নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
কিছু ব্যাপার আছে যা আপনাকে বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝিয়ে দিবে, যদি আপনি মননশীল মানুষ হয়ে থাকেন, তবে বিষয় গুলো আপনার কাছে ধীরে ধীরে ধরা দিবে, অভিজ্ঞতায় আপনি আপনার পূর্বের ধারনায় স্থির থাকতে পারবেন না! মানুষের জীবনে তেমনি একটা ব্যাপার হচ্ছে 'সন্তান'! সন্তান বড় হয়ে দুনিয়ার কাছে অনেক বড় কিছু হলেও ভেতরের খবরটা হয়ত আপনিই জানবেন যে, সে সুসন্তান নয়!
কোলে পিঠে মানুষ করা সন্তান যখন বড় হতে থাকবে তখন আপনি অবাক হয়ে হয়ত লক্ষ করবেন যে সে মানব জীবনের মুল ভাল গুনাবলী গুলো নিচ্ছে না (কেহ কেহ যে নেয় না তা নয়, আমি তাদের কথা বলছি না)! আপনি যতই তাকে ভালবেসে তার পথ সুন্দর করার এবং তার পিছনে শ্রম দেবেন বা তাকে বলে কয়ে সঠিক রাস্তায় রাখার চেষ্টা করবেন, দেখবেন সে তার পথেই চলে যাচ্ছে! এটাই হয়ত বিধাতার খেলা!
বিস্তারিত আপনি নিজেই একটু চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন, যে ছেলে বা মেয়েকে (১৪ বছরের আগে পর্যন্ত হয়ত একটা কন্ট্রোলে থাকে, এর পরের বয়সের কথা বলছি) আপনি ভাল চারিত্রিক গুনাবলী বা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কি কি করা যেতে পারে বা তার সামনের দুনিয়ায় সে বেঁচে থাকতে হলে কি কি করলে সে ভাল থাকবে ইত্যাদি প্রায় বুঝান, সে হয়ত এই সবকে ফালতু প্যাচাল মনে করবে। তার উন্নত জীবনের আশায় আপনি তার পিছনে যে টাকা শ্রম দেন, সে হয়ত এটাকে পাওনা বা অহেতুক মনে করে! বা এই নিয়ে তার কোন চিন্তা বা বিকার নেই!
আপনি হয়ত অবাক হয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন এক সময়ে, এই আমার সেই সন্তান, যার মধ্যে তো দেখি সামান্য দয়ামায়াও নেই বা নেই সামান্য বিবেকবোধ! অথচ ১৪/১৫ বছর পর্যন্ত আপনি নিজেই তাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিয়েছেন, নিজের খাবারের সময়টাও মনে রাখেন নাই অথবা সময়ে আপনি আপনার খাবার টুকূও গ্রহন করেন নাই! আপনার পড়ন্ত সময়ে তার ব্যবহারের কারনে আপনি হয়ত আরো পড়ে যাচ্ছেন বা চলেও যাবেন!
সন্তানকে বিবেকবান (যে কোন বিষয়ে) করে তোলা আমি মনে করি না যে, মাতা পিতার একক কোন দান! তবে এই বয়সে এসে বা আমি আমার অভিজ্ঞতায় এটা বলতে চাই, সুসন্তান বিধাতার দান, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই সুসন্তান (ভাল জ্ঞান) দিয়ে থাকেন! আপনি আমি চাইলেও হয় না বা পাওয়া যাবে না! তবে সন্তানের মুল মৌলিক চরিত্র গঠনে মায়ের ভূমিকার একটা আলাদা দম আছে, মা যদি সু (নীতি, জ্ঞানী, বিবেচক) হয়ে থাকেন, সন্তান কিছুটা হলেও বাধ্য হবে হয়ত বা হয়! পিতার কোন কথাই সন্তান সামান্যও কানে নেয় বলে মনে হয় না!
আপনারা যারা এখন পিতা মাতা হিসাবে ৪০-৫০ এই এইজ গ্রুপে আছেন, আপনাদের সন্তান ১৪/১৫ বছরে নীচে, আপনাদের বলবো, সন্তানের জন্য করুন তবে নিজকে হারিয়ে ফেলে নয়, নিজের সেভিংস, নিজের বুদ্ধিমাত্রা কাজে লাগান, নতুবা এক সময়ে কান্না ছাড়া আর কিছু থাকবে না। সন্তানের বয়স ১৪/১৫ হয়ে গেলেই আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, সে কোন চরিত্রের হয়ে পড়ছে! সে আপনার ভাল দিক গুলোর উপদেশ কিভাবে নিচ্ছ, সেটার প্রতিউত্তর দেখেই বুঝতে পারবেন, সে কোন পথে! যদি দেখেন, এর কিছুই সে নিচ্ছে না, তবে তাকে তার পথেই চলে যেতে দিন (প্রেম, ড্রাগ, পড়াশুনাতে অমনোযোগী ইত্যাদিতে কি করবেন জানি না, কারন এই বিষয় নিয়ে আমি এখনো চিন্তা করি নাই), আপনি আপনাকে দাঁড় করান, ওর পিছনে সময়, টাকা দিয়ে আপনি নিজকে একদম নিঃস্ব করে ফেলবেন না!
হ্যাঁ, সন্তান একদিন হয়ত অনেক বড় হবে! প্রধানমন্ত্রী (তওবা, এই সুযোগ হয়ত আমজনতার আর চিন্তার বিষয় না), স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, এম্পি, এসপি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি হতে পারে, তবে সে হয়ত আপনার কাছে, আপনার বিবেচনায় কখনো সুসন্তান নয় বা হবে না! এই যে আমাদের বাস্তবতা কিংবা বিধাতার খেলা!
সময় থাকতে সতর্ক হউন। পরিশেষ এই বলে দুঃখ করি, নিজকে নিয়ে চিন্তা করলেও মনে হয়, আমি নিজেও কি সুসন্তান, যে 'মা' নিজে না খেয়ে আমাকে খাইয়েছেন, যে 'বাবা' নিজে না পরে আমাকে পরিয়েছেন, তাদের জন্য আমরা কি করছি বা কি করা উচিত ছিলো, তাদের প্রতি এখন কতটা মানবিক, শুধু সামনে দেখছি, পিছনের কোন ঘটনাই যেন ঘটে নাই! তারা কি আমাকে 'ভাল' বলছে বা 'সুসন্তান' মনে করছে!
সবাইকে শুভেচ্ছা।
০৪ ঠা মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বাবা মায়ের কাছে আগে নিজকে সুসন্তান হিসাবে প্রমান দিতে হবে, সারা দুনিয়াতে ভাল হলেও লাভ তেমন দেখি না! অমানুষ হিসাবেই চিনিহিত হবে।
২| ০৪ ঠা মে, ২০২০ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: না আমি ভালো সন্তান না।
বাবা মায়ের জন্য কিছুই করতে পারি না।
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমি নিজেও নিজকে ভাল সন্তান মনে করতে পারি না, বাবা মায়ের জন্য বলা চলে কিছুই করি নাই।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: বাবা মায়ের কাছে আগে নিজকে সুসন্তান হিসাবে প্রমান দিতে হবে
এখনো পর্যন্ত বাবা মায়ের কোন অবজেকশন নাই
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধণ্যবাদ ও শুভেচ্ছা। বাবা মায়ের কাছে আগে ভাল সন্তান হয়ে থাকুন। উনাদের যেন কোন অভিযোগ না আসে!
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: প্রতিটি মানুষের একটা নিয়তি থাকে।
শত চেষ্টায়ও এই নিয়তি বদলানো যায় না।
তবুও আমাদের চেষ্টা থাকে সবকিছুকে নিজের আয়ত্বে রাখার। থাকে না।
এই নিজের কথা বলুন। নিজেকে নিজে আয়ত্ব করতে পারছি কি?
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এখানে আমিও তেমন বিষয় বলেছি, এই সব গুনাবলী মুলত বিধাতার খেলা, তিনি কাউকে দেন কাউকে দেন না! অন্যায়কে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করার মানুষ থাকে বা আছে, ওরাও তো সন্তান!
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের বিশৃংখল সামাজিক পরিবেশ, দারিদ্রতা ও ইউনিভার্সিটিগুলোর হতাশ পরিবেশে ভয়ংকর এক জেনারেশন গড়ে উঠেছে।
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চাইলেও যেন সন্তানকে ভাল পথে রাখা যাচ্ছে না! কি যে জ্ঞান ওদের মাথায় ঢুকে পড়ছে!
৬| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ৮:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মা বাপ , ভাইবোন সবাই নিয়ে একসাথে আছি । ভালো থাকার জন্য অনেক ত্যাগ স্বিকার করতে হয়।
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অবশ্যই, যে যত ত্যাগ স্বীকার করবে তা কাছে দুনিয়া তত মধুর কিন্তু এই সাধারন কথাই তো অনেকে বুঝানো যায় না।
৭| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৫
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বেশীর ভাগ বাবা মা ইতো ভাল না।তার সন্তান ভাল হবে কি ভাবে।আগে নিজেকে মানুষ হতে হবে,তবে তার ছেলে মেয়ে মানুষ হবে।ডাক্তার ইন্জিনিয়ার মন্ত্রী হওয়ার কোন দরকার নেই,দরকার ভাল মানুষ হওয়া,তবেই ছেলে মেয়ে,বাবা মাকে দেখবে।আমি মীর আবুল আল হাসিব এর সাথে একমত।
ভাল হয়ে লাভ দেখবেন এভাবে,যে কেউ আপনাকে খারাপ বলছে না।ভাল মানুষ আবার অমানুষ হিসাবে চিহ্নিত হয় কিভাবে?বিষয়টাই হয়তো বুঝিনাই!
০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সন্তানের ব্যাখ্যাটা বুঝলেই চলবে - তাকে কি তার বাবা মা ভাল বলছে বা তার আচরণে কি তার বাবা মা কষ্ট পাচ্ছে! এর উত্তরেই বোঝা যাবে। সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে ভাল হয়েও এই উত্তরের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়!
৮| ০৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই ব্লগটা আমি মুলত লিখেছি আমার দুই সন্তানের কথা মাথায় রেখে, ওরা বড় হয়ে যদি কখনো খুঁজে দেখে ওদের বাবার কি চিন্তা ছিলো।
https://www.facebook.com/udraji/posts/10214701742052126
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০১
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আমি যদি ভালো মানুষ হই তাহলে আমি একাধারে একজন- ভালো সন্তান, ভালো স্বামী/স্ত্রী, ভালো বাবা/মা, ভালো বন্ধু।