতকরণ তথা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে হা-হুতাশ করে লাভ নেই, এটা চলতেই থাকবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০২

নতুন বলেছেন: পরের দুইটি বিষয় নিশ্চিত করা না হলেও কিভাবে কারখানার স্থাপত্য নকশা অনুমোদন পেল, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর লাইসেন্স প্রাপ্ত হলো! আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হলো কারখানায় বেশির ভাগই শিশু শ্রমিক নিয়োজিত ছিলো। তাহলে সহজেই প্রশ্ন জাগে, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়াধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নামে যে একটি সরকারি অফিস রয়েছে তাদের কাজটা কি??

এই সব কাজের সাথে সংস্লিস্টদের সাজার ব্যবস্থা করলে অবশ্যই এমন দূর্ঘটনা কমে আসবে।

আমাদের দেশে কাজের জবাবদিহিতা নেই। এটা ঠিক করতে হবে।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তাহলে আইন যাদে র প্র য়োগ করার কথা,
তারা যদি পরি দর্শন না করে মাসি ক চাঁদা নি য়ে ঘুমায়ে থাকে
তাদে র জন্য আইনগত কি ব্যবস্হা আছে ?

....................................................................................
একজন আইনজীবি হিসাবে সে ব্যবস্হা আপনি নিতে পারেন ।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৭

স্বপ্নাশিস বলেছেন: সহমত ।

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:১৪

এম টি উল্লাহ বলেছেন: Thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.