![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট্ট একখান দেশ। আর এতগুলা মানুষ আমরা। সমস্যা থাকবই। একদিনেই সব সমস্যার সমাধান আশা করা বোকামি। দেশে যেকোন সংকট, নৈরাজ্য সেটা যেই করুক না কেন, সফলভাবে মোকাবিলা করার দায়িত্ব সরকারের কাঁধেই বর্তায়। কিছু হলেই অমুকের ষড়যন্ত্র, তমুকের নাশকতা এসব না বইলা সরকার যদি জনগনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে, বিরুপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগনের সহযোগিতা চায় আর নিজে সৎ ভাবে চেষ্টা করে, তাতে আমি নিশ্চিত দেশের চেহারা বদলাতে দেরি হবেনা।
আর বিরোধী দল যেমনে কথায় কথায় সরকারকে ক্ষমতা ছাইড়া দিতে বলে, মনে হয় তারা একদিনেই দেশকে আম্রিকা বানাইয়া ফালাইবো!পাইছে একখান মামাবাড়ি আবদার।কিছু হলেই হরতাল! দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যাবস্থা জাহান্নামে যাক, ডজনে ডজনে মানুষ মরুক তাতে কার কী?!
প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পুলিশকে একশানে যাওয়ার অর্ডার দিয়ে, কিংবা বড় নেতা পাব্লিককে আবেগতাড়িত করে হোক, আর কয়টা টাকা দিয়ে হোক পাঠিয়ে দিল রণক্ষেত্রে। যে পুলিশ সদস্য তার চাকরি বাঁচানোর জন্যে, আর যে লোকটি তার দলীয়, ধর্মীয় চেতনার জোয়ারে ভেসে গিয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরে, তাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী থেকে শুধু একজন কমল মাত্র, দলের একজন কে কোথায় মরল তাতে নেতার কিচ্ছু যায় আসেনা। হয়ত ঐ লাশ নিয়েই শুরু হবে নতুন করে মিছিল। বেঁচে থাকতে যেমন, তেমনি মরেও তাকে হতে হবে স্বার্থের বলি। অথচ খোঁজ নিলে দেখা যাবে ঐ লোকটাই ছিল তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। শুধু তার পরিবারই জানবে স্বজন হারানোর বেদনা কী জিনিস।
দূর্ণীতি, কাঁদা ছোড়াছুড়ি এসবের পর নতুন কইরা শুরু হইছে পাব্লিকের আবেগ নিয়া খেলা। দলীয় স্বার্থে কেউ খেলে দেশপ্রেমের অনুভূতি নিয়া আর কেউ খেলে ধর্মীয় আবেগ অনুভূতি নিয়া।
এই খেলার শেষ কোথায় কে জানে!
©somewhere in net ltd.