নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু ভেবে দেখবেন কি?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২১

যা লিখতে বসেছিলাম! কালের আবর্তে আজকাল অনেক পরিবারে ধনী আছেন, পরিবারের তিন/চার/পাচ/ছয় ভাই বোনের মধ্যে একজন নিশ্চয় পাওয়া যাবেই! হয়ত তিনি ধনী হয়েছেন নানান কৌশলে কিংবা বিদ্যাবুদ্ধিতে, দেশে কিংবা প্রবাসে, আপত্তি নাই।! আমার দুঃখটা হচ্ছে, এই যে আপনি এত এত টাকার মালিক হলেন, পাশাপাশি আপনার এক ভাই/বোন যে না খেয়ে আছে কিংবা নিন্ম-হীন জীবন যাপন করছে, আপনি কি তা দেখছেন না! আপনার কি লজ্জা হয় না, আপনি খাচ্ছেন দেশ বিদেশে, কত বড় বাসায় থাকেন, ছোটবেলায় পাশাপাশি বড় হয়েছেন, অথচ এখন বুঝি এই গরীব ভাইবোনটার দিকে একবারো তাকাতে ইচ্ছা হয় না! হয়ত কোন কারনে, ভাগ্যে, আপনার সেই ভাই/বোনটা আপনার মত অর্থ জমাতে পারে নাই! আপনার এত শত অর্থ থেকে সেই ভাই/বোনের জন্য সামান্য অর্থ দিলে কি এমন আপনার ক্ষতি হয়ে যাবে! আপনি কি আপনার সব অর্থ নিয়ে কবরে যাবেন! চলুন কয়েকটা উদাহরন দেই, আমি যে ঘটনা গুলোর সাক্ষী!

১। আমাদের অফিসের কিছু কাজ (যাতে প্রতিটা কেইস টু কেইসে পাঁচশত থেকে হাজার খানেক লাভ হয়) করেন এক পঞ্চাশ পেরিয়ে ভদ্রলোক। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী, আমার দেখা ভদ্রলোক। আমি একদিন জানলাম, উনার ভাই এই শহরে অনেক ধনী, বাংলাদেশ/চায়নাতে নাকি নিজেই কয়েকটা ফ্যাক্টরী দিয়েছে, অন্য দেশেও আছে। ঢাকার অফিস বাসা এলাহি কারবার। বলা চলে, শত কোটি টাকার মালিক! সব শুনে আমার কথা বন্ধ, বলে কি! মাত্র দুই ভাই উনারা। ধনী ভাইটা কি এই ভাইকে এমনি এমনি মাসে টাকা দিতে পারে না? ধনী ভাইটার কি এক বারের জন্য এই গরীব ভাইটার কথা মনে পড়ে না?

২। আমার অনেক বন্ধু। নাম পরিচয় ছাড়া বলি। ৬/৭ ভাই বোনের মধ্যে আমার বন্ধুটা ছোট বেলা থেকেই বেখেয়ালী। ক্যারিয়ার বা জীবন নিয়ে তেমন চিন্তা ছিল না! আড্ডা এবং সাধারন জীবনেই সে খুশি ছিল। গত কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছে বটে। খুব টাকার দরকার হলে আমার কাছে আসতো, বলতো, এই বারের মত দেন (আমাদের আপনি সম্পর্ক ছিল)।! তার একটা বোনের কথাই বলি (তার মাত্র একটা মেয়ে), আমেরিকায় বিরাট ব্যবসা আছে, ঢাকার বনানী/গুলশানে তিন কোটি দামের ফ্লাট/জমি আছে, আরো কত কি! অথচ ভাইটা মারা গেল কি অর্থ কষ্টে!

৩। আমার আরেক বন্ধু, প্রায় অফিসে আসে। টাকার দরকার হলে অবশ্য একটু ঘনঘন আসে! নয় ভাই বোন। প্রায় সবাই দেশ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। কানাডা, ইংল্যান্ডে কয়েকজন সেটেল্ড আছে। বাংলাদেশে যে কয়েকজন আছে (নাম বললে আপনারাও চিনবেন দুইজনকে) যাদের কার কত টাকা হয়ত সে নিজেও জানে না! আমার বন্ধুটি হয়ত জীবনবোধের জন্য পিছিয়ে পড়ছে কিংবা বেশী চালাক বলে কিছু করতে পারছে না! ওকে জিজ্ঞেস করি, তোর টাকার দরকার, ভাই বোন থেকে নিতে পারিস না! উত্তরে সে যা বলে, আমি অবাক হই! এই ভাইয়েরা কি টাকা নিয়ে কবরে যাবে! দেশে বসে ইংল্যান্ড, আম্রিকায় বাড়ী কেনা ভাইয়েরা কি এই নিরীহ ভাইটাকে একটা মসোহারা দিতে পারে না!

৪। উপ সচিবের ছেলে আমার বন্ধু, জীবন নিয়ে বেকুবি চিন্তা ও চাকুরী ছাড়া ধরায় অস্থিরতা, তার জীবনের সাফল্য আসে নাই। এই মৃত বয়সে এখনো সে চাকুরী খোঁজে কিংবা খোঁজে কিছু একটা করা যায় কি না! আমি দেখে অবাক হই, বলার কোন ভাষা আমার থাকে না! যার ভাই বোনেরা প্রাইভেট কারে সাধারন বাজার করতে যায়, অথচ এই ভাইটাকে এই বয়সে এখনো হেঁটে বাসায় ফেরার কথা ভাবতে হয়! আজ হয়ত পকেটে রিক্সা ভাড়া নেই! স্ত্রী কিছু একটা নিতে বলেছে, সে ভেবেই যাচ্ছে, কার কাছে ধার চাইলে আজ টাকা পাবে!

৫। আমার আরেক বন্ধু, ওর সাথে আমার বেশ জমে তবে বেশী সময় দিতে পারি না! পড়াশুনা তেমন করে নাই। যৌবনে একটা প্রেম ছিল, সেখানেও সাফল্য আসে নাই। মনের দুঃখে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিল, কিছুই করতে পারে নাই! বাবা মায়ের সাথে আছে, তাদের দয়ায় চলে ফিরে! ভাই বোনেরা ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার, দেশ বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। শুনি ওর ভাই বোনেরা ওকে কি দেখবে, ওরা যে বাবা মায়ের দিকেও ফিরে চায় না!

এমনি আরো কত কি ঘটনা জানি! কোনটা রেখে কোনটা বলবো? আমার শুধু আফসোস হয় এই ধনী বা প্রতিষ্ঠিত লোক গুলোর কথা ভেবে, এত টাকা দিয়ে কি করবেন? এত স্ট্যাটাস দিয়ে কি করবেন? এত গাড়ি বাড়ি দিয়ে কি করবেন? এত সম্পদ শুধু কি স্ত্রী, মাত্র এক/দুই সন্তানের জন্য রেখে যাবেন? যে বাবা মার জন্য দুনিয়াতে আসছেন, যে ভাই বোন আপনার ছোট বেলায় আপনার সাথে ছিল, তাদের কথা কি একবারের জন্য মনে পড়ে না! আপনি খাবার খান কি করে? খেতে বসলে কি আপনার সেই দরিদ্র ভাই বোনের কথা মনে হয় না! প্রতি মাসে অসহায় ভাই/বোনটাকে একটা মাসোহারা দিলে কি এমন আপনার টাকা কমে যাবে? মৃত্যুর পর কি জবাব দিবেন?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার আগের পোষ্টের মন্তব্যগুলোর উত্তর টুত্তর দেননি, এদিকে আরেক পোষ্ট দিয়ে বসে আছেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: গাজী ভাই, কাজ হচ্ছে লিখে যাওয়া! সব উত্তর দিয়ে প্যাচাপেচি করে আনন্দ পাই না!
শুভেচ্ছা নিন।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পরিবারে একজন কোনো ভাবে উপরে উঠতে পারলে, পরিবারের অন্য সদস্যকে টেনে উপরে তুলতে পারে।
যেমন পরিবারের একজন আমেরিকা গেলে, অন্য সবাইকে নিয়ে যায়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তাই তো করা উচিত।
এভাবেই দারিদ্রতা দুর হয়।
শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪২

আমি মুক্তা বলেছেন: অসাম একটি পোষ্ট ভাই। দারুণ একটি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আসলে এমন ঘটনা আমাদের সবার চারপাশেই বিরাজমান। কিন্তু আফসোস হচ্ছে যারা একবার দারিদ্রকে জয় করতে পেরেছে তারা হয়ত দারিদ্রকে ঘৃণা করে বলেই তার আর যে আত্মীয়-পরিজন দরিদ্র তাদের পরিচয় দিতে দ্বিধাবোধ করেন।

আবার এমন ঘটনাও আমি আমার নিজের জীবনেই দেখেছি কেউ একজন উপরে উঠার জন্য অন্য একজনকে ব্যবহার করার পরে তাকে একদমই ভুলে যায়, বা কোন একটা অজুহাত দাঁড় করিয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

আসলে এসব হয় মূল্যবোধের অভাবে এবং আত্মকেন্দ্রিকতার জন্য। আমরা সবাই যদি আপনার বাৎলে দেওয়া পন্থা অবলম্বন করতাম তাহলে এ সমাজ থেকে দারিদ্রতা একেবারেই নির্মূল হয়ে যেতো। আর এজন্যই ইসলাম যাকাত ফরজ করেছে, কিন্তু কজন ধনবান ব্যক্তি সঠিক হিসাবে যাকাত প্রদান করেন? আর যারা যাকাত দেন তারা সঠিক নিয়মটাও ফলো করেন না, যদি সঠিক নিয়মে যাকাতের হিস্যা আদায় করা হয় তাহলে আপনার বা আমার কারো মনেই এ প্রশ্নটি আসতো না।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি সময়োপযোগী পোষ্টের জন্য।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

নতুন বলেছেন: মানুষ তার স্বভাব অনুযায়ী মানুষের সাহাজ্য পায়।

যদিও কথাটা অনেকের কাছে ভালো লাগবেনা তবুও আমার মনে হয়, মানুষ নিজেই তার দারিদ্রতার জন্য দায়ী।

সে যদি ভালো কাজ করতো, ভালো কথা বলতো তবে সে দরিদ্র থাকতো না।

আপনি যাদের কথা বলেছেন তারা হয়তো আপনার সাথে ভালো আচরন করছে কিন্তু তিনি তার কাছের মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করেনাই। হয়তো ইগো,জেলাসী বা অন্য কোন কারনে তিনিই তাদের কাছ থেকে দুরে চলে গেছেন তাই তাদের সামথ` থাকা সত্যেও তাদের দেখেনা।

আপনি আরো একটু কাছ থেকে যদি তাদের এই বিষয়টা দেখার চেস্টা করেন তবে আসল কারনটা দেখতে পাবেন।

আমার অভিঙ্গতা থেকেই বিষয়টা উপলব্ধি করেছি বিষয়টা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.