নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যে ভেজাল যতক্ষন না বন্ধ হবে, আমি বলেই যাব!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

অনেকে বলেন বা ভাবেন আমি কেন সরকারের সমালোচনা করি! আমি কেন সরকারের বিপক্ষে কথা লিখি!



কিন্তু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন সরকারের সমালোচনা না করে আমাদের উপায় কি? ধরা যাক একটা পরিবারের কথা। পরিবারের প্রধান যদি ভাল না হন তবে সেই পরিবারটা কি ভাল চলে। পরিবারের প্রধানের বিবেক, বিবেচনা, বিচারিক ক্ষমতাই সেই পরিবার ভাল থাকার প্রধান উৎস। পরিবারের প্রধান যে সিদ্বান্ত নেবেন, সেটাতেই পরিবার চলবে এবং পরিবারের ভাল মন্দ সেটার উপরেই নির্ধারিত হবে। পরিবারের সাধারন সদস্য পরিবারের প্রধানের সিদ্বান্ত মেনে চলবেন এবং সেই মোতাবেক পরিবার চালিত হবে। এখন এখানে পরিবারের প্রধানের যদি ভুল সিদ্বান্ত আসে, সেটাতে সাধারন সদস্য কথা বলবেই এবং তাদের সেই কথা বলার অধিকার আছে বলেই ধরা হয়। যিনি পরিবারের প্রধান হবেন, তিনি তাদের কথা শুনতে বাধ্য এবং যদি তার ব্যাখ্যা থাকে তবে তিনি তা প্রদান করবেন। সদস্যগন যদি ভুল বলে থাকেন তবে তার ব্যাখ্যা দিতে তাদের শান্ত করবেন এবং মাঝে মাঝে তিনি কঠোর সিদ্বান্ত নিয়ে প্রমান করবেন, তিনি যে সিদ্বান্ত নিচ্ছেন তাই ভাল সিদ্বান্ত।



দেশ আর রাষ্ট্র পরিচালনা মোটামুটি একই ধরা যেতে পারে। দেশের ক্ষমতার প্রধান যিনি তিনি পরিবারের প্রধানের মত করেই দেশ চালাবেন, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। পরিবারের যেমন নানা মতের, নানা জাতের লোক থাকে তেমনি রাষ্ট্রের কথাও একই। রাষ্ট্রকে বড় করে চিন্তা করলে তার নানা বিভাগ, নানা স্থানের ব্যাপারটা একই কথা। আমাদের প্রতিটা জেলা/উপজেলার যেমন একজন প্রধান আছে, তেমনি সকল মন্ত্রনালয় সহ সব কিছুর প্রধান আছেন। তারা তাদের পরিসরে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন এবং নিজে ভুল না করে সেই আইনের প্রযোগ করবেন আর প্রতিদিন তিনি তার এরিয়ার জন্য রাষ্ট্র প্রধানকে রিপোর্ট করবেন। সংক্ষেপে বললে বলা যায় রাষ্ট্রপ্রধান শুধু তদারকি করবেন এবং প্রতিটা অন্যায় বা ভুল আইনের/বিচারের দিকে খেয়াল রাখবেন। আর অন্য বিশেষ দিক হচ্ছে, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি বিশেষ নির্দেশনা দিবেন! এই তো!



কোন রাষ্ট্রের মানুষই চায় না, রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্র/সরকার তাদের বাসায় গাড়ী ভরে টাকা দিয়ে আসুক। সাধারন আমজনতা চায়, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সুষ্টু বিচার ব্যবস্থা। অবকাঠামোর অর্থ হচ্ছে, সে চায় তার পথচলা যেন সহজ ও সাধারন হয়, সেটা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাবার সহ সকল মৌলিক অধিকার সমূহে। আর বিচার ব্যবস্থা আমরা সবাই চাই এই জন্য যে আমরা নিজেরা যেন কোন অন্যায় না করি এবং আমার সাথে কোন অন্যায় হলে যেন তার বিচার হয়। সাধারন মানুষ হিসাবে আমি আমার পথ বের করে নেব, আমার চাকুরী, ব্যবসা যা ইচ্ছা হয় আমি তাই করবো। আমি প্রতারিত হলে রাষ্ট্র আমাকে সাহায্য/আমার পক্ষে দাঁড়াবে এবং আমি প্রতারনা করলে রাষ্ট্র আমার বিচার করবে। এই তো! খুব সংক্ষেপে বললে বলা যায়, রাষ্ট্র তাকে একটা আর্দশ প্লাটফর্মে দাড় করিয়ে রাখবে দেশের সকল মানুষের জন্য। রাস্ট্র তাকে দেশের একশতভাগ মানুষের জন্য নিজকে প্রস্তুত রাখতে হবে। রাষ্ট্রের কাছে সবাই সমান। ধনী দরিদ্র, শিক্ষিত অশিক্ষিত, নারী পুরুষ, অধিবাসী, যে কোন ধর্মের, সকল লিংগের, গ্রাম শহর মোদ্দাকথা আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জন্য সমান। রাষ্ট্র কখনো পক্ষপাত আচরণ করতে পারে না!



এখন কথা হচ্ছে এই রাষ্ট্রের যিনি প্রধান বা যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় (সরকারে) থাকেন তারাই রাষ্ট্রকে এমন সমতায় নিয়ে যেতে পারেন, আমজনতা চান্স পেয়ে ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করে দেন মাত্র, তারা এটা ভেবেই করেন যে তাদের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্র প্রধান/সরকার সে ভুল করবেন না এবং দেশ দেশের মত করেই চলবে, রাষ্ট্র তাদের জন্যই চলবে। সরকারের প্রচেষ্টা এবং আমজনতার সমর্থনই রাষ্ট্র সকলের রাষ্ট্র হয়ে উঠতে পারে। যিনি রাষ্ট্র প্রধান হিসাবে থাকবেন তার মেধা, সততা, বিচারিক ক্ষমতা, বিবেক, ঘটনার বিশ্লেষনের দক্ষতার উপর নির্ভর করবে একটা সফল রাষ্ট্র। আর এর বিপরীত দেখলে অথবা মেধাহীন ঘটনা, ঘুষ, চুরি, দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, নিরাপত্তাহীনতা, বিচারহীনতা, গুম, খাদ্য ভেজাল **, প্রায় সকল ব্যবসাহীর প্রতারনা, চাকুরী দাতাদের অদ্ভুত আচরণ দেখলে কে না কথা বলবে? বেঁচে না থাকার উপায় দেখলে কে না বলবে? রাষ্ট্র ছাড়া কে আমাকে বাঁচাতে পারে?



তাই আমি সরকারের সমালোচনা করবো না তো কার সমালোচনা করবো?



* খাদ্যে ভেজালের কথা মনে হলে আমার মনে হয় দেশে কোন সরকারই নেই! সরকার বা প্রধানমন্ত্রী থাকলে, দেশে খাদ্যে ভেজাল চলতেই পারে না, না, না!



** খাদ্যে ভেজাল যতক্ষন না বন্ধ হবে, আমি বলেই যাব।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০

সোলায়মান হোসেন পলাশ বলেছেন: ভাই একদম সত্যি কথা বলছেন। আনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ পলাশ ভাই। আমাদের সামর্থ্য কম, তবুও সত্য বলে যেতে চাই। যারা আমাদের জেনারেশন নষ্ট করে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বলতেই হবে।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২

কষ্টবিলাসী বলেছেন: দীর্ঘমেয়াদে ফরমালিনের আদৌ কোন ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা আমরা (বা অন্য কেউ) জানি না, এবং আসলেই দীর্ঘমেয়াদে এর ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা সেটাও প্রমাণিত নয়।
----সজিব ওয়াজেদ জয়

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্টবিলাসী ভাই।
আসলে ভাগিনা জয়ের কাছে আমাদের এই ভেজাল খাদ্য নিয়ে বলা দরকার। তার এই বিষয়ে কি 'টক' তা বের করা দরকার!

শুভেচ্ছা। আশা করি ভেজালের বিরুদ্ধে থাকবেন।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

সামিউল ওয়াকিল তমাল বলেছেন: হুম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ব্রাদার তমাল, হুম হাম করে কি হবে, যা বলার তা স্পষ্ট করে বলে দিন।

শুভেচ্ছা।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আসলে ভেজাল খেতে খেতে বাঙালির হজম হয়ে যায়.....

আউল ফাউল ইস্যু নিয়ে হরতাল-ধর্মঘট হবে.. এইগুলো নিয়ে বলার কেউ নাই X((

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্রিন্স হেক্টর ভাই, ভেবে দেখেন, কোথায় আমরা চলছি!
ধনীরা/ক্ষমতাসীন রা মনে করছে তারা এই ভেজাল থেকে নিরাপদ, আসলে কি তাই!

যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে, তাদের জুতা খুলে পিটানো দরকার।

শুভেচ্ছা।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

প‌্যাপিলন বলেছেন: পাউরিটির মেয়াদ কয়দিন হতে পারে? সর্বোচ্চ একদিন। হোটেল সোনারগাঁও এর রুটিতে এক্সপায়ারি ডেট ১ দিনই দেয়া থাকে। কুপারস থেকে কেনা রুটিতেও একদিন মেয়াদ দেখেছি। অথচ লোকাল প্রোডাক্টগুলোতে কমপক্ষে তিন দিন মেয়াদ থাকে। ক্ষেত্রবিশেষ ৫ দিনও দেখেছি। এমনও দেখেছি যে, ৮/৭/২০১৩ - ১১/৭/২০১৩ মেয়াদের রুটি ৬/৭/২০১৩ তারিখেই কিনে বাসায় গিয়ে হতভম্ব। কিছু করার নাই। ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে কিছুদিন দেখেছি ব্যপক কড়াকড়ি। সেসেময় একটু স্বস্তি পেলেও এখন আবার আগের দশা। নিরাপদ খাদ্যদ্রব্যর দাবী যেখানে আমাদের এক নম্বর এজেন্ডা হওয়া উচিত সেখানে এটা নিয়ে কারে মাথাব্যথাই নেই। ক্যারি অন উদারজী .....সাথেই আছি সবসময়

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ প‌্যাপিলন ভাই।
কি বলবেন, সব কিছুতেই ভেজাল। দুই একটা পন্য হলেও চুপ থাকা যায়, এখন সব কিছুতেই। সাথে আছে দাম ও ওজনের প্রতারনা! চুপ থাকি কি করে, চোখের সামনে আমরা ও একটা জেনারেশন শেষ হয়ে যাবে।

আমার পূর্বের পোষ্ট গুলো দেখার আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম।

শুভেচ্ছা।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৮

ইয়ার শরীফ বলেছেন: এই সব দেখার কেউ নাই। সবাই অনেক বড় বড় ব ইশয় নিয়া ব্যাস্ত

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

জুন বলেছেন: সাথে আছি উদার ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.