![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগার হিসাবে নিবেদিত প্রাণ যারা" প্রসঙ্গে ঃ আমার বক্তব্য টি সংযোযন করলাম ;- ব্লগার যাযাবর বেদুইন-কে বলছি ; "আপনার পোষ্ট পড়ে অন্তত কিছু "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" চিনতে পারলাম, এই-সব "সু-শীল হস্তী" বা রাঘব-বোয়ালদের কারনেই হয়তো আমাদের লেখার সাথে সম্পৃক্ত ছবিগুলো "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" মত বা "রাঘব-বোয়ালদের লেখার মত লেখার পূর্ব-লাইনে সংযোযন করা হয়-না ; -যেমন তাদের পোষ্টে সংযোযন করা হয় এবং "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" সাদা-বিষের ছোবলে সত্যের সন্ধ্যানীদের জন্য আমাদের লেখা-গুলো প্রথম পাতা থেকে বাদ-দেয়া হয় অথবা মুছে ফেলা-হয় , বন্ধ করে দেয়া হয় অন্যান্য পাঠকদের জন্য পড়ার লিংক ! ধন্যবাদ আপনাকে "যাযাবর বেদুইন" !
তোমাদের আজ প্রেমের গল্প শুনাবো , আচ্ছা ! মামার শালী কি বন্ধু হতে পারে , বন্ধুমানে প্রেম করার বন্ধু? বন্ধু প্রেম করার বন্ধু? আমার নিজের প্রেমের গল্প;-আমার বড় মামার শালী খুব সুন্দর বা সুন্দরী ,নাম বলবো না , তিন দিন নানীর বাড়ী বেড়াতে গেলে দুই দিন-ই ওর সাথে দেখা হতো "ওর" না বলে "তার" বললেই ভালা হয় , কেন-না আমার থেকে বয়সে একটু বড় ,কথা খুব সন্দর করে বলতো-তাতে আবার জিন্জিরার টান । নানীর বাড়ীতে যেতে হলে আগেই ভাবতাম যদি তার দেখা হয়ে যায় , এক ঢিলে দুই পাখী , অতিথী বেশী হলে এক রুমেই অনেক-কে ঘুমাতে হতো , ঐ রকম পরিস্থিতিতে- নানী , আমার ছোট মামা এবং আমি এক রুমে শুইতাম , এক রাতে মেহমান একজন বেড়ে গেলো- সে আর কেউ নয় ! "ও" বা "সে" প্রথম তেমন কোন কথা হয় নাই , একই রুমে ঘুমিয়েছি এ কারনেই হয়তো পরদিন থেকে বেশ কথা বলতে শুরু করলাম , আমি খালা ডাকি আর আমাকে মামা , আমার ছোট মামা অনেক লাজুক , মামার বিয়ান হওয়াতেও মামা তেমন কোন কথাবার্তা বলতো না তার বিয়ানের সাথে , আমি-ই বেশী কথা বলি খালার সাথে , আমরা বন্দু হয়ে গেলাম দুজন-ই দুজনের , খালার সাথে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগতো , বুঝতে পারতাম খালারও তাই । সেই থেকে যখন-ই নানীর বাড়ীতে যেতে হতো তখন-ই মনে হতো যদি খালাকে গিয়ে পাই, খুব মজা হবে । নানীর বাড়ীতে যাওয়ার দুটো কারন আমাকে উৎসাহ দিতো , - বড় মামার শালী , আর রুপমহল সিনেমা হল থেকে একটা ছবি দেখা , নানীর বাড়ীতে যাওয়ার এটা ছিলো আমার নিজের বানানো "ভোনাজ" বাড়ী থেকে কয়টায় রওনা দিয়েছি তা নানীর বাড়ী জানতা না , আর নানীর বাড়ীতে কয়টায় এসেছি নিজের বাড়ীতেও তাই , কিন্তু ছোট মামাকে ফাকি দেয়া যেতো না , সরাসরি প্রশ্ন করতেন;-ছবি কেমন লাগলো ? দুটি ভাষনা নিয়ে আজ-ও বাড়ী থেকে রওনা হলাম , বাড়ী থেকে কিছু দূর আসার পর আমার ছোট চাচীর সাথে দেখা , চাচী আমাকে জিগ্ঙাসা করলে কথায় য়াও রে বাবা ? আমি জবাব দিলাম - নানীর বাড়ী ! নানীর বাড়ী শব্দটা শুনে চাচী একটু চমকে উঠলেন , একটু এদিক সেদিক তাকালেনও -বললেন সাবধানে যেও বাবা , বুজতে পারলাম না চাচী কেন সাবধান করলেন ! শুধু জবাব দিলাম ঠিক আছে চাচী , মনে আনন্দ ; ছবি দেখবো তার পর যদি মামার শালীর সাথে দেখা হয়ে যায় ? গুলিস্থান থেকে সদরঘাট গেলে সবাই রিক্সা নেয় , কিন্তু আমি একা থাকলে সবসময় ঘোড়ার গাড়ীতে সদরঘাট যেতাম , এতখন না বুঝলেও গুলিস্থান পৌছে চাচীর কথার অর্থ বুঝতে শুরু করলাম , চারী পাশে শুধু সাবধানের কথাবার্তা , রুপমহলে পৌচে একই ভাব অনুভব হলো , সাবধান করে দেয়া চাচীর কথা মনে হলো, ছবি না দেখে নদী পার হলাম , নদীর ওপাশেই নানীর বাড়ী , বুকভরা আশা নিয়ে "মামার শালীর সাথে দেখা হবে" !!! দিনটি ছিলো আষাঢ়ের এক সন্ধ্যা !
©somewhere in net ltd.