নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচিত্র পেশাঃ ৪ (বেলাল মিয়ার মুরগীর গিলা কলিজা ভুনা)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

[অনেক দিন ধরে ভাবছি, বিচিত্র পেশা নিয়ে সামুতে একটা সিরিজ লিখবো। পথে ঘাটে হাঁটতে গেলে সাধারণত এই ধরনের পেশার মানুষের দেখা মিলে। এই বিচিত্র পেশার মানুষদের সাথে আমি কথা বলে আনন্দ পাই, তাদের ছবি তুলি মোবাইলে। ভাবছি এই মানুষ গুলোকে অনলাইনের পাতায় নিয়ে আসবো। তবে কিছু ভুল করছি, অনেকের নাম, মোবাইল বা ঠিকানা রাখা সম্ভব হলেও তা করতে পারি নাই।]



আজকের বিচিত্র পেশার এই কারিগরের নাম, বেলাল। তিনি আগে সিনেমা হলের চাকুরী করতেন, কিন্তু বর্তমানে সিনেমা হলের ব্যবসা তেমন একটা জমজমাট নয় বলে সব সময়ে বেতন পেতেন না, ফলে একদিন ভেবে চিন্তে এই ব্যবসাতে এসে পড়েন। এখন মোটামুটি ভাল আছেন এবং দিনে যা কামাই করেন তা দিয়ে সংসার ভাল চলে। দৈনিক হাজার বারশ টাকা কামাই করেন লাভ অর্ধেকের মত হয় এবং এতে ভাল করেই সংসার চালাতে পারেন। তবে মাঝে মাঝে ছবি হিট হলে এখনো সিনেমা হলে কাজ করেন এবং কিছু টিকেট রেখে দিয়ে উপরি কিছু কামাই করেন।



বেলালের বিচিত্র ব্যবসা হচ্ছে মুরগীর গিলা কলিজা মাথা পা রান্না করে নিয়ে এসে ফুটপাতে বিক্রি করা। মোটামুটি সুন্দর করে দোকান সাজিয়েছেন, সাথে মুরি মাখানোও রেখেছেন! মুরি মাখানোর সাথে বেলালের কাষ্টমারগন মুরগীর এই গিলা কলিজা মাথা পা খেতে পছন্দ করেন। আমি মাঝে মাঝে অফিসে থেকে নেমে বিচিত্র কারনে রাস্তা ঘাটের গাড়ি মানুষ দেখি। সেই সুত্রে আমি বেলালকে অনেক দিন ধরেই দেখে আসছি। কয়েকদিন আগে বেলালকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করি এবং তার প্রসঙ্গে অনেক তথ্য (উপরের গুলো সহ) জেনে যাই।



প্রতিদিন সকালে বাজার থেকে বেলাল মুরগীর এই অংশ গুলো কিনে নিয়ে বাসায় যায় এবং সেগুলো ভাল করে ধুয়ে যথারীতি নিজে বা তার স্ত্রী রান্না করে দেন। রান্না বিষয়ে আমার আগ্রহ থাকায় তাকে আমি আরো বেশি পেয়ে বসি আসলে বেলাল তেমন রান্না জানেন না, স্ত্রীই রান্না করে দেন তবে আজকাল কিছুটা শিখে ফেলেছেন এবং মশলা পাতির ব্যবহার কিছুটা করতে শিখেছেন! হা হা হা



দুনিয়াতে এত ব্যবসা পাতি থাকতে এই ব্যবসায় কেন জিজ্ঞেস করতে বেলাল জানান, খুব কম পুঁজি ছিল বলে আর অন্য কিছু চিন্তা করতে পারি নাই। তবে এখন ভাল ভ্যান কিনেছি, পরিবেশনের ও রান্নার সব কিছু ভাল মানের কিনেছি। আর এই ব্যবসা কি করে মাথায় এল জানতে চাইলে জানালো, দৈনিক বাংলার মোড়ে সন্ধ্যা হলে এমন অনেক দোকান বসত এবং সেখানে মানুষ ভীড় করে খেত বলে চোখে ব্যবসাটা ধরা দেয় এবং কাজটা খুব কঠিন ছিল না বলে এই লাইনে এসেছে। উপরিউক্ত এই রাস্তায় এমন দোকান আর নাই বলে, একাই ব্যবসা করতে পারেন বলে মনে হয়েছিল।



বিকাল তিনটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বা যতক্ষন মালামাল থাকে ততক্ষন বিক্রি করে বাসায় চলে যান। তবে মাঝে মাঝে পুলিশ বেশি জ্বালাতন করে, রাস্তার ধারে বসতে দেয় না। রাজনৈতিক কারনে এই এলাকায় সব সময়েই কিছুটা আলাদাভাবে পুলিশের চোখে ধরা দেয়, তবে সন্ধ্যার পর পুলিশ ভাইরা তার নিয়মিত কাষ্টমার হয়ে যায়। কেহ ১০ টাকার মুরি মাখানো আর ১০ টাকার গিলা কলিজা খেলে মোটামুটি নাস্তার মত হয়ে যায় বল জানালেন, পানি সব সময়েই ফ্রি থাকে।



জানতে চাইলাম, কাষ্টমার হিসাবে কাদের বেশী চোখে পড়ে! বেলাল জানলো, প্রায় সবাই, সব বয়সি! ধনীরা (প্রশ্নটা আপেক্ষিক হলেও) এই খাবার খায় কি না, জানতে চাইলে বেলাল জানালো, অনেক সময় গাড়ির মালিকরাও নেমে এই খাবার খেয়ে থাকে।



যাই হোক, চলে আসার সময় ছবি তুলতে চাইলাম। হাসি মুখে রাজি হয়ে গেল। অনুমতি চাইলাম, অনলাইনে বা কম্পুটারে এই সকল তথ্য প্রকাশ করবো, বেলাল হেসে জানালো, আপত্তি নেই। এই কাজে বেলাল গর্ব করে, আমাকে জানালো চুরি ডাকাতি তো করি না, নিজে কষ্ট করে, শ্রম দিয়ে উপার্জন করি!



আমি বেলালের আরো আরো সাফল্য কামনা করি।



বিচিত্র এই দেশ, বিচিত্র এই দেশের মানুষ, কত কি বিচিত্র পেশা! তবে সবই জীবিকার টানে!



বিচিত্র পেশাঃ ৩

Click This Link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: এ উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনাকে শুভেচ্ছা।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৮

বাংলার পথিক বলেছেন: তা ভাই কোন জায়গায় গিয়ে খেয়ে আসতাম ;)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক ভাই।
উনার দোকান টা জোনাকি সিনেমা হলের সামনে।

শুভেচ্ছা।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ঘরোয়া ভাবে রান্না করা, ভাল উদ্ভাবনী উদ্যোগ!

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সাঈফ ভাই।
কম টাকায় ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন। সাফল্য বা ইঙ্কাম ভাল।
শুভেচ্ছা।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২২

এইচ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।কয়েকদিন আগে আপনার রেসিপিতে ব্রেন কাবাব বানিয়ে খেলাম।
আর বেলালের দোকানের ঠিকানাটা জানালে খুশি হতাম।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ তালুকদার ভাই।

আমি মুলত রান্না নিয়েই আছি, এই সিরিজটা অনেকদিন ধরে মাথায় আসছিলো, তাই সামুতে নিয়ে আসছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।

গল্প ও রান্নায় আছি, আগের মতই।
https://udrajirannaghor.wordpress.com

উনার দোকানটা নয়াপল্টনে, জোনাকি সিনেমা হলের সামনে।

শুভেচ্ছা।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৩

সুফিয়া বলেছেন: বেলালের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আত্মপ্রত্যয়ী বেলাল অনেকদূর এগিয়ে যাক।

ধন্যবাদ একটা ব্যতিক্রমধর্মী পোস্ট শেয়ার করার জন্য্য।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন।
এই সিরিজে আমি এমন সাধারন মানুষদের আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো।

শুভেচ্ছা।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। :)

সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষদের নিয়ে লিখুন। আমরা তাদের সাথে পরিচিত হতে পারবো। তাদের লাইফ ষ্টাইল সম্পর্কে সম্যক ধারনা পাবো। :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ মাহাবুব ভাই।
আমার চেষ্টা থাকবে।
শুভেচ্ছা।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমার প্রিয় একটি খাবার প্রায় একই ধরণের। নাম chicken liver pate এটা যদিও ইটালিয়ান বলে পরিচিত কিন্তু অরিজিন কিন্তু প্রাচীন গ্রিসে।

ভালো থাকবেন :)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ রায়হান ভাই।
চিকেন লিভার নিয়ে অনেক গুলো রেসিপি দেখে এলাম, একদিন চেষ্টা করবো। খুব ভাল লাগলও, আমার এই বিষয়ে ধারন ছিল না, অভিজ্ঞতা পেলাম।

শুভেচ্ছা।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর উদাহরন । বৈচিত্রময় পেশা ভালোই লাগলো ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রাদার।
আপনাদের ভাল্বাসা নিয়েই থাকতে চাই।
শুভেচ্ছা।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৪

সুমন কর বলেছেন: সাথে আছি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই।
শুভেচ্ছা নিন।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বিচিত্র পেশাঃ ৫ প্রকাশিত হয়েছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/udraji/30001660

১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

জানা বলেছেন:

প্রিয় উদরাজী ভাই, দারুণ লাগছে আপনার এই বিচিত্র পেশা এবং এর পেছনের মানুষগুলোর কথা নিয়ে একের পর এক সিরিজ লিখে যাওয়া। আমারও ঠিক এমনই একটি ইচ্ছে ছিল, এখনও হয় আর সেটি আমার জন্যে খনিকটা কঠিন হওয়ায় কিছুতেই হয়ে ওঠে না।

অনলাইনে বা কম্পুটারে এই সকল তথ্য প্রকাশ করবো, বেলাল হেসে জানালো, আপত্তি নেই। এই কাজে বেলাল গর্ব করে, আমাকে জানালো চুরি ডাকাতি তো করি না, নিজে কষ্ট করে, শ্রম দিয়ে উপার্জন করি!


মর্যাদাবোধ মানুষের এমন একটি মূল্যবান গুন যা মানুষকে সত্যবাদিতা থেকে শুরু করে চরিত্রের যাবতীয় সৌন্দর্য্য বিকাশ করে। আর এই মর্যাদাবোধ সবারই থাকেনা। বেলাল মিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান।

ভাল থাকবেন সবসময়।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.