নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

আমি এম টি উল্যাহ। আইনি উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah , Email- [email protected]

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাচার করা টাকার গল্প ও কালো টাকা সাদার সুযোগ

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪০


একবার আলাপচারিতায় আমাকে সাবেক এক মন্ত্রীর পি.এ (ব্যক্তিগত সহকারী) আফসোস করে বলতেছিলো, ভাই, টাকা কামাইতে কম কামাইনো। দুই হাতে কামাইসি। আজ নিজের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে টাকা টা ধরে রাখতে পারিনি।
: কি ভুল সিদ্ধান্ত?
: বৌ আর বাচ্চা কে কানাডা পাঠাইছিলাম। কিন্তু... মূর্খের জাত বসে বসে টাকা খরচ করছে। কোন কাজে লাগাতে পারেনি। টাকাটা সিস্টেমে দেশে রাখলে এখন নিশ্চিন্তে থাকতে পারতাম!

এই সার্কুলারটা দেখে আমার কথাটা মনে পড়লো। চুরি-চামারি করে কামানো টাকা শুধু পাচার করলে হয় না, এর ব্যবহার জানতে হয়! আর টাকার যথাযথ ব্যবহার তথা বিনিয়োগের জন্য নিজ দেশের বিকল্প নেই। অবশেষে, সরকারও বুঝতে পারলো পাচার হওয়া টাকা থেকে থাকাটা কত জরুরি। এই সার্কুলার অনুযায়ী, ১ লাখ টাকায় ৭ হাজার টাকা কর প্রদান করে আপনার বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত টাকা (পাচার করা টাকা পড়বেন না!) ব্যাংকিং চ্যানেলে এনে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের মাধ্যমে দায়মুক্তি পেতে পারেন। এ সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য!

বিঃদ্রঃ এই পোস্ট পাচারকারী চোরদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য নয় বরং অনেকের বৈধ উপার্জিত টাকাও আয়করে দেখাতে পারেন নি বা পারছেন না, তাদের জন্য দেওয়া।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এককটি টাকা পরিবার সঞ্চয়পত্র, এফডিআর ইত্যাদি করে রাখলেও ফ্ল্যাট ভাড়া, পরিবারের মাসের বাজার খরচ এসে যায়।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

রেজাউল৯০ বলেছেন: খুব ইন্টারেস্টিং পোস্ট।
ছোট আকারের ঠিকাদার , বিলের সাথে উৎসে অগ্রিম আয়কর কেটে নেওয়া হয়। বছরের শেষে খুব বেশি দিতে হয় না, কিন্তু যা দিতে হয় তা আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে দেই এবং রিটার্ন ও আইনজীবী প্রস্তুত করে দেন। দেশে বাঁশ দেওয়ার লোকের অভাব নেই কখন কে বাঁশ দিয়ে দেয় সাবধানে থাকা ভালো।

পরিচিত অনেক মাঝারি আকারের ঠিকাদার আছেন যাদের বাৎসরিক আয় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি। এরা বছরে কুড়ি-পঁচিশ লক্ষ টাকা ইনকাম ট্যাক্স দেন।

এনারা আয় কম দেখিয়ে ১০লক্ষ টাকা দেখালে ইনকাম ট্যাক্স আসবে ২ লক্ষ টাকার কম। বাকি ৪০ লক্ষ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাহিরে পাঠালে এবং পুনরায় ফেরত নিয়ে আসলে ১০% লস হিসেবে চার লক্ষ টাকা লস হবে, ৪০ লক্ষ টাকা অপ্রদর্শিত আয় যা বিদেশ ঘুরিয়ে আনা হয়েছে এর ট্যাক্স পড়বে তিন লক্ষ টাকার কম। মোট খরচ ১০ লক্ষ টাকার নিচে। বাঁচানো গেল ১০ লক্ষ টাকা।
কিন্তু এই বুদ্ধি আইনজীবীরা দেন নাই।
যাহোক যে আমলারা এই পদ্ধতি বের করেছেন উনারা অনেক মেধাবী, নিজেদের ভালোর জন্যই এই পদ্ধতি বের করেছেন। যাদের উপার্জন একটু বেশি, তারা সবাই যদি গণহারে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করে তখন কেমন হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.