নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা ভাইরাসঃ ইন্ডিয়া থেকে সামান্য চিন্তা

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৭

আমাদের বিশ্বমন্ডলের এই অঞ্চলে আমার যতটুকু মনে হয় করোনা ভাইরাসকে সব চেয়ে ভাল বুঝতে পেরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীজ্বী। আমি মনে করি তিনি শুরু থেকেই জনগণের সাথে এই বিষয়ে সৎ ছিলেন।, তার বোঝার এবং ভাষণে এই বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, বার বার হাত জোড় করে তিনি সাধারন মানুষের কাছে এর ভয়াবহতা বুঝিয়েছেন, ভাল দিক।

আর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দিল্লীর কেজিওয়াল বেশি বিবেকবোধের পরিচয় দিচ্ছেন, তিনি সর্বপ্রথম ডাক্তার, নার্স ও মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানদের জন্য ভাল কথা দিয়েছেন, তাদের জন্য পাঁচ তারকা হোটেলের খাবারের ব্যবস্থা ও এক কোটি টাকা করে দেয়ার কথা বলেছেন, এটা তার বিরাট মনের পরিচয় বহন করে।

কলকাতার দিদি মমতা, তিনি এখনো শারীরিক ভাবে বেশী স্থান ভমন করে যাচ্ছেন এবং বেশি মানুষের কাছাকাছি থেকেছেন! তার সিরিয়াসনেস আমাকে অভিভুত করেছে শুরু থেকেই। আমি ইত্যমধ্যে তার প্রশংসা করে বেশ কয়েকটা স্ট্যাটাস দিয়েছি, তিনি সত্যই একজন সৎ এবং আদম্য নেতা, আমি তাকে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আগামীতে দেখতে চাই, যদিও এটা বেশ দুরের কথা।,

কেরেলার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই মোটামুটি ভাল অবস্থানে আছেন, তিনিও বেশ ভাল কর্মশুচি নিয়েছেন, এবং প্রতিদিন নিজের টুইটারে মৃত্যু আক্রান্তের খবরা খবর দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আমার চোখে একজন বুড় মানুষ, বয়স ৭৬ বছর, এই বয়সে আর কি সার্ভিস দিবেন! মাক্সবাদী, তবুও কাজ করছেন, কেরেলায় আক্রান্তের হার কিছুটা নিন্ম হলে বিপদ কাটে নাই! তিনি একটা নিজস্ব স্লোগান দিচ্ছেন, 'উই সেল ওভারকাম'। মানে এই বিপদের হাত যে কত লম্বা তা তিনি বেশ বুঝে নিয়েছেন!

ঝাড়খণ্ড কেন ইন্ডিয়ান একটা বিখ্যাত প্রদেশ তা আশা করি আপনারা সবাই জানেন। এই যে দুনিয়ার যত মেকাপ কিট হয় মানে নারীরা নিজদের সৌন্দর্য্য আরো আরো ফুটিয়ে তুলতে যে সকল মেকাপ সামগ্রীর কাঁচামাল মানে খনিজ দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, তার অনেক খনিজ এই ঝাড়খণ্ডের খনি থেকে উঠানো হয়, মেকাপের প্রায় সব উপকরন হচ্ছে, নানাবিধ খনিজের বালি বা গুড়ো। অনেক দুষ্ট ছেলেরা এটাকে আটা ময়দা বললেও মুলত এই সব খনিজ দ্রব্য যা পিষে পাঊডার করা হয়ে থাকে! যাই হোক, ঝাড়খণ্ডের এই সব কথা বলেছি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে, এই অঞ্চলের অনেক মানুষ পরিষ্কার বাংলা বুঝে এবং বলে (তবে আজকাল অনেকে এই চর্চা ছেড়ে দিচ্ছেন, তারা এখন হিন্দী লাভার্স হয়ে উঠছেন)। আর এই প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এখন হেমন্ত সরেন, তিনি তার পিতা সুযোগ্য সন্তান, তার পিতা মিঃ শিবু সরেন, ভেঙ্গে ভেঙ্গে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মিঃ হেমন্ত সরেন বেশ তরুণ, আমি নানান খবরে আর করোনা এক্টিভিটি বুঝতে ছেয়েছি কিন্ত ভাল বুঝতে পারি নাই, নেটে এই বিষয়ে তথ্য বেশি নাই। তবে তার একটা কথা আমার বেশ মনে ধরেছে, তিনি কয়েদিন আগে বলেছেন, আপনি যদি মৃত্যু ভালবাসেন তবে ঘরের বাইরে যেয়ে করোনাকে দাওয়াত দিন! মানে। ডু নট ইনভাইট করোনা!

ইন্ডিয়ার মুখ্যমন্ত্রী কম নেই! আমার যতদুর মনে পড়ে এখন ইন্ডিয়ার প্রদেশ ৩১টা, দুই একটাতে কেন্দ্রীয় শাসন চলছে, আর বাকী সব গুলোতেই রাজ্য শাসন। সবাইকে নিয়ে আলোচনা করা যায় না, এতে লেখা অনেক বড় হয়ে পড়বে এবং আপনারা আর পড়তে চাইবেন না, জানি! কাজেই আর মাত্র একজন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে!

তিনি উদয় ঠাকুর (ঠাকরে), মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। উনাকে তেমন না চিনে থাকলেও উনার বাবা মিঃ বাল ঠাকুরকে নিশ্চয় আপনারা সবাই চিনেন, বাল ঠাকুর ইন্ডিয়ার রাজনীতিতে একটা বিরাট নাম। বোম্বাই কে মুম্বাই নাম পরিবর্তনে তার নাম ভোলা যায় না! ইন্ডিয়ার রাজনীতিতে বাল ঠাকরে একজন কট্টরে রাজনীতিবিদ হিসাবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন। যাই হোক, আমি করোনা ভাইরাস নিয়ে তার অনেক গুলো ভাষণ শোনার চেষ্টা করেছি, তিনি মহারাষ্ট্রের নিজস্ব ভাষায় কথা বলেন বলে আমি তার কথা তেমন বুঝতে পারি নাই, তবে তিনি লকডাউনের উপর বেশী জোর দিয়েছেন এবং তার অধীনস্থ জায়গাতে সকল চাকুরীজীবিদের বেতন আগামী মাসের জন্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মমতাদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে, বাংলাদেশের কোন নদীতে ভারত থেকে পানি, বা প্রস্রাব কোনটাই আসবে না।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সেটা ভিন্না আলোচনা! তার এই চিন্তা তার জন্য সেরা, তিনি তার জনগণ দেখবেন সেটাই আগে।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: কেজরিওয়াল আইআইটির এলুমনাই। আমি ওনাকে অনেক পছন্দ করি। ওনাকে পরপর দুবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মমতা বা কেজরিওয়ালের প্রধানমন্ত্রী হবার সম্ভবনা তেমন নেই, কারন এদের দল শুধু এক একটা প্রদেশেই। ফলে সুযোগ কম। এরা যদি আরো এক্টিভ হত তবে এবং নানান প্রদেশে এই দলের বিস্তার করাতে পারলে চান্স আস্তো, তার কোন লক্ষন নেই!

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভারত সম্পর্কে আপনার বেশ জ্ঞান আছে। ভেরি গুড।
মমতা আসলেই অনেক কাজ করেছেন। মমতার মতো কাজ আমাদের দেশে কোনো মন্ত্রী এমপি এই করোনা কালে করেনি।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: নাই কাজ তো খৈ ভাজ অবস্থা। এই জ্ঞান মনের শান্তনা হয়ে থাকুক। আমাদের নিয়েও অনেক জ্ঞান আছে তবে তা লিখতে ভয় পাই, গুম খুনের ভয়ে!

৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তাবলীগ জামাত ভাইরাস ছড়িয়েছে এই জন্য মুসলিমদের মেরেছে তা আপনি জানেন না। কারণ বাল ঠাকরে আপনার নেতা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: মিয়া ভাই, কি বাল বাল কইতেছেন? সব কথা আমি লেখলে আপনারা কেন? আপনি জানলে আপনিও লিখুন! ইন্ডিয়ান মুসলিমদের নিয়ে এই সামুতেও আমার আগের লেখা আছে। জানি দেখেছি!

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মোদী সাহেব যে করোনার ক্ষেত্রে আর সকলের মতই অসহায় সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। তবে ট্রাম্প সাহেবের মত বোকামি না করে প্রথম থেকেই উনি ওনার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। ওনাকে এজন্য ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে। আমাদের দেশের মন্ত্রীরা কথার ফুলঝুরি ফোটালেও বারবার ভুল করছেন ও সংশোধনের চেষ্টা করছেন। কাজের কাজ খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছে সরকার।

মমতা দিদি show off করতে পছন্দ করেন আর ওনার সাহস বেশী তাই উনি বেশী ঘুরছেন। তবে বিপদে মানুষকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন ও মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করছেন এটাকে অবশ্যই ইতিবাচকভাবে নেয়া উচিত।

কেরালা আমাদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। ধন্যবাদ চিন্তা ভাগাভাগি করার জন্য।

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১০

বিজন রয় বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম।
++++++

এখন আমাদের লোকজন কি করছে তা তো দেকতে পাচ্ছি।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

রাজীব বলেছেন: কেজরীওয়াল আসলেই ভালো কাজ করছেন। তিনি প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে দিনে ২ বেলা রান্না করা খাবার খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। ৩০০০০ এক্টিভ রোগীর জন্য মেডিকেল বেডের প্রস্তুুতি নিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.