![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগের আন্দোলন কারীদের বলছি-
তরুণরা দামাল, তরুণরাই কামাল। যখন তরুণের দল এগিয়ে আসে তখন ভেঙ্গে যায় শত প্রাচীরের বিভেদ রেখা। আর তাই পৃথিবীর ইতিহাসে যত বিজয় তা এই তরুণদের হাত ধরেই। এইসব কথা যেমনি স্বর্নময়ী তেমনি তরুণদের ব্যবহার করে অনেক ক্ষমতা লিপ্সু ক্ষমতার মসনদ করেছে বিতর্কিত।
আজ বাংলার দামালরা শাহবাগে জড়ো হচ্ছে কিসের জন্য। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধীদের বিচার। ইতিহাস বলছে, তরুণদের যত প্রতিবাদ তা ছিল সরকারের বিরুদ্ধে, ক্ষমতার পালার বিরুদ্ধে। কিন্তু শাহবাগে কি দেখছি, সরকারের ছত্রছায়ায় যে আন্দোলন গড়ে উঠছে তার লাভবান কে হচ্ছে? আজকের এই তরুণরা? ক্ষমতায় থাকা সরকার না কি বিরোধীদল?
যদি বিরোধী দল হয়ে থাকে তাহলে বলতে হয়, ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাওয়ার নির্লজ্জ অভিশাপ। এই আন্দোলনের সিঁড়ি ব্যবহার করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর তার জন্যই এই আন্দোলনকে উসকে দেয়া। কিন্তু আমরা তা দেখতে পাচ্ছিনা। বরং তারা এই আন্দোলনে বেশ বিব্রত। মাছের কাঁটার মত জামায়াতে ইসলামী তাদের গলায় আটকে আছে। না পারছে তাদের পক্ষ নিতে না পারছে ছেড়ে দিতে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের আগের থেকে দেখছি- ছাত্র জনতা কখনও ছোট ছোট লক্ষ্য নিয়ে রাজপথে নেমে আসেনি। যখন এসেছে তা ছিল বৃহত্তর অভিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই। যেমন- ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন ইত্যাদি। যুদ্ধাপরাধের মত একটি ছোট আন্দোলনে ( ছোট বলছি এই কারণে যেখানে সরকার নিজস্ব উদ্যেগে বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ) সম্পৃক্ত করার কোন যৌক্তিকতা আমি দেখছিনা। 2009 সালে এই সরকার যে বিপুল পরিমানে ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছিল , তাদের কমিটমেন্টই ছিল যুদ্ধাপরাধের বিচার করার। যা তারা শুরু করেছিল। কিন্তু দুইটি রায়ের পর কি এমন হলো যে যুবসমাজকে রাজপথে নামতে হলো তাদের শিক্ষা,চাকুরী ছেড়ে।
ছোট ছোট লাভের কথা বলে যারা আজ যুব সমাজকে নিয়ে এই আন্দোলন চালাচ্ছে তাতে কি সত্যিই কোন লাভ হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে আন্দোলনে শরীক করা। নিজস্ব ও সমমনা দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজি করা, রাজপথ দখল করে যানবাহনে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা নিশ্চয় কোন সত্য আন্দোলনের চিত্র নয়। দেশের মানুষ এর থেকে কি সুফল পাচ্ছে তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।
এবার বলি সরকারের কথা, গত চার বছর ধরে সরকারের একের পর এক ব্যর্থতা, দলীয়লোকদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষন ,খুন রাহাজানি, পদ্মাসেতু, হলমার্ক কেলেংকারী ইত্যাদিতে যখন আকন্ঠ নিমজ্জিত। তখন এই যুবসমাজকে হাতিয়ার করে তাদের সেসব অপকর্ম ঢাকছে। আর তাদের মদদপুষ্ট লোকদের দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি তুলছে। কেউবা সজ্ঞাণে কেউবা না বুঝে তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে।
যার ফলে নির্বাচন সামনে রেখে সরকার একসাথে অনেক শিকার করতে ব্যস্ত হয়েছে। এই ইস্যুতে যেমন বিরোধীদল তাদের আন্দোলন চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে তেমনি সরকারও আবারো ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হচ্ছে। যদিও তাদের সাফল্যের থেকেও ব্যর্থতার পাল্লা ভারী।
আর তাই শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বলছি, যে ইস্যুতে শাহবাগে জড়ো হয়েছেন তা যেন শুধু বিশেষ একটা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে না হয়। দেশের কল্যানকর সকল বিষয়ের প্রতি আপনাদের দাবী তুলে ধরুন। আপনাদের বিভ্রান্তকারীরা আপনাদের সাথেই আছে। আর তাই সাবধান হউন। নিজের এই তারুণ্যের শ্রম হেলায় অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করতে দেবেন না।
নাজমূল হুদা রানা
রিয়াদ
বিকাল- 05:05
17/02/13
©somewhere in net ltd.