নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির পাতায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্যার, পর্ব-২

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২২


২০১৭ সালের মার্চের কোন এক দুপুর। আমি আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহ আলম স্যার (Shah Alam) অপেক্ষা করছি মওদুদ স্যারের চেম্বারে। পিএস সুজন ভাই শাহ আলম স্যারকে জানালো, স্যার কখন আসেন তা অনিশ্চিত। এমনকি আজকে কোর্ট থেকে সরাসরি বাসায় চলে যাওয়ায় কথা রয়েছে বরং একটা কল দিয়ে আপনি যে আসছেন তা অবহিত করলে ভালো হবে। আমিও শাহ আলম স্যারকে কল দেওয়ার অনুরোধ করলাম। শাহ আলম স্যার বললো, ভিআইপি'দের সাথে দেখা করতে সবসময় কল দিয়ে আসলেও বিপদ আছে। কল দিলে উনি যদি সিডিউল দিয়ে দেন আর অন টাইমে আসতে না পারলে আরেক বিপদ। আর ওনার সাথে আমার সিডিউল এর সম্পর্ক নয়, দেখা যাক।

মওদুদ আহমদ স্যার সাড়ে তিনটার দিকে চেম্বারে আসলেন। ডুকতেই বলে ওঠলেন, আরে শাহ আলম হঠাৎ তুমি! কল দিয়ে আসলে না কেন? আজকে তো আমার চেম্বারে আসার কথা ছিলো না, হঠাৎ একটা কাজে চলে আসলাম। একজন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আমার চেম্বারে এসে যদি দেখা না হতো কেমন লাগতো বলো। শোন, জার্মানির হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটে আমাকে প্রতি বছর একটা কোর্স নিতে হয়। তারা ওই কোর্সের সিডিউল নির্ধারণ করে বছরের শুরুতে আমাকে জিজ্ঞেস করে এবং আমার যখন কোর্ট ভেকেশান থাকে তখন সিডিউল নির্ধারণ করি, ঠিক ওই তারিখেই তারা বিমানের টিকেট পাঠায় দিবে। একদিন এদিক সেদিক হওয়ারও সুযোগ থাকে না। ওদের নিকট ইউনিভার্সিটির প্রফেসরদের এমন গুরুত্ব। ( উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্যার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন বিভিন্ন সময়ে)।

আলোচনার এক পর্যায়ে আমি স্যারকে আমার "মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ" বইটি তুলে দিলে তিনি বলেন, ভেরি গুড জব। লেখালেখির জন্য সময় বের করতে পারাটা সত্যিই সাধনার কাজ। আমি বই লেখার জন্য সময় পেলেই লন্ডন চলে যায়। ওখানে গিয়ে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত লাইব্রেরিতে পড়ে থাকি। পড়াশোনা করি আর বই লেখার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সমূহ নোট করি।

আর লেখালিখির জন্য আরেকটা উত্তম সময় হলো জেল। যখন জেলে যাই তখন লেখালেখি করি। এ জীবনে ছয় বার জেলে গেলাম, চেষ্টা করছি জেলে বসেও সময়ের সদ্ব্যবহার করতে!
একজন প্রতিথযশা আইনজীবী হয়ে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও লেখালেখি, রাজনীতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা সবকিছুতে সাফল্য রেখে সত্যিই অনন্য নজির রেখে গিয়েছেন।
[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.