নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
জানো মানুষ,
আমার দুই পকেট ভর্তি টাকা, ব্যাগেও অনেক আছে,
তবুও আমি ঘরে ফিরতে পারছি না।
কোথায় যেন কি একটা কিছু আমার মাথায় হয়েছে,
সবই বুঝতে পারছি শুধু আমার বাসার ঠিকানা মনে করতে পারছি না!
দুনিয়ার এত সব তথ্য উত্তাপ মনে পড়ছে,
কত স্মৃতি কত কথা,
শুধু বাসার ঠিকানাই মনে হচ্ছে না
এতটুকূও মনে পড়ছে, আমাদের বিল্ডিংটা বেশ বড় এবং সাদা
বড় রাস্তা পেরিয়ে ছোট গলি ধরে যেতে হয় এবং
এই বড় বিল্ডিং এর পরেই আর তেমন একটা বাড়ীঘর নেই, ফাঁকা!
দুপুরের খাবার খেয়ে পড়ন্ত বেলায় আমি বের হয়েছিলাম,
সন্ধ্যার আগেই ফিরে যাবার কথা ছিলো,
অথচ সুর্য্য ডোবার সময় হয়ে এল, গোধুলি এসে যাচ্ছে,
আমি বাসায় ফিরতে পারছি না!
হেঁটে এসে একটা তেমনি বিল্ডিং দেখে প্রবেশ করলাম,
না, এটা তো আমার বাসা নয়, আমি যে বিল্ডিংটায় থাকি
তার মত মনে হলেও এটা আরো নুতন, বাইরে রঙ শেষ হলেও
ভেতরটা ফাঁকা, এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি কিংবা
হয়ত কয়েক ফ্লাটে পরিবার উঠেছে, যাদের অনেক তাড়া ছিলো!
আমি পকেটের টাকা, ব্যাগের টাকা দেখলাম,
দামী ঘড়ি মোবাইল দেখলাম, সবই সাথে আছে,
অথচ আমার কি হল, আমি শুধু আমাদের বিল্ডিংটাই চিনতে পারছি না!
কাউকে জিজ্ঞেসও করতে পারছি না,
আমি যে আমার বাড়ীর হোন্ডিং নংটা কিছুতেই মনে করতে পারছি না।
এমন সাদা সাদা গ্লামারার্স আট তলার বিল্ডিং, কালো লোহার গেইট,
এই এলাকাতে অনেক প্রচুর, সবাই দেশের উদীয়মান অনেক টাকাওয়ালা,
আমিও এদের সাথে নাম লিখিয়েছিলাম, কলে কৌশলে!
অর্থ উপার্জনে আমি এমন কোন কার্পন্য করি নাই,
এমন কোন খাত বাকী রাখি নাই,
ঘুষ, কমিশন, সুদ্, ভেজাল, লটারী, ক্যাসিনো সবতেই আমি বাজী ধরেছি,
টাকায় টাকা এনেছি, টাকার পাহাড় হয়েছে বটে!
অথচ আমার কিবা বয়েস, এখনতো মাত্র পঞ্চাশ পেরিয়েছে,
এখনো কত উপভোগ, কত কি দেখার বাকী!
আমি খুব ভয় পাচ্ছি, রাত এসে যাচ্ছে,
আবার এও ভাবছি যে, আমাকে ভয় পেলে চলবে না,
সাথের সব টাকা কড়ি নিয়ে আমাকে বাসায় ফিরতেই হবে,
অথচ আমি কিছুতেই আমার বাড়ির গলিও চিনতে পারছি না।
এমনও কি মানুষের জীবনে হয়, কোটি টাকা থাকতেও,
জ্ঞানের ভান্ডার হতে হয়েও কি, সব কিছু মনে করতে পেরেও কি,
শুধু মানুষ নিজের বাসার ঠিকানা ভুলে যায়, নিজ লোকেশন ম্যাপ হারিয়ে যায়!
সত্য এই অবাক করা ঘটনা,
অথচ এই ঘটনার সাক্ষী আমি নিজেই!
(মালিবাগ বাগানবাড়ী, ২৩ জুন, ২০২০ইং)
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
২| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নিপুণ I +
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪২
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এটি কি লিখলেন? আমার মনে হচ্ছে অপরিচিত কোনো এলাকাতে আপনার সাথে কোনো বাস খোঁজ করছি কিন্তু বাসা খুঁজে পাচ্ছি না। এতো মহা যন্ত্রনা! - বাসা খোঁজ করার আমার ১১টি পন্থা জানা আছে। - হয়তো ব্লগে লিখবো কেনো একদিন।
সাহাদাত উদরাজী ভাই গুড জব। ভালো লিখেছেন।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
লিখুন, আমরা জানি। এলাকাটা আপনি খুব ভাল করে চিনেছেন বলে খুশি হয়েছি।
৪| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী,
বেশ ভালো একটা বক্তব্য নিয়ে গড়ে ওঠা কবিতা। কিছু কিছু স্মৃতি নিয়ে মানুষের ভ্রম হয়েই যায়, যে সব স্মৃতিতে মানুষ তার প্রযোজিত অংশটুকু নিয়ে বিড়ম্বিত হয়, যে অংশটুকু স্মৃতির সেলুলয়েডের ফ্রেমে তাকে লজ্জায় বাঁধে।
ভালো লেগেছে।
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৫| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০০
সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাবনাতে বেশ একটা চমক আছে, ভাল লাগল ।
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৩
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৬| ২৪ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর কবিতা।