নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

এম টি উল্লাহ

উপন্যাস ‘‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’’ ও ‘‘নিরু”, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপন্যাস ‘‘মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধ’’ ও ‘‘একাত্তরের অবুঝ বালক’’ এর লেখক। পেশায়-আইনজীবী। কর্মস্থল- হাইকোর্ট।www.facebook.com/mohammad.toriqueullah

এম টি উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন ভূমি আইনের বিধান মোতাবেক অবৈধভাবে ভূমি দখল প্রতিরোধের নিয়ম: দখলের চেষ্টাকারীকে মোবাইল কোর্ট দিতে পারে ২ বছরের সাজা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫



ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর বিধান মোতাবেক কেউ যদি আপনাকে মালিকানাধীন সম্পত্তি হইতে জোরপূর্বক বেদখল করার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে আপনি তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৭ ধারা বিধান মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (উপজেলা পর্যায়ে সাধারণত উপজেলা নিরবাহী কর্মকর্তা/ এসি ল্যান্ড-ই এক্সিকিউটিভ/নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) এর দায়িত্ব পালন করেন। জেলা পর্যায়ে সমপর্যায়ের সহকারী কমিশনার রয়েছেন।

যাইহোক, আপনাকে বেআইনী প্রক্রিয়ায় উচ্ছেদের চেষ্টা করলে আপনি দ্রুত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ) বরাবর আবেদন করতে পারেনভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা ২০২৪ এর ৫ বিধি মোতাবেক। আবেদনের ফরমটি ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিধিমালা ২০২৪ এর পরিশিষ্ট-১ এ দেওয়া আছে। যা সংযুক্ত করে দেওয়া হলোঃ



উক্ত আবেদনটি করার পর:
ক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপর পক্ষকে দলিলাটি নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটি ইস্যু করবেন;
খ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজে কিংবা ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহসিলদারকে) দ্বারা সরেজমিনে তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন;
গ) অপর পক্ষ হাজির হেলে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন/ হাজির না হলে চুড়ান্ত আদেশ প্রদান করিবেন। সেক্ষেত্রে অভিযোগকারী প্রাপ্য হলে অপরপক্ষকে নিষেধ করবেন কিংবা ক্ষেত্রমতে দখল ছেড়ে দিতে বলবেন;
ঘ) ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি নিষ্পত্তি করিবেন;
ঙ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ অমান্য করলে অপর পক্ষের গ্রেফতারের জন্য ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে পারবেন/ মুচলেকা নিতে পারবেন/ওসিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবেন;
চ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন মনে করলে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ২ (দুই) বছরের কারাদন্ডও দিতে পারবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, উত্তারাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তরের মাধ্যমে মালিকানাপ্রাপ্ত ভূমির দখলদার রেকর্ড সংশোধন বা স্বীয় স্বত্ব ঘোষণার দাবিতে মামলা বা অন্য কোনো কার্যধারা দায়ের করিয়া থাকিলে তাহার উক্ত কার্য এই ধারার অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।

তবে মোবাইল কোর্টের বিচার দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার বা স্বীয় ভূমি হইতে উচ্ছেদ হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। প্রক্ষান্তরে, সঙ্গবদ্ধ ভূমি দস্যু বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরার প্রয়োগ করে ভূমি দখলের একটা অঘোষিত লাইসেন্স পেয়ে যেত পারে!


- মোহাম্মদ তরিক উল্যাহ
অ্যাডভোকেট
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
লেখক- আইন বিষয়ক উপন্যাস ‘ নিরু’ ও ‘অসমাপ্ত জবানবন্দী’

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.