নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন? আমার ছেলে ক্লাস ফোর এ বাংলা মিডিয়ামে বেসরকারী একটা স্কুলে পড়ে। এলাকায় স্কুলটির হালকা নাম ডাক আছে এবং এদের পড়া শুনার মান ভাল। আমি প্রত্যহ ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসি, ওর মা ওকে ছুটির পর নিয়ে আসে। আমি পুরাপুরি ওর স্কুলের সব খবরাখবর রাখতে পারি না কিন্তু অর পড়াশুনা কি হচ্ছে এর উপর একটা খেয়াল পিতা হিসাবে রাখি। সন্তানকে মানুষ করার দ্বায়িত্ব পিতামাতার বলেই জানি।
এই বছর সরকার বাহাদুর স্কুলের বই পত্র পরিবর্তন করে নুতন বই দিয়েছে, এটা পুরান খবর (কেন এই পরিবর্তন সেই বিষয়ে আর কি বলি!)। কিন্তু বছরের প্রায় সাড়ে তিনমাস আজ, এখনো কোন স্কুলে সিলেবাস দিতে পারে নাই! এদিকে হরতাল, নানান সরকারী ছুটি ছাটায় বলতে গেলে স্কুল খোলাই রাখা যাচ্ছে না! ছাত্র/ছাত্রীরা পড়া শুনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
সরকার বাহাদুর নোটিশ দিয়েছে এখন থেকে বছরে দুইবার পরীক্ষা নিতে! আগে বছরে তিন বার পরীক্ষা নিত ফলে ছাত্রছাত্রীরা চাপে থাকত। এখন সেটা নাই। স্কুল গুলো কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না! পড়াশুনা গোলায় যাচ্ছে। ক্লাস টেষ্ট জাতীয় পরীক্ষা আর মানতে পারছে না স্কুল গুলো।
সরকার বাহাদুর আরো নোটিশ দিচ্ছে, বোর্ডের বাইরে ক্লাসে অন্য কোন বই পত্র পড়াতে পারবে না (আগে বোর্ড বই ছাড়াও আরো কিছু বই নানান ক্লাসে পড়ানো হত, ছাত্রছাত্রীদের এতে জ্ঞান ভাল হত), এতেও পড়াশুনার মান শেষ। ছাত্রছাত্রীদের আউট নলেজ প্রায় শেষ!
পঞ্চম শ্রেণীতে ফাইন্যাল বোর্ড পরীক্ষার কোন মানে আমি একজন অভিবাবক হিসাবে খুঁজে পাই না! ছাত্রছাত্রীদের/পিতামাতার উপর এটা এক ধরনের বিশেষ চাপ বলে মনে হয়। অনেক পিতামাতা এই চাপের ফলে হাল ছেড়ে দিয়েছেন!
সব কিছু দেখে শুনে মনে হয়, শিক্ষার অবস্থা আমার মনে হয় একদম নাজুক। আমাদের মত সাধারন পরিবার গুলোর ছাত্রছাত্রীর পড়াশুনা আর তেমন হচ্ছেই না। আমরা আভিবাবকরা, ছাত্রছাত্রীদের মতই দিশেহারা।
সরকারের এক এক সিদ্বান্ত, সব পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। আগামী প্রজন্ম লেজেগোবরে হয়েই তৈরী হচ্ছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বলা যায় শেষের পথে, সরকারে ভুলে সব কিছুর মত এটাও শেষ!
(আরো অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল, মনের দুঃখে কম লিখেই ক্ষান্ত দিলাম)
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কথা গুলোও ভাবনায় রেখে দিলাম। আসলে কোথায় যাব আমরা! চোখে পথ দেখতে পারছি না। কিছুতেই একটা সুব্যবস্থা করা যাছে না।
শুভেচ্ছা।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
ইলুসন বলেছেন: রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অনেক ক্ষতির পাশাপাশি এই বাচ্চাদের যে কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা চিন্তার বাইরে। এস এস সি, এইচ এস সি পরীক্ষার্থীদের তো এবার অবস্থা আরো খারাপ। সবার একটা পরিকল্পনা থাকে পরীক্ষা নিয়ে, মাঝখানে ব্রেক হলে অনেক সময় ভাল হয় না সেটা। আর ৫ম শ্রেণীর শেষে সমাপনী পরীক্ষার আমি বিরোধী। ওই সময় বাচ্চাদের বুঝার বয়স হয় না আর তাদের এতবড় একটা ধাক্কা দেয়া হয়। দরকার কি? থাকুক না তারা তাদের মত। যদি সরকার এতই চায় তাহলে ৮ম শ্রেণীতে পরীক্ষা নিতে পারে কিন্তু ৫ম শ্রেণীতে ব্যাপারটা খুবই বেমানান।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ইলুসন ভাই। হ্যাঁ, হরতাল একটা প্রধান কারন। শিক্ষা শেষ করে দেয়ার জন্য হরতালকে বেশি দ্বায়ী করা যায়। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি আমাদের অভিবাবকদের কথাও চিন্তা করুন। আর্থিকভাবে আমরা শেষ হচ্ছি, পাশাপাশি আমাদের কষ্ট ও সময়ের মূল্যও হারিয়ে যাচ্ছে।
৫ম শ্রেণীতে এমন কঠিন পরীক্ষা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। গ্রামের স্কুলে ছাত্র ছাত্রী কমে যাবার এটা বিরাট কারন। আগেতো ঠেলেঠুলে ৮ম বা ১০ শ্রেনী পর্যন্ত যেত, এখন ৫ শ্রেনীতেই শেষ।
আমাদের আগামী জেনারেশনের দিকে কারোই খেয়াল নেই।
শুভেচ্ছা।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২৯
ইমরান খান সবুজ বলেছেন: কোটাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ
বিশেষ করে মুষ্টিযোদ্ধা কোটায় অনেক গরু ছাগলের দল শিক্ষক হয়ে আজ শিক্ষার বারোটা বাজাচ্ছে..............
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা, সবুজ সাহেব আপনি একটা ভাল কথা বলেছেন। ইচ্ছা না থাকলেও কিংবা অযোগ্য শিক্ষক/শিক্ষিকা হয়ে পড়া শুনার বারোটা বাজাছেন।
আমার এক বন্ধুর স্ত্রী সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা দিয়ে স্কুলের শিক্ষিকা নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি কি পড়াবেন? এই বিষয়ে আমি লিখবো বলে ভাবছি।
শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২০
রেজা সিদ্দিক বলেছেন: সমস্যাটা শিক্ষা ব্যবস্থায় নয়। মনোজগতে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো মানবিক সমাজ গড়ে তোলার প্রকৃত অবকাঠামো নির্মাণ করা। কিন্তু আমরা তো কোনোভাবে তাদের একটা সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাছাড়া শিক্ষকদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে শহর গ্রামের যে বৈষম্য, ধনী দরিদ্রের যে বৈষম্য তাতে একটি বিজ্ঞানসম্মত সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করা কঠিন।
দোষটা যতটা না সরকারের- তার চেয়ে বেশি শিক্ষকদের।
শহরের নামী দামী স্কৃল কলেজের শিক্ষকরা ব্যস্ত টুইশনিতে। বই লেখায়। নোট বই গাইড বেয়ের কমিশন আদায়ে।
বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষকরা ব্যস্ত অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সট্রা কাজ করে পয়সার পিছনে ছুটতে।
বাইরের বই পড়া যাবে না এমন কোনো বিধি বিধান নেই। ঘটনাটা অন জায়গায়। বাংলাবাজারের ব্যবসায়টাই আসল।
ছাত্রছাত্রীরা ক্লায়েন্ট কিন্তু কিন্তু তাদেরকে পণ্য বানানোর চেষ্টাটা না করাই ভাল। তারা সার্টিফিকেট এর গ্রেড কত পেল তার চেয়ে কতটা শুদ্ধ মানুষ হলো সেটাই আগে দেখা দরকার। কিন্তু শিক্ষকরা নিজেরাই যখন শুদ্ধ থাকতে পারছেন না তখন ছাত্রছাত্রীদের দশা কি হবে তা বলাই বাহুল্য।
রাজনীতিকদের দেওয়া হরতালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা।
এ্ জায়গায় আরো যত্নশীল হওয়া উচিত।
আপনার দুশ্চিন্তার জায়গাটি যৌক্তিক কিন্তু কিভাবে এই অবস্থাতেই আরো ভাল করা যায় সেদিকটা দেখাই বেশি দরকার। কারন চাইলেই তো নীতিটা পরিবর্তন করতে পারবেন না।