নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তু্র্য মিয়াত

তু্র্য মিয়াত › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাউল গঞ্জালেজ

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩



রাউলঃ

এই নামটার জন্য অনেকে রিয়াল মাদ্রিদকে রাউল মাদ্রিদ বলতো।

ফুটবলে যদি ইমোশন দিয়ে সব কিছু হত তাহলে হয়তো রাউল আজ রিয়াল মাদ্রিদে খেলে অবসর নিতেন।
কিন্তু সব কিছু যে ইমোশন দিয়ে চালানো যায় না। তাই ইমোশনকে দূরে ঠেলে রাউলকে চলে যেতে দেখতে হয়েছে আমাদের।
আমরা মাদ্রিদ ফ্যানরা অনেক লাকি কারন রাউলের মত একজন লিজেন্ড রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছে আর জয় করেছে পুরো বিশ্বের ফুটবল ভক্তের মন।

রাউল রিয়ালের হয়ে সব কিছুই জিতেছে।
রাউলকে নিয়ে অনেকে অনেক কিছু লিখেছে এখনো লিখছে এবং ভবিষ্যতেও লিখবে কারন সে যে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
রাউলের জন্যই হয়তো বা মানুষ তখন প্রথম ৭ নম্বর জার্সির প্রতি এতটা ভালবাসা দেখিয়েছে।

রাউল যে কোন রেকর্ড ভাঙেনি কারন কি জানেন???
আমিই বলছি কারন সে রেকর্ড তৈরী করেছে।

লা লিগার ৪র্থ টপ স্কোরার চ্যাম্পিয়নস লিগের ৩য় টপ স্কোরার।
এই তো কিছু দিন আগেও রাউলই ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের টপ স্কোরার।
রাউল রেকর্ড ভাঙেনি কিন্তু নতুন রেকর্ড তৈরী করার জন্যই সে হয়তো সবার এত ভালবাসা পেয়েছে।

এই রেকর্ড তৈরীর বিষয়ে একটা ক্রিকেটীয় উদাহরণ দেই,শচীন টেন্ডুলকার নিঃসন্দেহে ক্রিকেটের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান। সে ওডিআইতে সর্ব প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। তার ডাবল সেঞ্চুরির পরেও বেশ কয়েকটা ডাবল সেঞ্চুরি হয়েছে কিন্তু একটা কথা কিন্তু রেকর্ড বই থেকে যাবে আর সেটা হল সর্ব প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিকারী ব্যাটসম্যান।
ফুটবলেও ঠিক তেমনই রাউল। তার রেকর্ড ভেঙেই নতুন রেকর্ড গড়বে সবাই। সে কোন রেকর্ড ভাঙেনি কিন্তু সেই রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে।

রাউলকে নিয়ে লিখতে গেলে চোখে পানি চলে আসে কেন জানেন? কারন তার মত মাদ্রিদের প্রতি ভালবাসা আর কেউ কখনোই প্রকাশ করতে পারেনি।

তার একটা কথা খুব মনে পড়ে। যখন তাকে বেশ কিছু ম্যাচে বেঞ্চে বসতে হয়েছে তখন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর হিসেবে সে বলেছিল " রিয়াল মাদ্রিদে থাকার জন্য আমি ওয়াটার বয় হতেও রাজী"
এই কথাটা আমি যতবার বিভিন্ন জায়গায় পড়েছি ততবারই আমার চোখে পানি চলে এসেছে। একটা প্রোফেশনাল খেলয়ার কীভাবে একটা ক্লাবকে এত ভালবাসতে পারে?
যেমনটা রাউল ভালবেসেছে রিয়াল মাদ্রিদকে তার একটা ছিটে ফোটাও আমরা পারি না।
রাউলের জন্যই হয়তো আজ আমরা মাদ্রিদিস্তারা এত গর্ব করে ডন ডি স্টেফানোর উক্তিটি বলতে পারি, "WHAT IS REAL MADRID? I THING IT'S A FEELINGS"

সে আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে একজন প্রোফেশনাল খেলয়ার হয়েও একটা ক্লাবকে এতটা ভালবাসা যায়।
অর্জনের দিক থেকে হয়তো রাউলকে অনেকে ছাড়িয়ে গেছে, এখনো ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ছাড়িয়ে যাবে কিন্তু মাদ্রিদের প্রতি তার ভালবাসার দিক দিয়ে কেউ কি তাকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে বা এখনো কি পারছে? কিংবা ভবিষ্যতেও কি পারবে???
রাউলের এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের একটি রেকর্ড অক্ষুন্ন রয়েছে সেটা হল সর্ব প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে ৫০ গোলকারী খেলয়ার।
শচীন টেন্ডুলকারের ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডটা যেমন চিরজীবন থেকে যাবে রাউলের রেকর্ডটাও থেকে যাবে আজীবন।
রাউল নামটা আর রিয়াল মাদ্রিদ নামটা একই সুঁতাতে গাঁথা।

যে রিয়াল মাদ্রিদকে ভালবাসে সে নিঃসন্দেহে রাউলকেও ভালবাসে।
আমার মনে হয় একজন মা যেমন তার সন্তানকে ভালবাসে রাউলও ঠিক তেমনই রিয়াল মাদ্রিদকে ভালবাসে।
আজ যদি আমাকে প্রশ্ন করা আপনাকে কোন এক্স মাদ্রিদিস্তার সাথে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয় আমি চোখ বন্ধ করে একটাই নাম উচ্চারণ করব আর সেটা হবে রাউল।
যার মাদ্রিদের প্রতি ভালবাসা শুধু আমাকে নয় পুরো বিশ্বের ফুটবল ভক্তদেরও মুগ্ধ করেছে।
হয়তো আমরা রিয়ালের ডাগ আউটে আবার রাউলকে দেখতে পাবো সেটা খেলয়ার হিসেবে না হলেও কোচিং স্টাফ হিসেবে অথবা রিয়াল মাদ্রিদেরই কোন অংশ হিসেবে।

লয়ালিটি বলতে যদি কিছু থাকে তাহলে তার সব থেকে বড় উদাহরণ হবে রাউল।

আই মিস ইউ রাউল। উই মিস ইউ রাউল। রিয়াল মাদ্রিদ মিস ইউ। মাদ্রিদিস্তা মিস ইউ।

NUMBER 7 JERSEY MISS U.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.