নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
আমি ছোট বেলায় চিচিংগা একদমই পছন্দ করতাম না! চিচিংগা দিয়ে একটা তরকারী আমাদের পরিবারের সব সময়েই পাওয়া যেত তা হচ্ছে, চিচিংগা এবং ডিম দিয়ে একটা ভাঁজি। এই ভাজিটা আমাদের আম্মা প্রায়ই সকালে করতেন এবং আমরা রুটি দিয়ে খেতাম। দুপুরে বা রাতে মাছ বা মাংশ দিয়ে ঝোলের আরো একটা তরকারী রান্না হত, এই তরকারীটায় চিচিংগা দেখলেই মন খারাপ হয়ে যেত। যাই হোক, একটু বড় হতেই বিশেষ করে বিবাহের পর চিচিংগা আমার প্রিয় তরকারী হয়ে উঠলো! আমি বাজারে গেলেই চিচিংগা কিনতে ইচ্ছা হয়। মনে হয় চিচিংগার একটা তরকারী সব সময়েই সব বেলাই থাক! রান্না শিখে ফেলার পর চিচিংগা আরো আমার ফেবারেট হয়ে পড়ে!
এদিকে সেই একই কথা আমার বড় ছেলে চিচিংগা দেখলে খেতেই বসতে চায় না, ওর কারবার দেখলে আমার নিজের কথা মনে পড়ে! মাঝে মাঝে বলি, পছন্দ করেই খাবি তবে হয়ত সেদিন আমি আর এই দুনিয়াতে থাকবো না, যেমন আমার বাবাও আর এই দুনিয়াতে নেই। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটা পরিবারের একই ঘটনা! আমরা ছোট বেলায় তেমন কিছু বুঝতে চাই না, শেষে সব কিছুই মেনে নেই! হা হা হা… অথচ যারা আগে মেনে নেই তারাই সময়ের আগে চলে যায়!
আমার স্ত্রী আমাকে ‘চিচিঙ্গা সম্রাট’ বলে থাকেন এই কারনে যে, আমি বাজারে গেলেই চিচিংগা কিনে থাকি এবং চিচিংগা মজা করে রান্না করতে পারি! চিচিংগা নিয়ে আমি অনেক রান্না করেছি এবং আশা করি আগামীতেও আরো রান্না করবো। চিচিংগা কেন আমার মনে বিশেষ স্থান দখল করে আছে তার কারন বের করার চেষ্টা আমিও করি কিন্তু পারি না!
যাই হোক, আপনাদের চিচিংগা নিয়ে কি অবস্থা! আপনারা কে কে চিচিংগা পছন্দ করেন? চিচিংগার কোন পদের রান্না আপনাদের ভাল লাগে। চলুন দেখে ফেলি। চিচিংগা এবং চিংড়ি রান্না, তবে একটু ভিন্ন স্টাইলে!
যত বড় চিচিংগা পাই আমার ততই ভাল লাগে (ছবিটা কয়েক বছর আগের তোলা)
উপকরনঃ
- চিচিংগা, ৪০০ গ্রাম
- চিংড়ি মাছ, গোটা পাচ/ছয় টা, খোসা ছড়ানো।
- পেঁয়াজ ফালি, ৪/৫ টা মাঝারি
- আদা বাটা, এক টেবিল চামচ
- রসুন বাটা, এক দেড় টেবিল চামচ
- কয়েকটা কাঁচা মরিচ
- সয়াসস, এক চা চামচ
- ওয়েষ্টার সস, এক টেবিল চামচ
- চালের গুড়া, দেড় টেবিল চামচ (এক কাপ পানিতে গুলে নিতে হবে)
- এক চা চামচ গোল মরিচের গুড়া
- লবন, পরিমান মত (সসে লবন থাকে বলে এই ধরনের রান্নায় কম লবন দিয়েই শুরু করা উচিত)
- তেল, এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ
- পানি, পরিমান মত
প্রনালীঃ
চিচিংগার চামড়া ছিলে এভাবে কেটে সামান্য লবন যোগে গা গা পানিতে সিদ্ধ করে নিন।
সিদ্ধ হয়ে গেলে ঝাঁজে ফেলে পানি সরিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে চিচিংগা ধুয়ে ফেলুন এবং রেখে দিন।
এবার মুল রান্নায় চলুন। কড়াইয়ে তেল গরম করে সামান্য লবন যোগে পেঁয়াজ ফালি ভাঁজুন।
পেঁয়াজ একটু নরম হয় এলে আদা, রসুন বাটা এবং মরিচ দিন এবং ভাল করে ভাঁজুন।
পেঁয়াজের রঙ সোনালী হয়ে গেলে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে আবারো ভাঁজুন। আগুন মাঝারি থাকবে।
এবার প্রথমে সয়াসস এবং পরে ওয়েষ্টার সস দিন। ভাল করে নাড়িয়ে নিন। চিংড়ি গুলোর রঙ ধরে যাবে।
এবার চিচিংগা দিয়ে দিন।
দেখেই প্রান জুড়ায়!
ভাল করে নাড়িয়ে মিনিট ৫/৬ এর জন্য ঢাকনা দিন। আগুন মাঝারি চলবে।
এই রকম হয়ে গেলে প্রথমে চিনি ছিটিয়ে দিন এবং পরে গোল মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিন। ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এবার চালের গুড়া মিশানে এক কাপ পানি দিন (এখানে আপনি চালের গুড়া না পেলে কর্নফ্লাওয়ার দিতে পারেন, একই কথা হবে)।
ভাল করে নাড়িয়ে দিয়ে আগুন বাড়িয়ে দিন। এই অবস্থায় বেশি ক্ষন জ্বাল দেয়া চলবে না!
নাড়াতে থাকুন, এই অবস্থায় এসে যাবে। এবার ফাইন্যাল লবন স্বাদ দেখুন। লবন লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলে আগে বাড়ুন।
খাবার টেবিলে পরিবেশনা।
স্বাদ, বলে বুঝাতে পারবো না। অসাধারণ, আমার রান্না টেষ্টার বুলেট যে চিচিংগা পছন্দ করে না, সেও খেয়েছে!
চিচিংগার এই রান্নাটা আপনি রুটি, পরোটা বা পোলাউ এর সাথে খেতে পারেন, দারুন। ইফতারে ভাঁজি ভুজির চেয়ে এমন তরকারীর সাথে ছোলা পোলাউ বা রুটি খেয়ে দেখতে পারেন। আমি নিশ্চত খাবারে আনন্দ পাবেন।
শিশুরা অনেক তরকারী বা শাক সবজি আছে যা খেতে চায় না তবে আমি মনে করি একটু ভিন্ন পরিবেশন করলে খেতে বাধ্য হবেই। আর একবার খেয়ে মজা পেলে, সারাজীবন খাবেই।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা করি আমাদের সাথেই থাকবেন। আসছি আরো মজাদার রান্না নিয়ে।
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন
সব গুলো ছবি ও আরো আরো মজাদার রেসিপি/রান্নার ছবি দেখতে চাইলে আমাদের পারসেন্যাল সাইটে আসুন, আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। বিশেষ করে যারা প্রবাসে আছেন এবং রান্না জানেন না তাদের জন্যই এই সাইট, দেখেই রান্না শিখে যেতে পারবেন। শুভেচ্ছা নিন। গল্প ও রান্না।
২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৩
আহসানের ব্লগ বলেছেন: Thanks
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: খুব সুন্দর।
আজ আপনার রান্নার সাইড টা দেখলাম, খুব সুন্দর।
আচ্ছা ভাইয়া, কি ভাবে দোকানের মত চিকেন ফ্রাই করা যাই একটু বলবেন।
স্বাদ আর দেখতে দোকানের মত হতে হবে। আমি করি কিন্তু সেটা দেখতে সিপি বা কে,এফসির মত হয় না। কিছু সাহায্য বা লিংক কি পাব আপনার কাছ থেকে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কবে খেতে আসবো ? একটা ইভেন্ট খুলে দাওয়াত দেন