![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগার হিসাবে নিবেদিত প্রাণ যারা" প্রসঙ্গে ঃ আমার বক্তব্য টি সংযোযন করলাম ;- ব্লগার যাযাবর বেদুইন-কে বলছি ; "আপনার পোষ্ট পড়ে অন্তত কিছু "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" চিনতে পারলাম, এই-সব "সু-শীল হস্তী" বা রাঘব-বোয়ালদের কারনেই হয়তো আমাদের লেখার সাথে সম্পৃক্ত ছবিগুলো "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" মত বা "রাঘব-বোয়ালদের লেখার মত লেখার পূর্ব-লাইনে সংযোযন করা হয়-না ; -যেমন তাদের পোষ্টে সংযোযন করা হয় এবং "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" সাদা-বিষের ছোবলে সত্যের সন্ধ্যানীদের জন্য আমাদের লেখা-গুলো প্রথম পাতা থেকে বাদ-দেয়া হয় অথবা মুছে ফেলা-হয় , বন্ধ করে দেয়া হয় অন্যান্য পাঠকদের জন্য পড়ার লিংক ! ধন্যবাদ আপনাকে "যাযাবর বেদুইন" !
মনে-হয় সেই সব দিনের কথা -যে বয়সে পুকুড় পাড়ে গিয়ে "এ-দিক "ওদিকে তাকিয়ে যখন কারোর"ই উপস্থিতির সম্ভবনা না দেখে "লুঙ্গী-খুলে" ঝাপ দিতাম পুকুড়ে অথবা আরো একটু ছোট বয়সে বর্ষার সময় যখন সব চাচাত-ভাই আর বন্ধুদের সাথে মিলে লেংটা হয়ে"ই পুল-থেকে লাফ বা ঝাপ দিয়ে পড়তাম "খালে" ! মনে হয় মনিকার কথা , মনিকার সাথে যখন আমরা দুষ্টামী করতাম তখন আমরা ( আমি আর বসির ) কখন-ও মনে রাখতাম-না "মনিকা" আমাদের"ই ছোট-চাচার "শালী" এবং সম্পর্কে আমাদের খালা হয় ! চাচী সব বুঝতো এটা-যে আমাদের বয়সের দোষ , কিন্তু মনে আমাদের পবিত্রতা আছে , তাই তিঁনি মাঝে-মধ্যে আমাদের উপড় আদরের ভঙ্গীতে রাগ হতেন , বলতেন "এই দুষ্টরা তোমরা-কি জাননা কি সম্পর্ক রয়েছে তোমাদের মধ্যে" ? আমরা-ও জবাব দিতাম "বন্ধুর-শালী" আর আমাদের হন "বিয়ান-সাহেবা" , চাচী হাসতেন আমাদের জবাব শুনে ! কথা একদিকে সত্য , কারন চাচা আমাদের সাথে সব-সময়"ই "বন্ধু-সুলভ" মনোভাব দেখাতেন এবং একজন ভালো "বন্ধু"র মতই আচরন করতেন , মাঝে মধ্যে চা-য়ের দোকানে নিয়ে যেতেন যে বয়সে গ্রামের ছেলেরা চা-য়ের দোকানের "আশ পাশ-ও" যেত-না , চাচার তা করার মূল উদ্যেশ্য ছিলো কি ভাবে আমরা নিজেকে তৈরী করবো একজন ভালো মানুষ হিসাবে ! "টি-বয়ের" সাথে অতি সাধারন ভাবে কথা বললে যে সন্মান পাওয়া-যায় আর ধাম্বীকতার সাথে কথা বল্লে কি রকম সন্মান পাওয়া-যায় সে-সব কিছুর তুলনা বাস্তব ভাবে আমাদের দেখানোর জন্য তিনি আমাদের ঐ বয়সে চায়ের দোকানে নিয়ে যেতেন "চা" খাওয়াতে , সত্যি কয়েক বার যাওয়ার পর"ই লখ্য করলাম "আমরা "চা-য়ের" দোকানে ঢুকলেই দেখতাম "টি-বয়" বেশ সুন্দর করে টেবিলটা মুছে-দিত , কিছু বলতে হতো-না কিছুখন পর ঝকজকা পরিস্কার গ্লাসে করে পানি নিয়ে আসতো আমাদের জন্য , তার পর নিতো অর্ডার , অন্যদিকে দেখতাম কেউ কয়েক বার করে পানি চাইতেছে অথবা "গ্লাস ধুয়ে এক-গ্লাস পানি-দে" বলার পর-ও তার জন্য নিয়ে আসা পানির গ্লাস-টা পরিস্কার নয় , আবার এক ধমক দিলো "টি-বয়"-কে তার পর-ও যে গ্লাসে করে পানি নিয়ে আসলো সেটা-ও আমাদের দেয়া পানির গ্লাসের মত পরিস্কার ঝকজকা-নয় ! চাচার সাথে "টি-বয়ের" এই আচরনের একমাত্র কারন খুজে পাইলাম তা-হলো "টি-বয়ের" সাথে চাচার কথা বলার "ধরন" , লখ্য করেছি চাচা যখন "টি-বয়"-কে ঢাকতেন তখন "এই জইল্লা" বলে ঢাকতেন-না , তিনি ঢাকতেন "টি-বয়ের"যে নাম "আঃ জলিল" সেই "আঃ জলিল" বলে আর অন্য কোন কারন নয় , চাচাযে "ওকে "টিপ্স" দিতেন তা-নয় ! গ্রামে তো আর এসব নাই ! কারন শুধু একটাই "টি-বয়ের" বলে অবহেলা না করে "ওকে একজন আমাদের মত"ই করে দেখা এবং গরীব হয়েছে বলেই তার সাথে ধাম্বীকতার সাথে কথা না বলে সাধারন ভাবে কথা বলা , চাচার কথা হলো তা বললে খতি কি , ভালোভাবে কথা বলার জন্য-তো পয়সা লাগে-না ? গরীবরা-ও তো আমাদের মতই "মানুষ" ! "বা-জানের" মত চাচা-ও বলতেন "শিখ্যার না আছে বয়স , না আছে শেষ ! পারিবারিক ভাবে দেখার মত কোন ছায়া-ছবি মুক্তি পেলে চাচা আমাদের সেই ছায়া-ছবিটি দেখাতেন ! আরো কতো কথা মনে-পড়ে !
©somewhere in net ltd.