নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্তব্য

উদদিন

"সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগার হিসাবে নিবেদিত প্রাণ যারা" প্রসঙ্গে ঃ আমার বক্তব্য টি সংযোযন করলাম ;- ব্লগার যাযাবর বেদুইন-কে বলছি ; "আপনার পোষ্ট পড়ে অন্তত কিছু "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" চিনতে পারলাম, এই-সব "সু-শীল হস্তী" বা রাঘব-বোয়ালদের কারনেই হয়তো আমাদের লেখার সাথে সম্পৃক্ত ছবিগুলো "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" মত বা "রাঘব-বোয়ালদের লেখার মত লেখার পূর্ব-লাইনে সংযোযন করা হয়-না ; -যেমন তাদের পোষ্টে সংযোযন করা হয় এবং "সু-শীল ব্লগার হস্তীদের" সাদা-বিষের ছোবলে সত্যের সন্ধ্যানীদের জন্য আমাদের লেখা-গুলো প্রথম পাতা থেকে বাদ-দেয়া হয় অথবা মুছে ফেলা-হয় , বন্ধ করে দেয়া হয় অন্যান্য পাঠকদের জন্য পড়ার লিংক ! ধন্যবাদ আপনাকে "যাযাবর বেদুইন" !

উদদিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা গাছের গল্প

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬

কেউ বলে এটা মিরাবেল গাছ , কেউ বলে পুরিন ( বাংলাদেশে এটাকে আলু বোকড়া বলে , যারা পূরো ঢাকার লোক তারা ভালো চিনবেন , শুকানো একটা ফল সাধারনত বিড়ানীতে ব্যাবহার করে ) ফলের গাছ , ইউরোপে বা এ্যামিরিকাতে হয় বা পাওয়া যায় এই ফল । যে বলে গাছটি পুরিনের , তার সাথে আমি একমত , আর যে বলে "মিরাবেল" তার সাথে আমি একমত নই , কারন আমি এই ফলটিকে খুব ভালো-ভাবে চিনি , যেমন চিনি আমার বড় মামার শালীকে , পার্থক্য শুধু এই যে - ফলটি আমি খেয়েছি - আর ,.,,..,,,... ফলটি দেখতে আমাদের "বড়ই" ফলের মতো একটু লম্বাটে , ফলটি যদি গাছে পাকে , তাহলে ফলটির দুই অংশের রং দুই-রকম , সূর্যের দিকে যে-অংশটা - তা হয় হালকা গোলাপী ( বলা যায় ) , অপর অংশটি হয় "বড়ই" ফলের মতোই রং অথবা করমজা ফলের মতো , - হে "করমজা"ফলের মতোই দেখতে কিন্তু করমজা হলো টক আর "মিরাবেল" ফলটি হলো খুবই সু-স্বাদু এবং মিষ্টি-টক আর্থাৎ মিষ্টির পরিমান খুব-ই বেশী । "করমজা" নামটাতে আমার বড় বোনের স্মৃতি জরিয়ে আছে এই "করমজা" র গাছ"ই বলো আর করমজা ফল"ই বলো তা আমি সর্বপ্রথম তাঁর শ্বশুর বাড়ীতেই দেখেছি , আমি আমার এই বোনের বাড়ীতে যখন যেতাম , প্রায়-ই দুই-তিন দিন থাকতাম , তার শ্বাশুরী , তার ননদ আমাকে অনেক আদর করতো , এই দুই-তিন দিনে আপা শুধু প্রথম আসার দিন বা সময় আর খাওয়া সময় দেখতো , এ ছাড়া আমার সাথে কথা বলার শুধু এই সময়টাই পেত "আপা , তখন শুধু বলতো বাবুর বউ কি তোকে যাদু করেছে নাকি " আমাকে দেখতে এসে তুই শুধু তার কাছেই থাকিস ?" এই বাবুর বউ হলো আমার বড় আপার চাচা শ্বশুরের দেবরের বউ , প্রথম দিন যখন সে বাড়ীতে গেলাম , বাড়ীতে ডুকেই দেখি তার চাচা শ্বশুর অনেক লোকজন নিয়ে কথা বলছে , সম্ভবত তাবলিকের কথাবার্তা চলছিলো , সবার মাথায় টুপি এবং লম্বা দাড়ী , আপার চাচা শ্বশুরের দাড়ী খুব বেশী লম্বা , সালাম নিয়ে আমাকে জিজ্ঘাসা করলো " তুমি আফজালের সালা না ?" হ্যা ! অনেক কিছু জিজ্ঘাসা করে ফেললো , ভাবলাম নামাজ-রোজা করি কি-না জানতে চাইবেন কিন্তু এব্যাপারে কেউ কছুই জিজ্জাসা করলো না , এক সময় "নূরী" বলে ডাকলো । -নূরী তাদের ছোট মেয়ে বয়স ষোল সতের , নূরী আসার আগেই বললো , মেহমান এসেছে ভিতরে নিয়ে-যা । -আমাকে সরাসরি ভিতরে নিয়ে বসালো "নূরী" এবং কিছুন পর "চা" নিয়ে এলো , রান্নঘরে অনেক কাজ সবাই রান্ন-ঘরেই আপনি বসেন , আমি আসছি - বলে চলে গেলো নূরী , এতোখন একা বসার অব্যাস আমার নাই , আমি রান্না ঘড় লখ্য করে রান্না ঘড়েই চলে গেলাম , সেখানে ছিলো আপার চাচী শ্বাশুরী , নূরীর বড় এক বোন , আর এই বাবুর বউ , সবাই অবাক হলেও বুঝতে পারলাম কেউ-ই বিরক্ত হয় নাই , আমি একটা পিড়ি নিয়ে বসে গেলাম , তা দেখে "মায়ই-জী" ( আপার চাচী শ্বাশুরী ) বলে উঠলো - এ কি করছ বাবা " এই নূরী একটা চেয়ার এনে-দে , নূরী চেয়ার আনতে উঠছিলো "আমি নূরীর হাত ধরে ওকে আটকাতে চাইলাম , এমন সময় তালই-জী ( আপার চাচা শ্বশুর ) এসে বললো " তোরা মেহমান-কে কি এখনও একা বসিয়ে রেখিছিস বলেই ভিতরে ডুকলো তখনও নূরীর হাত আমার হাতে ধরা , কারোর মধ্যই কোন প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না , নূরীও হাত টান দিয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলো না , আমি"ই একসময় নূরীর হাত-টা ছেড়ে দিলাম ! সেই থেখেই আমি আপাকে দেখতে গিয়ে বাবুর বউ এবং নূরীদের রান্না ঘরেই বেশী সময় কাটাতাম , এবং যখন-ই ঐ বাড়ীতে যেতাম বাবুর বউ আমাকে "সুন্দর-আলী" বলে ডাকতো , তার মুখে ঐ "সুন্দর-আলী" শব্দ-টা শুনতে আমার এতো ভালো লাগতো -যেমন ভালো লেগেছিলো নূরীর হাতটা ধরে ।ঐ বাড়ীতে এখন আর যাওয়া হয় না , কারন আমার বড় আপা নেই , আমাকে ফোনে জানানো হয়েছিলো বড় আপা মারা গেছেন , কিন্তু দেশে গিয়ে সব অভজার্ব করে বুজতে পারলাম বড় আপা মারা যান নাই তাঁকে মারা হয়েছে , যে-কারনে মারা হয়েছে তা আমি এর আগের বার দেশে গিয়ে দুলাভাই এবং একটি মহিলার আচরন থেকেই বুজেছিলাম , আপার মন খারাপ হবে বিদায় আপার কাছে গোপন রেখেছিলাম ঘটনা-টি , কিন্তু এবার দেশে গিয়ে যখন যানলাম দুলাভাই আপার মৃত্যুর কয়েক দিন পরেই বিয়ে করেছে এবং ঘটনাটা আমার কাছে গোপন করা হয়েছে ; তখন আর আমার বুজতে বাকি থাকলো না যে ওটা মৃত্যুছিলো না-ছিলো হত্যা । বাংলাদেশ বলে কোন ময়না তদন্ত হয় নাই , ইউরাপ বা এ্যামিরিকা হলে আমি এ হত্যার আসামী খুজে বের আমি করতাম-ই , কারন আপার এই অকাল মৃত্যুর জন্য আমাকেই আমি দায়ী করি , এখন আমার ধারনা "আমি যদি সে বার আপাকে সব বলে আসতাম তাতে আপা হয়তো সাবধানতা অবলম্বন করতে পারতো , হয়তো মারা না-ও যেতে পারতো জীবিত থাকতো আমার "বড় আপা" , তোমরা আমার বড় আপার মৃত্যু আত্বার জন্য দোয়া করবে তা বিশ্বাষ করি । ঐ-বাড়ীতে আর না-যাওয়ার কারনে নুরী আছ কোথায় আছে -কেমন আছে তাও জানতে পারি-না ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৭

উদদিন বলেছেন: গাছ-টির ছবি নেট থেকে নেয়া , গাছ ( আমার বাগানের গাছের কথা ) , নূরী এবং বড়-আপার ঘটনা সত্য !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.