নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার ভার্চুয়াল খাতা!

দিতে পারো একশ ফানুস এনে...আজন্ম সালজ্জ সাধ একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই...

ত্রিনিত্রি

আমি প্রায় প্রায়ই হারিয়ে যাই, এর কারণ রোমান্টিকতা নয়, অলসতা। প্রবল আলস্যবোধের কারণে মাঝে মাঝে নিজেকেই নিজের খুঁজতে ইচ্ছে হয় না।

ত্রিনিত্রি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিশপ্ত আয়না (শেষ পর্ব)

৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০





অভিশপ্ত আয়না (প্রথম পর্ব)



পরের দিন সারাটা ক্ষণ সুপ্তি ভার্সিটিতে অস্থির হয়ে থাকে। কখন সে বাড়ি যাবে, কখন রাত হবে। তার অস্থিরতা দেখে চৈতী বললো, “কি রে প্রেমে পড়েছিস নাকি কারো? এত ছট ফট কেন?” সুপ্তি না শোনার ভান করলো। ইভান দেখতে যেন রুশ দেশের রূপকথার ইভানের মত। সে কি কখনো ভেবেছিল, তার ঘরের আয়নায় কোন এক রাজপুত্র এসে দেখা দেবে?





রাত ১২টা বাজতে সুপ্তি তাড়াতাড়ি লাইট নিভিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। আজ রাতে সে ঘুমাবে না। রাত দুইটার দিকে হঠাৎ ঘরে ধীর গতিতে শীতল হাওয়া বইতে থাকে, সাথে সেই গন্ধ। এত সুন্দর দেখতে ইভান, কিন্তু এই পচা গন্ধ কেন আসে তবে? সুপ্তি তাড়াতাড়ি আয়নার সামনে যায়। ইভানের মুখে স্মিত হাসি। ইভান ভীষন রকম ফ্যাকাসে।



“কেমন আছ সুপ্তি?”



“ভালো। তুমি?”



ইভানের মুখ বিষন্ন হয়ে যায়। “আয়নার মাঝে আর কেমন থাকবো?”



“তুমি আয়নায় কেন? কি হয়েছে?”



ইভান বিষন্ন কন্ঠে জবাব দেয়, “আমি কিছুই জানি না। আমি শুধু এক সকালে উঠে দেখতে পাই আমি আমার ঘরের আয়নার মাঝে বন্দি হয়ে গেছি। তারপর থেকে এখানেই আছি। কতবার কতজন কে ডাকার চেষ্টা করেছি, কেউ শোনেনি। ১০০ বছর পর আজ তুমি শুনলে”।



১০০ বছর! সুপ্তির গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

“তোমার তাহলে বয়স কত?”



ইভান হাসে।“৩০০ বছর আগে তো ২৩ ছিল, এখন তোমাদের হিসেবে নিশ্চই ৩২৩, কিন্তু আমার হিসেবে ২৩”।



“১০০ বছর পর আমি ডাক শুনলাম, আগে কে শুনেছিল?” সুপ্তি নিজের কন্ঠের আবেগ লক্ষ্য করে নিজেই অবাক হয়।



ইভান উত্তর না দিয়ে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ ফুঁপিয়ে উঠে।

“সুপ্তি, আমার অনেক কষ্ট, অনেক কষ্ট”।



সুপ্তির বুকে আবেগের বান ডাকে। তার ইচ্ছে হতে থাকে গ্রীক দেবতার মত দেখতে ছেলেটির মাথায় হাত বুলিয়ে স্বান্তনা দেয়।



“তুমি কি আমার হাতে হাত রাখবে সুপ্তি?”- করুণ ভাবে ইভান জিজ্ঞেস করে।



সুপ্তি হাত বাড়িয়ে দেয়। আয়নায় সে ইভানের হাতের উপর হাত রাখে। বরফের মত ঠান্ডা। হাত যেন বেশীক্ষন রাখা যায় না। সে সরিয়ে নিয়ে চায়, কিন্তু অবাক হয়ে দেখে সে হাত সরাতে পারছে না। ইভানের চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠে। তার চোখে এখন জান্তব উল্লাস। ভীষন লোভে চোখ ঝক ঝক করছে। সুপ্তি ভয় পেয়ে চেঁচিয়ে উঠে। সাথে সাথে ইভান আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে ছবি মিলিয়ে যায়।





সুপ্তি তারপরো পরের রাতের জন্য অপেক্ষা করে। আবার ইভান আসে, হাতে হাত রেখে তারা গল্প করে। ইভান চলে যায়। ইভান দিনে দিনে আরো সুন্দর হয়।ফ্যাকাশে গালে গোলাপী ছোপ লাগে। মাত্র ৩ দিনেই সুপ্তির স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। কিছুতেই সে কোন শক্তি পায় না। চোখের কোণে কালি। তার মা ব্যস্ত হয়।

“কি হয়েছে রে সুপ্তি? তুই দেখতে এমন হচ্ছিস কেন? রাতে ঘুমাস না?”

সুপ্তি দুর্বল কন্ঠে প্রতিবাদ করে। “কই মা, ঠিকই তো আছি”।





পরের দিন ক্লাসে দ্বিতীয় পিরিয়ডেই সুপ্তি মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তাড়াতাড়ি তার বন্ধুরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে তার আম্মু আব্বু আর সুকন্যা দৌড়ে আসে। ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করে অবাক হয়ে যায়। কোন রক্তপাতের ইতিহাস নেই, কিন্তু কি ভীষন রকম রক্তশূন্যতা। রক্তের রিপোর্টে দেখা যায় হিমোগ্লোবিনের লেভেল কমে ৪গ্রাম/ডিএল এ এসেছে। যেখানে তার থাকার কথা নিদেন পক্ষে ১৩। ডাক্তার বলে এখনি রক্ত দিতে হবে। আম্মুর সাথে রক্তের গ্রুপে তার মিল আছে। বন্ধুরা দৌড়ে আরো দুই ব্যাগ জোগাড় করলো। সুপ্তির আম্মু ক্রমাগত কাঁদতে থাকে, কি অসুখ ডাক্তার তখন কিছুই বলতে পারছে না। এরকম হলে নাকি ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা যায়। আম্মুর অফিসের কলিগের ফুফাতো ভাইএর ছেলের তো তাই হলো। রাত বাড়ার সাথে সাথেই সুপ্তি অস্থির হয়ে যায় বাসায় যাবার জন্য। ডাক্তারের কড়া নির্দেশ, রক্ত না দিয়ে বাসায় যাওয়া যাবে না। আম্মু আব্বুও কোন রিস্ক নেবেন না। কিন্তু ইভানের যে আসার সময় হয়ে যাচ্ছে। সারাটা রাত সুপ্তির অস্থিরতার সাথে কাটে। পরের দিন সে কান্নাকাটি করে হাসপাতালে থেকে সন্ধায় বাসায় ফিরে আসে। সে কথা দেয় যে রক্ত নিতে সে কালই আবার আসবে। রাতে আম্মু সাথেই থাকতে চায়, কিন্তু সুপ্তি মানা করে। রাত ২টা বাজতেই সে আয়নার সামনে দাঁড়ায়। কিন্তু ইভান কই?





সুপ্তি ইভান কে অনেক ডাকে। অনেকবার করে ক্ষমা চায়, বার বার করে তার অসুস্থতার কথা বলে। কিন্তু ইভান তো আসে না। কাঁদতে কাঁদতে সুপ্তি ঘুমিয়ে পড়ে।রাত সাড়ে তিনটার দিকে তীব্র অস্বস্তির সাথে তার ঘুম ভাঙ্গে। ঘরে বিকট গন্ধ। এত ঠান্ডা যে সুপ্তি কেঁপে কেঁপে উঠে। গন্ধে সুপ্তির বমি চলে আসতে থাকে। অনেক কষ্টে নাকে হাত চাপা দিয়ে সুপ্তি আয়নার সামনে আসে। ভিতরে আবছা একটা ছায়া। সুপ্তি ডাকে, “ইভান?”



ছায়ামূর্তি ঘুরে তাকায়। সুপ্তি আতংকে স্তব্ধ হয়ে যায়। এ কে? কি ভীষন চেহারার এক বুড়ী। সাদা শনের মত চুল, চোখ দুটো ধক ধক করে যেন জ্বলছে, কি তীব্র জিঘাংসা তার মাঝে। চামড়া শত শত বছরের পুরনো চামড়ার মত ঝুলে পড়েছে। লাল জিহবা মাঝে মাঝে সাপের মত লকলক করছে। খলখল করে বিশ্রীভাবে হেসে উঠলো বুড়ী। সুপ্তির বোধবুদ্ধি সব লোপ পায়। তার পা কে যেন পাঁচ মণ পাথর দিয়ে আটকে রেখেছে; কন্ঠস্বর হয়েছে রুদ্ধ। সে শুধু ভীত শশকের মত চেয়ে রইলো।



আবার হেসে উঠলো বুড়ী। অশ্রাব্য এক গালি দিয়ে বললো্, “হাত বাড়া সামনে”।



সুপ্তি তীব্র আতংকে মাথা নাড়লো। বুড়ী চিৎকার দিলো, “হাত বাড়া বলছি”।



সুপ্তির ডান হাত তার আয়ত্তের বাইরে। সে প্রাণপণ চেষ্টা করেও তার হাতকে আটকাতে পারলো না, হাত আয়না স্পর্শ করলো।



ভীষণ অট্টহাসিতে ঘর ভরে গেলো। এমন জান্তব ভয়ংকর গা শিউরানো হাসির যে পৃথিবীতে অস্তিত্ত আছে সুপ্তি তাই জানে না। এর জন্ম এ পৃথিবীতে না, অন্য কোথাও। অন্য কোন জগতে। পচা মাংসের তীব্র গন্ধ সইতে না পেরে সুপ্তি বমি করে ফেললো ঘরের মাঝেই।

বুড়ি খল খল করে হাসতে হাসতে বললো,

“ইভান কে পেয়েছিস তুই? তোর প্রাণের ইভান? আমিই তোর ইভান। ১০০ বছর পর আজ আমি মুক্তি পেয়েছি। আমি, আজিনাহা! আহ, কি আনন্দ!”



সুপ্তির মাথা কাজ করে না। সে মেঝেতে বসে থর থর করে কাঁপতে থাকে।



“আজ থেকে আমি তোর মাঝেই থাকবো। তুই রাতে যখনই ঘুমাবি, আমি তোর মাঝ থেকে জেগে উঠবো। ১০০ বছর আমি কোন রক্তের স্বাদ পাইনি। আজ আমার রক্ত চাই, অনেক অনেক রক্ত”।



সুপ্তি জ্ঞান হারানোর আগ মূহুর্তে অনুভব করতে পারে, একটা শীতল ছায়া তার মাঝে ঢুকে যাচ্ছে।





সকালে জ্ঞান ফিরে সে দেখতে পায়, আম্মু তাকে নিয়ে আবার হাসপাতালে চলে এসেছে। তবে সে অনেক সুস্থ বোধ করছে। ডাক্তাররা রিপোর্ট দেখে অবাক। মাত্র ৩ ব্যাগ রক্ত পেয়ে হিমোগ্লোবিন লেভেল বেড়ে ১৬তে ওঠা এক কথায় অসম্ভব। বাংলাদেশের রিপোর্টের অবস্থা দেখে ডাক্তাররা ভীষন রাগারাগি করতে লাগলেন। এই রিপোর্ট অবশ্যই ভুল। কিন্তু চোখও তো স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আগের দিন যে মেয়ের চোখ একেবারে কাগজের মত সাদা ছিল, তার তো এখন একদম স্বাভাবিক চোখ। রিপোর্ট দিয়ে আব্বু আম্মুর মাথা ব্যথা নেই, তাদের মেয়ে সুস্থ, তাতেই তারা খুশী। কিন্তু সুপ্তির মাথা এখনো কাজ করছে না। তার সাথে এসব কি হচ্ছে? বাসায় ফিরে সুপ্তি আয়নার দিকে তাকায়। এ যেন একদম স্বাভাবিক আয়না। তার মাঝে কি বুড়ীটা ঢুকে পড়েছে? কই? তার তো একদম স্বাভাবিক লাগছে, যেন কিছুই হয়নি। আর ইভান? ইভানকে কি বুড়ী আয়নায় বন্দি করে রেখেছে? ইভান ছাড়া সে বাঁচবে না।





রাত বাড়ার সাথে সাথে সুপ্তি অস্বস্তিতে ভুগতে থাকে। কি যেন তার মাঝে জেগে উঠতে চাইছে। ভীষন ঘুমে তার দুই চোখ জড়িয়ে আসছে। রাত ১২টা বাজতেই সুপ্তি গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। সারাটা রাত সুপ্তি ভয়ংকর ভয়ংকর সব দুঃস্বপ্ন দেখে। সে যেন হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। তার মুখ দিয়ে ভক ভক করে বিশ্রী মাংস পচা গন্ধ বেরুচ্ছে। সে রক্তের স্বাদ পেতে থাকে। সে রক্তে যেন মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে। কি বিশ্রী ভাবেই না সে হাসছে। চিৎকার দিচ্ছে, জান্তব উল্লাসে সে যেন ফেটে পড়ছে।

খুব ভোরে তার ঘুম ভাঙ্গে। সারা শরীরে কালসিটে পড়ে গেছে, ভীষন ব্যথা। নিজের দিকে তাকিয়ে তার চোখ বিষ্ফোরিত হয়। টি শার্ট রক্তে মাখা মাখি। বাথরুমে গিয়ে চেঁচিয়ে উঠে সে, মুখ হাত সবই রক্তে মাখা মাখি। এবং সে জানে অবশ্যই এই রক্ত মানুষের রক্ত। কাঁদতে কাঁদতে সে গোসল করতে থাকে। সে এখন পিশাচীনী। এক ভয়ংকর পিশাচ তার মাঝে ঢুকে পড়েছে। সে যখনই ঘুমাবে, পিশাচ জেগে উঠবে। এখন সে কি করবে?

আম্মু দরজা ধাক্কাতে থাকে, “এই সুপ্তি, তোর রুমে নিশ্চই ইঁদুর মরেছে রে, এত বাজে গন্ধ কেন? আজই রুম ফিনাইল দিয়ে পরিস্কার করাবো বুয়াকে দিয়ে। আগে চল বাইরে যাই”।



সুপ্তি বলে উঠে, “আমি কোথাও যাবো না আম্মু”।



আম্মু ধমকে উঠে, “কথা বাড়াবি না। কত কষ্টে তোর বাবার কাছ থেকে টাকা নিলাম, আর বলিস বাইরে যাবি না?”



সুপ্তি রেডি হয়ে ডাইনিং এ আসতেই শুনলো বুয়া আম্মুর সাথে কথা বলছে উত্তেজিত ভাবে। কয়েক গলি পাশেই তার বস্তি। সেখানে নাকি আজকে একটা অদ্ভুত লাশ পাওয়া গেছে। কেউ লাশের গলায় কামড় দিয়ে ধমনী ছিড়ে সব রক্ত শুষে নিয়েছে। পুলিশ কোন কিনারাই করতে পারছে না। সুপ্তি ভয়ে থর থর করে কাঁপতে থাকে। এটা অবশ্যই ডাইনী আজিনাহার কাজ। আম্মু তার অবস্থা দেখে বুয়াকে ধমকায়, “যাও তোমার কাজ করো। আমার মেয়েকে ভয় দেখিও না”।





আম্মুর সাথে সুপ্তি বেরোয়। আজ থেকে সে আর ঘুমাবে না। রাতে যত কষ্টই হোক সে ঘুমাবে না। ডাইনীটাকে সে জেগে উঠতে দেবে না।

সে জিজ্ঞেস করে, “আম্মু কোথায় যাচ্ছি?”



আম্মু লাজুক ভাবে বললো, “চায়ের সেটটা খুবই পছন্দ হয়েছে বুঝলি। দেখি ওই বাড়ির চৌকিদার যদি এখনো সেটা বিক্রি না করে থাকে, তবে নিয়েই আসি”।



আবার সেই অভিশপ্ত বাড়ি; যেখান থেকে আয়না এসেছে। সুপ্তি আতঙ্কে বলে, “না না আম্মু, ঐ বাড়িতে যাবো না”।



আম্মু অনুনয় করে, “লক্ষী মা, তুই বাইরে থাকিস, আমি যাব আর নিয়ে আসবো”।





বাড়িটি আগের মতই আছে, ১৫ দিকে কোন পরিবর্তনই হয় নি; তবে সাবেকী আমলের বৈঠক খানার আসবাবপত্র অনেক কমেছে। ভালোই বিক্রি হয়েছে মনে হয়। তাদের দেখেই চৌকিদার বলে উঠলো,

“আমি জানতাম, আপনারা আসবেন। তাই চায়ের সেট তুলে রেখেছি”।



চৌকিদার তীব্র দৃষ্টিতে সুপ্তির দিকে তাকালো। সুপ্তির মনে হলো, উনি সব দেখতে পাচ্ছেন। সব কিছু জেনে যাচ্ছেন। ভয়ে কুঁকড়ে গেলো সে ওই অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সামনে। আম্মু চায়ের সেট দামাদামি করে কিনে ফেললেন। সুপ্তি বেরিয়ে যাবে, তখন বুড়ো মানুষটি তার সামনে এসে দাঁড়ালো।

“তুমি তোমার একটা জিনিস ফেলে গেছো। আমি জানতাম তুমি তা নিতে আসবে”।



সুপ্তি অবাক হয়ে দেখলো, তার হাতে সেই ডায়েরী।

“এটা…… এটা আমার নয়”। ঢোক গিললো সে।



মানুষটি কোন কথা না বলে ডায়েরী বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। আম্মু বাইরে থেকে তাড়া দিচ্ছেন। সুপ্তি দেখলো বুড়ো মানুষটির চোখে সহৃদয়তার ছোঁয়া। সুপ্তি হাত বাড়িয়ে ডায়রীটি নিলো। মানুষটি বললো,

“ভালো থেকো। আমারো তোমার মত একটি মেয়ে আছে”।





সুপ্তি বাসায় ফিরেই ডায়েরী খুললো। ১০০ বছরের পুরনো ডায়েরী, কিন্তু সে তুলনায় অবস্থা যথেষ্ট ভালো। কেউ সংরক্ষন করেছে যেন। পাতা গুলি হলদেটে, কিছু কিছু জায়গায় কালি ছড়িয়ে গেছে; কিন্তু বেশ কিছু লাইন পড়া যায়। ডায়েরী বেশ কিছু পাতা মাঝ থেকে নাই হয়ে গিয়েছে। ডায়েরীর প্রথম পাতায় লেখা, “আমার জীবন নামা”। নীচে লেখিকার নাম দেয়া; মালবিকা রায়। ১০০ বছর আগে এই মেয়েটিও হাসতো, খেলতো, ডায়েরী লিখতো, আজ সে কোথায়? প্রথম দিকে শুধু ঘর কন্নার গল্প। আজ তার বান্ধবী এসেছে, কাল বাবা ঘোড়া্র গাড়িতে চড়ে বেড়াতে নিয়ে যাবে বলেছে। পড়তে পড়তে টের পেলো, সে বাবা-মায়ের অতি আদরের এক কিশোরী কন্যার লেখা পড়ছে। ডায়েরীর মাঝা মাঝি একটি পৃষ্ঠা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। একটি লাইন অতি কষ্টে পড়া যায়,

“আজ বাবা আমাকে চমৎকার একটি আয়না দিয়াছেন। শ্মশান ঘাটের বিখ্যাত তান্ত্রিক বাবাকে উহা দিয়াছেন”।



সুপ্তির গা শিউরে উঠলো। এর পরের পাতা গুলি সবই অল্পবিস্তর পানিতে ভেজা; কালি ছড়িয়েছে। এর পর পাতায় পাতায় যা পড়া গেলো সবই আয়নার গল্প। একটা লাইন পড়ে চমকে উঠলো সুপ্তি,

‘আয়নায় আমার জন্য বাবা রাজপুত্র পাঠাইয়াছেন’।



থর থর করে ভেতর টা কেঁপে উঠলো সুপ্তির। মালবিকাও তার মত রাজপুত্র দেখেছিল। তবে তার রাজপুত্রের নাম কুমার বীরেন্দ্র; ইভান নয়। সুপ্তি বুঝলো, ইভান যথেষ্ট আধুনিক নাম। যুগে যুগে ডাইনী রাজপুত্রের নাম বদলায়। ইভান নামে কেউ নেই, ইভান একটা মায়া। সুপ্তি ফুঁপিয়ে উঠলো। ইভানের বেশ ধরে ডাইনী তার রক্ত নিয়ে হয়েছে শক্তিশালী। সে প্রতারিত; যেমনটি হয়েছিল বেচারী মালবিকা। সুপ্তি কান্না সামলাতে সামলাতে পড়ে চললো। এর পর শুধুই ভালোবাসার গল্প; শুধুই রাজপুত্রের গল্প। সুপ্তির দুই গাল বেয়ে পানি ঝরতে লাগলো।



বেশ কয়টি পৃষ্ঠা ঝরে গেছে। এর পরের পাতায় দুই তিনটা লাইন কোনক্রমে পড়া যায়। তাতে লেখা,

“আমার রাজপুত্রকে ডাইনী ধরিয়া লইয়া গিয়াছে। ডাইনী আমার মাঝে বসবাস করিতেছে। হায় ভগবান, আমি কি করব?”



পরের পৃষ্ঠাগুলো মর্মান্তিক। ডাইনী রুপী মালবিকা নিজের বাবাসহ আরো অনেককে হত্যা করে রক্ত খেয়েছে, পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে এক অজানা আতঙ্ক। তীব্র অনুশোচনায় মালবিকা পাগল প্রায়। সে ঘুমায় না, ঘুমাতে চায় না। কিন্তু তারপরো ঘুমিয়ে পড়ে।



সুপ্তি থর থর করে কাঁপতে থাকে। যদি আজিনাহা আজ রাতে তার আম্মু আব্বুকে মারে? অথবা সুকন্যাকে? না, তার প্রিয় মানুষদের ক্ষতি সে হতে দেবে না। দরকার হলে সে আজ এখনি আত্মহত্যা করবে। ডায়েরী পড়তে পড়তে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়েছে। সুপ্তি কাঁপতে কাঁপতে পড়ে চললো।



হঠাৎ আম্মু এসে বাধা দিলো।

“এত গল্প বই পড়তে হবে না। শিরিনের ননদের আজ বিয়ে, ভুলে গেছিস? যা রেডি হ”।



সুপ্তি কাতর কন্ঠে বললো, “আম্মু প্লিজ, আজ আমি আর কোথাও যাবো না। প্লিজ আম্মু”।



তার মুখের দিকে তাকিয়ে আম্মু একটু ভয় পেলেন। “কি হয়েছে রে মা?”



“কিচ্ছু হয় নি আম্মু। আমার মাথা ধরেছে”।



আম্মুর ভয় কাটলো না। “আমিও যাবো না, আবার যদি তুই অজ্ঞান হয়ে যাস?”



“না না আম্মু, আমি শুধু ক্লান্ত। আর মোবাইল তো অনই আছে। তোমরা যাও”।





সবাইকে বিদায় দিয়ে সুপ্তি আবার ডায়েরী পড়তে লাগলো। কিছু পাতা বাদ দিয়ে হঠাৎ দেখলো জান্নাত আশার আলো দেখছে। সে পড়তে লাগলো,

“অদ্য আমি উপায় পাইয়াছি, কি করিয়া ডাইনী আজনাহা কে আবার আয়নায় ফেরত পাঠাইবো। তাহাকে ধ্বংস করা অসম্ভব; অতো শক্তি আমার ফকিরের নাই। কিন্তু ফকির বাবা উপায় দিয়াছেন। মধ্য রাত্রিতে যখন আজিনাহা আমাকে ঘুমের দেশে ঠেলিয়া দিবার জন্য সকল মায়াজাল বিস্তার করিবে, আমাকে তাহা প্রতিহত করিতে হইবে। আয়নাটির সম্মুখে অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত করিতে হইবে। ডাইনী আমাকে যত প্রকার কষ্টই প্রদান করুক না কেন, আমাকে তাহা সহ্য করিতে হইবে।আমাকে বার বার বলিতে হইবে,



আজিনাহা তুই তোর রাজ্যে ফিরিয়া যা

রক্তপিপাসু তুই নিপাত যা

হত্যাকারী, তুই তোর অন্ধকার দুনিয়াতে ফিরিয়া যা।



অতঃপর আ্জিনাহা অগ্নিশিখার উত্তাপ সহ্য করিতে না পারিয়া যখন কথা বলিবে, তখন ছুরি দিয়া আমার হাতের ধমনী কাটিয়া রক্ত অগ্নিশিখাকে দান করিতে হইবে। এতে আমার জীবন সংশয় হইবে, আমি মারাও যাইতে পারি; কিন্তু আর নিরপরাধ লোকদিগকে আমি জীবন দিতে দিব না। আমি কুমার বীরেন্দ্রকে হারাইয়াছি, নিজের প্রাণের চেয়ে প্রিয় বাবাকে হত্যা করিয়াছি; আমার মা পাগল হইয়াছেন- জীবন থেকে আমার পাওয়ার আর কিছুই নাই”।





সুপ্তি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সাড়ে এগারোটা বাজে। আত্মীয়ের বিয়ে, তাই সবাই বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরতে রাত সাড়ে ১২টা/১টা বাজাবে। ১২টা বাজতে আর বাকি ৩০ মিনিট। সে নিজের জীবন দেবে, কিন্তু তার প্রিয় মানুষগুলোর কোন ক্ষতি হতে দেবে না। সুপ্তি রান্নাঘরে গিয়ে যত কাগজের প্যাকেট পেলো সব নিয়ে তার রুমে জড়ো করলো। ছোট একটা নড়বড়ে কাঠের টুল ছিল, তাও নিয়ে এলো। ছুরিটা রাখলো তার ডান পাশে। কেরোসিন ঢেলে সে আগুন জ্বালিয়ে দিলো আয়নার সামনে। ধোঁয়ায় সুপ্তি কাশতে লাগলো। তাড়াতাড়ি করতে হবে। আগুন যদি বেশী বেড়ে যায়, তবে বিল্ডিং এ ধরে যেতে পারে। সতর্কতার সাথে সে আগুনে ভাঙ্গা টুলের পা আর কাগজ দিতে লাগলো। ধোঁয়া চারিদিক গ্রাস করে ফেললো। এর মাঝে সুপ্তির ভীষন ঘুম পেতে লাগলো। সুপ্তি টের পেলো আজিনাহা বেরিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু করেছে। সুপ্তি জোরে জোরে বলতে লাগলো,

আজিনাহা তুই তোর রাজ্যে ফিরে যা

রক্তপিপাসু তুই নিপাত যা

হত্যাকারী তুই তোর অন্ধকার দুনিয়াতে ফিরে যা।


সুপ্তি টানা বলে যেতে লাগলো। ধোঁয়া তার ফুসফুসে ঢুকে যাচ্ছে, কাশির দমক সামলে সে বলে যেতে লাগলো। ঘুমে তার দুই চোখ জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রাণপণ চেষ্টাতেও খুলে রাখা যাচ্ছে না। সুপ্তির মনে হতে থাকলো, আ্জিনাহা জাহান্নামে যাক, আমি একটু ঘুমাই। তখনই তার বাবা-মার চেহারা ভেসে উঠলো তার সামনে। সুপ্তির বুকে নতুন করে বল এলো যেন। সুপ্তি আরো জোরে চেঁচিয়ে উঠলো,

আজিনাহা তুই তোর রাজ্যে ফিরে যা।





উফফ, কি ব্যথা! কেউ যেন ধারালো ছুরি সুপ্তির আঙ্গুলের ফাঁকে চালাচ্ছে। তীব্র ব্যথায় সুপ্তি কাঁদতে লাগলো। কিন্তু মন্ত্র পড়া থামালো না। বরফ শীতল চাই কেউ সুপ্তির নাকে ঠেশে ধরেছে, এক বিন্দু বাতাসের জন্য ফুসফুস আকুলি বিকুলি করছে; সুপ্তি মনে প্রাণে চাচ্ছে সে এখনি মারা যাক। কিন্তু আজনাহা তাকে মরতেও দেবে না। সুপ্তি হাঁস ফাঁস করতে করতে বলতে লাগলো, তুই নিপাত যা। কতক্ষন সে কষ্ট সহ্য করছে সে জানে না, তার এখন কোন বোধও নেই। সে শুধু ভাঙ্গা রেকর্ডের মত একই কথা বলে যাচ্ছে। হঠাৎ তীব্র বোটকা গন্ধে চারিদিক ভরে গেলো। শীতল ভেজা ভেজা স্পর্শ আগুনের উত্তাপ থাকা সত্বেও টের পাওয়া যাচ্ছে। সুপ্তি আরো জোরে জোরে বলতে লাগলো। আজনাহার তীব্র বিদ্রুপাত্মক খল খল হাসির শব্দ শোনা গেলো। সুপ্তির ভয়ে গায়ে কাঁটা দিলো। সে নিজেকে সাহস দিলো, আজিনাহা তোমাকে মারবে না, তুমি ওর আবাস। ভাবতেই ঘেন্নায় তার বমি এলো।



আজিনাহার অশ্রাব্য গালাগালি শোনা গেলো।

“তুই কি চাস? তোর কি ধারণা এসব করলেই আমি চলে যাব? আমি আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী! এসবে আমার কিছুই হবে না”। খল খল হাসি বয়ে গেলো চারিদিকে।



সুপ্তি কোন কথা না বলে ছুরি হাতে নিলো।

আজনাহার বিশ্রী কন্ঠ শোনা গেলো,

“তুই যে হাতের ধমনী কাটলে মরে যাবি, তা কি তুই জানিস? তুই মরে গেলে তোর বাবা মার কি হবে? তোর মাও যে আত্মহত্যা করবে তা জানিস?”



সুপ্তি কেঁপে উঠলো। আজিনাহা সন্তষ্টির হাসি হাসলো মনে মনে।

ডাইনী বলে চললো, “তোর বন্ধুরা পরীক্ষা শেষে সেন্ট মার্টিন যাবে, আর তুই যাবি কবরের তলায়। তোকে কেউ মনে রাখবে না”।



সুপ্তি ফুঁপিয়ে উঠলো।

“ছুরি নামিয়ে রাখ বদমাইস মেয়ে। নিজের কথা ভাব। তুই মরলে তুই আর ইভানকে দেখতে পাবি ভেবেছিস? আমি জানি ইভান কোথায় আছে। ইভানকে চাস না তুই?”



সুপ্তি চোখ বুজ়ে রইলো। তারপরে সর্বশক্তি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠলো, “না না না, ইভান কে চাই না। ও একটা মায়া। তুই জাহান্নামে যা”।



বলেই ছুরি দিয়ে বাম হাতের রেডিয়াল আর্টারি কেটে ফেললো। রক্ত ধারা আগুনে পড়তে লাগলো। আগুন যেন রক্ত পেয়ে পাগল হয়ে গেলো।



আজিনাহা ভয়ংকর ভাবে চিৎকার দিয়ে উঠলো, “না না না”। সাথে অশ্রাব্য সব গালাগালি।

শেষ শক্তি দিয়ে সুপ্তি তার হাত আগুনের উপরে ধরে রাখলো; এর পর আস্তে আস্তে ঢলে পড়লো। এখন সে ঘুমাবে, শান্তির ঘুম ঘুমাবে। দরজায় কে এখন ঘন্টা বাজাচ্ছে? তারা কি জানে না সুপ্তি অনেক ক্লান্ত?







পরিশিষ্ট:

অভিশপ্ত আয়নাটাকে সুপ্তি ভাঙ্গার অনেক চেষ্টা করেও না পেরে সেটিকে বুড়িগঙ্গায় বিসর্জন দিয়েছে। ডায়েরীটি যে খুব যত্ম করে বুড়ো মানুষটিকে ফেরত দিয়ে এসেছে। বুড়ো তাকে চা খাইয়েছে, এবং যাবার সময় বলেছে, “আমি জানতাম, তুমি ভালো থাকবে”।

সুপ্তির রূপকথার রাজকুমার এখনো আসে নি। তবে সুপ্তি জানে যে সুমন তাকে নিয়ে লুকিয়ে কবিতা লেখে। প্রায়ই সে সুমনের ডায়রীর মাঝে লুকিয়ে গোলাপ, কৃষ্ণচূড়া এমনকি বাঁদরলাঠি ফুলের পাপড়িও রেখে আসে। সুমন এখনো ধরতে পারেনি কাজটা কে করে।





৬ মাস পরের ঘটনাঃ

কামরাঙ্গি চরের বিন্তি প্রতিদিনের মত আজ সকালেও দাঁতন করতে করতে নদীর পাড়ে এসেছে। দূরে কিছু একটা চক চক করছে। আলো পড়লেই ঝিকিয়ে উঠছে। আয়না নাকি? বিন্তি আগ্রহ ভরে এগিয়ে যেতে থাকে।

মন্তব্য ১৪৭ টি রেটিং +৩৪/-০

মন্তব্য (১৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২

টিনটিন` বলেছেন: উফস। টনটনে উত্তেজনা.....শেষ।

বেচারা বিন্তি। :(

বাংলাদেশের স্টিফেন কিং। ;)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :!> :!> :!>বেশী প্রশংসা হয়ে গেলো!!

আপনার আয়না গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি! :)

২| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: গল্পটি খুব ভালো লাগলো।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!! :)

৩| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:১৪

আহমেদ আরিফ বলেছেন: ভূত পেত টাইপের গল্প ভাললাগেনা :(

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( আমি তো ভূত ভীষন ভালু পাই!

৪| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: Darun ending hoyache. . .

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সত্যি আপু??
অনেক অনেক ধইন্যা! :) :)

৫| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৭

একাকী বালক বলেছেন: হুমমম এমনিতেই গতমাসে রাত ৩:৩০ এর দিকে ঢাকার এক কোণায় এক সাইটে অপারেশনে গিয়া ভয় পাইছি। :(

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: রাস্তা ঘাটে কোন আয়না পাইলে আবার তুলে পকেটে নিয়েন না কিন্তু! :P :P

আপনি ভুই পাইছেন, আমি খুশী! :)

৬| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:২৮

ছোট ভাই বলেছেন: খুবই ভাল লাগল আপু---একেবারে জাফর ইকবাল স্যারের গল্পের মত! :)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :#> :#> :#> :#> কি যে বলো! (তুমি করে বললাম, কারণ নাম যেহেতু ছোট ভাই, ছোটই হবে!) বেশী প্রশংসা করে ফেললা :#> :#>

উদার কমেন্টের জন্য অনেক ধইন্যা! :) :)

৭| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩০

আশাবাদী ডলার বলেছেন: অবশেষে সকল উত্তেজনার সমাপ্তি হল :) গল্পটি পরে খুব ভাল লাগল।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে অনেক খুশী লাগছে। এন্ডিং নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, সুপ্তিকে মারবো না বাঁচাবো বুঝতে পারছিলাম না! :|

৮| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩৬

টিনটিন` বলেছেন: দেরী আছে। কেবল তো শুরু করলাম। তাও ১ মাস আগে ১২-১৩ লাইন লিখেছি। তারপর আর ধরা হয়নি। :)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ব্যাপার না! রহস্য পত্রিকায় প্রকাশিত আপনার ৪র্থ গল্প ব্লগে প্রকাশ করা এখনো বাকি আছে!!

ওইটাই পড়ি! :) :)

৯| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৩৬

সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: প্রথমে ভয় ছড়িয়ে দিয়েছিল।পরে সুপ্তির পরিনতি দেখে ভাল লাগল।

সুপ্তি না হয় বাচল,এখন বিন্তির কি হবে???

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: বিন্তির যে কি হবে! ডায়রীও তো সেই বাড়িতে ফেরত গেছে।
জানি না কি হবে! :| :|

পড়ার জন্য ধন্যাবাদ!

১০| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫১

ছোট ভাই বলেছেন: তুমি করে বলবার জন্য ধন্যবাদ আপু।

আমি আসলে ছোটই--কয়েকমাস আগে এস.এস.সি দিলাম। :)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:০১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: তাহলে তো বেশীই ছোট!! :)

১১| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:০৮

ইনকগনিটো বলেছেন: চমৎকার !

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: থেঙ্কু থেঙ্কু! :)

১২| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:১৫

রোবট ভিশন বলেছেন: ফাটাফাটুই অবস্থা!! গল্পের লেখুনি, গাঁথুনী একেবারে সেরাম...

"ডাক্তার লেখিকা হিসাবে আপনি অচিরেই নাম্বার ওয়ান হইবেন" --> রুবট।

আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়েই বুঝেছিলাম, আপনি মারাত্বক ধৈর্য সহকারে অনেক ডিটেলস লিখতে পারেন... আমি আপনার উজ্জ্বল সম্ভবনা দেখতেছি...
আমাদের মত আইলসাদের কিচ্চু হবে না... আপসুস...

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :!> :!> :!> :!> :!> :!> :!>রুবট এর কথা কি বাসী হলে ফলে নাকি তাজাই ফলে? :) :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ধৈর্য সহকারে বড় গল্প পড়ার জন্য!

কি যে বলেন, আপনি যদি আইলসা হন, তাইলে এই বিশাল বিশাল থিসিস জমা দিয়া প্রফেসরদের মাথা ঠান্ডা করে কে? :)

১৩| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২০

ফাইরুজ বলেছেন: উফ এবার কি বিন্তি এই ফাঁদে পড়বে?​পর্বটা পড়িনি গোগ্রাসে গিলেছি।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৪৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: (মাথা চুলকানোর ইমো) বিন্তির যে কি হবে আপু সেটা তো ভাবিনাই। কিন্তু বিন্তি ডায়রী পেলেও, সে কি পড়তে জানে? :| :| সম্ভাবনা কম।

ভালো লাগলো জেনে অনেক ভালো লাগছে!

১৪| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২৬

রাখালীয়া বলেছেন: গল্পটা যদিও বড়,তবু এক নিঃস্বাসে পড়ে নিলাম..
+++

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! :)

১৫| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫২

নিয়ম ভাঙার কারিগর বলেছেন: ওয়াও ওয়াও ওয়াও!

আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম আপু!


আসলেই বাংলাদেশের স্টিফেন কিং! ;)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :#> :#> :#> মাত্রা ছাড়া প্রশংসা হয়ে গেলো। স্টিফেন কিং তো আমার অনেক প্রিয়। যদিও অনেকেই তাকে পছন্দ করে না, অহেতুক কথা বলে নাকি। কিন্তু আমার ভালো লাগে। তার ইনসোমনিয়া টেবিলের উপরে রাখা। শুরু করবো করবো ভাব। :)

অনেক ধইন্যা!

১৬| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫৮

সায়েম মুন বলেছেন:

এইটা কি সুপ্তি? :P

ফিনিশিং অসাধারণ হৈছে। যদিও হরর মুভি পছন্দ করিনা। আপনার লেখনীর গুনে গল্প অসাধারণ হৈছে। যেন একটা মুভি দেখলাম। সেটা হতে পারে গ্রুজ টাইপ মুভি।

জাপানী কিছু রুপকথা নিয়ে মুভি আছে। নামটা স্মরণ করতে পারছি না। ষ্টার মুভিজ বা এইচবিও তে প্রায়ই দেখায়। এসব ছবিতে এরকম অশরীরী আত্মার দৌরাত্ম্য দেখা যায়। ছোটকালে ভয় পাইতাম। এখন হাসি পায়।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :-* :-* :-* :-/ :-/ :-/ এই কি ছবি দিলেন সায়েম ভাই?? :(( :(( :(( :(( এই পোস্টে ঢুকে এখন আমার নিয়ম ভাঙার কারিগর ভাই এর কমেন্টের পরে চোখ বন্ধ করে কিছুদূর স্ক্রল করতে হবে!

গ্রাজ মুভি দেখার পরে যেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা নিয়ে আমি আমার জীবনের প্রথম ভৌতিক গল্পটা লিখেছি। ওই মুভি নিয়ে আর বইলেন না। :( :( এমন ভয় সেদিন রাতে পেয়েছিলাম সে রাতে যে মনে হচ্ছিল নিজে নিজে অজ্ঞান হওয়ার কোন উপায় থাকলে আমি জোর করে অজ্ঞান হতাম! /:) /:)

আপনার তো হাসি পায়, কিন্তু আমি এখনো এইগুলা দেখলে ভয় পাই। এর কারন শেক্সপীয়ার। এই ব্যাটা
There are more things in heaven and earth
কইয়া আমার সাড়ে দেড়টা বাজাইছে। :( :(

গল্প ভালো লাগছে জেনে আনন্দিত! :)

১৭| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১২

টিয়া ময়না বলেছেন: চরম

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:২২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ! :)

১৮| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:১৯

আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো হয়েছে। :)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৫৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ! শুনে আসলেই ভালো লাগছে। :)

১৯| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৪০

নীরব 009 বলেছেন:
ত্রিনিত্রি আআপপু আপনিতো ভয়াবহ সুন্দর ভুতের গল্প লিখেন! আপু আপনি ভুত নাকি? ;) ;) ;)


সত্যি বলছি খুবই সুন্দর লাগল গল্পটা বিশেষ করে গল্পের অশরীর হাতে হাত রেখে রক্ত খাওয়ার টেকনিক, গল্পের নায়িকার রক্তশূণ্যতার বিবরন-এ জায়গাটা খুব সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন।

পরিশিষ্টে সুমনের প্রতি সুপ্তির অনুরাগ অথবা ভালবাসা দিয়ে সুপ্তির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার যে চিত্র এঁকেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে।


শেষে যে ঘটনা বলে গেলেন তা যেন শেষ হইয়াও হইল না শেষ।


আপনিতো অনেক সুন্দর লিখেন।এতো টাইম কৈ পান? ডাক্তার ডিউটিতে ফাঁকি দেয় না তো আবার। ;) ;)


শুভ কামন রইল।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এন্ডিং ভালো লেগেছে জেনে আসলেই ভালো লাগছে। ভূতের গল্পে বেশীর ভাগ সময়েই তো গল্পের চরিত্ররা মরে যায়। চরিত্রকে বাঁচিয়ে রাখলে কারো পছন্দ হবে কিনা সেটা বুঝতে পারছিলাম না।

রক্তশূন্যতার বিবরন ভালো করে না জানলে হবে? ৮০ ভাগ বাঙালি মেয়ের এই সমস্যা। :( :(

মোটেই না! ডিউটি ফাঁকি না দিয়েও যে গল্প লিখা যায় তার উদাহরন ক্রিয়েট করার চেষ্টায় আছি।তবে কিনা পড়াশোনা শুরু করার ধান্দায় আছি। তখন অবশ্যই লিখতে পারবো না। :( :(

আপনাকেও শুভ কামনা!

২০| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৪৭

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: ফিনিশিং টা অসাধারন হয়েছে

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :) :) :)

২১| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৫৬

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: আমার নাম দেখলাম যে আমি কি নায়ক নাকি ,দাড়াও আপু আবার অড়ে আসি :)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ইয়ে, গল্প পড়ে আবার রাগ কইরেন না!!
আসলে আমি রুশ দেশের রূপকথার রাজপুত্র ইভানের সেইরকম :#> :#> :#> একারনেই নামটা ব্যবহার করেছি!

পড়ে জানাইয়েন কেমন লাগলো ইভান কে! :)

২২| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০০

আশাবাদী ডলার বলেছেন: সুপ্তিকে বাঁচায়ে রেখে ভালই করছেন। নাইলে কাইন্দাও দিতে পারতাম :(( :)

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভাগ্য বাঁচিয়ে রেখেছি। আজই বাসার টিস্যু শেষ হয়েছে। আপনাকে তাহলে কি দিতাম? :P :P

২৩| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০৯

অভ্রমালা বলেছেন: অনেক দিন পর মনের মত একটা ভূতের গল্প পেলাম। ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি আপু। :)

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৩

সরলতা বলেছেন: দারূন হয়েছে আপু।ফিনিশিংটা মারাত্মক। আমি ভাল-ই ভয় পেয়েছি এবার। সুপ্তির কি হবে এটা নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলাম। বেঁচে যে আছে এটাই অনেক। ইভান একটা মায়া শুনে মন খারাপ হল। :((

অঃটঃ আপু,Hb ৪মিলিগ্রাম/ডিএল--এখানে ভুল আছে ইউনিটে। ঠিক করে নিও। :)

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এইটা দেখছি রে আপু :( :( কিন্তু ঠিক করতে পারছিনা। আমি যখন গল্প লিখি তখন ওয়ার্ডে যা লিখেছি পেস্ট করে দিয়েছিলাম। পরে খেয়াল করে দুইবার ঠিক করতে গেলাম, পেজ পুরাপুরি লোড হয়না। বিসিএস এর পোস্ট গায়েব হবার পর থেকে ভয় ধরে গেছে, আর ট্রাই করিনাই। ভালো স্পিড আসলে ইনশাল্লাহ ঠিক করে দিব।

অনেক অনেক ধইন্যা। :) :)

২৫| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৩৬

সায়েম মুন বলেছেন: আমার দেখা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর/ ঘৃণা উদ্রেককারী হরর মুভি হলো দ্য এভিল ডেথ। এই মুভি দেখার পর ভাত খেতে গিয়ে বমি আসতে নিছিল। প্রথম ছবি কিনা, তাই হয়ত ইফেক্টটা বেশী ছিল। :D

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ইয়াক, জঘন্য। ওই মুভি দেখে আমি কোন ভয় পাইনাই, কিন্তু ভীষন বিশ্রি লেগেছিল।

কিন্তু গ্রাজ দেখে আমি সত্যি ভয় পাইছি। #:-S

২৬| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৫৩

মেমনন বলেছেন: ভুতের গল্প ভালো লেগেছে, টান্টান উত্তেজনা ছিল, কিন্তু ভয় পেলাম না বেশি, ঘরের লাইট জ্বালানো তো B-)) B-)) B-))

আপনার লেখার ক্ষমতা অসম্ভব ভালো, সৃষ্টিশীল কিছু লেখা আশা করছি আপনার কাছে।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। :#> :#> :#>

লাইট টা নিভান, তারপরে রুমের আয়নার দিকে তাকান। এইবার দেখেন কি হয় :P :P

২৭| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১৭

বোকা ছেলে বলেছেন: খাইছে... দারুন ফিনিশিং...পুরাই তো সিনেমা। :) শাবাশ! তোমারে দিয়েই হবে।

রক্তশূন্যতার ডেফিনেশন জানলাম। ধন্যবাদ।

তয় ইভানের মধ্যে কেমন জানি এডওয়ার্ড কালেনের সুবাস পাই। (মাথা খাউজানোর ইমো হইবেক)

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: তোমার জন্য ওই ডেফিনেশন হবে না। আমি মেয়েদের বলেছি ১৩, তাও বাঙালি মেয়ে। তোমার জন্য অবশ্যই সেটা ১৪ এর উপরে। ১৬-১৮ হলে ঠিক হয়। :P সো লাফ দিও না, ডাক্তার বলছে তুমি অ্যানিমিক, মানে তুমি অ্যানিমিক। :P

না না :-/ :-/ কোন ভ্যাম্পায়ার এখানে আসবে না! ইভান হচ্ছে রুশ দেশের ইভান, মোটেই কালেন না! :P :P

২৮| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২৭

বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: হবে না হবে না!!! ভুতের গল্প পড়ব না!!! ভয় পাই!!! খালি কমেন্ট করব :P

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৩৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: সে কি! তাহলে কেমন হল!!

এক কাজ করেন, প্রাইম সার্কেলের গান শুনতে শুনতে পড়েন! তাহলে ভয় কম লাগবে! :)

২৯| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:২৯

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: এক নিশ্বাসে পুরো গল্পটা পড়ে শেষ করলাম। খুবই সুন্দর হয়েছে। এরকম আরো গল্প চাই।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৩৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: বড় গল্প পড়ে ফেলার জন্য অনেক অনেক ধনে পাতা! :)

৩০| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৪৫

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: আমার ডর ভয় কম তাও গায়ে কাটা দিল ক্যান বুঝলাম না।

চমৎকার লিখেছো আপু।

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!!

ভয় দেখাতে ভালু লাগে :P :P

৩১| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১:০৬

কথক পলাশ বলেছেন: আপু, আমি অভিভূত!
কি লিখব বুঝতে পারছিনা। মন্তব্যের বর্ণমালায় টান পড়েছে। কিছুতেই লিখতে পারছিনা যা ভাবছি।

শুধু অনুরোধ, এই লিখাটা জাফর স্যারকে মেইল করবেন। উনার মেইল এড্রেস পরের কমেন্টে দিচ্ছি। মুছে ফেলবেন। প্রয়োজন হলে উনার ফোন নাম্বারও দেব।

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কি যে বলেন, স্যারকে এই লিখা মেইল করে কি করবো? :-* :-* স্যারের টাইম আছে এইসব ভূতের গল্প পড়ার? অবশ্য গল্প উনার ব্লাডি মেরীর গল্প দ্বারা অণুপ্রাণিত। :!> :!>

মন্তব্য দরকার নেই! বুঝতে পারছি আমি আরেকটা লিখলে আপনি বেশী মাইন্ড করবেন না! :) :) আমার সেটাই দরকার!

৩২| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১:০৮

শায়েরী বলেছেন: Amar kase awsm lagse...onnkdin por nice horor golpo porlam ..ending ta best
++++++++++++

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: থেঙ্কু আপু!

এরকম কমেন্ট পেলে আরো লিখতে ইচ্ছে করে, সত্যি!

৩৩| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১:১৩

মুনতাহা বলেছেন: দারুণ।


৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :) :)

৩৪| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১:১৫

বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: হা! হা! হা! আপনার কমেন্ট দেখে আমার ভাইয়ার একটা কথা মনে পড়ে গেল........আমার হাপানির সমস্যা আছে, সেজন্য খুব জঘন্য স্বাদের একটা ওষুধ খেতে হয়, প্রথম যেদিন খাই সেদিন ভাইয়া বলছিল "আরে বেপার না! মনে কর যে joe satrianiর always with me always with you শুনছিস! তাহলেই দেখবি ভালো লাগবে!!!!!!

আমি ভিতুর ডিম, এত রাতে আর পড়ব না, দিনে দুপুরে পড়ে দেখি যদি ভয় একটু কম পাওয়া যায়!!!!!

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আমিও ভীতুর ডিম, কিন্তু ভূত প্রেত পাইলেই গ্রোগাসে গিলি। আগে আমি ভূতের সব সিরিয়াল দেখতাম, আব্বু কে জোর করে সাথে বসিয়ে। কারন ঐ পচা ভূত-প্রেত বাসার আর কেউ দেখত না। :| :|

পড়তেই হবে, এমন না। একেকজনের পছন্দ তো একেক রকম! :) :)

৩৫| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ২:০৯

কাদা মাটি জল বলেছেন: হায় আল্লাহ, এখন আমি ঘুমাবো কিভাবে???

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: রাতে ঘুম কেমন হলো? :P

৩৬| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ২:১৯

ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আমার নেট লাইন আজকে অনেক ডিস্টারব দিচ্ছিল। তবুও আমি অনেক যুদ্ধ করে এলাম তোমার এই গল্পটা পড়তে এত রাতেই। B-) B-) B-)

খুব ভালো লাগলো। ++++++++

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৪০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: নেট লাইনের জন্য গল্পের মাঝে যে ভুলটি আছে, সেটিও সুধরাতে পারছি না। কাল কয়েকটা পোস্ট পড়লাম, তারো কমেন্ট করতে পারিনা। সামু আমাকে বেশী জ্বালায়। :(( :((

অনেক ধন্যবাদ আপু!! এত কষ্ট করে আমার গল্পটা পড়ে এত্ত গুলি প্লাস দেয়ার জন্য!

৩৭| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৩:২৫

শাহরিয়ার কবির ড্যানি বলেছেন: প্লিজ তুই তোর রাজ্যে ফিরিয়া যা
এনি ওয়ে আবার ভালো লাগলো আপু 8-| 8-| 8-|

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কি জ্বালা! আমাকে ফেরত যেতে বললে নাকি? :(( :((

নেহি, আমি এখন অনেক শক্তিশালী! সামু ছেড়ে এত সহজে যাচ্ছি না! মুহাহাহাহাহা B-)) B-)) B-)) B-))

৩৮| ৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৫০

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ভাগ্য ভালো যে গল্পটি রাতে পড়িনি। ভয়ে ঘুম হতোনা :)

ভালো লেগেছে খুব।++

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৪৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ইশ, রাতেই পড়তেন! :P :P :P

অনেক ধন্যবাদ জিসান ভাই!

৩৯| ৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:৫৩

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: ভালো লিখেছ গল্পটা । শুধু রক্ত খাওয়া ব্যাপারটা কেন যেন সহ্য করতে পারি না :(

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( সুপ্তি কিন্তু খায়নি আপু, খেয়েছে ঐ ডাইনী!

এইজন্যই তো ওরা ডাইনী!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু!

৪০| ৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪

সিকদার বলেছেন: অ-সাধারান ।

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :#> :#> :#> :) :) :)

৪১| ৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

চতুরঙ্গ বলেছেন: অ অ অ অ অ অ অ অ সাধারন। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষাতেই ছিলাম। চমৎকার ভাবে শেষ করেছেন। খুউউউউব ভালো লাগল। পরের লেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকলাম।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ওরে বাবারে, এত গুলি অ! অ উপসর্গ সবসময় খারাপ হয় না তাইলে, কি বলেন? :P :P

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

৪২| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৭

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: ও খোদা আবার আরেকটা মেয়ে! :-/

এই দুপুর বেলা গল্প পড়তে গিয়ে আমার মনে হইল ঘাড়ের পেছনে যেন কেউ একটা স্বল্প নিশ্বাস ফেলল। ওহ...

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি ভালো-মন্দ কোন শক্তিরই বিনাশ নেই! এই ধারা তো তাই চলবেই। :| :|

তবে লিখার সময় তো লিখে ফেলেছি, এখন বিন্তির জন্য খারাপ লাগছে। :( :(

৪৩| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪

বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: হুমম.....পড়লাম, গল্প ভালো হয়েছে..........কেন বললাম জানেন?? কারণ বেশি ভয় পাই নাই :D

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:০৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ্তাইলে আর ভালু হলো কি করে? :P :P আপনি তো ব্যাপক সাহসী দেখা যায়! ঔষুধ খাইতে তাইলে এত ঝামেলা করেন কেন? :)

৪৪| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২৯

কাউসার রুশো বলেছেন: ফাটাফাটি হইছে ত্রিনিত্রি :)

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:১০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: থেঙ্কু থেঙ্কু! :) :)

৪৫| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৩৩

কথক পলাশ বলেছেন: খালি কথা বলে! X( X( X( X( X(
আগে স্যারের কাছে পাঠানতো! স্যার যদি মেইলের জবাব না দেন, তাহলে স্যারের ফোন নাম্বার দেব আপনাকে। প্রয়োজন হলে জীবনে তৃতীয়বারের মত স্যারের সাথে ঝগড়া করবো।

উনাদের মত বড় লেখক যদি নতুনদের উপস্থাপন না করে, তাহলে নতুন রা কি করবে? বছর বছর আয়না কিনবে? X( X( X( X( X(

বলছি, করেন। X(( X(( X(( X(( X((

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:১৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: রাগ কইরেন না রে ভাই। আমি আগে কখনো গল্প লিখিনাই, এইটা টেকনিক্যালি তৃতীয় গল্প। :#> :#> কনফিডেন্স লেভেল এখনো গ্রো করে নাই আরকি! মানে, আমি উনার ছোট বেলা থেকেই অন্ধভক্ত! উনাকে পড়াতেই হই্লে :| :|

আচ্ছা, আরেকটু রিভিশন করে নেই আগে! :|| :||

আপনাকে জানাবো! অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার উপরে বিশ্বাস রাখার জন্য। :#> :#> :)

৪৬| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৩৬

বড় বিলাই বলেছেন: দারুণ হয়েছে গল্পটা। এইটা নিয়ে সিনেমা বা নাটক বানানো যায়।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:১৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু!! :) :)

কিন্তু নাটকে আজিনাহাকে সুন্দর করে বানাতে পারবে না। পাব্লিক দেখে খিক খিক করে হাসবে। আমি দুইটা ভূতের নাটক দেখছি, ভয় তো পাই নাই, বিরক্ত হইছি। :| :|

৪৭| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৪৮

মাহফুজার রহমান বলেছেন: উফ...এতো এতো কমেন্ট !!!
আমি কি বলবো???
লেখাটা যেন একটু বেশি তারা দিয়ে শেষ করা।
রিভিশন হলে আরও ভাল হতো।]

আমি পারি না এতোটা ভাল..তাই মন্তব্য করছি..ভাল হয়েছে।
বিন্তিকে দিয়া এপিসোড বানানোর চিন্তা..হা হা হা..এটা বেশি ভাল হয়েছে।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১১:২৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভাই আপনি একদম টু দ্য পয়েন্টে কথা বলেছেন। আমার এইটা একটা বিশাল সমস্যা। আমি যা লিখি এক সিটিং এ লিখি। লিখা থেকে উঠলেই খেই হারিয়ে ফেলি। একটানা এত বড় গল্প লিখতে গিয়ে বুঝি একটু তাড়া দিয়ে ফেলেছি। :( :(

চেষ্টা করবো এর পর থেকে ভেঙ্গে লিখে রিভিশন করতে। অনেক ধন্যবাদ! :) :)

না না, বিন্তি নিয়ে কোন এপিসোড নাই। :P এরা কখনো শেষ হয় না, সেটা বুঝাতে আমি বিন্তিকে টেনেছি।

৪৮| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:২৭

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: দারুণ! দারুণ হয়েছে :) পড়তে খুবই ভাল লাগল! :)
আচ্ছা গ্রাজ এর কি তিনটাই মুভি? আমি সম্ভবত এইচ বি ও তে একটা মুভি দেখেছিলাম নাম গ্রাজ ৪। ওই মুভিটাত কোন খোজ পাচ্ছি না। আই এম ডি বি তেও লিস্টেড না।

০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৩২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: গ্রাজ আমি দেখেছি ৩টা। এর আবার ৪র্থ পার্টও বের হয়েছে নাকি?? ইশ, এক জিনিস এরা কত টানে?? /:) /:)

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪৯| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১:৪৫

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: বের করেছে কিনা সেটাই শিওর হতে চাচ্ছি। আমি যে গ্রাজ ৪ নামে একটা মুভি দেখেছি এটা শিওর। এটার কাহিনীও ভৌতিক। কিন্তু সার্চ দিলে এই নামে কোন মুভি পাইনা! বেশ ভৌতিক ব্যপার

০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আসলেই ভৌতিক ব্যাপার! গ্রাজ ৪ এর খবর এখনো জানি না। বের হলে তো দেখতেই হবে!

অবশ্য মাঝে মাঝে কিছু অদ্ভূত মুভি এইচ বি ও দেখায়। এদের নিজেদের প্রডাকশন কিনা কে জানে। আমি অ্যাগেইন রিটার্ন্স অভ মামি দেখে লাফ মেরে দেখতে বসে হার্ট এ্যাটাক করতে করতে করিনাই। কারন চাইনীজ মমি, এবং মামির মান ইজ্জত সব ধূলায় মিশলো, যখন দেখালো যে মামিটি বাসা বাড়িতে ঢুকে কমোড দিয়ে। প্রথমে ভাবলাম যে এইটা কি স্ক্যরি মুভি নাকি! পরে দেখি না, এটা আসলেই মামি দিয়ে যাচ্ছেতাই একটা মুভি বানায়ে রেখে দিসে। /:) /:) /:)

৫০| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ৮:২৩

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: পড়ার সময় প্রতি মহুর্তই উত্তেজনা ছিল কি হচ্ছে? কি হবে? যাক শেষ টা ভালোই ছিল তবে এই সমুন টা কেন এত ভুদাই? কেনু যে বুঝে না সুমনের মাঝে সুপ্তি তার ইভান কে দেখতে পাচ্ছে :P

০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: বেচারা কবি আর গায়ক মানুষ! :P :P কবিরা এত প্রেমের কবিতা লিখে যে প্রেম সবার পরে বুঝে! =p~ =p~

অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৫১| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ১০:১৬

নুপুরের রিনিঝিনি বলেছেন: ইশশশ আপু!! একটানে পড়ে ফেললাম!! এক কথায় দারুন! দারুন! দারুন .:-)
সামনে এমন আরও গল্প চাই .:-)
ভালো থাকবেন :)

০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: থেঙ্কু থেঙ্কু থেঙ্কু! :) :) :)

আপনিও ভালো থাকবেন!

৫২| ০১ লা জুন, ২০১১ সকাল ১১:৩২

জুল ভার্ন বলেছেন:
চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মানবিক মনস্তাতিকতা!

সুন্দর, অসাধারন সুন্দর সমাপ্তি!!!

নিরন্তর শুভ কামনা।

০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ!! :) :)

আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো!

৫৩| ০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৫১

নস্টালজিক বলেছেন: দুরন্ত!

০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :) :)

৫৪| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৩

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
অসাধারণ

এক নিঃশ্বাসে পড়লাম দুই পর্ব।

পুরোটাই ক্লাইম্যাক্স

০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে। :)

৫৫| ০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৬

বিভ্রান্ত পথিক ২০১০ বলেছেন: আপনের ঠিকানাটা দেন........ওষুধটা পাঠায় দেই......যখন ইসুবগুলের ভুসি মিসাই খাইতে হবে তখন বুঝবেন কেন ঝামেলা করি...!!!!!


আর গল্প ভালো হয়েছে সত্যি,মনে হস্ছিল যেন জাফর স্যারের লেখা পড়ছি!!!..... গল্প আরো চাই(তবে ভৌতিক না হলেই ভালো!!!!)

০১ লা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কি বলেন?? আমি তো ভূতের কারবারেই বেশী আগ্রহী। :P :P

থাক আমার সাহসী হয়ে কাজ নাই! আপনিই সাহসী হয়ে ঔষধ খান! B:-) B:-)

৫৬| ০১ লা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নীরজন বলেছেন: উফ..................
টেনশনে পড়ে গেছিলাম.........

০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৮:২৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এখন টেনশন দূর হয়েছে? :)

৫৭| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:১১

মাহফুজার রহমান বলেছেন: ওই সবার মন্তব্য পেয়ে গলে যাচ্ছ??? X( X( X(
সুমন ভাইয়ের গল্প নাই??? :-B :-B :-B

০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:১৩

ত্রিনিত্রি বলেছেন: না না, আপনার সমালোচনা মাথায় আছে। :P :P

নাহ, সুমন ভাইএর গল্প নাই! সুমন ভাই নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবে, আমার এত কি? :P

৫৮| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:০৫

নীরজন বলেছেন: তা আর হতে দিলেন কই???
আবার তো আরেকজনকে দিয়ে দিলেন আয়না টা :( X( X( X( X(

০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১০:১৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: #:-S #:-S #:-S কি করব? আয়না তো ভাঙ্গা গেলো না। নদীর মাঝে তো আর চিরকাল থাকবে না। B:-) B:-)

৫৯| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:২৩

অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: কী বলব ভাবছি!! শব্দ পাচ্ছিনা।আপু ভক্ত হয়ে গেলাম।চমৎকার!!!! নিয়ে গেলাম।হ্যাটস অফ!!! :) :) :)

০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১২:০৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু!
ভালো লাগলো জেনে। আরো লেখার উৎসাহ পাচ্ছি। :)

৬০| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১১:৫৯

টিনটিন` বলেছেন: ২ দিন তো হয়ে গেল, নতুন ভুত কোথায়? :-0

০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১২:১১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আমার এক বন্ধু মাত্র ফোন দিয়েছিল। সে বড়ই বিরক্ত কেন পরপর দুইটা ভূতের গল্প লিখেছি। বললো, অন্য কিছু লেখো, লেখার জিনিসের অভাব? :P :P

আপাতত ভূত নেই! আসলে আপনার ঘাড় মটকাতে পাঠাবো। :P :P

ভাই আপনার তো ভূত রেডিমেড আছে। আপনি কেন দেন না? :( :(

৬১| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১২:৪১

টিনটিন` বলেছেন: কেমনে দিব? সফট কপি খুজে পাচ্ছিনা তো।

০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১:৩৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :( :( :( :(

৬২| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৩

আহমেদ আরিফ বলেছেন: সেই পোস্টের আপনার করা কমেন্টের উওর টা এখানে দিচ্ছি,



ব্যাপারটা হচ্ছে সবাই কিন্তু আপনার মত সহজ ভাবে সমালোচনা নিতে পারেনা।বিশেষ করে এই ব্লগের অধিকাংশ মেয়ে ব্লগার ব্যাপারটা নিতে পারেনা।:) এবং তাদের পোস্টে যারা সব সময় খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকে যেসব পুরুষ ব্লগার তারাতো টোটালি মেনে নিতে পারেনা;তাই আপনাকে আমার পোস্টে বলেছি কিন্তু আপনার পোস্ট বলিনি;কারণ,এখন আর ব্লগে ক্যাচাল করতে ভাল লাগেনা।যা করার আগেই করে ফেলেছি ।অনেক দিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখছি,কিছু কিছু নারী ব্লগার আছেন ওনারা নিজেকে নারী পরিচয় দিয়ে এক্সটা সুবিধা নিতে চান আবার কিছু কিছু ব্লগার আছে নারীদের তেল মেরে কমেন্ট নারী ব্লগারদের প্রিয় পাত্র হয়ে থাকতে চায়।বোকা মেয়েগুলো বুঝে না প্রশংসার জোয়ারে ভাসতে গিয়ে নিজেদের লেখার মানই কমাচ্ছে।

এই ব্লগে অনেক ভাল নারী ব্লগার আছেন যারা কোন নারী নিকে নয় ক্লাসিক নিক নিয়ে ব্লগিং করে যাচ্ছেন শুধু লুলদের জন্যই এবং লেখার ধারনীও দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে।

সেই পোস্টে কমেন্ট করলে ক্যাচাল বাড়বে তাই কোনো রকম ক্যাচালে যেতে চাইনা বলেই এই পোস্টে আপনার সেই পোস্টের কমেন্টের জবাব দিয়ে গেলাম।ভাল থাকুন।

০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১০:০৭

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভাই আমিও ক্যাচালকে ভয় পাই। এই জন্য বিতর্কিত পোস্টে কমেন্ট করা থেকে শত হাত দূরে থাকি। কিন্তু শুধু প্রশংসায় কোন কাজ হয় না। অবশ্যই প্রশংসা দরকার। কারণ শুধু ভালো জিনিস কে ভালো বলতে হয়, তা উৎসাহ দেয় আরো লেখার; প্রেরণা যোগায়; কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা লেখার মান উন্নত করে।

হু, ব্লগে হিট হওয়া অনেকেই বিশাল ব্যাপার হিসেবে ধরে, কিন্তু আসলে তা কোন কাজের না। যা হোক, সহ ব্লগার নিয়ে কোন মন্তব্য করবো না; আমার নিজের লেখার দোষের অভাব নাই।
তবে আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনি ভবিষ্যতে যদি কোন আমার লেখা পড়ে ফেলেন, তবে ভুল থাকলে তা শুধরিয়ে দেবেন।

শুভ কামনা।

৬৩| ০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:২৩

তেরো বলেছেন: সেইরকম থ্রিলিং। একবার পড়তে বসছি আর উঠতে পারি নি। আমারে পুরা আটকায় রাখছে।অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু।
:) :)

০২ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:৪২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ধন্যবাদ এত বড় গল্প পুরোটা পড়ার জন্য! :) :)

৬৪| ০৩ রা জুন, ২০১১ ভোর ৪:২২

শাহানা বলেছেন: প্রথম অংশটা হুমায়ুন আহমেদের একটা গল্পের সাথে মিললেও শেষটা অন্য রকম। ভাল লিখেছেন। আফসোস, আয়নাটা ধংস হলো না।

০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: আপু হুমায়ূন আহমেদের কোন গল্প? মনে তো করতে পারছি না, কিন্তু যেহেতু মিলেছে, তারমানে পড়েও থাকতে পারি। অবচেতন মনে সেখান থেকেই কিছু মিলে গেছে কিনা কে জানে!
একটু গল্পের নামটা দেবেন প্লিজ। :#> :#>

শয়তানি শক্তি এত সহজে শেষ হয়না, তাই আয়না ধ্বংস হয়নি!

পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু! :)

৬৫| ০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৪০

পটল বলেছেন:


জটিল :) :) :)

গল্পটার প্রতিটা মুহূর্তই পাঠককে টেনে নিয়ে গেছে :)



(বুড়িগঙ্গার পানিতে চুবানোর জন্য না কিনতু! :D )

০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: হাহাহা, না না বুড়িগঙ্গা বাদ! :P :P

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য!

৬৬| ০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৬

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: আজ আমি পড়ে শেষ করলাম। অসাধারন লিখেছেন । :)

০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

ত্রিনিত্রি বলেছেন: এত বড় লেখা পড়তে পারলেন? :P :P

আমি আসলেই আশা করিনি আপনি পড়ে সারতে পারবেন। :) ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!

অনেক খুশী!

৬৭| ০৩ রা জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৬

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: পড়লাম। আপনি এত সুন্দর করে লিখলেন আর আমরা পড়তে পারবো না?


শোনেন
আমার না জ্বর আসে।
গতবছর জুলাই মাসজুড়ে জন্ডিসে ভুগছিলাম। গ্যাসের সমস্যাও আছে।

মরে গেলে কিন্ত আর কবিতা লিখতে পারবো না। :(

০৩ রা জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ওহ, এই জন্য আপনি সেদিন আমাকে লিভারের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করছিলেন? জ্বর আসছে মানেই যে আবার জন্ডিস, তা নয়। কারন ভাইরালের জন্যও এখন অনেকেরই জ্বর হচ্ছে।

আপনি ভাই আবার ডাক্তারের কাছে দৌড়ান। জন্ডিস বিচ্ছিরি রকম অসুখ। :| :|

না না, এত সকালে আপনাকে মরতে দিচ্ছে কে? অন্ধ উঁইপোকার তো এখনো জন্মই হলো না!

৬৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ১২:০০

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: এই যে অন্ধ উইপোকা Click This Link

০৪ ঠা জুন, ২০১১ রাত ১২:৫০

ত্রিনিত্রি বলেছেন: কবি গ্যাসুর কি হলো বলেন তো যে তার রুয়াদে হতে হলো? :-* :-*

৬৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৩

গ্যাব্রিয়েল সুমন বলেছেন: রু আদে সাহেব এক বার্তায় জানালেন উনার কাব্য নিয়ে যেন আমি নাড়াচাড়া না করি। উনি নিজেই ব্লগে প্রকাশ করতে চান তার পুরো বইয়ের পান্ডুলিপি। :)

০৪ ঠা জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :) :) ব্যাপার খারাপ না। রু আদে নামের মাঝে ভাবজ আছে। আচ্ছা, রু আদে সাহেবের ব্লগে গিয়েই পড়ে আসবো।

৭০| ১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১৯

বুিড়20আমি বলেছেন: অনেক অনেক সুণ্দর হয়েছে......++

১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২১

ত্রিনিত্রি বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

৭১| ৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অহন_৮০ বলেছেন: darun hoise....... :D :D :D ++++

৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে। :) :)

৭২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৪

মে ঘ দূ ত বলেছেন: পড়া শেষ করে একটা মুগ্ধতা নিয়ে বসে আছি। ভাবছিলাম শীঘ্রই হয়তো এই কথাও বুক ফুলিয়ে গর্ব করে বলতে পারবো, "লেখিকা ত্রিনিত্রি, আরে হ্যাঁ চিনি তো। সহব্লগার ছিল যে এককালে। অটোগ্রাফ লাগবে? আচ্ছা আচ্ছা দেখি যোগাড় করতে পারি কিনা"। তখন কিন্তু বলে রাখছি আমাদের মান-সম্মান রাখতে হবে অটোগ্রাফ দিয়ে :)

উপরে মন্তব্যগুলো পড়ছিলাম পড়া শেষ করে। আমারও মনে হয় দারুণ একটা নাটক হতে পারে এই গল্প থেকে। তেমন ভালো কোন পরিচালক পেলে নিঃদ্বিধায় এইটিকে একটা মাস্টারপীস বানিয়ে ফেলতে পারে। অসাধারণ, অভিভূত এক কথায়।

এই পর্বে কেন যেন ভয়টা কম লেগেছে। যদিও এইবারও থেকে থেকে পড়েছি :P। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়ছিলাম যে। শুরুতে পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, ডাক্তার লেখক হওয়ার এই একটা সুবিধা, ডাক্তারি টার্মসগুলো লেখার মধ্যে এমন সহজেই ঢুকিয়ে দেওয়া যায় :(

পরিশেষে বলতে হয় প্রণতি এমন লেখনীকে, প্রণতি এর সৃষ্টিকারককে। ভ্রমন ব্লগের মতোন, ভৌতিক গল্প আরো লিখুন এমন কথা জোড় গলায় বলতে পারছিনা। কারণ তখন তো আর এমন সময় অসময়ে আয়েশ করে বসে পড়া যাবে না :P

মজা করছি। লিখুন অবশ্যই। ভালো থাকুন। ঈদের আগাম শুভেচ্ছা রইলো।

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

ত্রিনিত্রি বলেছেন: :#> :#> :#> আপনি গল্পও পড়ে ফেলেছেন সেটা আশা করনি বটে। তবে রম্য গুলো লিখে আপনার পড়ার জন্য ওয়েট করে থাকি। কারন আপনি যদি বলেন যে তেমন ভালো হয়নি, তার মানে আসলেই ভালো হয়নাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, এত প্রশংসা পেয়ে এক্কেবারে, হিহি, আকাশে উড়তেছি!

হু, এটা সত্য কথা, ভৌতিক গল্প লিখতে হলে ডাক্তার হলে খুবই ভালো হয়। কারন পাঠক অনেক জাতের প্রশ্ন তোলে, ডাক্তার না হলে সবসময় সব ফাঁক ফোকর বন্ধ করার উপায় থাকে না।

আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। আর আপনার মিউজিক গুলা ঈদ আনন্দেকে সত্যি বাড়িয়ে দিচ্ছে। অসাম আপনার চয়েস! মনোমুগ্ধকর।

৭৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:২৯

যাযাবরমন বলেছেন: অসাম, অসাম!
তবে আয়নাটা নদীতে না ফেললেই ভাল হত।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২৮

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ভাঙ্গাও যাচ্ছেনা, নদীতে না ফেলে আর উপায় কি। :)

অনেক ধন্যবাদ।

৭৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

Shama Mehjabin বলেছেন: আয়নাটা নষ্ট হলে খুশি হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.