![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শরিয়াহ হল এমন একটি আইন যার মূলনীতি কখনো পরিবর্তিত হয় না। কোন রাষ্ট্রে শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করার অর্থ হল সেখানে এমন কিছু নিয়মনীতির প্রয়োগ ঘটানো যা চিরন্তন ও শাশ্বত। সুতরাং যে রাষ্ট্রে শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করা হবে সেখানে শরিয়াহ আইনের উপর অন্য কোন আইন থাকতে পারবে না। আল্লাহ যা হালাল করেছেন তা চিরন্তনভাবে হালাল এবং যা হারাম করেছেন তা চিরন্তনভাবে হারাম। আল্লাহর আইনকে পরিবর্তন করা হল শিরক। সূরা তাওবার ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন –
“তারা তাদের র্যাবাইদেরকে ও পাদ্রীদেরকে পালনকর্তারূপে গ্রহণ করেছে আল্লাহ ব্যতীত এবং মরিয়মের পুত্রকেও। অথচ তাদের আদেশ করা হয়েছিল একমাত্র মাবুদের এবাদতের জন্য। তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, তারা তাঁর সাথে যে শরীক সাব্যস্ত করে, তার থেকে তিনি পবিত্র।”
আদি ইবনে হাতিম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে এ বিষয়ে বললেন, “হে রাসূল! ওরা তো ওদের পাদ্রী-পণ্ডিতদের ইবাদত করেনি?” উত্তরে তিনি (সঃ) বলেন – “এসকল আলেম-দরবেশ তাদের জন্য অনেক বিষয় হালাল করে দিতো। তখন তারা তা হালাল বলে গ্রহন করতো। অনুরূপভাবে অনেক বিষয় তারা হারাম করে দিতো, তখন তারা তা হারাম বলে গ্রহন করতো। এভাবেই তারা তাদের ইবাদাত করেছে।” (তিরমিযিী)
তাহলে বর্তমান বিশ্বে কি এমন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যার কারণে শরিয়াহ আইনকে প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না? সর্বপ্রথম প্রতিবন্ধকতা হল একটি বিশ্বসংস্থা যার নাম জাতিসংঘ। জাতিসংঘের রয়েছে একটি চার্টার। সেই চার্টার অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, শান্তি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপারে জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল হল চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। জাতিসংঘের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রই এই চার্টার মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ফলে কোরআনে আল্লাহ যদি কোন হুকুম দিয়ে থাকেন এবং জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল কোন বিপরীত হুকুম দিয়ে থাকে তবে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই জাতিসংঘের হুকুম মানতে বাধ্য থাকতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন শরিয়াহ আইনের উপরে অবস্থান করছে ততক্ষণ পর্যন্ত শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতাটি অর্থনৈতিক। শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করতে হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund) থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ফিরিয়ে আনতে হবে। আইএমএফ এর আর্টিকেলস অব অ্যাগরিমেন্টে স্বর্ণকে অর্থ হিসাবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দীনার ও দিরহাম কোরআনে রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ এই মুদ্রাই ব্যবহার করেছেন, তাই এটা সুন্নাহ। স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রার মূল্য সময়ের সাথে পতন হয় না, কারণ মুদ্রার মূল্য মুদ্রার মধ্যেই নিহিত। কাগজের মুদ্রার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে আইএমএফ এবং একে তারা অর্থনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। কোন দেশ ওয়ার্ল্ড গভার্নমেন্ট ও ইন্টারন্যাশনাল ল কে অমান্য করে শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইএমএফ সেই দেশের মুদ্রা ব্যবস্থায় ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ধ্বস নামিয়ে দেবে। এছাড়া সম্পূর্ণ শরীয়তসিদ্ধ হতে গেলে আইএমএফ এর কাছ থেকে সুদে ঋণ নেওয়াও বন্ধ করতে হবে। আইএমএফ ছাড়া আরো রয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা যেটা বন্ধ না করলে যায়োনিস্ট আক্রমণের হাত থেকে কখনোই বাঁচা যাবে না। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সমস্ত ব্যাংকের মরণ থাবা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মোটকথা, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি রাষ্ট্র আধুনিক গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে এবং জাতিসংঘ, আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সদস্য হিসাবে বিদ্যমান থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানে শরিয়াহ আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সঃ) সাথে তামাশা করা ছাড়া আর কিছুই না।
অর্থাৎ শরিয়াহ আইনকে প্রয়োগ করতে হলে এমন একটি ভূখণ্ড প্রয়োজন যেখানে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা। ফলে সেই ভূখণ্ডে তাঁর আইনই হবে সর্বোচ্চ আইন, তাঁর কর্তৃত্বই চূড়ান্ত কর্তৃত্ব। একে বলা হয় দারুল ইসলাম। দারুল ইসলাম তখনই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে যখন ইসলামী খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: অবশ্যই পুরো বিশ্ব ওনার। মালিকানা ওনার, হুকুমত ওনার। কিন্তু আমরা পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি - খলিফা। তিনি পৃথিবী আমাদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর তরফ থেকে তাঁর আইন দিয়ে শাসন করার দায়টা হচ্ছে আমাদের। তিনি আমাদের ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়ে দেখছেন কে কি করে। "মানুষ তাই পায় যা সে করে" (সূরা নাজমঃ৩৯)। হাকিকতে তো তিনিই সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। আর হ্যাঁ, অবশ্যই তিনি পুরো বিশ্বকে এক পতাকাতলে আনতে সক্ষম।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ চাইলে চোঁখের পলকে সব কিছু করতে পারেন,
এই বিশ্বাস থাকতে হবে, তা না হলে ঈমান হারাতে হবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সব জানেন, এবং কখন কি করতে হবে
তা ভালো জানেন। সুতরাং তিনি চাইলেই পুরো ব্শ্বিকেে এক পতাকাতলে
আনতে পারেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: অবশ্যই আল্লাহ চোখের পলকে সব কিছু করতে পারেন। কিন্তু আল্লাহর দ্বীন পৃথিবীতে কায়েম করার দায়টা আমার আপনার। আমারা যে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি, আমাদের যে স্বাধীন ইচ্ছা আছে। যার চয়েস করার ক্ষমতা রয়েছে তাকে তাঁর চয়েসের জন্য দায়ী করা যেতে পারে। আসলে পোস্টটা লিখার উদ্দেশ্য হল এইটা প্রমাণ করা - ১৯২৪ সালে ইসলামী খিলাফত বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে ইসলামী রাষ্ট্র ও ইসলামী আইন কোনটাই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। কম তো চেষ্টা করা হল না, প্রায় ১০০ বছর হয়ে গেল। আমরা বলছি যে যতদিন আমরা এই ওয়ার্ল্ড গভার্নমেন্ট বডিগুলোর আন্ডারে থাকব ততদিন আমরা সাকসেসফুল হব না। ইসলামি খিলাফতের ১৩০০ বছর ধরে আমরা বিভিন্ন অমুসলিম রাষ্ট্র ও সরকারের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পৃক্ত ছিলাম কিন্তু কখনোই টেকনিক্যালি তাদের আন্ডারে ছিলাম না। এখন যেমন আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, শিক্ষাব্যবস্থা এভরিথিং তাদের সিস্টেমের আন্ডারে ধরা খেয়ে গেছে। যতদিন আমরা এগুলো বাইপাস করতে না পারব ততদিন আশা নেই। তার মানে এই না সেই দিন আসার আগ পর্যন্ত আমরা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকব!! ম্যাক্রো লেভেলে না পারলেও মাইক্রো লেভেলে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
দূর পাহাড়ে বলেছেন: প্রশ্ন তো সেখানে নয়, প্রশ্ন হল কোনো রাষ্ট্রে শরিয়ত কায়েক করতে হলে সে রাষ্ট্রের জনগণকে আগে তা মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। সব মুসলমান কি শরিয়ত চায়? সেই ফিল্ড তৈরির একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে দাওয়াত। সেই দাওয়াতে সাড়া দিয়ে সে দেশের মানুষ যদি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সমর্থন করে তাহলে জাতিসংঘ কোনো ফ্যাক্ট নয়। মিশরে মুরসিকে জোর করে সরানো হয়েছে। এটা সম্ভব হত না যদি, মিশরের সেনাবাহিনীতে তাওহীদপন্থী ইসলামী রাষ্ট্রপন্থী সেনা কর্মকর্তারা থাকত। কিন্তু হোসনি মুবারক যেভাবে তার দাওয়াতি কাজ করতে পেরেছে সেনাদের মধ্যে, ইসলামপন্থীরা তা পারেনি। এজন্যই মুরসি টিকতে পারলেন না। নিরন্তর দাওয়াতই হতে পারে কোনো দেশে শরীয়ত কায়েমের একমাত্র পথ। তারপর দেশে শান্তি শৃংখলা ফিরাতে পারলে শরীয়তি রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে জাতিসংঘ বাধা দেবে বলে মনে হয় না। তবে আপনার উদ্বেগের কারণ্ও যৌক্তিক।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। মুসলিমরা শরিয়াহ আইন মানতে প্রস্তুত না। ১৩০০ বছর ধরে তো তারা ইসলামী খিলাফতের আন্ডারেই ছিল, তাহলে এখন কি হল যে তারা শরিয়াহ আইনের নাম শুনলে আঁতকে উঠে? এর কারণ হল পশ্চিমাদের সাকসেসফুল ব্রেইনওয়াশিং (শরিয়াহ আইন মানেই কল্লা ফেলে দেওয়া, ইত্যাদি)। আমরা আমাদের ট্র্যাডিশন ত্যাগ করেছি, তাই আজকে আমাদের এই করুন অবস্থা। সৌদি আরবেও শরিয়াহ আইন নাই, যেটা আছে কসমেটিক। যতদিন আমরা আমাদের স্টেট আমাদের ট্র্যাডিশনে পরিচালিত করেছি ততদিন আমরা দাপিয়ে বেড়িয়েছি অথবা শত্রু আক্রমণ করলে তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেছি, কিন্তু এভাবে পায়ের নিচে পিষ্ট হই নি। তাই তাদের সিস্টেম থেকে বেরিয়ে আশা জরুরী। শুধু মসজিদে গিয়ে দাওয়াত দিলে হবে না। ফিল্ডে নামা জরুরী। যদি সেকুলার দৃষ্টিভঙ্গির হন তবে কনভারসেশন চালানো সম্ভব না। আর যদি ইসলামিক ট্র্যাডিশনে বিশ্বাস করেন তো জানিয়ে রাখা ভালো, শেষ যুগে যে মহাযুদ্ধের কথা বর্ণনা করা হয়েছে ঈসা আঃ আসার আগে, তা খুবই সন্নিকটে। সুতরাং মুসলমানদের জন্য এটাই কৌশলগত মুহূর্ত। যুদ্ধ শুরু হলে যেসব ভ্যাকিউম তৈরি হবে সেটাকে কাজে লাগিয়ে মুসলমানরা তাদের হারানো স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং প্রতারণামূলক পশ্চিমা সিস্টেমগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শরীয়া আইন বলতে কোন কিছু নেই, শরীয়া আইন হলো প্রাচীন আরব এলাকার অশিক্ষিত মানুষষের সামাজিক নিয়ম কানুন; বিশ্ব এখন বিবর্তিত, পরিবর্তিত, শিক্ষিত; মানব সম্প্রদায় আগের অবস্হানে নেই; মানুষ বর্তমানের প্রয়োজনকে সামনে রেখে আইন কানুন লিখছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: হুম......... আর আপনাদের আইনে উন্নতির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। পুরুষ পুরুষকে বিয়ে করছে আর তাকে বিবাহের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে!! অপারেশন করে লিঙ্গ পরিবর্তন করা হচ্ছে তাকেও বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। নারী-পুরুষ বিবাহ বহির্ভুত সন্তানের জন্ম দিচ্ছে সেটাও বৈধ। ১০১ টা বফ গফ চেঞ্জ করা বৈধ। কালকে দেখলাম সেক্স রোবট বের হয়েছে, সেটাও শীঘ্রই বৈধ করা হবে আশা করি। পরিবার ধ্বংস করার সমস্ত উপকরণই বৈধ করা হয়েছে। ডিভোর্স সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেছে, সন্তানরা মানসিক ট্রাউমার মধ্যে দিয়ে বড় হচ্ছে। বাবা মারা বৃদ্ধাশ্রমে যাচ্ছে। বিবাহ থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। পরিবার থেকে তৈরি হয় গোষ্ঠী, গোষ্ঠী থেকে গোত্র, গোত্র থেকে জাতি, জাতি থেকে জাতিগোষ্ঠী। পরিবার ধ্বংস মানে মানবজাতি ধ্বংস। কিন্তু না, লিবারেল গুরুদের মতে সবই হালাল।
পৃথিবীর প্রায় সমস্ত সম্পদ পৃথিবীর কিছু নির্দিষ্ট দেশ ও কিছু নির্দিষ্ট মানুষের হাতে কুক্ষিগত কেন? গরিবদেশগুলো চিরদিনের মত গরিব কেন? ঐ দেশের লোকেদের কি সম্পদ নাই? তারা কি গা খাঁটিয়ে পরিশ্রম করে না? এত আদর করে আপনার দেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থা কেন বসায় তারা? জোঁকের মত কেন চুষে নিয়ে যায় সব কিছু? বিভিন্ন দেশে জঙ্গি লালন পালন করে প্রক্সি দিয়ে যুদ্ধ কেন করে তারা? স্বাধীন দেশের গভমেন্টগুলোকে কেন ছুঁড়ে ফেলে ভ্যাকিউম তৈরি করে? যেই পাপেট মাস্টারদের আইন আপনারা অনুসরণ করেন, যা পৃথিবীর সব আইন থেকে ভালো, যাতে উন্নতির জোয়ার বয়ে যায়, তা ছয় দেখিয়ে নয় নিয়ে যায় কেন? সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সরকার, পরিবার, ধর্ম ধ্বংস করে দিয়ে যায় কেন? শুরু করব নাকি স্যার?
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের সময়, পাশ্বক্রিয়া হিসেবে আরবী রাজতন্ত্রের উদ্ভব ঘটে; তারা সব রাজতন্ত্রের মতো মক্কা, মদীনা, বায়েজান্টাইনদের আলেকসান্দিয়া, জেরুযালেম ও পারসিকদের সাম্রাজ্য দখল করে; তারপর যেকোন রাজতন্ত্রের মতো উহা চলেছিল; এখন নেই!
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: No Mr. Chandgazi, You haven't enough knowledge on ISLAM.
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫
আমার আব্বা বলেছেন: মোঃ আশরাফুজ্জামান
আধুনিক বিশ্বে কি ইসলামী শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব?
সম্ভব না
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০১
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: হুম......... ঠিক এই মুহূর্তে সম্ভব না। But very soon the tables will turn.
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
@প্রশ্নবোধক (?) ,
মানুষ যে ইসলামের "স্বর্ণযুগের" কথা বলেন, সেটা ইসলাম ধর্মের স্বর্ণ যুগ নয়, সেটা হলো আরবী রাজত্ত্র ও তুর্কী রাজতন্ত্রের স্বর্ণযুগের গল্প।
রাজতন্ত্র আর আসার সম্ভাবনা নেই, হোক সে চেংগিস খান, কিংবা খলীফা ওমর, কিংবা কুইন ভিক্টোরিয়া
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ধর্মকে ঘর পর্যন্তই আবদ্ধ রাখলে সমাজে সান্তি, একে বাইরে একে নিয়ে টানাটানি করলেই শুরু হয় অশান্তি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: শান্তিতে চলার ব্যবস্থা করলে অশান্তির কিছুই নাই। অমুসলিমদের উপর ইসলামী শরিয়াহ প্রয়োগ করার কোন নিয়ম নাই। তাদের উপর প্রয়োগ হবে তাদের আইন। কাজেই ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিমরা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারে। উদাহরণ হুদাইবিয়ার চুক্তি। এটা ছিল একটা লিখিত কন্সটিটিউশন যেখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকার লিখে রাখা হয়েছিল। যদি রাষ্ট্রে শুধু মুসলিমই বাস করে অথবা শরিয়াহ আইন যদি অমুসলিমদের উপর প্রয়োগ করা হয়, তাহলে আর কন্সটিটিউশনের দরকার কি? মুসলিম রাষ্ট্রে মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টানরা গায়ে গা লাগিয়ে সবসময়ই বাস করেছে। ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের উপর যা করছে সেটা যদি মুসলিমরা ওদের উপর করত তাহলে ওরা খিলাফতের ১৩০০ বছর আমাদের সাথে থাকল কিভাবে? তখন তো আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ছিল না। কাজেই ধর্মীয় শাসনে রাষ্ট্র পরিচালনা করলে সংখ্যালঘুরা চ্যাপ্টা হয়ে যায় এইগুলো ডাহা মিথ্যা কথা। বরং সেকুলারবাদিরাই ধর্মওয়ালাদের উপর জুলুম চালাচ্ছে।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
কলম-বাঁশ বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৬
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার আবেশির ভাগ মুসলিমই ইসলামী আইনের জন্য প্রস্তুত নই | মূল ঝামেলাটা এটাই |
"সর্বপ্রথম প্রতিবন্ধকতা হল একটি বিশ্বসংস্থা যার নাম জাতিসংঘ। জাতিসংঘের রয়েছে একটি চার্টার। সেই চার্টার অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, শান্তি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপারে জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল হল চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। জাতিসংঘের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রই এই চার্টার মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ফলে কোরআনে আল্লাহ যদি কোন হুকুম দিয়ে থাকেন এবং জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল কোন বিপরীত হুকুম দিয়ে থাকে তবে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রকে অবশ্যই জাতিসংঘের হুকুম মানতে বাধ্য থাকতে হবে।" -এটা কিন্তু আসল বাঁধা না |
জাতিসংঘের যে চার্টার, বিশেষ করে যুদ্ধ-বিগ্রহ সংক্রান্ত ভিয়েনা কনভেনশনের যে চার্টার এটা পড়লে মনে হবে ইসলামের বিধি বিধানগুলোই এরা ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করেছে | প্রায় পনেরোশো বছর আগেই ইসলাম এতটা মানবিক নীতি প্রণয়ন করেছিল যুদ্ধ ও যুদ্ধবন্দীদের ব্যাপারে | যুদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত ইউএন চার্টারের মূল নীতিগুলোর সাথেও ইসলামের মূলনীতিগুলোর অবিশ্বাস্য রকমের মিল আছে | ব্যক্তি স্বাধীনতার কিছু বিষয়ে বিশেষ করে নারী স্বাধীনতার আধুনিক কিছু মতবাদের সাথে ইসলাম দ্বিমত করে কিন্তু এর মূল জিনিসগুলোর সাথে যেমন একই কাজে নারীর সমান মজুরি, নারীর সম্পদ আয়ের বা রক্ষার বিষয়গুলোর সাথে ইসলামের নীতিগুলোর সাথে এখানে বেসিক অমিল কিন্তু কমই | তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দিকে দেখুন তারা তাদের সমাজ অনেক অন্যরকম পশ্চিমা সমাজের চেয়ে | তারাতো চলতে পারছে সেই অমিল নিয়েও | জাতিসংঘ কিন্তু ফ্যাক্টর হচ্ছে না এব্যাপারে |
ইসলামিক দেশগুলোর জনগণকে আগে টিক করতে হবে তারা ইসলামিক আইন চায় কিনা ? বাংলাদেশের মানুষের কোথায় ভাবুন তারা কি রাজি আছে কি না এব্যাপারে ?তার জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে |সেটা না থাকলে ইসলামী শাসন চিন্তা করাও কঠিন |
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: হ্যাঁ, বহু মুসলমান শরিয়াহ আইন চায় না, এটা তো একটা ফ্যাক্ট অবশ্যই। কিন্তু যেসব মুসলিম চায় তাদের সংখ্যাও কম না। তারা যদি শরিয়াহকে ঠিকমত এপ্লাই করতে পারে তবে না চাওয়া দলের বহু লোকও শরিয়াহ আইনের পক্ষে ভিড়বে। আশা করি আপনি ব্রেইনওয়াশড নন, শরিয়াহ আইন মানেই তো আর কথায় কথায় কল্লা ফেলে দেওয়া নয়। শরিয়াহ আইন অবশ্যই সুন্দর, একে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলে মুসলিমরা একে অবশ্যই পছন্দ করবে। আফটার অল আমরা মুসলিম। কিছু মানুষ ব্যাতিক্রম তো থাকবেই। এটা সব দেশেই থাকে। মূলধারার সাথে সবাই একমত নাই হতে পারে। জনমত যেকোনো সময় পরিবর্তন হতেই পারে, আর তখন শরিয়াহ আইনের পক্ষ ভারি হতে পারে। কিন্তু অনতিক্রম্য বাঁধা হল এই ওয়ার্ল্ড গভমেন্ট বডিগুলো। তাদের সিস্টেমের আন্ডারে থেকে ইসলাম অপারেট করা সম্ভব না। আল্লাহ যা হালাল করেছেন তাকে তারা হারাম করে দেয় এবং যাকে হারাম করেছেন তাকে তারা হালাল করে দেয়। উদাহরণ - গোল্ড আর সিলভার কারেন্সি তারা হারাম করেছে। গোল্ড ও সিলভার কারেন্সিতে টাকার মূল্য টাকাতেই নিহিত থাকে, তারা আমাদের গোল্ড সিলভার ব্যবহার করা ব্যান করে দিয়ে আমাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। এটা কত বড় ডিসেপশন ধারণাও করতে পারবেন না। দেখুনঃ Click This Link এটা শুধু একটা উদাহরণ দিলাম। এমন আর অনেক কিছু দিয়ে ওরা আমাদের আঁটকে রেখেছে। ওদের এই সিস্টেমগুলো হল আমাদের মুসলিমদের জন্য বাঁধা। আর জাতিসংঘের ব্যাপারে কি আর বলব। যেভাবে বছরের পর বছর ইসরাইলকে ভিটো দিয়ে যাচ্ছে এর পরও যদি জাতিসংঘের জোচ্চুরি দেখতে না পান তাহলে বুঝব আপনি এক চোখ দিয়ে দেখছেন।
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সারাবিশ্বর আনাচে কানাচে মুসলমানরা মার খেয়ে মরছে, তাদের নিরাপত্তা কোন ব্যবস্থা নাই আপনি আসছেন শরিয়াহ আইন নিয়ে?? আরে ভাই আগে তো তাদের বাচতে দিবেন তারপর যে আইন ইচ্ছা প্রয়োগ কইরেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৮
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: আল্লাহর বান্দাদের আল্লাহই বাঁচাবেন। আমরা চিরদিনই মার খাব না। আর আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আমি যেন এখনি দেশে শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করে ফেলছি!! আমি শুধু দেখালাম কেন আমরা শরিয়াহ আইন এপ্লাই করতে পারছি না। শরিয়াহ আইন থাকলে আর এই মারটা খাওয়া লাগত না, জাতিসংঘ ইসরাইলকে স্তন পান করিয়ে এভাবে বড় করতে পারত না বা জঙ্গি মারার নাম করে আমেরিকা দেশে দেশে গিয়ে সরকার পতন ঘটাত না। আর গোল্ড কারেন্সি চালু করতে গিয়ে গাদ্দাফিকে লাশ হওয়া লাগত না।
১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০০
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @চাদগাজী, রাজতন্ত্র আর ইসলামী খিলাফতের মাঝে বিস্তর ফারাক আছে। চেংগিস আর উমর এক মানষিকতার লোক নয়্।
১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সাধারন মুসলমানরা কোন কেরামতিতে এখন আর পশ্চিমাদের সাথে পাড়বে নাহ। আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে পৃথিবী ধংসের পূর্বে ইমাম মা্হাদী এসে মুসলমানদের নেতা হবেন। পৃথিবী শাসনন করবেন। তখন ই পূন্য ইসলাম প্রতিস্টিত হবে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেছেন: সেটাই আমি ইঙ্গিত করেছি। এই মুহূর্তে ইসলামী খিলাফত ও শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। ইমাম মাহদির (আঃ) আন্ডারে একত্রিত হয়ে আমরা দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে সফলতা অর্জন করব। আপনাকেও সুখবর জানাচ্ছি, তিনি আসার সময় খুবই নিকটে। এমনি এমনি দাবি করছি না। ইসলামের শেষ যুগ বিদ্যা নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছেন তারা প্রায় সবাই একমত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: এমন একটি ভূখণ্ড প্রয়োজন যেখানে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা। মন্তব্য
আল্লাহর কি রাষ্ট্রের দরকার আছে। সমগ্র বিশ্বটাই তো ওনার। আল্লাহ ইচ্ছা করলে পুরো বিশ্বকে এক পতাকাতলে আনতে সক্ষম।