![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই দেশটা একসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ ছিল। কিন্তু হিন্দু-মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের কিছু অপরিনামদর্শী অতি উৎসাহী মানুষের কারণে সেই 'সম্প্রীতির বন্ধন' এখন অনেকটাই আলগা হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে, হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেটাও এখন বিনষ্ট করা চেষ্টা করছে দেশী-বিদেশী কিছু অপশক্তি।
প্রতিবছর দুর্গাপূজার শুরু হলেই 'অসম্প্রদায়িক' চেতনাধারী কিছু মুসলিম আবাল হিন্দু মন্দিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মারাইতে যায়। খুব খুব কম ক্ষেত্রেই এদেরকে আমন্ত্রণ করে নেয়া হয়। বেশীরভাগই স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে মন্দিরে গিয়ে ভিড় করে এবং পূজা দর্শনের নামে সনাতনীদের পূজা-অর্চনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ।
কথিত এই 'অসাম্প্রদায়িক' মুসলিম ছ্যাঁচড়া পাবলিকগুলার যুক্তি হল ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আরে ছাগলের দল তোদের মসজিদে কি কোন হিন্দুরা নামাজ পড়তে যায়, নাকি তোরা কোন হিন্দুকে মসজিদে ঢুকতে দিবি? তোরা যখন গরু জবাই করে ঈদুল আযহা উদযাপন করিস, তখন কি কোন হিন্দু তোদের বাসায় আসে, কিংবা কোন হিন্দুকে তোরা দাওয়াত করিস? যতই বলা হোক 'সার্বজনীন দুর্গাপূজা'। কিন্তু সেই দুর্গাপূজা তোর জন্য নয় রে মুসলমান ছাগল।
ইদানিং আবার দেখা যাচ্ছে মাদ্রাসার ছাত্ররা অথবা দাড়ি-টুপিওয়ালা মুসলমান লোকজন মন্দির পাহারা দিয়ে বেশ উদার, অসাম্প্রদায়িকতা দেখাচ্ছে। হিন্দুদের মন্দিরের পাশে লাঠিধারী দাড়ি-টুপি ওয়ালা এবং পাঞ্জাবি পরা লোকজনের উপস্থিতি মোটেও কোন সুখকর ব্যাপার নয়, দৃশ্যটি খুবই দৃষ্টিকটু অস্বস্তিকর এবং আপত্তিকর।
আরে বলদের দল, তোরা যদি এত অসাম্প্রদায়িক হতি, সম্প্রীতির ধব্জাধারী হতি, তাহলে হিন্দু মন্দির পাহারা দেওয়া লাগে কেনরে পাগল? আর পাহারা যদি দিতেই হয় তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিবে অথবা স্থানীয় ছাত্র-যুবকেরা দিবে, তোদের ওখানে কোন প্রয়োজন নাই।
সংখ্যালঘুদের প্রতি এবং তাদের পূজা উৎসবের প্রতি অতিরিক্ত সম্প্রীতি এবং দরদ প্রকাশ করতে গিয়ে এবার ঘটানো হয়েছে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের দুর্গাপূজার মণ্ডপে কয়েকজন তরুণ স্টেজে উঠে ধর্মীয় গান গেয়েছে। সেটা নিয়ে ঘোলা হচ্ছে জল। তারা নাকি পূজা কমিটির আমন্ত্রণেই গিয়েছিল। কেনরে চোদনারা। আল্লাহ তোদের বিবেক বুদ্ধি দেয় নাই? পূজা মন্ডপে গিয়ে তোদের গান গাইতে হবে কেন?
এমনিতেই পতিত স্বৈরাচার নানা গুজব সৃষ্টি করে, সাম্প্রদায়িক ইস্যু তৈরী করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পায়তারা করছে। যেমন, একদল লোক কবরস্থানে কবর জিয়ারত করছে, এমন একটি ছবিকে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এডিট করে পূজামন্ডপের ছবি বলে চালিয়ে দিয়ে ফেসবুক গরম করে ফেলেছে (দ্রষ্টব্যঃ পোস্ট সংযুক্ত ছবি)। তোরা আবার এই সব অতি উৎসাহী,অপরিনামদর্শী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ওদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছিস! ওরে ছাগুর দল,এবার তোরা মানুষ হ।
©somewhere in net ltd.