নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে সম্পাদিত পাওয়ার অব এর্টনি দলিল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া

২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:৫০


বিদেশে সম্পাদিত পাওয়ার অব এর্টনি দলিল বিদেশে মুসাবিদা করা যায় আবার দেশে কোন আইনজীবী দ্বারা ইংরেজিতে মুসাবিদা করিয়ে বিদেশে আমমোক্তার দাতার নিকট পাঠানো যায়। সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র দেশে থাকে বলে দেশ থেকে ড্রাফটিং করে বিদেশে পাঠানো ভাল। ড্রাফট হওয়ার পর যে দেশে ফরেন পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদিত হবে সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসলারের সম্মুখে দাতা স্বাক্ষর করবেন এবং উক্ত কনসলার কর্তৃক তা সত্যায়িত হবার পর পাওয়ার দাতা পাওয়ার খানি পাওয়ার গ্রহীতা আম-মোক্তার বা এটর্নির বরাববে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিবেন। আম-মোক্তার উক্ত পাওয়ার অব এটর্নি পাওয়ার পর তা বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সহকারী সচিব, কনসলার কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। অর্থাৎ উক্ত পাওয়ার খানি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক সত্যায়িত করাতে হবে। ফরেন মিনিস্ট্রি কর্তৃক সত্যায়িত করার পর তা জেলা প্রশাসকের রেভিনিউ কর্যালয়ে জমা দিয়ে ২০০/- টাকার আঠাল স্ট্যাম্প লাগাতে হবে এবং সেখানে পাওয়ার অব এটর্নি দলিলের একটি নম্বর ও তারিখ পড়বে। এটিই উক্ত ফরেন পাওয়ার অব এটর্নি দলিলের নম্বর। এরূপ বিদেশী পাওয়ার অব এটর্নির সঠিকতা যাচাই করতে হলে জেলা প্রশাসক রেভিনিউতে গিয়ে উক্ত নম্বর দিয়ে যাচাই করে নেয়া যায়।

মনে রাখা ভালো, তবে ২০১২ সালের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন অনুসারে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দুই প্রকার। (১) প্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এবং (২) অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি। স্থাবর সম্পত্তি বিক্রির উদ্দেশ্যে, বিক্রয়চুক্তি সম্পাদনের বা ঋণ নেয়ার বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক প্রদানের জন্য প্রদত্ত পাওয়ার অব অ্যাটর্নিকে অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বলে। এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নিতে মোক্তারের ক্ষমতা মূল মালিকের মতোই থাকে। অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

সংক্ষেপে- বিদেশে সম্পাদিত পাওয়ার অব এর্টনি দলিল এর প্রতিলিপি বাংলাদেশে প্রথম প্রবেশের পর ২(দুই) মাসের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রমাণীকরণ করতে হবে। এবং দলিলটি বাংলাদেশে প্রবেশের ৩(তিন) মাসের মধ্যে স্ট্যাম্পযুক্তকরণের কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। অতঃপর দলিলটি রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রেরণ করতে হবে। বিদেশে সম্পাদিত পাওয়ার অব এর্টনি দলিল এর প্রতিলিপি বাংলাদেশে প্রথম প্রবেশের পর ০৪(চার) মাসের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।

-আইনজীবী মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
০১৭৩৩৫৯৪২৭০


মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.