![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুখ্যাত '৭৪এর বিশেষ ক্ষমতা আইন' প্রণয়ন করেছেন পলাতক, ফ্যাসিস্ট শেখাসিনার বাবা বাংলাদেশের স্থপতি তথা প্রথম স্বৈরাচার, বাকশাল স্রষ্টা শেখ মুজিব। এই বিশেষ নিবর্তন মূলক আইনের মাধ্যমে তিনি তৎকালীন জাসদ, ন্যাপ সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারা অন্তরীণ রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন।
গণ আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের অন্তবর্তী সরকার ১৯৯১ সালে এই আইন নির্বাহী আদেশে বিলোপ করেছিলেন। কিন্তু ৯৬ সালে শেখাসিনা ক্ষমতায় এসে এই আইনটি পূনরুজ্জীবিত করে বাবার মতোই বিরোধীদমনের কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয়, শেখাসিনা এই আইনের আপগ্রেড ভার্সন হিসেবে 'জননিরাপত্তা আইন' নামে আরেকটি কালো আইনও তৈরী করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি সরকার এই আইনটি বাতিল করে দেয়।
২০০৯ সালে শেখাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় এসে তার পিতা কর্তৃক প্রবর্তিত কালো আইনটি আবার ব্যাপক ভাবে ব্যবহার শুরু করে। হাজার হাজার বিরোধীদলের নেতাকর্মীকে এই আইনের মাধ্যমে কোন অভিযোগ এবং পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করে বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে অবশ্য এরচেয়েও নিবর্তক মূলক 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' প্রণয়ন করা হয়।
বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রণয়ন এবং সবচে বেশী ব্যবহার হয়েছে আওয়ামিলীগের হাতে। অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে আওয়ামিসরকার এই আইনে যথেচ্ছা প্রয়োগের মাধ্যমে বিরোধী দলগুলোগুলোকে কঠোর হস্তে দমন করেছিলো। এখন এই আইনটি যথাপোযুক্ত প্রয়োগের মাধ্যমে ইউনুস সরকার সম্প্রতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা পলাতক ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মাদের কঠোর হস্তে দমন করতে পারে। এই নিবর্তনমূলক আইনের শিকার হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এর ভয়াবহতা হাড়ে হাড়ে টের পাক। শুধু বিশেষ ক্ষমতা আইনই নয়, পাশাপাশি মিথ্যা গুজব এবং প্রোপাগান্ডা চালিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার জন্য অনলাইনে সক্রিয় আওয়ামি দোসরদের দমন করার জন্য 'ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন'টিও আবার সচল করা হোক। যেমন কুকুর, তেমন মুগুর।
তবে কোন নিরীহ ব্যক্তি যেন এইধরণের কালা কানুনের যাতাকলে পিস্ট না হয়, সেটাও প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.