নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
দীর্ঘ সময় ধরে ইন্ডিয়ান বর্তমান গভারমেন্টের ক্যাব, এনআরসি বা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গবেষণা করলাম বা জানতে চেষ্টা করলাম! বলা চলে মিঃ মোদী, মিঃ অমিত শাহ সহ প্রায় নানান প্রদেশের বড় বড় রাজনীতিকদের কথা শুনলাম, পাশাপাশি মমতা ব্যানারজী, মিঃ কানাইয়া সহ সাধারণ মানুষের বেশ কথা, ভিডিও শুনলাম! মিঃ মোদী গং যা বলতে চাইছেন তা হচ্ছে, ভারত তথা হিন্দুস্থান ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছে, ভারত হিন্দুদের এবং সেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্থান, আফগানিস্থান থেকে নানান ধর্মের (হিন্দু ছাড়া বা হিন্দুরা, সাথে মুসলিম অ অন্যান্ন ধর্মের) লোকেরা যেয়ে বসত গড়েছে এবং তারাই এখন হিন্দুস্থানের মালিক হয়ে যাচ্ছে, যা হতে দেয়া যায় না! ইত্যাদি ইত্যাদি মানে/ফলে এখন অনেক প্রদেশের মানুষের নাগরিকত্ব ঝাছাই বাছাই করা দরকার এবং এতে অনেকের নাগরিকত্ব বাদ পড়বে এবং তাদের সেই স্থান বা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য বা জেল জরিমানা ইত্যাদি করা হবে! এর ফলে দেশ হিন্দুদের থাকবে এবং তারাই দেশ চালাবে!
যাই হোক, বুঝতে তেমন বাকী থাকে না!
এবার আসুন জনাবা মমতা ব্যানার্জী সহ মিঃ কানাইয়া এবং আরো নানান মুসলিম নেতা বা সাধারণ মানুষ কি বলছে! এই মানুষ গুলো বলছে, দেশে যারা বসবাস করে তারাই দেশের নাগরিক, যারা এক স্থানে ১০০/৫০/৩০/২০ বছর বসবাস করছে তারাই নাগরিক! ১০০ বছর আগে থেকে সে বা তার পূর্বশুরীরা সেখানে বসবাস করছে, সেটাই তার স্থান। এখানে আবার কিসের প্রমান পত্র বা কিসের কি! একটা মানুষ যদি স্থান পরিবর্তন করে অন্য স্থানে বসবাস করে তা হলে কি তার নাগরিকত্ব থাকে না বা সে কি সেই দেশের নাগরিক নন ইত্যাদি ইত্যাদি, খুব সহজে বলা চলে সব সময়েই কি তাকে তার চোদ্দ পুরুষের কাগজ পত্র নিয়ে প্রমান করতে হবে, সে সেখানের স্থায়ী বাসিন্দা! বা এটা কি সম্ভব কারো পক্ষে বা কয়আট মানুষ এমন প্রমান করতে পারবেন!
বুঝে উঠতে পারলে বিষয়টা খুব সহজে মাথায় ধরাতে পারেন!
এবার আসুন আমি আমার নিজের বা আমার পরিবারের/সমাজের উদাহরণ দেই! বাংলাদেশে যদি সরকার এমন একটা কথা বলে ফেলেন তখন আমরা কি করবো বা কিছু করতে পারবো কি! আমাদের চার পুরুষ আমি খেয়াল রেখেছি। আমার দাদা, আমার বাবা, আমি এবং আমার সন্তানদের! দাদাকে আমি মাত্র আমার বয়স ৬/৭ হারিয়েছি ফলে উনার থেকে তেমন কিছু জানতে পারি নাই, তবে শুনেছি উনার বাবার দাদা আমাদের বর্তমান গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন ঘর জামাই হয়ে! মানে দাদার দাদা আমাদের বর্তমান গ্রামে কোথা থেকে এসেছিলেন, সেটা আর আমরা তেমন কেহ জানি না বা তার পরিবার কোথায় ছিলেন, তিনি কার সন্তান ছিলেন তা আর জানা যায় না! যাই হোক, এর পর দাদা দাদুর ছিলো ১০ ছেলে মেয়ে, এই ১০ ছেলে মেয়ের দুর দুরান্তে বিয়ে হল, অনেকে গ্রাম ছেড়ে চলেও গেল! তিন মেয়েদের দূরে বা ভিন্ন জেলায় বিয়ে হয়ে এখন তাঁরা আমাদের গ্রাম আর মনেও করতে পারছে না! বাবা চাচাদের অনেকে উপার্জন ও নানান কারনে বলা চলে গ্রাম ছেড়ে নানান শহরে বসবাস করতে লাগলো! আমার বাবা বড় সন্তান, আমরা চার ভাই বোন, এখন আর কেহ গ্রামে থাকি না, আমি ও ছোট এই ঢাকা শহরে, বড় ভাই চট্রগ্রামে, একমাত্র বোন তার স্বামীকে নিয়ে ইটালি! দাদা দাদু থেকে আমরা এখন প্রায় শ'খানেক এবং এই শখানেক হয়েছি গত ৫০ বছরেই! এদিকে আমাদের এক ছোট চাচা রাগ করে বাড়ী থেকে এই ঢাকা শহরে এসে বিয়ে করেছেন নাটোরে এক নারীকে এবং এখন তিন সন্তান নিয়ে এই শহরেই আছেন, তিনি গত প্রায় ৩৫ বছরে একবারের জন্যও গ্রামে যান নাই! ইত্যাদি ইত্যাদি!
যাই হোক, উপরের প্যারা বা কাহিনী এই জন্য লিখলাম যে, একটা পরিবার বা তার সন্তানেরা কিভাবে কোথায় কোথায় চলে গিয়েছে! এখন আপনি যদি আমার ঢাকার বাসায় এসে আমাকে বলেন, আপনার ১০০ বছরের আগের দলিল দস্তাবেজ দেখান, আপনি কোথায় কোথায় ছিলেন প্রমান করুন! বা যদি আমার চাচার এপার্ট্মেন্টে গিয়ে বলেন, আপনার ৫০ বছর আগের ডকুমেন্ট দেখান, মুলত তিনি বা আমি কি দেখাবো! আমরা যে আমাদের পিতার আবাস স্থান ছেড়েছি অনেক আগে বা তার কোন কাগজ রাখি নাই!
উপরের দুটো প্যারা বুঝলেই মুলত ইন্ডিয়ান বর্তমান সরকারের ক্যাব, এনারসি, নাগরিকত্ব ইত্যাদি বিষয় বোঝা যায়! আমার দাদা যে স্থানে ছিলো আমি যে এখন আর সেই স্থানে নেই বা থাকতে পারি নাই, এটা বুঝলেই এই টার্ম গুলো বোঝা যায়! আমার কাছে কেহ এই সব কাগজ চাওয়া যে নেহাত আমাকে অপমান করা, তাতে কোন সন্দেহ নেই! ঠিক এমনি অবস্থায় পড়ছে ইন্ডিয়ার অধিকাংশ মানুষ! কেহ বিষয়টা বুঝতে পারছে, কেহ বুঝতে পারছে না! পক্ষে বিপক্ষে মত আসছে।
মুলত এটা মানুষের জন্য একটা ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা হিসাবে আসছে!
রোহিঙ্গা ইস্যুটাও এমনই এবং এই ইস্যুতেই এই মানূষ গুলোকে বলি দিয়েছে বার্মা! বর্তমান বাংলাদেশে মুলত এমন কোন সমস্যা নাই কিন্তু যদি সরকার এমন ভেবে থাকেন তবে আপনি আমি কি করবো? আপনি কি লক্ষ করেছেন, আপনার চার পাশে যারা আছেন, তাদের অনেকেই নানান স্থান থেকে এসেছেন এবং এখন সবাই একাত্রে থাকেন!
নদী ভাঙ্গা ঘর হারা কোন স্বজন কি কখনো দেখেছেন? ফুটপাতে বড় হওয়া কোন সন্তান কি আপনার চোখে পড়েছে? আপনি যে ভিন্ন শহরে বড় হচ্ছেন, বাবার পূর্বের শহরে যে আপনি কোন দিন যান নাই, তা কি মনে আছে?
আরো পরিস্কার করে বলি, যারা মানুষের এই ভেদাভেদ তৈরী করে নিজদের ইতিহাস বানাতে চাইছেন, এরা মুলত অমানুষ এবং অবিবেচক! এটা এখনো ইন্ডিয়ার সমস্যা হলেও তাঁরা যেভাবে বাংলাদেশের নাম জপছে তাতে আগামীতে আমাদের মধ্যেও এই সমস্যা এসে যেতে পারে।
কাজে কাজেই আমাদের বিবেক জাগ্রত করা উচিত এবং গন মানুষের সমর্থন দেয়া দরকার! (ক্রমশ)
(এই মাত্র সামু ব্লগে প্রকাশিত আমার সহজ চিন্তা, সময় পেলে লেখাটা আরো বড় করা যেত! আপনাদের চিন্তা ভাবনা বলতে পারেন!)
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোদী ও বিজেপি'র অসফলতা ঢাকার চেষ্টা চলছে; দেখা যাক, ভারত কিভাবে এসবের সমাধান করে; ওরা বার্মার মতো দেশ নয়।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ গাজী ভাই। বিষয় গুলো কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে তা ভাবনার বিষয়!
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মোদী নিজেই একসময় সন্ত্রাসী তালিকায় ছিল,
অতএব, তার থেকে ভালো কিছু আশাকরা বৃথা ।
..............................................................................
শিখ ও তামিলদের নিয়ে বাড়াবাড়ির জন্য ইন্দিরা গান্ধী
ও রাজীব গান্ধীকে নির্মম ভাবে প্রান দিতে হলো,
ইতিহাস কখনো ক্ষমা করেনা ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। মুলত রাজনীতিবীদেরা তা ভাবেন না, তাঁরা নুতন ইতিহাস তৈরী করতে চান, শত হাজার মানুষের লাশ হলেও আপত্তি নেই!
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দেশের খেয়ে অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে লাফালাফির কি কাম নুরুদের?
নিজের দেশেই তো অনেক সমস্যা। নুরা আগে নিজের জামাটা পরিষ্কার করুক।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই সমস্যা একদিন আপনি আমিও পড়ে যাব! আমাকে যদি বলা হয় ৫০ বছর আগে কোথায় ছিলেন তার কাগজ দিন, আমার সন্তান সেটা কোথায় পাবে? একটু উদার হতে আপত্তি কই! আজ সকালে দেখলাম, আমেরিকায় কাগজ পত্রহীন্দের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিচ্ছে, এবার ভেবে দেখুন! মানবতা জরুরী!
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: মোদী আজ উন্মাদ হয়ে গেছে। উন্মাদ হয়ে যাওয়ার পেছুনে প্রধান কারন তার ধর্মীয় গোঁড়ামি।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: িনি একটা দেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন, কে জানে?
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই উপমহাদেশের শাসকগুলোকে খালি চুলকায় কীভাবে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা যায়...
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এতে তাদের ক্ষমতা পোক্ত হয় বলে তাদের ধারনা!
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
পুকু বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম যে আপনি NRC,CAB CAA কিছুই ভাল করে বোঝেন নি।যা বুঝেছেন তা মাত্র অসমের জন্য বলা যায়।পুরো দেশের জন্য ঠিক ভাবে প্রযোজ্য নয়।আসলে বাংলাদেশে থেকে ভারতের মতো বড় দেশ এবং যুক্তরাজ্যের সমস্যা একটু জটিল।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে যতটুকু বলা দরকার শুধু ততটুকু এবং কিছু মিথ্যা মিশিয়ে জনসাধারণকে বলছে।আপনি সেটাকে পুরো সত্যি বলে ধরে নিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: লেখাটা ফেইসবুকের স্ট্যাটাস হিসাবেই প্রকাশিত!
https://www.facebook.com/udraji/posts/10213730070320940