![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পুরাতন লেখা গুলো পড়লে বিষণ্ণ বোধ করি! দীর্ঘশ্বাস হয় গল্প গুলোর জন্য! এরকম কিছু গল্পের প্লট মাথায় আসে ঠিকই, কিন্তু লিখে ফেলার স্পৃহা হয় না কেন যেন! আমি হয়তো আর লিখতে পারিনা বা লিখতে চাইনা, যাই হোক, দু ক্ষেত্রেই ব্যর্থতা শুধু আমার!
উৎসর্গ
“............ জীবন বয়ে চলবে। আবার এক নতুন গল্প শুরু হবে নতুন চিত্রলেখা কে নিয়ে। কোন এক লেখক লিখবেন নতুন গল্প, আশা ও আনন্দের এক অপূর্ব সঙ্গীত।” - হুমায়ূন আহমেদ, মেঘ বলেছে যাব যাব।
আজ এই বইটা পড়লাম। পড়ার পর থেকে অদ্ভুত অস্থিরতা হচ্ছে! কেন যেন মনে হচ্ছে লেখক সত্যিই চান কেউ নতুন করে লিখুক চিত্রলেখা কে নিয়ে! তাই এভাবে শেষ করেছিলেন বইটা। তখন থেকে ছটফট করছি লেখার জন্য! হাত কাপছে, ভয় হচ্ছে! পারব তো আমি! উনি রাগ করবেন না তো! ওনার সব ভক্তরা তেড়ে আসবে নাতো!! সব ভয় ঝেড়ে লিখতে বসে গেলাম। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা আমার জীবনের প্রথম বইটা (যদি আদৌ বের হ্য়!ক্ষিন আশা মনে, তবু থাকতে দোষ কি!) আমি আমার প্রিয় লেখক কে উৎসর্গ করব, উনি যেমন সবাইকে খুব আয়োজন করে উৎসর্গ করেন ঠিক তেমন করে! আমার প্রিয় লেখক আজ অসুস্থ! কোন এক দূর দেশে তিনি চিকিৎসারত! জানিনা আমার শুরু করা উপন্যাস কবে শেষ হবে! বা আদৌ শেষ হবে কিনা! তাই ভাবলাম ওনার কথা মতই লিখি নাহয়! তাই সমস্ত সাহস সঞ্চার করে নতুন চিত্রলেখা কে নিয়ে নতুন করে লেখা শুরু করলাম। যেহেতু লেখার প্লট একি, বেজ টা একি তাই কৃতজ্ঞতার সাথে এবং ক্ষমা চেয়েই আমি এই সৃষ্টির(!!) নাম পরিবর্তন করছিনা। আমার লেখাটি যদি আপনি কখনও পড়েন আর আপনার যদি খুব রাগ হয় , তাহলে ঠিক আছে। সব মাথা পেতে নেব, কিন্তু তারআগে আপনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। আপনি আরও হাজার বছর বাঁচুন, যাতে আমরা আপনার সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত না হই।
আর সামুর যারা পড়ছেন তাদের বলছি, আমি অনেকটা দুঃসাহস করেই লেখাটা দিচ্ছি! মনে অনেক ভয়! নাজানি আপনাদের কেমন লাগবে! হয়ত আপনারা রাগ করবেন এই বলে যে আমি কেন এটা লিখছি!! তাদের কাছে আগে থেকেই দুঃখিত। যদি খুব খারাপ লাগে তাহলে পরের অংশ যা লিখব আর পোস্ট করবনা। এটাও ড্রাফটে নিয়ে নেব নাহয়!
চিত্রলেখা জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। তার চোখ আটকে গেছে আকাশের সাদা মেঘ গুলোর উপর। সে কিছুতেই তার চোখ মেঘের উপর থেকে সরিয়ে নিতে পারছেনা। সে এতদিন তার এপার্টমেন্ট এর জানালা দিয়ে মেঘ দেখেছে, যেখান থেকে মেঘ গুলো শুধু ছুটে বেড়াত, কিন্তু আজ সেও মেঘের সাথে ছুটছে! তার খুব ইচ্ছে করছে মেঘ গুলো ছুয়ে দিতে, কিন্তু সেটা সম্ভব না কারন প্লেনে জানালা খোলার কোন সিস্টেম নেই। তবুও সে তাকিয়ে আছে মুগ্ধ চোখ নিয়ে। মেয়ের এই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা দেখছে শম্পা। মা, মেয়ের দিকে তাকিয়ে লিটনের হাসি পেয়ে গেল। দুজনেই এত মনযোগ দিয়ে কি দেখছে কে জানে!! লিটনের খুব ইচ্ছা হল এই মুহূর্তে একটা কিছু বলে শম্পাকে রাগিয়ে দিতে, শম্পা টা এখনও আগের মতই আছে। বিয়ের প্রায় ১৫ বছর হয়ে গেল তবুও! সেই আগের মতই ছেলেমানুষি রাগ, অভিমান!! তাঁর মাঝে মাঝে চিত্রলেখা কেও শম্পার থেকে বেশি mature মনে হয়!! সে আর কিছু বলল না। থাক, মা মেয়ে মনযোগ দিয়ে যা দেখছে দেখুক নাহয়। তাদের এক সাথে তেমন কোথায় যাওয়া হয়না, মেয়ের পড়াশুনা নিজের চাকরি এসবের জন্য। এবার কেমন করে যেন হয়ে গেল। অবশ্য তাঁর নিজের থেকে চিত্রলেখার দেশে যাওয়া নিয়ে বেশি আগ্রহ। আজ ১৫ বছর যাবত তাঁরা দেশের বাইরে, দেশে সেরকম আত্মীয় স্বজনও নেই যে তাদের জন্য আসবে। অবশ্য তাঁর নিজেরও একটা কৌতুহল আছে যেটা সে এখনও শম্পা বা চিত্রলেখা কে বলেনি। সময় হলেই বলবে।
চিত্রলেখার খুব ইচ্ছা সে দেশে আসবে, যে মানুষটি তার নাম রেখেছে তাঁকে দেখবে। ছোটবেলা থেকে সে হাসান এর নাম শুনে শুনে বড় হয়েছে, মা বাবার কাছে কত যে গল্প শুনেছে তার ইয়ত্তা নেই। কিভাবে জানেনা, ছোটবেলা থেকেই মানুষটার উপর তার কেমন যেন মায়া হয়ে গেছে! সে জানে মানুষটা বেঁচে নেই, তবু সে তাঁর জন্যেই দেশে আসছে, সে একবার হলেও একটি বারের জন্যও হলেও তাঁর কবরে ভালবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে একটি গোলাপ রাখতে চায়।
চিত্রলেখা ভেতরে ভেতরে খুব উত্তেজিত। কিন্তু সেটা সে প্রকাশ করছেনা। বড় বড় চোখ করে এদিক ওদিক দেখছে। তাদের রিসিভ করতে আসবেন শম্পার মামাতো বোন শায়লা ও তাঁর husband মুনির। তাদের বিয়ের কয়েক মাস হয়েছে। বিয়েতে আসা হয়নি, এবার দেশে আসছে শুনে শায়লা বারবার করে বলে দিয়েছে যেন ওদের ওখানেই উঠে চিত্রলেখারা। চিত্রলেখা দেখল তাদের দিকে তাকিয়ে দুজন হাসি মুখ করে হাত নাড়ছে। চিত্রলেখার দুজনকেই বেশ পছন্দ হল, দুজনেরি কেমন সুখি সুখি চেহারা!
শায়লাদের বাসা মহাখালিতে। রাস্তায় জ্যাম কম থাকায় অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তাঁরা বাসায় পৌঁছে গেল। শায়লাদের বাসাটাও চিত্রলেখার বেশ পছন্দ হল। ছোটখাটো কিন্তু খুব গুছানো বাসা। ঢাকা সুইজারল্যান্ডের মত গুছানো নয় তবু তার খারাপ লাগছেনা। সবকিছুই ঠিকঠাক কিন্তু চিত্রলেখা গরম টা সহ্য করতে পারছেনা। তার খালামনি বলেছে এসময় নাকি একটু গরম বেশি থাকে কিন্তু বৃষ্টি হলেই কমে যাবে। সে এখন বৃষ্টির অপেক্ষা করছে। মা,বাবা, খালামনি,খালু রা মিলে গল্প করছে। সে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া সেরে এসে তার নোটপ্যাড নিয়ে বসেছে আর খালুর থেকে তাঁর মডেমটাও নিয়ে এসেছে। এখন সে ফেসবুকে গিয়ে লিসার সাথে যোগাযোগ করবে। লিসা তার বেস্ট ফ্রেন্ড। নিশ্চই লিসাও তাকে খুব মিস করছে! সে লগইন করেই দেখল লিসা অনলাইন। সে লিসা কে নক করল-
‘হাই লিসু(খুব খুশি)’
‘হাই চিত্রু(খুব রাগী)’
‘মিস করছিস না?’
‘না একদম না (কপট রাগে মিথ্যা বললাম।)’
‘রাগ ঝেড়ে ফেল, শোন, কাল হাসান চাচুর বাসায় যাব। খুব excited!!!’
‘সত্যি বলছিস!! তোর মনের আশা পূরণ হয়ে গেল রে!’
‘কাল হবে। এখনও হয়নি। তোর জন্য কি নিয়ে আসব বল?’
‘বাবা বলেছে আমি কোন বিদেশি কে বিয়ে করতে পারবনা, অবশ্যই বাঙালি বিয়ে করতে হবে, তুই বরং দেশ থেকে একজন কে নিয়ে আসিস। ’
‘যাহ পাজি!’
‘যাবই তো! শোন মাম ডাকছে, এখন যাই। পরে কথা হবে। আর শোন, বাংলাদেশের ছেলেরা নাকি খুব সুইট হয়, পারলে একটা প্রেম করিস :p’
‘আমি তোর মত নাকি!! যা ভাগ বাই :/ ’
‘:p, ওকে বাই রে। ’
লিসা চলে গেল। চিত্রলেখা অফলাইন আপিয়ার করে দিল। নাহলে কেউ না কেউ নক করেই যাবে। সবার সাথে অহেতুক প্যাঁচাল পারতে তার ভাল লাগেনা। সে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। চাঁদনী রাত। কিন্তু আকাশে মেঘ আছে। কালো কালো মেঘ। মেঘ গুলো স্থির না, সবাই এক সাথে দল বেধে ভেসে বেড়াচ্ছে। হঠাৎ তার মাথায় একটা লাইন আসলো, সে কিছু না ভেবেই সেটা স্ট্যাটাস দিয়ে দিল। সে জানে তার ফ্রেন্ড লিস্টে বাংলা বুঝে এমন মানুষ নেই বললেই চলে, তবু দিয়ে দিল-
“মেঘ বলেছে যাব যাব!!!”
মেঘ দেখতে দেখতে হাসান চাচুর বাসায় কে কে থাকতে পারে এই চিন্তা করতে করতেই সে ঘুমিয়ে গেল।
লিটন ঘুম থেকে উঠে MAHITI CONSTRUCTION CO: এর মতিঝিল শাখায় ফোন করে তার জন্য একটা গাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলল। সে প্রায় ১৪ বছর আগে এই কোম্পানির সিঙ্গাপুর শাখায় একজিকিউটিভ অফিসার প্রডাকশন ডিপার্টমেন্টে জয়েন করেছিল। এখনও সে নিজে একজন বড় অফিসার হিসেবে কোম্পানিতে আছে। আগের সময় টুকুন চিন্তা করলে তাঁর অবাক লাগে!! সে ছিল চাল চুলোহীন একজন। বিয়ের পর পড়ে গেল সমস্যায়! চাকরি হীন অভাবের জীবন! শম্পা এক খানে সে এক খানে!! কিভাবে কিভাবে যেন তাঁর চাকরি হয়ে গেল!! তাঁর তেমন কোন লিংক ছিল না যে তাকে ডেকে কেউ চাকরি দেবে! তবুও হয়ে গেল! এ বাপ্যারে সে খোঁজ করার চেষ্ঠা করেছে। খুব বেশি কিছু জানতে পারেনি, শুধু এই জেনেছে যে তাঁর চাকরি হয়েছে হিশামুদ্দিন গ্রুপ অব ইণ্ডাস্ট্রিজের মালিক হিশামুদ্দিন সাহেবের সুপারিশে!! সে আজও জানেনা এই ভদ্রলোক কে!! কেনই বা উনি তাঁর চাকরির জন্য সুপারিশ করেছেন! সেই কৌতূহল মেটাতেই তাঁর দেশে আসা, আর খুব ইচ্ছা সে নিজে গিয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আসবে। সেজন্য সে অফিসে বলে রেখেছিল এ ব্যাপারে খোঁজ খবর করতে, অফিসে গেলেই সবকিছু জেনে ঠিকানা নিয়ে যাবে একদিন ভদ্রলোকের বাসায়।
টগরের আজ ঘুম ভাঙতে দেরি হয়ে গেল। সে উঠে দেখে পলাশ এখনও পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। সে জানে পলাশ ১১ টা ১২ টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকবে। সে এবছর কলেজে ভর্তি হল। পলাশেরও ভর্তি হবার কথা, কিন্তু পলাশ বরাবরই পড়াশুনায় অমনযোগী। সে এসএসসি পরীক্ষায় অংকে ফেল করেছে! তাই তাকে আবার পরীক্ষা দিতে হবে! অনেকেই তাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে যে দু ভাইয়ের এক ভাই যদি গোল্ডেন জিপিএ ৫ পায়, অন্যজন কি করে একবারে ফেল করে!! টগর অবশ্য কারণটা জানে! তাদের সৎ মায়ের সংসার! তাদের বয়স যখন ৫ ছিল তখন তাদের বাবা লাবনি নামের একজন কে বিয়ে করে নিয়ে আসেন, আর তাদের মা রিনা অনেক আগেই বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন! অবশ্য এসব তার অত স্পষ্ট মনে নেই, সব তাদের ফুপু লায়লার থেকে শোনা। এসব মনে করতে তার ভালও লাগেনা কারন সেই সময়টা খুব খারাপ! সেই একি সময় হাসান চাচা মারা যান, সেই একি সময় থেকে রকিব চাচা নিখোঁজ, সেই একি সময়ে দাদিমা বাবার উপর রাগ করে সেই যে বড় ফুপুর বাড়ি গিয়েছিলেন আর ফিরে আসেননি। মায়ের সাথেও যোগাযোগ বন্ধ সেই সময় থেকেই!! এসব ভাবলেই টগরের খুব কষ্ট হয়। তার উপর সৎ মায়ের অত্যাচার! সারাদিন খারাপ ব্যবহার, কথা শোনানো আরও কত কি!! এসবের মধ্যে থেকে খুব কম মানুষই পারে ভালও রেজাল্ট করতে! সে পেরেছে কিন্তু পলাশ পারেনি!! এজন্য তার পলাশের উপর কোন রাগ নেই। পলাশের দিকে তাকিয়ে তার মায়া লাগছিল। এসময় লাবনির চিৎকার শুনতে পেল বাইরে,
‘এই যে, লাটসাহেবেরা, দয়া করে উঠুন, উঠে নাস্তা খেয়ে আমাকে ধন্য করুন। যতসব লাটসাহেবি! বাপের জায়গা মত চাম নাই, আর ব্যাটাদের লাটসাহেবি!
কিরে উঠবি, নাকি লাথি দিয়ে দরজা ভাঙ্গব?’
‘এই মহিলাকে কোনদিন যেন আমি কোপ দেই! সাত সকালে উঠে কচকচানি। ভাইয়া খবরদার দরজা খুলবিনা, দেখি বেটির পায়ে কত জোর!’
‘ছিঃ পলাশ, আমাদের মা হন উনি, আর তুই উঠলি কখন?’
‘কচকচানিতে ঘুমাই কেমনে বলত? আর তোর মা হলে যা গিয়ে কোলে উঠে থাক! যতসব’
‘শোন, শুধু শুধু অশান্তি করিসনা তো, বাবা আসার আগে উঠে পড়।‘
‘সাত সকালে ঐ বাজে লোকটার নাম নিসনা তো। ঐ লোক বউ এর চামচামো ছাড়া আর কি পারে করতে! তুই যা বাইরে আমি আসছি।’
টগর একটা নিঃশ্বাস ফেলে উঠে পড়ল। তাঁরা দু ভাই হাসান চাচার ঘর টা পেয়েছে, এখানে কোন বাথরুম নেই, তাই বাইরে গিয়ে হাত মুখ ধুতে হয়। অবশ্য তাঁরা এ বাসার ছেলে হিসেবে কোন সুযোগ সুবিধাই পাইনি। সব পেয়েছে লাবনির আগের পক্ষের মেয়ে লতা আর এ পক্ষের লুসি। মা টা এরকম হবার পরও লতা আর লুসির সাথে টগরের খুব মিল। দুজনি খুব লক্ষি মেয়ে। এ বাসায় ওদের যা একটু আদর , ভালবাসা আছে তাও ঐ দুজনেরি জন্য। বের হয়েই ওদের সাথে দেখা, দুজনি সেজে গুজে তৈরি স্কুলে যাবে বলে। টগর ওদের দেখে বলল- কিরে লতা পাতা, কই জাস?
বাহ ভাইয়া, তুমি জাননা নাকি! আর আমাকে পাতা বলবানা কিন্তু, আমি রাগ করব।
ঠিকাছে, আমার পাতা আপু, তোমাকে আর পাতা বলবনা কোনদিন।
লুসি রাগ করে চলে গেল।
লতা বলল, ‘হ্যাঁ রে ভাইয়া, মা আজও খুব রাগ দেখাল , নারে???’
‘ধুর বাদ দেত। তুইও কি পলাশ হলি নাকি? যা স্কুলে যা।’
‘মা টা যে কেন এমন করে!!’
লতার মন টা খারাপ হয়ে গেল। ভাইয়া দের জন্য ওর খুব কষ্ট হয়। ও জানে ওরা ওর আপন ভাই না, তবুও ওদের জন্য ওর খুব কষ্ট হয়। মা যে কেন ওদের ভালবাসে না!! কই ওতো ভাইয়া দের আপন বোন না, তবুও তো ওকে ভাইয়ারা কত আদর করে! মা কেন পারেনা!! যত আদর সব শুধু দু বোনের জন্য, কিন্তু ভাইয়া দের দু চোখে দেখতে পারেনা! বাবা টাও অমন! শুধু মায়ের কথা শুনে আর ভাইয়া দের বকাঝকা করে!! লতা লায়লা ফুপুর থেকে শুনেছে ওদের আসল মা রিনা নাকি খুব ভাল মহিলা ছিলেন, ওর খুব ইচ্ছা করে টগর ভাইয়া আর পলাশ ভাইয়া কে ওনার কাছে রেখে আসতে! কিন্তু পারেনা!!
টগর দেখছে লতা মাথা নিচু করে গভীর ভাবে কি যেন চিন্তা করতে করতে গেটের দিকে যাচ্ছে। মেয়ে টাকে দেখে টগরের মায়াই হল! বেচারি! মায়ের ব্যবহারের জন্য নিজে লজ্জিত!! আচ্ছা, এমন হয় কেন মাঝে মাঝে?? লাবনি যেমন, তাঁর মেয়ে গুলোরও তেমনি নিষ্ঠুর হবার কথা! কিন্তু তানা, দুজনি কি মায়াবতী হয়েছে!! প্রকৃতি মনেহয় ইচ্ছা করে এমন করে যাতে সব ব্যাল্যান্স হয়। সে অন্যের ছেলে দের কষ্ট দিচ্ছে কিন্তু তাঁর মেয়েরাও ঐ কষ্ট পেয়ে
যাচ্ছে!!! কি অদ্ভুত! কি অদ্ভুত!!!
এসব অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা করতে করতেই মুখ হাত ধুতে লাগল। এসময় শুনল বাইরে লাবনি আর পলাশের চেঁচামেচি! এ প্রায় রোজকার ব্যাপার! প্রতিদিনই এ দুজনের কিছু না কিছু নিয়ে বেজে যায়! তারপর এক সময় বাবা এসে এতে যোগ দেয়, পলাশের ভাগ্য ভাল হলে বাবার বকা খেয়ে চুপ হয়, ভাগ্য খারাপ হলে মার খেতে হয়! অন্যদিন হলে টগর যেত পলাশকে থামাতে, আজ আর ইচ্ছা করছে না। সে নাস্তা না করেই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল।
বাড়ি থেকে বের হয়ে টগরের কলেজের কথা ভেবে খারাপ লাগা শুরু হল। কলেজে যাওয়া তাঁর জন্য খুব জরুরী কারন বাবা তাঁকে টিউশনির জন্য কোন টাকা দেবেন না, তাই লেকচার গুলো সে মিস করতে চায়না। অবশ্য সে পরে কারও থেকে তুলে নিয়ে স্যারের কাছে নিয়ে গিয়ে বুঝিয়ে নিতে পারে! তাই নাহয় করবে সে!আজ তাঁর কলেজে যাবার মন নেই! সে ভাবছে সাইবার ক্যাফেতে যাবে কিনা। নিজের হাত খরচের জন্য সে একটা টিউশনি যোগার করেছে, ক্লাস ২ এর এক পিচ্চিকে সপ্তাহে চারদিন পড়াতে যায়। মাসে দুহাজার করে পায়। এর বেশির ভাগ টাকাই সে পলাশের পিছে খরচ করে ফেলে! তাই ওর বন্ধু কাব্যকে বলে নেটে ইনকামের একটা ব্যবস্থা করেছে। কাব্য এসব করে ভালই টাকা কামায় , ওর নিজের বাসায় ইন্টারনেট কানেকশনও আছে। সেখান থেকেই ও টগরের জন্য একটা কাজ জুটিয়ে দিয়েছে ডাটা এন্ট্রির। কাজ কিভাবে করতে হবে সেটাও টগর ওর থেকে শিখে নিয়েছে। মাসে কত সময় কাজ করবে সেই অনুসারে পেমেন্ট, সেটাও যায় কাব্যের আকাউনটে। ওখান থেকে কাব্য ওকে টাকা দিয়ে দেয়। যে সময়ে ওর অন্য বন্ধুরা ফেসবুক,মিগ নিয়ে ব্যস্ত সে সময় ও এসব নিয়ে ব্যস্ত! অবশ্য কাব্য জোর করে ওর একটা অ্যাকাউনট খুলে দিয়েছে ফেসবুকে আর বলেছে এসময় ফেসবুকে একটা অ্যাকাউনট না থাকা মানে নাকি আনস্মার্টনেসের ব্যাপার! কিন্তু টগর বুঝে পায়না কেন!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১২
টুকিঝা বলেছেন: হুম, অনেক পুরনো বই। ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশ। আমি আজি পড়লাম। আমিও সময়ের ব্যবধানটা বইয়ে রেখেছি, যেমন এখন কার চরিত্র গুলকে সাজিয়েছি আগের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। এখন কিছু বলার নেই আমার। পড়া শেষ করে কিছু বলতে ইচ্ছা হলে বলবেন আশা করি।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৩১
জগাই মাধব বলেছেন: আমি কিছু দু:স্বাহসী কমেন্টস্ করি।
"খুব excited!!!" "তাঁর husband মুনির" । যেহেতু বাংলা উপন্যাসের ধারাবাহিকতা,,, এগুলো না থাকলেই ভালো।
আর বাংলা সাহিত্যে হুমায়ুন আহমেদ একজন ফলক। কেন যানেন তো। তার বর্ননার স্থিরতা। আপনার লেখার হাত আমার ভালো লেগেছে, কিন্তু স্থিরতা কম। কম্পিউটারে টাইপ করতে গলে একটা মানসিক তাড়াহুরো কাজ করে। আপনি হাতে লিখতে পারেন। পরে কোন দোকান থেকে একবারে টাইপ করিয়ে নিলেই হল। কিন্তু ভাই আর একটু স্টেডিলি লিখেন।
আমার কমেন্টস্ পড়ে রাগ লাগলে মুছে দিতে পারেন। লেখাটি কন্টিনিউ করবেন অবস্যই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৫০
টুকিঝা বলেছেন: আশ্চর্য!!! কেন রাগ করব বলুন তো!! আমি যদি নাই শুনি তাহলে শিখব কিভাবে!!! পরের বার থেকে চেষ্ঠা করব খুব excited!!!" "তাঁর husband মুনির" । এ ধরনের কিছু না রাখার।
কিন্তু স্থিরতা কম।
ঠিক ধরেছেন। প্রথমে ঠিক করেছিলাম অল্প লিখে শেষ করে দেব। কিন্তু জানিনা কেন ভেতরে ঢুকে যাচ্ছিলাম! প্রথমে ইচ্ছা ছিল আজি শেষ করে দেব। তাই একটু তাড়াহুড়া করে ফেলছি! আসলে কি বলব! আজ রাতেই লিখতে বসলাম! মাথায় এই কাজ ঐ কাজের চিন্তা! এখনও ঘুমাতেও যাইনি! কাল ক্লাস আছে! জানিনা উঠতে পারব কিনা! আর টাইপ করার ব্যাপারটা খুব বিরক্তিকর! একি সাথে চিন্তা করা, বিভিন্ন information জন্য বই ঘাটতে থাকা, আবার টাইপ করে যাওয়া!!!! চেষ্ঠা করব পরের বার থেকে স্টেডিলি লেখার।
আমি যদি শুধু ভাল কমেন্ট চাইতাম আর অন্য কমেন্ট এ রাগ করতাম তাহলে পোস্টে কমেন্ট নিতামি না।
আবার যখন লিখব এমন ভাবে যাচাই করবেন আশা করি।
ধন্যবাদ
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৪৬
মেঘের দেশে বলেছেন: দারুন শুরু !! চালিয়ে যান
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৫৩
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাদের সাহসেই আবার লিখব। সাথে থাকবেন কিন্তু অবশ্যই।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০০
মেঘের দেশে বলেছেন: পরের পর্ব কখন আসবে???
আর এই গল্পটা কিন্তু আপনার নিজের হয়তো প্লটটা হুমায়ুন আহমেদের কাছ থেকে আসছে তাই বলে এই লেখাটা লেখার জন্য কারো কথা বা কটুক্তির কেয়ার করবেন না আশা করি।
শুভ ব্লগিং
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৯
টুকিঝা বলেছেন: ভাবছি এখনি লেখা শুরু করব নাকি! তাহলে আর ঘুম হবেনা! কিন্তু তবুও ইচ্ছা হচ্ছে লিখে ফেলি! যখনি লিখব তখনি পেয়ে যাবেন।
আমি তো আগেই সরি বলে শুরু করলাম। আর কারও যদি খুব বেশি খারাপ লাগে তাহলেও কি করব বলে রেখেছি। আর এসব ব্যাপার না, কেউ যদি শুধু লেখার ব্যাপারে কিছু বলতে চায় আমি তা মন দিয়েই শুনব যাতে আমার ভুল গুলো কাটিয়ে উঠতে পারি। এখনও তো শিখছি, এখুনি সমালোচনা ভয় পেয়ে গেলে কোনদিন শিখতে পারবনা।
ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৩
জগাই মাধব বলেছেন: @মেঘের দেশে,,, আমি কি কোন কটুক্তি করলাম?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৪
টুকিঝা বলেছেন: অবশ্যই না।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:১১
মেঘের দেশে বলেছেন: @ জগাই মাধব ...........আরে না না কি বলেন। আমি আপনাকে মিন করি নাইরে ভাই।
লেখিকাই শিরোনামে লিখছে হুমায়ুন আহমেদের ভক্তদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক , এটা তার নিজের লেখা , ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই , তাই বল্লাম। ছোটখাটো ভুল হতেই পারে আর আপনার কমেন্টা লেখিকার জন্যই ভালো । উনি মনে করলে শুধরে নিতে পারবে।
কেউ কেউ আছে হুদাই ক্যাচাল করে হয়তো বললো হুমায়ন হইতে চায় কিংবা তার ধারে কাছেও যায় নাই । তাদের কথাই বলছি।
ভুল বোঝাবুঝির জন্য সরি ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৯
টুকিঝা বলেছেন: হাহাহা, হুম ধন্যবাদ!!! আপনার কথা শুনে হাসি পাচ্ছে!!! তবে ভালও লাগছে।
আর কেউ যদি সত্যিই সেসব বলতে চায় তাহলে তাদের আগেই বলে রাখি -
"ভাই ও বোনেরা, হুমায়ূন আহমেদ আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। তাঁর লেখা আমার কাছে অন্য রকম কিছু! আমি নিজেও কক্ষনও কল্পনা করিনা যে আমি ওনার মত হতে চাইতে পারি। ধারের কাছেও যাবনা ওনার জানি। আর আমি আমার মত লিখতে চাই। কারও ছায়া হতে চাইনা হোক না তিনি আমার যত প্রিয় লেখক। তারপরও যারা আশা করে ব্যথিত হয়েছেন তাদের কাছে সরি সরি সরি, এবার ওকে???? "
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:১৭
জগাই মাধব বলেছেন: আমি আসলে একটু ভয়ে ভয়ে কমেন্টস্ করি কিনা,,, তাই কনফিউস্ড হয়ে গিয়েছিলাম। :!>
ব্যাপারনা।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৩
টুকিঝা বলেছেন: যাক, আমি তো ভেবেছিলাম আপনাদের না আবার ঝগড়া বেজে যায় অন্য দের মত! ভাবছিলাম আর খারাপ লাগছিল! কেউ আমার পোস্টে ঝগড়া ঝাটি করলে আমিই লজ্জায় মরে যাব। আপনাদের দুজন কেই অনেক ধন্যবাদ বিষয়টা এত সুন্দর করে চালিয়ে নেবার জন্য।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৫
জগাই মাধব বলেছেন: মেঘের দেশে এর সাথে ঝগরা করব? আমি কি পাগল? ওনার ব্লগটা একটু ঘুরে আসেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫০
টুকিঝা বলেছেন: হাহাহা, হুম। ঘুরে আসলাম। ওনার পোস্টের কমেন্ট এখানে করে ফেললাম ভুলে!! আমার ঘুম টা খুব বেশি প্রয়োজন। হিহিহি।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৯
কান্নার ছায়া বলেছেন: প্রায় ২ বছর আগে পড়েছিলাম " মেঘ বলেছে যাবো যাবো " অসাধারন ছিলো গল্পটা । কি মন খারাপই না হয়েছিলো ... এখনো মনে আছে ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫১
টুকিঝা বলেছেন: আমারও হয়েছে। সবচে বেশি হয়েছে হাসানের জন্য! সবাই সব পেল শুধু সেই সব হারাল!!!
১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৯
টুকিঝা বলেছেন: saw কিন্তু আমার খুব প্রিয় মুভি। ৭ টাই দেখে ফেলছি। খুব ভাল লাগে আমার।
১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫১
মেঘের দেশে বলেছেন: @ জগাই মাধব বলেছেন: মেঘের দেশে এর সাথে ঝগরা করব? আমি কি পাগল? ওনার ব্লগটা একটু ঘুরে আসেন।
হা হা হা হা হা হা হা
@ লেখিকা ..................... saw মুভিটা যতোটা সাইকো তার মতোই রাইডটাও ভয়ংকর
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫৬
টুকিঝা বলেছেন: হুম!! দেখুন আমি ভুলে এখানে কমেন্ট করে ফেললাম!! যাইহোক। সাইকো হলেও আমার খুব ভাল লাগে। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড আমাকে বলে যাদের মাথায় কোন সমস্যা থাকে তাদেরই নাকি শুধু saw ভাল লাগে!!! অবশ্য আমি সেসব ধারিনা। প্রথম দেখতে খারাপ লাগত, কিন্তু পরে সয়ে গেছে। হুম, রাইডটাও ভয়ংকর।
আমার যে খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা হচ্ছে আপনার সাথে ঝগড়া করলে কি হবে!!!! কে বলবে আমাকে এটা???? :!>
১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০২
মেঘের দেশে বলেছেন: কি হবে জানি না # যদিও আজ পর্যন্ত একজন বাদে কারো লাগে নাই । তাও সেই ব্যক্তি আমার নিকটা বিকৃত করে বলছিলো কার যেন মাল্টি নিক। ওনারে শুধু বলছিলাম এই ধারনা আর নাম বিকৃতি তার মানষিক বিকলাঙ্গতার প্রকাশ
তারপর সে আর রিপ্লাই দেয় নাই
আমি তেমন কেউ না সুতরাং ঝগড়াও হবে না জগাই মাধবের কমেন্ট পড়ে হাসতেই আছি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১১
টুকিঝা বলেছেন: সেই ভাল। ঝগড়াটে মানুষ আমার খুব অপছন্দ কিন্তু মিথ্যা মিথ্যা ঝগড়া আমার খুব ভাল লাগে।
উনি অনেক মজা করে কথা বলেন। আমারও হাসি পায়।
১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০৪
জগাই মাধব বলেছেন: মেঘের দেশে এর ছোট গল্প গুলা পড়ে দেখেন। নিযেই বুঝবেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১৭
টুকিঝা বলেছেন: ঠিকাছে। সাথে আপনার গুলো ও পড়ে এসে বুঝার চেষ্ঠা করব আপনার সাথে কেউ ঝগড়া করতে পারবে কিনা।
১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১৫
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: গল্প সরি উপন্যাসটা খারাপ না ।তারচেয়ে উপভোগ্য হচ্ছে জগাই মাধব এবং মেঘেরদেশের কথার লড়াই ।তবে নিক নিয়া কেমন যেন সন্দেহ লাগে !সরি !
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:২১
টুকিঝা বলেছেন: আমার লেখার থেকে কমেন্ট গুলোই বেশি উপভোগ্য। একটু দুক্ষু পেলুম (বেশি না কিন্তু )
সেসব নাহয় আমরা নাই আলোচনা করলাম, আমরা নাহয় শুধু লেখাটি নিয়ে থাকলাম, তাহলে খুব ভাল হয়,তাইনা ভাইয়া??? :#>
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:১৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: হুমায়ূনীয় ফ্লেভার আছে বটে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:২৩
টুকিঝা বলেছেন: ওহো!!! ধন্যবাদ। লজ্জা পেলাম একটু। :!>
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:২০
মেঘের দেশে বলেছেন: @ ঘমন্তআমি ..........আমি কিন্তু ডরাইছি
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:২২
জগাই মাধব বলেছেন: @ঘমন্তআমি
আমি ভাই ফ্রেশ নিক। আপনার হাত ছুইয়া বলতেসি।
১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৩০
মেঘের দেশে বলেছেন: জগাই মাধব বলেছেন: @ঘমন্তআমি
আমি ভাই ফ্রেশ নিক। আপনার হাত ছুইয়া বলতেসি
এই প্রথম কোনো ব্লগে টানা কমেন্ট করলাম । আড্ডা ব্লগের মতো হইয়া গেলো
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৩৫
টুকিঝা বলেছেন: নাকি ব্লগ টা আড্ডার মত হইয়া গেল??? কোনটা ???
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৩৬
দিপ বলেছেন: হিমু স্যার একজন আর্টিফিশিয়াল মানুষ। শৌখিন এই মানুষটা লিখেছেন ভিতরের।
আমরা অনেকেই বুঝিনা।
কিছুদিন আগের ঘটনা,
নতুন নতুন ইংলিশ নোভেল পড়ছি। একাধারে।
এক ক্লাসেই পড়তাম আবার ঠিক বান্ধবিও বলা যায় না। সে মেয়ে হিমু স্যারের খুব লাইকার ছিল।
ওকে চাতানোর জন্য আমরা বলতাম, বড়ি সৌন্দর্য, অতীব অহংকারী।
যাইহোক সে একদিন হিমু স্যারের একটা উপন্যাস ইংলিশে অনুবাদ,
ভাগ্যক্রমে ওটা আমি পেয়েছিলাম।
এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
তখন বুঝতে পারলাম, হিমু স্যার কি জিনিষ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৪৮
টুকিঝা বলেছেন: আমার গল্পের বই পড়া শুরু করার পেছনে ওনার অবদান সবচেয়ে বেশি। ছোট তে তেমন বই পড়তাম না। খেলা ধুলা নিয়ে থাকতাম, কিন্তু সত্যি বলতে ওনার বই পড়ে বইয়ের প্রতি ভালবাসা। তারপর আসতে ধিরে অন্যান্য লেখকের বই পড়া। কিন্তু শুরু টা ওনাকে দিয়েই। বলতে গেলে একে বারে হাতে খড়ি। জাফর স্যারেও আমি অসম্ভব ভক্ত।
২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:০০
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: জগাই মাধব, মেঘের দেশ দু জনেই কিন্তু ফ্রেস নিক
২১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১৪
আকাশ_পাগলা বলেছেন: স্যরি লেখাটা খুব বেশি পড়লাম না।
আরেকজনের লেখা কন্টিনিউ করাটা আমার কাছে ঠিক ভদ্রস্থ মনে হয় না, অরিজিনাল লেখকের সরাসরি অনুমতি ছাড়া। তবে লেখার আগের ভূমিকায় আপনার অবস্থানটা চমৎকার।
আর শুরুর কয়েক লাইনেই এটা "উপন্যাস" থেকে "ব্লগে লেখা গল্প" হিসেবে মনে হচ্ছে।
(করছে, ভাবছে, দেখছে, হচ্ছে -- প্রতি লাইনে পর পর দিতে থাকলে শ্রুতিমধুরতা নষ্ট হয়। আপনি একেকবার করে,ভাবে,হয় -- এমনও দিতে পারেন। মিশিয়ে। ""মা মেয়েকে দেখে ওর হাসি পাচ্ছে এর বদলে মা মেয়েকে দেখে ওর হাসি পেয়ে গেল।"" অনেকবার করছে, পাচ্ছে এর পরে এভাবে এক দুই লাইন দিতে পারেন। পড়তে আরাম লাগে। )
আরেকটা কারণ হল, আপনার লেখা ভাল হোক বা খারাপ হোক, আমি যদি পড়ে ফেলি, বইটার কথা মনে পড়লে সেই কাহিনীর অনুভূতির সাথে আপনার লেখার অনুভূতিও মিশে যাবে।
বই এর স্বাদটাকে আরও মিষ্টি বা ঝাল কোনটাই করার ইচ্ছা নেই। সব খাবারে টেস্টিং সল্ট দিলে হয় না।
কমেন্টটা ডিসকারেজাস হয়ে গেল। দুঃখিত। কিন্তু বইটার নাম দেখে না লিখে থাকতে পারলাম না। এত অসাধারণ কী করে লেখেন উনি !! বহুদিন বইটা আমাকে আচ্ছন্ন করে ছিল। বহুদিন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৩
টুকিঝা বলেছেন: লেখকের সরাসরি অনুমতি নেবার কোন সুযোগ এই মুহূর্তে আমার নাই। যেহেতু আমি ওনার সাথে খুব কাছ থেকে মিশিনি তাই জানিনা তিনি মানুষ হিসেবে কেমন, কিন্তু এত টুকুন বলতে পারি লেখক হিসেবে উনি অনেক উরধে, তাই অন্য একজনের লেখক (অলেখক ও হতে পারে) এর ভালবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে কোন লেখাকে উনি অভদ্রস্থ মনে করবেন তা আমার মনে হয়না। আমি ওনাকে কপি করিনি বা করতে চাইনি, আমি শুধু ওনার লেখাকে ওনার চাওয়া মত সাজাতে চেষ্ঠা করেছি মাত্র। আপনি বই এর শেষটা পড়লেই বুঝবেন হয়ত। আমি তবুও লেখার শুরুতে সেটা বলেই দিয়েছি। তারপরও বোঝেননি হয়ত আমি বোঝাতে পারিনি বলে!!! আমরা এখনও হয়ত কিছু সেকলে আমাদের আটকে রেখেছি, কিন্তু আমি জানি আমাদের প্রিয় লেখক সেসবের উরধে। উনি যদি সত্যিই কক্ষনও আমার লেখাটি দেখেন আমি জানি উনি অনেক স্নেহ, কৌতূহল আর ভাল লাগা নিয়েই লেখাটি পড়বেন।
শ্রুতিমধুরতা নিয়ে সামনে সব ঠিক রাখার চেষ্ঠা করব। জানিনা পারব কিনা তবু করব।
অনুভূতি না মেশানোই ভাল বরং।
আমার লেখাটা কোন খাবারের জন্য টেস্টিং সল্ট না ভেবে অন্য কোন নতুন খাবার হিসেবে ভাবুন। এটা চিন্তা করবেন না যে আমি ওনাকে লিখছি, শুধু ভাবুন যে আমি ওনার জন্য লিখছি, তাহলে হয়ত ভাল লাগতে পারে। না লাগলেও তেমন সমস্যা নেই।
ডিসকারেজে আমার ভয় নেই, আর সবার লেখা ভাল লাগতেই হবে এমন চিন্তা মাথায় এনে তো পোস্ট দিনাই। ভাল বললে যেমন ভাল লাগা হয় , ঠিক তেমনি আমি খারাপ টা শোনারও সাহস রাখি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এতো বড় লেখা আমার কোনোদিনই পড়া হবে না! তাই পড়লাম না!
তবে স্যারের জন্য আমি শুধু এটুকুই বলবো উনি একজন মহাপুরুষ, মহাপুরুষরা রোগ শোকের কাছে হেরে যাবে সেটা মানতে কষ্ট হয়। মহাপুরুষরা থাকবে মহাপুরুষের মতো।
সো বেস্ট অব লাক উইথ ইওর ক্রিয়েটিভিটি এন্ড হোপ দ্যাট হুমায়ুন উইল রিড ইওর স্টোরি এন্ড উইল গিভ ইউ সাম কমপ্লিমেন্ট ইফ ইউ আর এ লাকি ওয়ান!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮
টুকিঝা বলেছেন: দোয়া করবেন আমার জন্য যাতে আমি এমন ভাবে লিখতে পারি যে এই আপনিই এসে আমার বিশাল লেখা এক বারেই পড়ে শেষ করে আমাকে ঠিক এভাবেই বলবেন- "এত ছোট করে কেন লেখ যে একবারেই শেষ হয়ে যায়???" সেই দিনের অপেক্ষায় থাকলাম।
মহাপুরুষ বলেই তো আজ ওনার জন্য আমার এই ছোট্ট ভক্তির প্রকাশ।
I ALSO HOPE SO....
২৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২৯
রাইসুল জুহালা বলেছেন: মেঘ বলেছে যাব যাব বইটা আদৌ পড়েছি কিনা এটা নিয়েই সন্দেহ আছে। যদি পড়েও থাকি আদ্দিকালে, কাহিনী ভুলে গেছি। আর মূল বই পড়া না থাকলে বা ভুলে গেলে এই লেখাটা পড়ে মজা পাওয়া কঠিন। তাই লেখাটা পড়লাম না, দুঃখিত। কিন্তু লেখার কনসেপ্টটা আমার ইন্টারেস্টিং লেগেছে - অন্য এক লেখকের উপন্যাসের কনটিনিউয়েশন। ভাল, খুব ভাল। মূল বইটা যদি খুব শিঘ্রি পড়তে পারি, তাহলে এই কনটিনিউয়েশনও পড়ে মতামত জানাব। কবে পড়ব সেটা অবশ্য বলতে পারছি না।
সাধুবাদ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০১
টুকিঝা বলেছেন: যখনি পড়ুন জানি আপনি আসবেন। অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।
২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১১
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
উপস্থিতি জানান দিয়ে গেলাম।
পরে পড়বো।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০২
টুকিঝা বলেছেন: most welcome
২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৭
অচেনা রাজ্যের রাজা বলেছেন: বইটা পড়া হয়নি। আপনার পোষ্ট থেকে কিছুটা কাহিনী বুঝতে পারলাম।
saw আপনার প্রিয় মুভি ? বলেন কি ?
আপনার মনকে তাহলে অনেক শক্ত বলা যায়!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৪
টুকিঝা বলেছেন: পড়ে দেখবেন, অনেক সুন্দর একটা বই।
ঠিক প্রিয় না, দেখতে ভাল লাগে। পরের সিরিজ গুলোর অপেক্ষায় আছি।
২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৮
অাহেমদ হাসান বলেছেন: লেখকের অনুমতি নেয়া প্রয়োজন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
টুকিঝা বলেছেন: কিভাবে নিতে পারি জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৭
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: খারাপ না!!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১১
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৮
মুহসীন৮৬ বলেছেন: ভূমিকা দেখে ভাবলাম পড়ে দেখি...কিন্তু পড়া শুরু করার পর যথেষ্টই কষ্ট পেয়েছি...সরল সাধারণ বর্ননা....হুমায়ুনীয় ফ্লেভার নেই মোটেও... আপনাকে হুমায়ুন আহমেদের আরো কিছু বই পড়ে তারপর লেখার অনুরোধ করছি...!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
টুকিঝা বলেছেন: আমার শেলফ এর বিশাল অংশ জুড়ে উনিই আছেন। আবার বলি, আমি উনাকে লিখছি না। ওনার জন্য লিখছি। নাম টা ওনার, প্লট টা ওনার কিন্তু গল্পটা আমার। ওনাকে উৎসর্গ করেছি শ্রদ্ধা নিয়ে, ওনার সাথে আমার সমকক্ষতা দেখানর জন্য না, আপনিও জানেন আমিও জানি সেটা আদৌ কক্ষনও সম্ভব না, আর সেই সাহস বা ক্ষমতা কোনটাই আমার নেই।
তারপরও যা আশা করেছিলেন তা উতরাতে পারিনি তাই দুঃখিত।
২৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭
টুকিঝা বলেছেন: সব দেখে গেলাম, ক্লাস করে এসেই সব রিপ্লাই দেব। সাথেই থাকুন।
৩০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৯
রাখালছেলে বলেছেন: হুমায়ুন আপনি ফিরে আসুন বার বার পুনরায় .......
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৯
টুকিঝা বলেছেন: তিনি আসবেন ফিরে বারবার হাজার বার, সেই চাওয়া নিয়েই আমার এই পোস্ট!!!
৩১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ভায়োলেন্ট মুভির ভক্ত আমিও ..
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
টুকিঝা বলেছেন: আমি একজনের উপর রাগ করে আছি। ভায়োলেন্ট মুভির মিল দেখিয়ে ভুলবো না।
৩২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আমার মনে হয় লেখাটা ভালই হচ্ছে ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫২
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: কার এত্ত বড় সাহস! টুকি কে বকা দিয়েছে
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪
টুকিঝা বলেছেন: কোন কিছুতেই আমি ভুলবনা আজ, কোন লাভ নেই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
টুকিঝা বলেছেন: আমার একটা question ছিল কিন্তু করবনা।
৩৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০০
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: ধুরু ছাতা!!
আমি আপনার কাছে কোন প্রশ্ন জানতে চাইব ও না!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১০
টুকিঝা বলেছেন: ঠিকাছে।
৩৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: চলেন না যাই বসি কথা,
দুটি কথা বলি নিচুগলায়!
আজ আপনাকে ভুলাব আমি
আমার মিষ্টি কথামালায়
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৫
টুকিঝা বলেছেন: ভুলার মেয়ে নইক আমি
ভুলতে নাহি রাজি,
যতই বলুন মিষ্টি কথা
ভুলবনা নিন বাজি।
৩৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন:
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৫
টুকিঝা বলেছেন: ভূমিকম্প হল মাত্র, উঠুন নয়ত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মাথা দুলে যাবে তো।
৩৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
আন্ধা পোলা বলেছেন: অনেক কথা বলতে ইচ্ছা করতেছে! সবগুলা কমেন্ট পড়ে পরে চেস্টা করবো গুছিয়ে বলার! তবে কিশোর বয়সের নিজের একটা জগতে এই বইটা এতো বেশি নাড়া দিয়েছিলো যে এক ধরনের অবসেশান চলে আসছিলো হুমায়ুন আহমেদ আর তার বইগুলার উপরে! এখন উনি যেইসব অখাদ্য লেখেন এগুলাও গোগ্রাসে গিলি শুধু মাত্র মেঘ বলেছে যাবো যাবো আর এমন আরো কয়েকটা বইয়ের কারনে! আপনার লেখা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে নিজেকে ছোটো করবো না কারন আপনি যতোখানি সাহসীকতা দেখিয়েছেন এমন একটা কাজ হাতে নিয়ে তার কাছে আমার কোনো কমেন্টই দাড়াতে পারবে না!
লেখাটা শেষ করুন অধীর অপেক্ষায় রইলাম!! আরেকটা কথা না বলে পারছি না সেটা হচ্ছে "অপেক্ষা" নামের বইটা আপনি পড়েছেব কিনা জানি না! এই বইটার এনডিং যদি করতেন শান্তি পেতাম ঠিক যেমন শান্তি লাগতেছে মেঘ বলেছে যাবো যাবো এর এনডিং হতে দেখে!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩
টুকিঝা বলেছেন: অপেক্ষা!!! অপেক্ষা!!! অপেক্ষা!!! এই একটি বই পড়ে আমি প্রেমে পড়ে গেলাম হার্ড নাট এর!! মনে আছে তো সে কে না?? এই বই এর স্মৃতি , এই বইএর প্রতি ভালবাসা আমি আপনাকে বোঝাতে পারবনা!!! আপনি আমাকে নারিয়ে দিলেন!!! আমি যাকে ভালবাসি আমার তাঁকে হার্ড নাট বলে মনে হত তখন, সেই আমাকে বইটা দিয়েছিল, আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগের কথা!! বইটা পড়ে আমি কেঁদেছি যত না বেশি বইএর হার্ড নাট এর জন্য তাঁর থেকে বেশি আমার হার্ড নাট এর জন্য!!! এই বইএর প্রতিটা ভাল লাগার জায়গা গুলো মার্ক করে রাখা, বইটা শেষ করেই আমার হার্ড নাট কে আমি প্রায় ৩০ পৃষ্ঠার একটা চিঠি লিখি!! কি ছিল সে চিঠিতে!! ওহ!! সব মনে পড়ে যাচ্ছে!!!
অপেক্ষা বই টা আমি ভালবাসি, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি, হার্ড নাট কে আমি ভালবাসি, ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি! আমার মাথা ঝিম ঝিম করে বইটার কথা চিন্তা করলেই!! আমি পারবনা ওটা নিয়ে নতুন করে কিছু লিখতে, যা লেখার আমি লিখেছি, আর যার জন্য লিখেছি সেটা শুধু তারই থাক, সেটা আর কারও জন্য নয়, শুধু তাঁর জন্য। সেন্টি করে দিলেন আপনি!!
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭
টুকিঝা বলেছেন: আমার এখনও হাত কাঁপছে!!!
৩৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৫
আন্ধা পোলা বলেছেন: হাঞ্চ ব্যাক অফ নটরড্যাম??? হিহিহহিহি! সম্ভবত আপনি মেয়ে যার জন্য ইমনকে নিয়ে আপনার অবসেশান! যদিও ইমনই মেইন ক্যারেকটার ছিলো তারপরও সুপ্রভার পার্টটা আমাকে বেশি নাড়া দিয়েছিলো! এখনো ওর লাফিয়ে পড়ার জায়গাটা পড়লে কান্না আটকাতে পারি না! একজন লেখক এতো নিষ্ঠুর হয় কেনো??? আপনার লেখায় এই নিষ্ঠুরতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যেতো!
যাই হোক আমার নিজেরই ইচ্ছা হতো ইমন হয়ে যেতে আর জানি আপনার হাসি পেতে পারে আমার ছেলে মানুষী কথা শুনে কিন্তু আমি সত্যি সত্যি একটু কুজো হয়ে হাটি!!!!! :-O
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১১
টুকিঝা বলেছেন: হাহাহা, হুম। আমার হার্ড নাট আর ইমনের মধ্যে চেহারাগত দিক দিয়ে কোনই মিল নেই, শুধু একটা মিল তা ছিল দুজনেই মানসিক দিক দিয়ে অদ্ভুত রকমের কঠোর!! নিজের কষ্ট লুকিয়ে ফেলতে ওস্তাদ, আর ভালবাসা লুকাতেও!!! প্রেমে পড়া না বলে বলতে হত ওকে ভালবেসে ফেলেছিলাম, আর সেটার সবচে বড় কারন ছিল ইমনের অসহায়ত্ব। বাবা নেই, মা থেকেও নেই!! আর পিচ্চি ছিলাম তো, সাথে বেশি আবেগি, তার উপর ১৮ বছর বয়স !! বুঝতেই তো পারছেন!!
সাথে যুক্ত হল নিজের মানুষটার জন্য কষ্ট। সব কিছু মিলে একদম ভয়াবহ অবস্থা!! কান্না কাটি করে, চিঠি লিখে টিখে একাকার করে দিলাম!! হাহাহা, যাইহোক। বই তা আমাদের দুজনের জন্যেই অন্য রকম একটা ব্যাপার ছিল। ঐ বই এর কল্যাণে আমি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ চিঠি লিখে ফেললাম, সেও তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ চিঠি পেয়ে গেল!! এসব কিছুই হতনা যদি আমাদের প্রিয় লেখক না থাকতেন, তিনি এত নিষ্ঠুর না হতেন!! তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, আজীবন থাকব।
আমি মেয়ে তাই বলে ভাববেন না যে সুপ্রভার জন্য আমার কোন কষ্ট হয়নি, অনেক হয়েছে।
৩৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১৮
জগাই মাধব বলেছেন: আহমেদ বাবুর "অপেক্ষা" আর রোমার্ক বাবুর "থ্রি কমরেডস্" আমার জীবনে পড়া সবচেয়ে আবেগি উপন্যাস।
আর অপেক্ষাতে সবচেয়ে হিট খেয়েছি শেষের পৃষ্ঠাতে, ইমনের মা এর জন্য।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৫
টুকিঝা বলেছেন: ইমনের মা আমার বরাবরই অসহ্য। "থ্রি কমরেডস্" আমার এখনও পড়া হয়নি, এখন মনে হচ্ছে পড়ে দেখি। অপেক্ষার কথা অনেক বলে ফেলছি, আর নাইবা বললাম, নাহলে আবার সবাই বোর হয়ে দৌড় লাগাবে।
৪০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৪১
সকাল ও সারিকা বলেছেন: হিমাংশু বলেছেন:
"মেঘ বলেছে যাব যাব" পড়েছিলাম প্রায় দশবছর আগে। প্রচণ্ড মন খারাপ হয়েছিল শেষাংশটা পড়ে। যার রেশ বেশ কয়েকদিন ছিল।
আমারো খুব মন খারাপ হয়েছিলো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৬
টুকিঝা বলেছেন: হাসানের জন্য তাইনা?
৪১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১৩
দুর্দান্ত পথিক বলেছেন: প্রোফাইল পিক চেঞ্জ করেন, দেখে মনে হয় কারো পা ধরে বসে আছেন!
আর লেখা সম্পর্কে কোনো কমেন্ট নাই, সাহিত্যিক ব্যপার স্যপার আমার মাথায় ধরে না। আপনার লেখা আমার মাথার উপর দিয়ে চলে গেছে।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০২
টুকিঝা বলেছেন: হাহাহা, কারও পা না গীটার ধরে বসে আছি। হাহাহা, আপনার কথা শুনে হাসি পাচ্ছে!!!
প্রো পিক চেঞ্জ করব, শুধু যখন আমার ইচ্ছা হবে, অন্য কারও কথায় না।
৪২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
ত্রাতুল বলেছেন:
লেখা, কমেন্ট, রিপ্লাই সব পড়েছি। অপেক্ষা।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৯
টুকিঝা বলেছেন: কিসের অপেক্ষা????
৪৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৬
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: ত্রাতুল বলেছেন:
লেখা, কমেন্ট, রিপ্লাই সব পড়েছি। অপেক্ষা।
লেখক বলেছেন: কিসের অপেক্ষা????
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেনঃ পরের পর্বের অপেক্ষা। লেখা ভালো হচ্ছে। চালিয়ে যান।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৪
টুকিঝা বলেছেন: ধন্যবাদ। কিছু অংশ লেখা হয়ে গেছে, বাকি টুকুন হলেই দিয়ে দেব। কিন্তু সমস্যা হল লিখতে খুব আলসামি হয়!!!
৪৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১২
ত্রাতুল বলেছেন: পরের পর্বের।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৬
টুকিঝা বলেছেন:
৪৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৬
ত্রাতুল বলেছেন:
হাহাহা আমি পোস্ট খুলে অন্য কাজ করছিলাম। অনেকক্ষণ পরে এসে কমেন্ট করার পরে দেখি "বিতর্কিত উন্মাদ মানব" ওনার কমেন্ট। মজা পেলাম বেশ।
হুম লিখে ফেলেন সময় করে। বেশি অপেক্ষা আবার ভাল লাগে না। ব্লগে আরও অনেক লেখা পড়তে হয় জানেনইতো। বেশি দেরি হলে পেছনের পোস্টের কথা মনে থাকে না বা আবার পড়তে হয় যেটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৭
টুকিঝা বলেছেন: লিখব লিখব, একটু ধৈর্য ধরেই নাহয় লিখব! আমি বড়ই অস্থির!!
৪৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৬
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: কি অবস্থা? মন ভালো ?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৩
টুকিঝা বলেছেন: কি মনেহয় মন ভাল না খারাপ??? আজ দেখি আপনার কেমন বুদ্ধি। যদি মন ভাল হয় তাহলে আজ আর কিছু লিখবনা, যদি মন খারাপ হয় তাহলে আপনার থেকে ধার করা লেখা টা লিখে ফেলার একটা সম্ভাবনা আছে।
৪৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৬
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন: আমার বুদ্ধি নেই..এত..বলতে পারব না..আমি লিখতে চাইছিলাম আজকে...লিখব না....
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪২
টুকিঝা বলেছেন: আমার টা লেখা শেষ, কিন্তু পঠনযোগ্য হয়েছে কিনা কে জানে!!!
কি করব এখন বুঝতে পারছিনা!!!
৪৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৭
বিতর্কিত উন্মাদ মানব বলেছেন: ত্রাতুল বলেছেন:
হাহাহা আমি পোস্ট খুলে অন্য কাজ করছিলাম। অনেকক্ষণ পরে এসে কমেন্ট করার পরে দেখি "বিতর্কিত উন্মাদ মানব" ওনার কমেন্ট। মজা পেলাম বেশ।
আরেকজনের পোষ্টে আপনাকে মজা দিতে পেরে আনন্দিত। সময় করে আমার ব্লগ থেকে ঘুরে আসবেন
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। কিছু অংশ লেখা হয়ে গেছে, বাকি টুকুন হলেই দিয়ে দেব। কিন্তু সমস্যা হল লিখতে খুব আলসামি হয়!!!
আমারো হয় তারপরও লিখি। আপনিও লিখে ফেলুন
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৪
টুকিঝা বলেছেন: একটা লিখলাম, কোন রকম!! কিন্তু দেবার সাহস জুটাতে পারছিনা!! সাহস জুটে গেলেই দিয়ে দেব।
৪৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৯
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
চলুক...
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৫
টুকিঝা বলেছেন: চলবে আশা করি।
৫০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: এই একটা মানুষ আমাকে জীবন বোধের শিক্ষা দিয়েছে শিখিয়েছে কি করে নিজের ভাবনা ভাবতে।
আজ এই মানুষটার চরম খারাপ সময়...হে দয়াময় তুমি তোমার মঙ্গলময় হাত দিয়া আমার স্যারকে স্পর্শ কর,
স্যার আমার আত্মার সব ভালোবাসা আপনার জন্য উৎসর্গ করলাম
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫১
টুকিঝা বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছিনা! কিছু আসলে বলার নাই, শুধু এটা বলি যে মনের ভিতর একটা আশঙ্কা কাজ করছে মাঝে মাঝে সেটা হল যদি এর পরের বই মেলায় লেখকের বই না পাই তাহলে কতটা নিঃস্ব লাগবে নিজেকে!!! ভাবতে চাইনা, তবু বাজে ভাবনা টা চলে আসে!! তাই, সত্যিই মন থেকে চাই উনি তারাতারি সুস্থ হয়ে যান!!!
৫১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫০
টুকিঝা বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছিনা! কিছু আসলে বলার নাই, শুধু এটা বলি যে মনের ভিতর একটা আশঙ্কা কাজ করছে মাঝে মাঝে সেটা হল যদি এর পরের বই মেলায় লেখকের বই না পাই তাহলে কতটা নিঃস্ব লাগবে নিজেকে!!! ভাবতে চাইনা, তবু বাজে ভাবনা টা চলে আসে!! তাই, সত্যিই মন থেকে চাই উনি তারাতারি সুস্থ হয়ে যান!!!
৫২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১৫
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: শোনার পর থেকে মন খারাপ হয়ে আছে। গত কিছুদিনের তার অনেকগুলো বই ডাউনলোড দিয়ে পড়লাম। প্রতিটা উপন্যাসের শেষ অদ্ভুত ভাবে শেষ করেন।
৫৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৫৮
টুকিঝা বলেছেন: সেই অদ্ভুত ভাবে হওয়া শেষ টার জন্যেই আমি প্রবল টান অনুভব করি!! অনেক খানি আকর্ষণ ঐ শেষ টা জুড়েই থাকে!!! জানিনা কেন!!
৫৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৬
নীরব 009 বলেছেন: চিত্রলেখার প্লেন থেকে নামা কিংবা প্লেন ল্যান্ড করছে এসময়ের একটু বর্ণনা দিলে ভাল লাগতো। মনে হচ্ছিল কিভাবে যেন তারা সরাসরি প্লেন থেকে নেমে গেল!
এইটুকুই অবজেক্সন ছিল, বলে ফেললাম যেন পরবর্তীতে আরও ভাল হয়।
আপনার লেখার হাত ভাল। সুন্দর করে লিখেছেন। অনেক চরিত্র, সাথে সাবলীল বর্ণনা। অনেক ভাল লাগলো। অনুসরণ করলাম।
শুভ কামনা রইলো।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
টুকিঝা বলেছেন: আসলে আমি ছোট্ট করে শেষ করতে চাচ্ছিলাম, তাই বেশি ডিপে যেতে চাইনি, আরও কিছু লিখব আগে জানলে অভাবেই লিখতাম। ধন্যবাদ।
৫৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৯
তানভী৫১৫২ বলেছেন: আপনার "ছেলেরা এমন হয় কেনু???? (ইহা একটি ন্যাকামো মূলক পোস্ট, তাই যাহাদের ন্যাকামোতে এলারজি তাহারা নিজ দায়িত্বে এই..." পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে,। আপনি কি আপনার এইই লেখাটি আমার মেইল আইডি তে পাঠাতে পারবেন?
[email protected]
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৫
টুকিঝা বলেছেন: একি কমেন্ট সব খানে করছেন কেন?? একবার বললামই তো।
৫৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২১
চলো..... হাসান বলেছেন: আমার খুব পছন্দের একটি বই
০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:০০
টুকিঝা বলেছেন: আমারও।
৫৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:২০
মেঘের দেশে বলেছেন: কি খবর আপনার ??? এই গল্পের পরের অংশ কবে আসতাছে???? অনেকদিন হয়ে গেলো
১৯ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪৩
টুকিঝা বলেছেন: আমি ত নাই hoye গেছি
৫৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:৫৩
মেঘের দেশে বলেছেন: কেন???
১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫২
টুকিঝা বলেছেন: জানিনা কেন!!!
৫৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৭
চতুষ্কোণ বলেছেন: একসময় মন খারাপ হলে হুমায়ুনের মেঘ বলেছে যাব যাব বইটা নিয়ে বসতাম। এবং পুরোটা শেষ করে তবে উঠতাম। বইটা শেষ করে মনে হতো এই পৃথিবীতে আমার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট নিয়ে কেউ একজন আছে, ঘুরছে, ফিরছে। নৌকা ভাড়া করে বুড়িগঙ্গায় চলে যাচ্ছে। হাসানের কষ্টের কাছে সব তুচ্ছ মনে হতো। এই বইটা আমি হারিয়ে ফেলেছি। এখন আর মন খারাপ হলে এই অসম্ভব প্রিয় বইটি নিয়ে বসা হয় না।
আপনার লেখাটা সময় করে পড়ব। এখন বাইরে বেরুতে হচ্ছে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৮
টুকিঝা বলেছেন: অবশ্যই সময় করে পড়বেন, পড়ার পর আপনার খুব অল্প পরিমাণের ভাল লাগলেও আমি অনেক বেশি খুশি হব!! হুম, হাসানের জন্য আমার নিজেরও খুব কষ্ট হয়!!
৬০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫
অনিক আহসান বলেছেন: সংগ্রহে আছে..
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০
টুকিঝা বলেছেন:
৬১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৩
চতুষ্কোণ বলেছেন: গল্পটা কি এখানেই শেষ? এখানেই শেষ হলে বলব, গল্পটা চিত্রলেখাকে কেন্দ্র করে হওয়ার কথা। যা হয় নি এই গল্পে। আর এত ছোট পরিসরে টগর পলাসের সৎ মা ও বোনদের না আনলেই ভালো হতো। পড়তে পড়তে ভেবেছিলাম চিত্রলেকার গল্পটা সত্যিই নতুন কোন গল্পে রূপ নিচ্ছে। আপনাকেই প্রশ্ন করি, গল্পটা কি আশা ও আনন্দের এক অপূর্ব সঙ্গীত তৈরী করতে পেরেছে?
আর একটা প্রশ্ন, ৫ বছর বয়সী টগর ১৫ বছর পরে নিশ্চয়ই কলেজে পড়বে না? তার ভার্সিটিতে থাকার কথা!
যাই হোক, শেষে এটুকু বলি আপনার লেখার হাত ভালো। পড়তে বেশ ভালো লাগছিলো। ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৩
টুকিঝা বলেছেন: গল্প টা এখনও শেষ হয়নি, শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। বয়স, সময় এসব তো আমি হিসেব করেই লিখেছিলাম, ভুল হবার কথা নয়!! যাইহোক, সেটা দেখে নেব নাহয়। আর গল্প টা আমি একবারেই শেষ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি কারন সেটাতে গভীরতা বোঝানো যেত না। তাই এত বর্ণনা দিতে হয়েছে। গল্পটা চিত্রলেখা কে নিয়েই, সামনের দিকে গেলেই বুঝতে পারবেন। আসলে এটা আমাকে অনেক সময় দিয়ে লিখতে হয়, অন্য লেখার মত তো হুট হাত করে এটা লিখে ফেললেই হলনা, তাই একটু ধীরে সময় দিয়ে দিয়ে লিখছি। কিছু হয়ত ভুল ভ্রান্তি থেকে যাবে, কিন্তু সময়মত এসে সেসব বুঝিয়ে দিয়ে যাবেন আশা করি, তাহলে ভালই হবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখার সমালোচনা লেখা কে আরও সমৃদ্ধ করে। ভাল থাকবেন।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৬
টুকিঝা বলেছেন: আপনাকেই প্রশ্ন করি, গল্পটা কি আশা ও আনন্দের এক অপূর্ব সঙ্গীত তৈরী করতে পেরেছে?
আমার লেখার বয়স বেশিদিন না, তবু এই দু মাসে যা ইম্প্রুভ করেছে তা আমার কাছে আগের থেকে বেশ ভাল মনেহয়। আপনি আমার এখন কার লেখা গুলো দেখলে হয়তো বুঝবেন, এই লেখার থেকে কিছুটা পরিপক্ব। সেজন্য একটু ছাড় দিয়ে যেতে হবে, আমি তো বলিনি যে হুমায়ূন আহমেদের লেখা পুরো টেনে নিয়ে যাব, আমি কিন্তু বলেছিলাম আমি নতুন লেখক হয়ে নতুন করে শুরু করব। সেটা যে হুবুহু আগের মত হতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই, তাইনা??
তাই, আমার লেখাটা হয়তো আশা ও আনন্দের অপূর্ব সঙ্গিত তৈরি করতে পারবেনা, কিন্তু আমি এত টুকুন বলতে পারি যে আমি চেষ্ঠা করে যাচ্ছি, জানিনা কত দুর কি পারবো, অপূর্ব না হোক অ্যাটলিস্ট সঙ্গিত তো হবে!!!
ভাল থাকবেন। শুভ রাত্রি।
৬২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৭
চতুষ্কোণ বলেছেন: চিত্রলেখা**
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৫
টুকিঝা বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ।
৬৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৫
চতুষ্কোণ বলেছেন: এত কথা বলতাম না, যদি গল্পের শেষে লিখে দিতেন, চলবে... কথাটা। ভেবেছিলাম এখানেই শেষ করে দিয়েছেন।
আর গল্প টা আমি একবারেই শেষ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি কারন সেটাতে গভীরতা বোঝানো যেত না
-সেটাই বলতে চেয়েছিলাম। যেহেতু ভেবেছিলাম এটা এক পর্বের গল্প তাই অতগুলো চরিত্র আনার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলাম।
আপনাকেই প্রশ্ন করি, গল্পটা কি আশা ও আনন্দের এক অপূর্ব সঙ্গীত তৈরী করতে পেরেছে? - যেহেতু গল্পটা এখানেই শেষ নয়, তাই আমার এই কথাটা তুলে নিলাম।
পরবর্তী পর্বের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম। শুভরাত্রি।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৬
টুকিঝা বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার অভাবে বলাতে রাগ করিনি, বরং খুশি হয়েছি। আর আমি আমার দিক থেকে জাস্ট ব্যাপার গুলো ক্লিয়ার করে দিলাম যাতে আপনার ভুল বোঝা না হয়। আপনি আপনার জায়গায় অবশ্যই ঠিক ছিলেন। যাইহোক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
৬৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৫৮
রোজেল০০৭ বলেছেন: খুব প্রিয় একটা উপন্যাস।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে আবার শুরু করেছেন।ভালো লাগলো।
কিন্তু এখানেই শেষ?
প্রিয়তে রাখলাম।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৭:০৯
টুকিঝা বলেছেন: না, আরও দুটা পার্ট রাখবো। একটা মোটামুটি লেখা হয়ে আছে, একটু এডিট করতে হবে, আলসেমি করে ওসব করা হয়ে উঠছে না!!! তাই দেয়াও হচ্ছে না!!
অনেক ধন্যবাদ। এটা শেষ করতে পারলে আমার ভেতর থেকে একটা বোঝ নামাতে পারতাম, সেই অপেক্ষায় আছি।
৬৫| ১৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৩
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: আপু ওয়াচে থাকার সময়ই এই পোস্টটি প্রিয়তে নিয়েছিলাম । তখন মন্তব্য করতে পারিনি । এখন আবার পড়লাম । এককথায় দারুন লিখেছেন । অনেক ভাল লেগেছে আমার কাছে ।
এতদিনেও পরবর্তী পর্ব আসছে না কেন ?
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই...........................................
১৭ ই মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯
টুকিঝা বলেছেন: ফাঁকিবাজি করে লিখছিনা তাই ভাইয়া!
ঠিক ঠিক আসবে, তবে কবে জানিনা!
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:০২
হিমাংশু বলেছেন:
"মেঘ বলেছে যাব যাব" পড়েছিলাম প্রায় দশবছর আগে। প্রচণ্ড মন খারাপ হয়েছিল শেষাংশটা পড়ে। যার রেশ বেশ কয়েকদিন ছিল।
আপনার ভূমিকাটুকু পড়লাম। মূল লেখাটা সকালে পড়ে মন্তব্য করবো, আপাতত শোকেসে।