![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছাত্রলীগ একটি 'ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন'। দেশের রাজনীতির উত্থান-পতন এবং আর্থসামাজিক পেক্ষাপটে এই দলটির 'বিরাট অবদান' রয়েছে। তাই ছাত্রলীগকে কি ভোলা যায়? চাইলেও কেউ ছাত্র লীগের 'ইতিহাস' মুছে দিতে পারবে? বিষয়টি এতো সহজ হবে না।
স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজ্বী মোঃ মহসীন হলে অর্ন্তদলীয় কোন্দলে সেভেন মার্ডার দিয়ে এই সংগঠণটি শিক্ষাঙ্গনে লাশের খাতা খোলে। তখন থেকে এই পর্যন্ত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ১৫২ লাশ ফেলে ছাত্রলীগ। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে এই সংখ্যা হবে সহস্রাধিক। শুধু এই কারণেই জাতি এদের মনে রাখবে। জাতি এদের মনে রাখবে বিশ্বজিৎ আর আরবারের নৃশংস হত্যাকান্ডের জন্য ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের সেঞ্চুরি করার জন্য জাতি এই সংগঠনকে মনে রাখবে। আরো মনে রাখবে এদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, দখলবাজি, প্রশ্নফাঁস, ছিনতাই এবং ক্যান্টিনে ফাও খাওয়ার জন্য। ছাত্রলীগকে মনে রাখা হবে 'নিরাপদ সড়ক চাই' এর মতো অহিংশ আন্দোলনে হেলমেট পরে কোমলমতি শিশুদের ওপর লাঠি, চাপাতি হাতে বর্বরোচিত হামলার জন্য। জাতি ছাত্রলীগকে কখনোই ভুলবে না জুলাই আন্দোলনে পিস্তল, নাইন স্যুটার, লাঠি, পাইপ, ছুরি চাপাতি, একে ফোরটি সেভেন মারাত্মক সব অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করার জন্য। ছাত্রলীগকে মানুষ মনে রাখবে ক্ষমতাসীনদের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে হাসিনা রেজিমকে দীর্ঘায়িত করার ক্ষেত্রে 'উল্লেখযোগ্য' অবদান রাখার জন্য।
জাতি এই সদ্য নিষিদ্ধ, নৃশংস, সন্ত্রাসী সংগঠনটির কোন অবদানই অস্বীকার করতে পারবে না। নিশ্চয়ই তাদের সব দুস্কৃতিই মনে রাখা হবে।
©somewhere in net ltd.