নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাজার দর ২৮ জুন ২০১০ইং

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

বলা চলে আমি অষ্টম শ্রেণীতে পড়া সময় থেকে বাজার করে আসছি, বাসায় টুকটাক কিছু লাগলেই আম্মা আমাকে বাজারে পাঠাতেন। প্রবাসের প্রায় দশ বছরেও আমি পাইকারী বাজারে গিয়েছি, প্রসাশনিক ব্যাপার দেখতে গিয়ে ক্যাম্পের মুল বাজার গুলো অফিস থেকে আমাকেই করে দিতে হত! এর পর দেশে এসে বিবাহের প্রায় ২০ বছর পার হতে চলল, এই বিশ বছরে এখনো বাজার করা ভুলি নাই, চালিয়ে যাচ্ছি! বেঁচে থাকতে হলে চালাতে হবে!

যাই হোক, আজাইর‍্যা প্যাছাল করে লাভ নাই। বাজার দর ২৮ জুন ২০১০ইং (রামপুরা বাজারের) সালের বাজারের জিনিষ পত্রের দাম আমার কাছে আছে, আমি দাম নিয়ে সেই সময়েও ব্লগ লিখেছিলাম। আজ সেই ব্লগ চোখে পড়লো। সরকার এখন যখন বলে গত ১০ বছরে জিনিষ পত্রের দাম বাড়ে নাই, তখন না হেসে পারি না! চলুন, বাজার দর ২৮ জুন ২০১০ইং দেখি!

না হলে বাঁচা দায়ঃ
ইরি চাল প্রতি কেজি ২৫.০০ -২৭.০০ টাকা
পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৩২.০০ -৩৫.০০ টাকা
মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৩৩.০০-৩৬.০০ টাকা
আটা প্রতি কেজি ২১-২২ টাকা
ময়দা প্রতি কেজি ২৮-৩০ টাকা
চিনি প্রতি কেজি ৪০ টাকা
মশুরের ডাল দেশি প্রতি কেজি ১১০ টাকা
সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৪-৮৮ টাকা

না হলে চলে নাঃ
গরুর মাংস প্রতি কেজি ২৪০ টাকা
খাসির মাংস প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা
ব্রয়লার মুরগীর মাংস প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা (কি এক অজানা কারনে দাম বেড়ে গিয়েছিল, বাস্তবে দাম ছিল ৭০-৮০ টাকা)
দেশী মুরগীর মাংস প্রতি কেজি ২৮০-২৯০ টাকা
কবুতরের বাচ্চার জোড়া প্রতি ১০০-১২০ টাকা

চার ধরনের ডিমঃ
লাল ডিম ফার্ম প্রতি হালি ২৪ টাকা
সাদা ডিম ফার্ম প্রতি হালি ২৬ টাকা
দেশী মুরগী ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা
হাঁসের ডিম প্রতি হালি ২৭ টাকা

বাংলার সব্জি সমূহঃ
লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ২০ টাকা
গোল বেগুন প্রতি কেজি ২০ টাকা
টমেটু প্রতি কেজি ৪০ টাকা
কাঁচ কলা প্রতি হালি ৬ টাকা
করলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা
পটল প্রতি কেজি ১০ টাকা
কাকরল প্রতি কেজি ১৬ টাকা
ঢেঁড়শ প্রতি কেজি ১৬ টাকা
কাঁচা পেঁপে প্রতি কেজি ১২ টাকা
কচুর লতি প্রতি কেজি ২০ টাকা
চিচিংগা প্রতি কেজি ২০ টাকা
ঝিংগা প্রতি কেজি ২০ টাকা
বরবটি প্রতি কেজি ১৫ টাকা
ঝালি কুমড়া প্রতি পিছ ১৫-২০ টাকা
শশা প্রতি কেজি ২০ টাকা
কলমি শাক প্রতি আটি ৪ টাকা
পুঁই শাক প্রতি কেজি ৬ টাকা
লাউ প্রতি পিছ ২৫-৩০ টাকা
মিষ্টি কুমড়া, বড় প্রতি পিছ, অর্ধেক ৪০ টাকা
নারকিলি কচু প্রতি পিছ ১৪ টাকা
গাজর প্রতি কেজি ৩০ টাকা
আলু সাধারন প্রতি কেজি ৮ টাকা
আলু (বগুড়া) প্রতি কেজি ২০ টাকা

তরকারীর মসলা সমুহঃ
পেয়াজ দেশী প্রতি কেজি ২০ টাকা
আদা প্রতি কেজি ১০০ টাকা
রশুন দেশী প্রতি কেজি ১৪০ টাকা
শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা
হলুদ প্রতি কেজি ১২০ টাকা
নারকেল (দুধ করার জন্য) প্রতি পিছ ২৫ টাকা

মুখ স্বাদকারী আইটেমস/ সালাদঃ
ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা
পুদিনা পাতা প্রতি কেজি ১০০ টাকা
কাঁচা মরিচ দেশী প্রতি কেজি ৩৫ টাকা
লেবু মাঝারি আকার প্রতি হালি ৫ টাকা
লেটুস পাতা প্রতি কেজি ২০০ টাকা
কেপসিকাম প্রতি কেজি ২২০ টাকা
চাইনজি পাতা প্রতি পিছ ১৫ টাকা

পান সুপারীঃ
পান পাতা বড়, রাজশাহী প্রতি বিড়া ১৪০ টাকা
বড় সুপারি হালি প্রতি ৬ টাকা

ফলাদীঃ
আম লেংরা প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা
আম আম্রপালি প্রতি কেজি ৬০ টাকা
আম গোপালভো প্রতি কেজি ৭০ টাকা
আনারস প্রতি হালি ৩০-৩৫ টাকা
লটকন প্রতি কেজি ৩৫ টাকা
গোলাপজামন প্রতি কেজি ৬০ টাকা

আসেন হিসাব মিলাই! সময় সুযোগ পেলে আজকালের বাজার দর এই ফর্দ দেখে আর একবার মিলিয়ে দেখবো। যারা আপনারা রেগুলার বাজার করেন তারা সহজেই মিলিয়ে নিতে পারেন।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: “পরিচিত কারো বড় ধরণের বিপদ হয়েছে, বাঙালীর কাছে এরচেয়ে আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে।”
——-সন্জীব চট্টোপাধ্যায়

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: কিতাবের সাথে হিসাবের যে ফারাক - তার আরেক নাম উন্নয়নের জোয়ার =p~ ; মৃতরা পালিয়ে বাঁচে - জীবিতদের বেঁচে থাকা দায়;

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

বাকপ্রবাস বলেছেন: জয়া এর কথা মনে পড়ল, ইটিভি তে দুপুরের দিকে একটা প্রোগ্রাম হতো বাজান দর গুলো এমন সুন্দর করে উপাস্থাপন করত যে সেটা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ। উপস্থাপনা বা পরিবেশনা কী পরিমান ভাল হলে মানুষ আগ্রহ ভরে বাজার দরও শুনে মনযোগ দিয়ে, সেটা ভাবতে গিয়ে পেলাম আসলে জয়াকেই দেখি। দেখি তার উপাস্থপনা।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকার মানুষের হাতের মুবাইল নিজে দিয়েছে বলে গলাবাজি করে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে কবি হইয়া যায়।
বিশ্ব বাজারে পণ্যের দর বাড়লে আমাদের দেশেও বাড়ে। কিন্তু, বিশ্ববাজারে কমলে কমে না। কেন?
কম দামে কেনা মাল বেশি দামে বিক্রি করা গেলে, বেশি দামে কেনা মাল কেন কম দামে বিক্রি করবে না?!

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২

করুণাধারা বলেছেন: ২৫ টাকা কেজির চান ১০ টাকা কেজিতে নামিয়ে আনার কথা ছিল......

২৫০টাকা কেজির গরুর গোস্তের দাম এখন ৫০০ টাকা কেজি!

10 বছর আগের বাজারদর জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.