নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সঞ্চয়ঃ জীবনের একটা জরুরী বিষয়

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

করোনা আমাদের অনেক অনেক বেশি শিক্ষা দিচ্ছে। বিশেষ করে সঞ্চয় কাকে বলে বা সঞ্চয় কি জন্য দরকার সেটা আমরা অনেকে বেশ ভাল করে বুঝতে পারছি! সঞ্চয়ের এই বুঝ সাধারণত সবাই বুঝে তবে বয়স বাড়িয়ে, বয়সের আগে সাধারণত আমরা কেহ বুঝতে চাই না যে, সঞ্চয় জরুরী বিষয়! বুড়া হয়ে সঞ্চয় না থাকলে কার কি হচ্ছে সেটা আমরা চারি পাশেই দেখতে পারছি! যাই হোক, সঞ্চয় নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। কোন গার্মেন্সে কাজ করা একজন সিনিয়র অপারেটর কিংবা মালিবাগের মোড়ে সিদ্ধ ডিম বিক্রেতা সঞ্চয় করে করে যখন জায়গা কিনে ফেলে সেখানে আমরা অনেকে বড় চাকুরী, ব্যবসা করেও ভাড়া থাকতে হয় বা হচ্ছে, সঞ্চয়ের মনোভাব হীনতাই এর মুল কারন বলে মনে হয়।

আমি সব কিছুতে নিজকে উদাহরণ দেই। সঞ্চয় নিয়ে আমারো তেমন মাথা ব্যাথ্যা ছিল না কখনো। বছর আটেক আগে ল্যাবএইডের চাকুরী ছেড়ে প্রায় এক বছরে পুরা বেকার, পরের বছর সেমি বেকার থাকায় আমি বুঝেছিলাম যে, মানুষের জীবন কাকে বলে, মানুষের জীবনে অর্থের কি দরকার! অর্থ না থাকলে যে মানুষ কি কষ্ট ও ভয়াবহ সময় পার করে, তা আমি নিজে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছিলাম (অনেক কথা লিখলে পৃষ্টার পর পৃষ্ঠা পার হয়ে যাবে)। তবে আমি এই সময়ে অনেক কিছু খুইয়ে ফেললেও কিছু ব্যাপার আমাকে চরম বেইজ্জতির হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সহ নিজের কয়েকটা এলিকো ইন্সুরেন্স থেকে আমি ধার নিয়ে ছিলাম বলে আমাকে ব্যক্তি কারো কাছ থেকে ধার করতে হয় নাই, ইজ্জতের ফালুদা হয় নাই, তবে এভাবে আরো কিছু দিন চললে কি হত এখনো ভাবলে অবাক হয়ে পড়ি, কি করে সেই দুঃসময় পার করেছিলাম!

আমি লেখায় উদার হলেও, বাস্তবে চুপচাপ স্বভাবের! বাস্তবে আমি সামান্য তর্কেও যেতে চাই না, কারন আমার অভিজ্ঞতা প্রচুর, কোথায় গিয়ে শেষ হবে তা এখন বুঝি! আমি মোটামুটি যেমন আমার শেষ জেনে গেছি, তেমনি অনেকের শেষ কি হবে তাও কল্পনা পারি, এটা জীবনের জার্নি, জীবনের পথই আমাকে শিখিয়েছে! হয়ত সঠিক হবে না, তবে কাছাকাছি নিশ্চয় হবেই! ফলে নিজকে এখন অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ হিসাবেই চিন্তা করি!

যাই হোক, যা বলছিলাম, সঞ্চয়! আজ কাগজ পত্র ঘেটে দেখলাম, আগামী দিন দশেকের মধ্যে আমার একটা দুই হাজার টাকার ডিপিএস সাত বছরের ম্যচুয়িরিটি পাবে, ব্যাংকে একাউন্টের পাশাপাশি লিঙ্কে আমি একটা ফর্ম ফিলাপ করে এই ডিপিএস করেছিলাম, যার খোজ আমি কখনো রাখি নাই, তবে মাসে মাসে একাউন্ট থেকে এই টাকা কাটার মেসেজ ব্যাংক থেকে মোবাইলে পেতাম, বুঝতাম এটা চালু আছে! এখন হিসাব করে দেখলাম, যদি আমি আমার জমানো মুল টাকাও ফেরত পাই তবে আগামী তিন মাস আবারো বসে বসে খেতে পারবো! আর সময়, আমার মনে হচ্ছে, এই তো সেই দিন, ব্যাংকার ফজলে ভাই আমাকে একটা ফর্ম দিয়ে বললেন, সাইন করে যান, কেমনে সময় পার হবে টের পাবেন না! আসলেই সাত বছর কি করে পার হয়ে গেল!

যা বলছি, যে কোন মুল্যে সামান্য হলেও সঞ্চয়ের অভ্যাস করুন। এতে আপনার লাভ, ক্ষতি নেই! এখন যারা বয়সে তরুণ আছেন, আপনাদের সামনে এখনো অনেক সময়, যদিও এই সময়টা খারাপ যাচ্ছে! সামনে এখনো অনেক সময়, সঞ্চয় করতে ভুলবেন না। সঞ্চয়ের জন্য মনে হতে পারে আপনি কিছু কিছু জায়গা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, হয়ত কোন হোটেলে খাচ্ছেন না বা কোন স্থান দেখা থেকে বিরত হচ্ছে, হয়ত কোন আত্নীয় কাছে যাচ্ছেন না, বন্ধুদের থেকে দূরে! হতে পারে এই মাসে বা কয়েক মাসে জামা জুতা কিনছেন না, কি আছে তাতে, এই সঞ্চয়ের কারনে হয়ত আপনার সারা জীবন কারো কাছে হাত পাত্তে হবে না, এর চেয়ে আর বড় সন্মান কি হতে পারে! যারা আগে বুঝে যাবেন, আগে কাজ করবেন, তারাই এগিয়ে থাকবেন। বয়স ফুরানোর আগেই আপনি আনন্দে থাকবেন।

তবে একটা অনুরোধ থাকবে, যে কোন ইনভেষ্টের আগে যাছাই বাছাই করতে হবে, যেন আপনি প্রতারিত না হন। লাভ কম হলেও ইনভেষ্টের জায়গা নিশ্চয় হতে হবে। কাকে বা কোথায় ইনভেষ্ট করছেন বা কোথায় টাকা জমাচ্ছেন সেটা আগেই ভেবে নিতে হবে! ছোট ছোট সঞ্চয়ের জন্য সরকারের ব্যাংক গুলো উত্তম, অন্তত মুলধন হারিয়ে যাবার সম্ভবনা নেই বা যাবে না!

আনন্দে কাটুক আমাদের সবার জীবন।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকায় চাকুরীরত মানুষজন যেই বেতন পান, কোন চাকুরীজীবির পক্ষে সন্চয় সম্ভব?

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হোক না সেটা ১০০০ টাকা, হোক না সেটা ৫০০ টাকা! মাসে নিশ্চয় ১০০০ টাকা পারবেই! অথচ ১০/১২ বছর পরে এটা এক সাথে অনেক টাকা মিলিয়ে দিবে, তাতে অন্তত কয়েকটা মাস তো বসে খেতে পারবে! আমার এমন ১০০০/২০০০ হাজার টাকার আরো দুইটা সঞ্চয় আছে, জীবনবীমার দুইটা আছে, আমি চালাতে চাই নাই, তবুও চলছে। এখন দেখি এই টাকা গুলো পেলেও আমি মাস ৬ বসে বসে খেতে পারবো। এটা বুঝলে আমি সেই আমল থেকেই দশ হাজার টাকা করে জমাতাম, এই টাকা সেই সময় থেকে কিছুই ছিল না আমার, প্রতি মাসে এমন বা এর চেয়ে বেশি টাকা আমি হোটেল রেষ্টুরেন্টে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়েছি, যারা কোন মূল্যই এখন পাই না! কিংবা যাদের জন্য এই টাকা খরচ করেছি, তারাও এই সব ভুলে গেছে!

২| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৮

লরুজন বলেছেন: ঢাখার লোক বাসাভাড়া দিয়া ফতুর
সনচয় করব কেমনে

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ্যাঁ, এটা সত্য। তবে এর ফাকেও ১০০০ টাকা করে হলেও জমাতে হবে, যে কোন কৌশলে কিংবা যে কোন কিছুর বিনিময়ে। আমি আমার নিজের উদাহরণ দিলাম। আমি চাইলে সেই সময় থেকে প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা জমাতে পারতাম, এখন বুঝি কি ভুল বা কোথায় ভুল হয়েছে!

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন। ধার করে ঘি খাওয়া উচিত না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে 'সঞ্চয় সমৃদ্ধির সোপান'। পরমুখাপেক্ষিতা খুব কষ্টদায়ক ব্যাপার। ধন্যবাদ।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধার করা খুব লজ্জার ব্যাপার, আর একবার ধারের অভ্যাস হয়ে গেলেই প্রতারক হয়ে পড়তে হয়! এমন প্রতারক বন্ধু (!) আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি। এই সব লিখলে অনেকে আমাকে পাগল ভাব্বে, যদিও সব লিখে ফেলা দরকার।

৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: দুনিয়ায় যার টাকা নাই তার আপন বলে কেউ নাই ।
আমার জীবনে আমি নানা কিছু চেষ্টা করেছি কিন্তু পর্যাপ্ত টাকার চেহারা দেখিনি । আমার কোন সঞ্চয়ও নেই । বাপের ঘাড়ে বসে আছি বলে টের পাচ্ছি না কিছু । যদিও আমার বাপের কিছু ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আমার ক্যারিয়ার এখনও দাঁড়ায়নি তারপরও আমার বাপ তার সব সন্তানের জন্য ভাল কিছু সঞ্চয় রেখেছেন ।। সেটাই ভরসা আমার ।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: টাকা কড়ি অবশ্য ভাগ্যের ব্যাপারো। যাই হোক, আপনি বিষয়টা বুঝতে পারছেন এটাই যথেষ্ট। বাপের ভুল চিন্তা না করে নিজেই সাহস নিয়ে নেমে পড়ুন, একদিন অনেক এগিয়ে যাবেন।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: লোভী আর বেকুব মানুষরা না বুঝে বিনিয়োগ করে। অনেকে যেখানে সেখানে সুদের লোভে বিনিয়োগ করে এবং সব টাকা হারিয়ে বসে। ব্যাংকে টাকা রাখা সবচেয়ে নিরাপদ। এমএলএম এর ফাঁদে পরেও অনেকে ফতুর হয়ে গেছে

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: জীবনের কোন পর্যায়েই অতি লোভ করা উচিত নয়, আমি পাহাড়ে অনেক বন্ধুর সাথে একাত্রে জমি কেনার লোভে, রিসোট বানানোর লোভে টাকা দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম, বছরে অন্তত কয়েকটা দিন পাহাড়ে থেকে আস্তে পারবো, পুরাই জলে গেছে, এখন সেই সব প্রতারকদের আর দেখিও না, যাদের দেখা পাই, তারা কি নিলজ্জের মত আছে!

৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সঞ্চয় করার অভ্যাস যাদের নাই তাদের মাঝে ধার কর্য , হাত পাতা ইত্যাদি বদঅভ্যাস তৈরী হয়।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এবং এরাই এক সময়ে প্রতারক হয়ে উঠে! দিনে দিনে আরো আরো বড় প্রতারক হয়। উদাহরণ তো অনেক হল!

৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সঞ্চয় একটি সু অভ্যাস। মৌমাছি বা পিঁপড়াদেরও এই বুদ্ধি আছে অনেক মানুষের যা নেই।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: বাহ, বেশ একটা উদাহরণ দিলেন। হ্যাঁ, এমনি।

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান সময়ে আমাদের সঞ্চয় করা দূরহ ব্যাপার

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চেষ্টা করতেই হবে, ৫০০/১০০০ হলেও এক সময়ে এই টাকা কাজে দিবে, সঞ্চয় মুলত ইচ্ছা!

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৯

রাশিয়া বলেছেন: এক বছর চেষ্টা করে মাসে ১০০০ টাকা সঞ্চয়ের চেষ্টা করলেন, এক বছর পর বাড়িওয়ালা ভাড়া ১০০০ টাকা আর সার্ভিস চার্জ ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দিল। জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিদ্যুতের দাম ১০% বাড়িয়ে দিল, আর সরকার আমানতের উপর সুদের হার ১% কমিয়ে দিল। সঞ্চয়ের থিওরি তখন কোন কাজে লাগবে?

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাইছা, আপনি চাকুরী ব্যবসা যা করছেন, নিশ্চয় সেখান থেকেও কিছু বাড়তে পারে! হা হা হা, হোটেলে খাবার, বাতসরিক ঘুরা ফেরা কমিয়ে দিয়েও কি হবে না! হা হা হা, ভাইছা আপনার বাড়ি নিশ্চয় হেনী! হেনীর না হলে এমন চিন্তা করা দুরহ!

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: প্রাইভেট ব্যাংকে সঞ্চয় নিরাপদ নয়।যে কোন সময় গনেশ উল্টে যেতে পরে।পোস্ট অফিস বা সঞ্চয় পত্র নিরাপদ।কাল টাকা থাকলে সুইস ব্যাংক।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: েসরকারী ব্যাংক গুলোকে বিশ্বাস করা যায় না বটে তবে সার্ভিস চিন্তা করলে সরকারের কোন ব্যাংকে যাওয়া চলে না। টাকা জমা উঠাতে দিন পার।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৫

রাশিয়া বলেছেন: বাইছা, ছাকরির ইনকিরিমেন্ট ১০% মাইনে আর স্যালারি বাইড়ব ৮ হাজার টিয়া। আর বাইচ্চার টিউশন ফি বাইড়ব ১০০০ টিয়া। নতুন বাইচ্ছা হইলে হেতির খরচ আছে। বুয়ার বেতন বাড়ান লাইগত ন? ডাইবরের বেতনও তো বাইড়ব। এগুনে আন্নের বাবি কামাই করে কই কিছু টিয়া থাই যায়। নাইলে আরে নাকের হানি চকের হানি এক করি কান্দন লাইগত, আবার সঞ্চয়!

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তবুও কিছু সঞ্চয় করা উচিত।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অবশ্যই সবার সঞ্চয়ী হওয়া উচিত।
অন্যের টাকা মেরে দেয়া যাদের স্বভাব তারা অবশ্য এটা নিয়ে ভাবে না।
পোস্টে গোল্ডেন এ+।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অল্প অল্প সঞ্চয়ে যে টাকা জমা হয় তা দিয়ে সামান্য হলে উপকার হয়। মাসে ১০০০ টাকা জমাতে চিন্তা না করেই করে ফেলা দরকার।

১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি জীবনে কোনো সঞ্চয় করতে পারি নি।
কিছু মনে করবেন না আপনি কেমন সঞ্চয় করেছেন?

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সঞ্চয় করেছি বলেই তো এখনো এই শহরে আছি, না হলে অনেক আগেই হয়ত মরে যেতে হত বা গ্রামে যেতে হত। এখনো আছে, কিছু না করেও আরো অনেকদিন চালাতে পারবো। আমার আরো দুইটা ডিপিএস এবং দুইটা এলিকো ইন্সুরেন্স আছে, যা আগামী বছরের মে তে মেচুরিটি হবে, এতে অনেক টাকা পাব। যা দিতে অন্তত আরো বছর খানেক বসে খেতে পারবো।

১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৯

আল ইফরান বলেছেন: অনেক কারন মিলিয়েই সঞ্চয় করা হয়ে ওঠে নি।
বাইরে ঘুরাঘুরি, বর্ধিত পরিবারের দায়িত্ব এবং বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতার সেবা এবং সামাজিকতা রক্ষা করার দায়ে খুব বেশি সঞ্চয় করতে পারি নি। তবে এই মহামারীর অর্থনৈতিক ধাক্কা আমাকে শিখিয়েছে সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আমিও সঞ্চয়ে যত্নবান ছিলাম না, আমি এই ঢাকা শহরে এক বছরের বেশী সময় বেকার ছিলাম, সেই সময়ে এটা আমার মাথায় এসেছিল। সেই সময়ে আমার ৩ টা এলিকো ও ক্রেডিট কার্ড থাকায় আমার কারো কাছে হাত পাত্তে হয় নাই। এলিকো গুলো থেকে লোন নিয়েছিলাম এক দিনের নোটিশেই!

১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান মানুষ। তাই সঞ্চয় করেছিলেন। আমি বোকামি করে ফেলেছি। এখন আফসোস করি।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: জীবনের শুরুতে যারা এটা বুঝে যায়, তারা ভাল করে। এই ধরেন ২০০০ টাকার ডিপিএস কেমনে যে ৭ বছর পার করে গেল আমি নিজেও জানি না। একাউন্ট থেকে এই টাকা কাটা গিয়েছে। আর একাউন্ট কখনো নিল করি নাই। এখন এই সঞ্চয় দিয়ে অন্তত ৩ মাস বসে খেতে পারবো। যাই হোক, স্ময় ফুরিয়ে যায় না, সামান্য হলেও সঞ্চয় করুন, স্ময় টের পাবেন না। আমরা কত বাড়তি খরচ করি, তার থেকে সামান্য কিছু বাদ দিলেই হল।

১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পৃথিবীর অনেক ভাল কাজের মত এটাও পারি নাই! সেটা আফসোস নাই। আপনার লেখা ভালো লেগেছে।
সেই ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম। ভবিষ্যতে মাথায় থাকবে সঞ্চয়!

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সামান্য হলেও সঞ্চয় করুন। কারো কাছে হাত পাত্তে হবে না!

১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো পরামর্শ।

সঞ্চয় না করলেও বছর শেষে বাড়ি ভাড়া বাড়তে পারে, বিদ্যুৎ বিলে ভূত ঢুকতে পারে। ঐ কনটিঞ্জেন্সি মনে রেখেই সঞ্চয় করতে হবে। সঞ্চয়ের মূল উদ্দেশ্য বিপদের সময় উদ্ধার পাওয়া। যিনি এক টাকাও সঞ্চয় করেন নি, বছর বাদে তার আন-প্ল্যানড খরচ চলে এলে সেটা সামাল দেয়া কষ্টকর হবে।

ভালো কথা বলেছেন, কোনো এমএলএম পার্টিতে যোগ দেয়া যাবে না। নামকরা ব্যাংক, সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, ইত্যাদিই হলো সর্বোত্তম, যেখানে টাকা হারানোর সম্ভাবনা নাই। আর আছে সঞ্চয়পত্র।

আমরা প্রতিমাসে কিছু অহেতুক খরচ করে থাকি। ঐ খরচটা না করে ওটা সঞ্চয় করলে একটা শক্তি থাকে।

সঞ্চয় হলো একটা শক্তি।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, কথা গুলো আরো সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার জন্য। হ্যাঁ, সঞ্চয়ে লোভ দেখানো যাবে না, যাই কম বেশী হউক, সেটা সরকারী স্থানেই করা উচিত। করোনার আগে আমি দেখেছি, মাসে দুই একবার রেষ্টুরেন্টে খেতাম, প্রতি মাসে এভাবে অন্তত হাজার ৬য়েক টাকা তো যেতই। এখন ভাবি এই টাকা গুলো রাখলে আমি আরো বছরের পর বছর বেকার বসে খেতে পারতাম। যাই হোক, সঞ্চয় করতেই হবে, এতে কারো কাছে হাত পাত্ততে হবে না!

১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৮

পারভীন শীলা বলেছেন: প্রতিটা মানুষের সঞ্চয়ী মনোভাব থাকা উচিত তা আপনার লেখায় স্পষ্ট।সঞ্চয় কি জিনিস তা করোনাকালীন সময় আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আরো টের পাব বৃদ্ধ কালীন সময়।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সঞ্চয়ে নারীরা এগিয়ে থাকে। তারা স্বভাবগত ভাবে সঞ্চয়ী, সঞ্চয়ী স্ত্রী পাশে থাকলে স্বামীকে অভাব কখনো ছুঁয়ে দেখে না! প্রিয়তমা স্ত্রী যদি চান স্বামীকে যে কোন পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে পারেন। ছোট ছোট লোভ গুলো সঞ্চয়ে পরিনত করা কঠিন কিছু না! বিশেষ করে নামী দামী রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, দামী কাপড় চোপড় কেনা থেকে বিরত রাখলেই বিরাট সঞ্চয় গড়ে তোলা যায়, অন্যায় না করেও!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.