নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেসিপিঃ থাই ফুড সমটাম (অরিজিন্যাল ফ্রম থাইল্যান্ড)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

মুল উপকরণ পেঁপে দিয়ে এই খাবারের রেসিপিটা আমাকে সংগ্রহ করতে হয়েছিল, থাইল্যন্ডের এক রেল স্টেশনের ধার থেকে, যা অনেকটা আমাদের দেশের রেল পথের ধারের দোকানের মতই।



এই সাধারন হোটেলের কোন নাম নেই, ছিল না কোন জৌলুশ! তিন জেনারেশন মানে নানী, মা এবং নাতনী মিলেই এই সাধারন হোটেলটা চলছিলো। তবে প্রচুর বিক্রি হয়। উনারা কেহই ইংরেজী বলতে পারেন না, ভাগ্য ভাল হওয়াতে এক কাষ্টমার পেয়ে যাই এবং তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন। পরিশেষে আমি এই খাবার খাই এবং রেসিপির জন্য ছবি গুলো তুলে আনি। উনারা ভিন্ন দেশী হিসাবে আমাকে অনেক খাতির যত্ন করেছেন, এটা আমার মনে থাকবে। একটা টুলে আমাকে বসে খেতে দিয়েছিলেন, যা দেখেছি কারো জন্যই নেই!



শুরুতেই বলে নেই, এই খাবারের স্বাদ আমি কখনো ভুলতে পারবো না, অসাধারণ। এর পর আমি থাইল্যান্ডে গেলে কাউকে না জানিয়ে আবারো উনাদের কাছে চলে যাব এবং এই খাবার খাব। এটা মুলত এক ধরনের সালাত, যা থাইদের নিজস্ব ডিস, সাথে অনেকে রাইস, চিকেন ফ্রাই বা মাছ ভাজা খেয়ে থাকেন। আমিও একটা চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। যাই হোক, আরো অনেক গল্প আছে, সেগুলো আগামীতে লিখে ফেলবো। চলুন রেসিপিটা দেখে ফেলি। এটা আমাদের দেশেও করা যেতে পারে, আমি ভেবে দেখেছি শুধু একটা উপকরণ ছাড়া বাকী সব উপকরণ আমাদের বাসায়ই আছে। আমি নিজেও একদিন রান্না/বানিয়ে ফেলবো এবং সেটার রেসিপিও আপনাদের দেখাবো। চলুন দেখে ফেলি।



উপকরণ ও পরিমানঃ (এক প্লেট বা একজনের জন্য)

- দুইকাপ কাঁচা পেঁপের কুচি

- দুই/তিন কোষ রসুন

- দুই/তিনটা লাল/সবুজ মরিচ (ঝাল বুঝে দিতে হবে)

- দুই টেবিল চামচ ভাজা বাদাম

- ছোট টমেটো কুচি দুইটা

- এক চিমটি লবন

- দেড় টেবিল চামচ ফিস সস

- তিন টেবিল চামচ শুকনা চিংড়ী (চিংড়ী শুকিয়ে তেলে ভেজে নিতে হয়)

- ১/২ চামচ প্লাম সুগার (এটা অনেকটা আমাদের তাল মিছরির মত)

- এক টেবিল চামচ লেবুর রস

- কয়েক পিস (এক/দেড় ইঞ্চি করে কাটা) বরবটি

- এক চা চামচ সরিষার তেল



- শুকনো কাঁকড়া (তেলে ভাজা, এটা অফশন্যাল, আপনি না খেলে না দিলেও চলে, আমি খেয়েছি, ভাল লেগেছে)



প্রস্তুত করন/ মিক্স করনঃ

* একটা লোহার হামান দিস্তা (দিস্তা কাঠের হয়ে থাকে) এই খাবার তৈরীতে লাগে।



* প্রথমে রসুন, মরিচ, একচিমটি লবন ও এক মুট পেঁপে কুচি দিয়ে হামান দিস্তায় চেঁচা হয় এবং একে একে উপকরণ দেয়া হতে থাকে এবং চেঁচাও চলতে থেকে।



* উলট পাল্ট করার জন্য একটা চামচ থাকে। দিস্তাটা কাঠের হয়।



* সব কিছু দিয়ে তেল এবং প্লাম সুগার।



* এবার চিংড়ী, কাঁকড়া সব।



* লেবুর রস ভুলে গেলে চলবে না! এবার লেবুর রস দিয়েই বাকী পেঁপে কুচি এবং বরবটি দিয়ে ফাইন্যাল এক দফা চেঁচা দিতে হবে।



* ব্যস হয়ে গেল সমটাম।





* এবার প্লেটে তুলে পরিবেশনের পালা।



রেসিপি প্রিয় ভাই বোনদের জন্য শুভেচ্ছা। এই রকম খাবার খেলে পেটে মেদ জম্বে কি করে? তাই তো থাইরা মেদহীন! হা হা হা।



আরো ছবি নিয়ে ডিটেইলস দেখতে হলে আমার পারশোন্যাল ব্লগে আসতে পারেন। আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম।

http://wp.me/p1KRVz-145

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: উম ম ম ম

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ ভাই।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

লিরিকস বলেছেন: মেদ কমানোর এই খেতে হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা.।। থাইদের দেখেই বুঝা যায়!

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

এস বাসার বলেছেন: আমরা বাংগালী, পেট ভরে ভাত না খেলে সবই বৃথা :P :P :P :P :P :P :P :P

রেসিপির জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বাসার ভাই,
চ্রম সত্য কথা বলেছেন। বিদেশে গিয়েও অধিক দাম দিয়ে আমাদের ভাত খেতে হয়!

তবে মাঝে মাঝে.।.।.।।

শুভেচ্ছা।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: শুকনো চিংড়ী ও শুকনো কাঁকড়া? রান্না না করেই অর্থাৎ কাঁচা? কারন পোস্টে কোথাও দেখলাম না যে এইগুলি একটু ভেজে বা পুড়িয়ে বা রান্না করে দিতে হবে?

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: স্যরি, ঐগুলি একটু তেলে ভেজে দিতে হবে। প্রথমবারে চোখ এড়িয়ে গেছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.