![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অমরে একুশে..............\nআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি............\nএকাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। প্রজন্মের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। “রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ” সাঈদী/জব্বার সহ অন্যান্য সকল মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি। জয়বাংলা।
অবেশেষ সব শঙ্কা-ভয় পিছনে ফেলে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছে আজ বদর কমান্ডার যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এই রায় ঘোষণা করেন। এজলাসে এসে প্রধান বিচারপতি বলেন, “পিটিশন ইজ ডিসমিসড।”।
এই বেঞ্চের বাকি চার সদস্য হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
আপিল বিভাগের প্রতিক্রিয়াঃ-
* রিভিউয়ের রায়ে বলা হয়, “উই ফাউন্ড হিম গিল্টি, কনভিকশন ইজ মেইনটেইনেবল।”
* আপিল বিভাগে এ মামলার শুনানির সময় প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষের বিষয়টি আলোচনার জন্ম দেয়। অ্যাটর্নি জেনারেলও শুনানিতে বলেন, যে দুই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে কাসেমের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, তার একটিতে তিনি আপিলে খালাস পেয়ে যান প্রসিকিউটার ও তদন্ত সংস্থার ‘অযোগ্যতার’ কারণে।
*আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার শুনানি পেছাতেও বার বার চেষ্টা করতে দেখা যায় আসামিপক্ষকে। যুদ্ধাপরাধের অন্য মামলার রিভিউয়ে যে সময় লেগেছে, মীর কাসেম আলীর ক্ষেত্রে তার দ্বিগুণ সময় ব্যয় হয়েছে বলে অ্যাটর্নি জেনারেলের তথ্য।
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লক্ষ আত্মা আজ শান্তি পাবে রায়ের চুড়ান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
অঢেল টাকা তাকে আর বাঁচাতে পারলনা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য্য প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য হাজার কোটি টাকা খরচকারী জামায়তে ইসলামীর মূল অর্থের যোগানদাতা হল এই কুলাঙ্গার যার নির্মম নৃশংসতার কারনে চট্টগ্রামবাসী তাকে ''বাঙ্গালী খান'' বলে ডাকত। মিলিয়ন ডলার লবিস্টম্যানরে বিচার নিয়ে অনেক সন্দিহান ছিল, যে টাকার অনেক ক্ষমতা। সন্দেহের অনেক কারণ ছিল আপিল বিভাগের চুড়ান্ত রায়ের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এর রায়ে পাঁচটি রায়ে এত বেশি সময় লাগেনি। জাতীসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালর স্থানান্তরে বিচার বিভাগের চিঠি, সর্বশেষ মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী জন কেরির বাংলাদেশ সফর। সেই টাকার ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে আজ আইনের বিচার সুপ্রতিষ্ঠিত হল।
যদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর বিচারকার্য্যঃ
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মীর কাসেমকে গ্রেপ্তার করে। ২০১২ সালের ১৭ জুন ২০১১ সালের ১৬ মে রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ৫ সেপ্টেম্বর/২০১৩ খ্রিঃ তাঁর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৪ জন ও আসামিপক্ষে তিনজন সাক্ষ্য দেন। ২৩ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। গত ৪ মে/২০১৩ খ্রিঃ দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়। ০২ নভেম্বর/২০১৪ খ্রিঃ রায় ঘোষণা করলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “ডালিম হোটেলে ঘটে যাওয়া সবধরনের অপরাধের ব্যাপারে সবকিছুই জানতেন মীর কাসেম। এসব অপরাধে তার ‘কর্তৃত্বপূর্ণ’ অংশগ্রহণও প্রমাণিত। ফলে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪ (২) ধারা অনুযায়ী তিনি ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃত্বের’ দোষে দোষী।”
ব্রেকিং নিউজ- মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী কুখ্যাত রাজাকার আল-বদর নেতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির আদেশ।
মীর কাসেমের আইনজীবী আপিল করে ৩০ নভেম্বর/২০১৪ খ্রিঃ
আপিল বিভাগের ফাঁসির রায় প্রদান ০৮ মার্চ ২০১৬ খ্রিঃ।
০৬ জুন/২০১৬ খ্রিঃ আপিল বিভাগের পূর্ণঙ্গ রায় প্রকাশ।
ঐ দিনেই মৃত্যু পরোয়ানা জারি।
পূর্ণাঙ্গ রায় পুনবিবেচনার আবেদন ১৯ জুন/২০১৬ খ্রিঃ।
রায় পুনবিবেচনার শুনানি শুরু হয় ২৪ আগস্ট/২০১৬ খ্রিঃ
রায় পুনবিবেচনার শুনানি শেয় হয় ২৮ আগস্ট/২০১৬ খ্রিঃ
রায় পুনবিবেচনার আদেশের দিন ধার্য্য করা হয় ৩০ আগস্ট/২০১৬ খ্রিঃ
আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় নিম্নরুপঃ-
০৮ মার্চ ২০১৬ খ্রিঃ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে রায়ের আদেশ ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিন্্হা।
রায়ে বলা হয়, মীর কাসেম আলীর আপিল আংশিক মঞ্জুর করে ৪, ৬ ও ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আর ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আপিল নাকচ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ই বহাল রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে হত্যার দায় থেকে এই জামায়াত নেতা অব্যাহতি পেলেও ১১ নম্বর অভিযোগ সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং আপিলের বিভাগের রায়ের সারমর্মঃ-
অভিযোগ ১ - খালাস, আপিল বিভাগে বিবেচিত হয়নি।
অভিযোগ ২- ২০ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগে২০ বছরের কারাদণ্ড বহাল।
অভিযোগ ৩- ৭ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগে ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল
অভিযোগ ৪- ৭ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগেখালাস
অভিযোগ ৫- খালাস, আপিল বিভাগে বিবেচিত হয়নি।
অভিযোগ ৬- ৭ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগে খালাস
অভিযোগ ৭- ৭ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগে৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল।
অভিযোগ ৮- খালাস, আপিল বিভাগে বিবেচিত হয়নি।
অভিযোগ ৯- ৭ বছরের কারাদণ্ড, ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল।
অভিযোগ ১০- ৭ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগে ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল।
অভিযোগ ১১- ফাঁসি, আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল
অভিযোগ ১২- ফাঁসি, আপিল বিভাগে খালাস।
অভিযোগ ১৩- খালাস, আপিল বিভাগে বিবেচিত হয়নি।
অভিযোগ ১৪- ১০ বছরের কারাদণ্ড, আপিল বিভাগে ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল।
অভিযোগ ১১: ১৯৭১ সালে ঈদুল ফিতরের পরের যে কোনো একদিন মীর কাসেমের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম শহরের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে অপহরণ করে আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেলে নিয়ে যায়। তাকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ফলে জসিমের মৃত্যু হলে আরো পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশসহ তার মৃতদেহ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াঃ-
* ন্যায্যতার কাছে অর্থ-বিত্তের পরাজয় হলো- গণজাগরণ মঞ্চ।
* রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাসেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, “যে সাক্ষ্য প্রমাণ তৈরি করা হয়েছে, আদালত সেই মিথ্যা প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সাজা দিয়েছেন। আদালতের আর গত্যান্তর ছিল না। আইনটি এমনভাবে করা হয়েছে যে ‘হিয়ার, সে’ এভিডেন্সও মানতে হবে।”
* কাসেম এখন প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না- সে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, “ওইখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আই অ্যাম এ লইয়ার, ফাইটিং ফর ল।”
*অন্যদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, “যে আশা নিয়ে সমগ্র জাতি ছিল এবং আমি ছিলাম, আজ তা পূর্ণ হয়েছে।”
বাঙ্গালী খানের ''ডেথ ফ্যাক্টরি'' ডালিম হোটেল।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে সেই ডালিম হোটেলকে বলা হয় ‘ডেথ ফ্যাক্টরি’।
ছবি সূত্রঃ বিডিনিউজ ২৪।
আপিল বিভঅগের চুড়ান্ত রায় সমুহঃ-
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের দেয়া সপ্তম রায় ছিল।
আপিল বিভাগে যুদ্ধাপরাধ মামলায় এর আগের ছয়টি রায়ের মধ্যে চারটিতে
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার ১২ ডিসেম্বর/২০১৩ খ্রিঃ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ১১ এপ্রিল/২০১৫ খ্রিঃ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ২২ নভেম্বর/২০১৫ খ্রিঃ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ১১ মে/২০১৬ খ্রিঃ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ২২ নভেম্বর/২০১৫ খ্রিঃ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আপিল বিভাগের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর দুই পক্ষের করা রিভিউ আবেদন এখন নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
আপিল বিভাগের শুনানি চলার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযম (ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়। ) ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের (ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়। ) মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপিলের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীরা হলেনঃ-
আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার,আশরাফুজ্জামান খান, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন, এম এ জাহিদ হোসেন খোকন রাজাকার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ঃ-
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৫ টি মামলার রায় দেন।
৪৪ জন সাজা প্রাপ্ত আসামী।
২৭ জনের সর্বোচ্চ সাজা(ফাঁসি) আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের চুড়ান্ত রায়ের পরিসংখ্যানঃ-
৭টি মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে।
১টি মামলা পুনর্বিবেচনায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
৫ টি মামলার চুড়ান্ত রায় কার্য্যকর।
সর্বশেষ প্রাণভিক্ষাঃ-
সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে শেষ সুযোগে দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন।
এক নজরে বাঙ্গালি খান।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর কাসেম ১৯৮৫ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অর্থাৎ মজলিসে শূরার সদস্য হিসেবে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার।
এ মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ মীর কাসেমকে আখ্যায়িত করেছে পাকিস্তানের খান সেনাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হওয়া ‘বাঙালি খান’ হিসাবে, যিনি সে সময় জামায়াতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা উঠে এসেছে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগের রায়ে।
একাত্তরে মীর কাসেমের নির্দেশেই চট্টগ্রাম টেলিগ্রাফ অফিস সংলগ্ন এলাকায় হিন্দু মালিকানাধীন মহামায়া ভবন দখল করে নাম দেওয়া হয় ডালিম হোটেল। সেখানে গড়ে তোলা হয় বদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঘাঁটি এবং বন্দিশিবির। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে সেই ডালিম হোটেলকে বলা হয় ‘ডেথ ফ্যাক্টরি’।
সুপ্রিম কোর্ট ৬ জুন আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করলে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে, পরদিন তা পড়ে শোনানো হয় যুদ্ধাপরাধী কাসেমকে।
এরপর আইনে নির্ধারিত ১৫ দিন সময় শেষ হওয়ার আগেই গত ১৯ জুন আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন মীর কাসেম। সেই রিভিউ আবেদনের ওপর ২৪ ও ২৮ অগাস্ট দুই দিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করল। যার মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটল যুদ্ধাপরাধী কাসেমের বিচার প্রক্রিয়ার। তথ্য সূত্রঃ- বিডিনিউজ ২৪
"রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ"
জয়বাংলা।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
তুহিন সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।
"রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ"
জয়বাংলা।
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আহা! আরেকটা পাকি খালাস হবে!
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
তুহিন সরকার বলেছেন: প্রতীক্ষায় রইলাম.....
"রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ"
জয়বাংলা।
৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৪
শুভ্র বিকেল বলেছেন: কলঙ্ক মুক্তিতে আরো এক ধাপ এগিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: জয় বাংলা!