![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি মেঘ, মেঘমালা.......
প্লেটোর মতবাদ 'প্লেটোনিজম' থেকেই প্রেমের একটি পর্যায়ের নামকরণ করা হয়েছে প্লেটোনিক লাভ বা প্লেটোনিক প্রেম। প্লেটোনিক ভালোবাসা বা বায়বীয় ভালোবাসা হলো সেই শুদ্ধতম ভালোবাসা যাতে কামনা বাসনার কোনও স্থান নেই। এটি এমন এক প্রকার ভালোবাসার কথা যাতে প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসার সর্ব্বোচ পর্যায়ে প্রবেশ করবে কিন্তু শরীর নামক বস্তুটি থাকবে অনুপস্থিত। যে প্রেমে শরীর বিষয়টি অনুপস্থিত অথচ প্রেমের স্বাদ বা রস আস্বাদন করা যায় ষোলো আনা, এমন প্রেমই একমাত্র প্লেটোনিক প্রেম বা বায়বীয় ভালোবাসা হিসেবে পরিগণিত হবে। এ ভালোবাসা কামগন্ধহীন, কেবলই নিজেকে বিলিয়ে দেয় পরিবর্তে নেয় না কিছুই। এমন নিষ্কাম প্রেম, যে প্রেম রাজাধিরাজের মতো দু’হাত ভ'রে শুধু দিয়ে যায়, নেয় না কিছুই। যাকে লাভ করার জন্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর দুঃসহ যন্ত্রণাসমূহও সহ্য করতে হয় মুখ বুজে। বিনিময়ে কখনও কখনও কপালে জোটে ব্যর্থ প্রেমিকের অপবাদের ছাপ! প্রেমের জন্য স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে নিজের জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়-প্রেমের এমন ভয়ঙ্কর রূপের নামই তো প্লেটোনিক লাভ! যেখানে প্রেমিকের শরীরের গন্ধই প্রেমিকাকে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট তার উপস্থিতির দরকার পড়ে না। এরূপ ভালবাসায় থাকে না কোনও চাহিদা, থাকে কেবল অনন্ত ভালোবাসা। যৌনতার কোনও স্থান নেই প্লেটোনিক ভালোবাসায়। এ প্রেম ভালোবাসার সর্ব্বোচ পর্যায়। এ এক প্রচণ্ড ভালোবাসা যখন প্রেম কে মনে হয় স্বর্গ সুখ। লালন সাঁইজী তাঁর গানে বলেছেন-“প্রেম কর আত্মার সনে, দেশের সনে নহে” ; ভালোবাসা বা প্রেম একটা অনুভূতি। অনুভূতির সূচনা হয় কি করে এর উত্তর দুর্ভেদ্য ও রহস্যময়। আর অনুভুতির ব্যাখ্যা ও যারপরনাই জটিল। অনেক মানুষ আছে যাদের বাহ্যিক বা শাররীক আবেদন মোহনীয় নয় কিন্তু মনের দিক থেকে বিশাল ও উচ্চতর মানসিক সৌন্দর্যের অধিকারী। সেই উচ্চতর সৌন্দর্যের অধিকারী মানুষের মন ছুঁতে পারাটাই প্লেটোনিক লাভ। যেখানে কোনও প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষার ছোঁয়া থাকেনা, থাকে শুধু অনির্বচনীয়তা আর অনুভুতি। তখন ভালোলাগা আর সুন্দর একই বিন্দুতে মিলিত হয়। যারা প্রেম বলতে শুধুই শরীরকে ভাবেন, তাদের কাছে এমন প্রেমের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু বিশুদ্ধ প্রেমে যাদের আস্থা, যারা শরীরিক সম্পর্কের বাইরেও এই অনুভুতির স্বাদ পায়, তাদের কাছে এটি একটি উচ্চতর মানসিক প্রাপ্তি। তবে কিন্তু প্লেটোনিক প্রেম নিতান্তই অবাস্তব নয়। চাইলেই সম্ভব l
ধারণা ও তথ্যসূত্রঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Platonic_love
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
সাইফুল তুহিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
তার আর পর নেই… বলেছেন: প্লেটোনিক লাভ পইড়া খুব ভাল্লাগছে। একটা প্রশ্ন ছিল।
ধরেন, এইরকম ভালবাসা হইলো, তারপর ওরা দুইজন বিয়ে করে ফেললো। তারপর কি হবে?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
সাইফুল তুহিন বলেছেন: আসলে প্লাটোনিক লাভ কনসেপ্টটার মধ্যে শারীরিক চাহিদা নয়, আত্নার চাহিদা বা অনুভুতিকেই প্রধান্য দেয়া হয়েছে।
এখানে প্রত্যাশা নামক শব্দটা সম্পূর্ণ অনুপুস্থিত।
যেহেতু তারা বিয়ে করেই ফেলল, সুতরাং এই স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ তাদের কমে এসেছে।
আপনার নামের মত করেই বলি, তার আর পর নেই.......
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: লালন সাঁইজী তাঁর গানে বলেছেন-“প্রেম কর আত্মার সনে, দেশের সনে নহে”
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
তার আর পর নেই… বলেছেন: হাহাহাহাহা, ভালোই বলছেন। তাহলে সব প্রেমিকযুগল কে পরামর্শ দেওয়া দরকার। দেখো, প্রেম করো, কিন্তু বিয়ে কইরোনা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০১
সাইফুল তুহিন বলেছেন: না, তা নয়। বিয়ে তো সার্থক প্রেমেরই শেষ পরিনতি।
প্রেমের ক্ষেত্রে শারীরিক চাহিদাকে সবচেয়ে বড় করে না দেখে অনুভব করতে পারাটাই মুখ্য।
যেখানে যেখানে প্রেমিকার প্রতিটি নিঃশ্বাসে প্রেমিকের অনুভব থাকবে।
যেখানে প্রেমিকার শরীরের গন্ধই প্রেমিককে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট তার উপস্থিতির দরকার পড়ে না।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৯
মুক্তকণ্ঠ বলেছেন: যেখানে প্রেমিকার শরীরের গন্ধই প্রেমিককে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট তার উপস্থিতির দরকার পড়ে না।
উপস্থিতি ছাড়া গন্ধ পাইবেন ক্যামনে? গন্ধ কি বোতলে কইরা রাইখা দিবেন?
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
সাইফুল তুহিন বলেছেন: বায়বীয় যেহেতু বলা হচ্ছে, তাহলে তো ব্যাপারটা অনুভুতির, কি বলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: আমার তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ হলো আপনার লেখনির ছোঁয়ায়।