নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনলাইনের কিছু বাজে অভিজ্ঞতা, একা বসে কান্না ছাড়া আর উপায় দেখি না!

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

আমাদের দেশের প্রায় সব বয়সি নারীরা এমন একটা অভিযোগ করেন যে, তিনি অনলাইনে নানাভাবে উত্যাক্ত হয়ে থাকেন। বলা নাই কয়া নাই হঠাত করে তিনি একম কিছু মেসেজ বা কল পান যে, তাতে তিনি মানসিক কষ্টে পড়ে যান। তার এই কষ্ট দেখার কেহ থাকে না। আসলেই এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশের মত নয়। আমি আমার অভিজ্ঞতার একটা কথা বলি, সেই ২০১০ সালের বা আরো কয়েক বছর আছের হতে পারে, তখন এক উদিয়মান লেখিকা বা ব্লগার অনেক ব্লগে চমৎকার লিখতেন এবং বাজারে তার একটা কবিতার বই ছিলো। নাম বললে আমার সমবয়সি অনেক তাকে চিনে থাকবেন এবং যারা আমরা সেই সময় থেকে ব্লগিং এ আছি তাদের কাছে তিনি যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন। আমি উনাকে একটা ব্লগিং সাইটের এক অনুষ্ঠানে দেখেছি এবং কথাও হয়েছিল। যতদুর জানতে পারছিলাম তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে একটা এনজিও তে কাজ করছিলেন।

আমার রাত জাগা অভ্যাস পুরানো, আমি রাত ৩টা পর্যন্ত সেই ২০০০ সাল থেকেই জেগে থাকি, এটা নানান কারনে অভ্যাস হয়েছে। অফিসের নাইট ডিউটি সহ প্রবাসে থাকার কারনে আমার এই অভ্যাস, পাশাপাশি আমি রাতেই মুলত ব্লগে লিখে থাকি বা পড়ি। একদিন রাতে এমনই সেই ব্লগে পড়ছিলাম। উনার লেখায় কমেন্ট সেকশনে দেখি কে যেন খুব বাজে বাজে অশ্লীলছবি দিয়ে আজে বাজে কমেন্ট করছে এবং এই ছবি গুলো দেখা ও কমেন্ট পড়া এতই নিন্মমানের যে, আমি নিজেও অস্থির হয়ে পড়ছিলাম। নানাভাবে সেই সময়েই সেই ব্লগের মডারেটর (তখন মডারেটর চেনা যেত না বা ব্লগের মালিক/প্রকাশক চেনা যেত না, অনুমান করলেও কেহ এই দায়িত্ব নিতো না) বা ইনফোতে যোগাযোগ করছিলাম, কিন্তু রাত থাকার কাউকেই পাই নাই বা উত্তর পাই নাই! সেই রাত আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারি নাই, এবং এই কমেন্ট গুলো পরের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত ছিলো, ব্লগের পরিচালকেরা টের না পাওয়া পর্যন্ত।

আপনারা বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, সেই দিন থেকে আমি সেই নারী ব্লগারকে খেয়াল রাখছিলাম, তিনি সেই যে পালিয়েছেন, তার কখনোই তাকে অনলাইনে দেখি নাই (আজও)। মানে তিনি অনলাইনের সব কিছু ছেড়ে বা মুছে দিয়েছিলেন হয়ত সেই দুঃখেই। তিনি হয়ত এখন অনলাইনে আর নেই বা থাকলেও সেই নামে আর হয়ত নেই! ব্যাপারটা ভেবে দেখুন, একজন মানুষ অন্য মানুষের আচরণে কত কষ্ট পেতে পারেন। যাই হোক, এর পর একদিন উনার সাথে বাস্তবে আমার বেইলী রোডের এক মার্কেটে হঠাত দেখা হয়ে গিয়েছিল, সালাম বিনিময়ের পর তিনি আর তেমন কথা বাড়ান নাই এবং আমিও এই বিষয়ে বা তিনি এখন কেন লিখছেন না তাও জিজ্ঞেস করার সুযোগ দেন নাই। আজ এত বছর পরেও এই ঘটনা যদি আমি নিজে না ভুলতে পারি তবে তিনি ই করে ভুলবেন!

যাই হোক, এবার নিজের কিছু দিন আগের ঘটনা বলি। ফেইসবুকে এমনিতে এই সব বাজে অভিজ্ঞতার কারনে খুব একটা যেখানে সেখানে যাকে তাকে কমেন্ট করি না, আগে এই সবনিজে অনেকের সাথে অনেক প্রকারের ঝগরা ঝাটি করেছি, এখন আর এই সব ভাল লাগে না বলে উত্তর বা সত্যের বিপরীতে লেখা দেখলেও কিছু না বলে পার হয়ে চলে আসি, তবে নিজের স্ট্যাটাস বা নিজের লেখায় কেহ এমন বিরূপ মন্তব্য করলে বিতর্ক কিছু হলেও করতে হয়। তবে যেহেতু সারা দিন অনলাইনে থাকি, ফলে অনেক কিছু চোখে পড়ে। কয়েকমাস আগে এমনই চট্রগ্রামের এক বন্ধুর স্ট্যাটাস দেখে আমি তাতে 'লাইক' দেই। গল্পের মত কিছু ছিলো, তবে বিরূপ গল্প, আমি লাইক দিয়ে মুলত লেখার সাথে থাকতে চাইছিলাম। ওমা সেকি, রাতে আমি আমার মেসেঞ্জারে দেই সেই ছেলের কি সব অদ্ভুত গালি এবং তুই তুই করে। লাইক দেয়া কি অপরাধ? আমি কিছু বুঝতে পারছিলাম না, ফলে খুব ভদ্রভাষায় উত্তর দেই, ভাই আপনার সমস্যা কি? ওরে, এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পারলে আমাকে অনলাইনেই মেরে ফেলে, মা বাবা তুলে গালিও দিয়েছিল! যাই হোক, পরে এই ছেলের পরিচয় বের করে ছিলাম, আমাদের আরেক পরিচিত বন্ধুর শালা, তিনি জানালেন সে ইয়াবা এডিক্ট, ইয়াবা টেনে স্ট্যাটাস দিয়েছিল এবং যারাই তার পোষ্ট লাইক কমেন্ট করেছে তাদের সে ধুয়ে দিয়েছে! এমন আরো কয়েকজনকে পেয়েছিলাম। আফসোস ছেলেটার বয়স ছিল মাত্র ২০/২১ বছর! এই ঘটনায় আমি প্রায় ১০/১২ জন ফেবু বন্ধু হারিয়েছিলাম এবং এখনো চট্রগ্রাম থেকে কেহ ফেন্ড রিকো দিলে আমি ভয় পাই যে, এই লোক কি সেই ছেলের বন্ধু কি না!

এরপরে আরো কিছু দিন পরে, আমার স্ট্যাটাস এ ইতালী থেকে একজন এমন কমেন্ট করলো যে, আমি সামান্য উত্তর দিয়ে পার পেতে চাইলেও সে তার চোদ্দ গুষ্টী নিয়ে এসে আমার সাথে ঝগড়া করলো, ফলাফল তাকে সহ প্রায় ৭/৮ জনকে আমি বাধ্য হয়েই ব্লক দিলাম। অথচ এটা পুরাই একটা আজাইর‍্যা প্যাচাল!

এবার গত কয়েকদিন আগের ঘটনা বলি, আমি ফেবুতে হিরো আলমের চুল নিয়ে মজা করে ছবি নিয়ে একটা স্ট্যাটাস দেই যে, হিরো আলমের কোন কিছু ভাল না লাগলেও চুল নিয়ে হিংসা হয়! এটা স্রেফ ফান করা ছিলো এবং তার ছবি মুক্তি উপলক্ষে একটু বন্ধুদের সাথে মজা করা। ওরে আমার বিধাতা, সেখানে এক ফেবু বন্ধু (পরে দেখি সে এই সামু ব্লগের ব্লগার) আমাকে লিখলো, আমি আমার স্ট্যাটাস না মুছলে তিনি আমাকে আনফেন্ড করবেন? দেখন অবস্থা, অনলাইনে আমি কি লিখবো না লিখবো, এই ছেলের কাছ থেকে আমাকে শিখে নিতে হবে বা আমি তার যেন বাবার কেনা গোলাম যে, তার মতামতের মত লিখতে হবে! যাই হোক সামান্য যুদ্ধের পর সেই আমাকে মা তুলে একটা গালও দিয়ে দেয়! আরো বলে আমি নাকি তাকে ব্লগে ফলো করি, সে কাউকে ফলো করে না (এটা কোন কথা হল!) এবং সেই আমাকে ব্লক করে দেয় আমিও বিষয়টা ভুলে যেতে চেষ্টা করি! ওমা, সামু ব্লগে এসে দেখি, সে আমার পোষ্ট পুরাই একটা বাজে মন্তব্য করে বসে আছে এবং আমাকে ব্লক করেছে! কারবার দেখেন, ফেইসবুকের সাধারণ একটা বিষয় সে ব্লগেও নিয়ে এলো। যাই হোক, পরে সামু মডারেটর প্যানেলের বিচারে তাকে জেনালের করা হয়, এখন দেখি সে নানান ব্লগে হায় হায় করে কমেন্ট করে! আমি তার নাম উল্লেখ করছি না, তবে আমার কাছে তার সব কাজের স্ক্রীন সর্ট আছে, চাইলে দেখাতে পারবো। (নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকলাম কারন এই বিষয়ে আর কথা বাড়াতে চাই না)

সত্যই আমাদের ভয়াবহ অবস্থা এই সামান্য অনলাইনেই! এখন বেশ কিছু ব্যাপার যেন আর মাথায় ধরে না, কে কোথায় ওত পেতে আছে কে জানে। একজন ব্লগার হিসাবে অনেক সময় অনেক মতামত লেখি যা কখনো কখনো মানুষ বা সরকারের বিরুদ্ধে যায় কিন্তু এই গুলো খুব সামান্য ব্যাপার বটেই কারন বিবেকবোধ বা পরিবার নিয়ে সবার আগে চিন্তা হয় ফলে অনেক সময়েই নিজকে সংযত রাখি, অন্যায় দেখলেও অনেক কিছু না দেখার ভান করে যাই। তবে অভিজ্ঞতায় এখন যে কয়েকটা ব্যাপার মনে হয়-

* অপরিচিত কাউকে এড করাই যেন বোকামি, অথচ অনলাইনের এটাই একটা আলাদা আনন্দ ছিলো
* এমনকি ব্লগে বা সোস্যাল মিডিয়াতে কাউকে ফলো করাও যেন অপরাধ
* কারো সাথেই চ্যাটিং করা উচিত না, বিপদ হাতে ধরে নিয়ে আসা
* অন্যের ব্লগে পোষ্টে মন্তব্য, লাইক বা কোন রিয়েক্ট দেখানোই যাচ্ছে না
* সহমদ ভাই হয়ে থাকা উত্তম যেন

যাই হোক, শেষ কথা বলি। নিজকে অনলাইনে অসভ্য খুনী ধর্ষকের মত (এদেরো যুক্তি আছে বটে) বা হিসাবে প্রমান করিয়েন না, এটা সাধারণ একটা জায়গা, সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে, ক্ষণস্থায়ী! মানুষ অনলাইনে থাকে সাধারণ আনন্দ ও সময় পার করার জন্য, পাশাপাশি হয়ত কিছু মতামত জানিয়ে দেয়। আপনি ব্লগে ও ফেইসবুকে আমার সাথে আছেন সেই কারনেই! যদি সব কিছু বিচার করে আপনাকে বন্ধু বানাতে হত তবে আপনি আমার বন্ধুও হতেন না, কারন আমার বয়স, অভিজ্ঞতা সব মিলিয়ে! অন্যদিকের বিবেচনায় আপনিও হয়ত আমাকে বন্ধু বানাতেন না! অনলাইনে এই সব বিবেচ্য নয় বলেই আমি আপনি বন্ধু, এঁকে অপরের স্ট্যাটাস/ব্লগে কমেন্ট করেছি বা বন্ধু বানিয়েছি, এত হিসাব নিকাশ করে কি মানুষ অনলাইনে চলে? না! ফলে বন্ধুত্ব নির্ভর করে আপনার আমার আচরণের উপর।

হেপি অনলাইন ফেন্ডস!

বি দ্রঃ অনলাইনের নানান শ্রেণীর লোকের মধ্যে ব্লগারদের সব চেয়ে বেশি ভাল (বিবেক, বুদ্ধি, প্রকাশ, বিচারে) মনে হয় অথচ ধারনা পাল্টে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমাদের সহনশীলতা দিনদিন কমে যাচ্ছে। উগ্রতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে।মতের অমিল হলেই গালাগালি অথবা ব্যক্তি আক্রমণ দেখা যায় বেশি।সময়টাই অস্থির।কোনোকিছুই ঠিক নেই।আপনার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে,সেগুলো আমারও হয়েছে।তাই কোথাও কমেন্ট করতে গেলে অনেক কিছু ভাবনা-চিন্তা করতে হয়।অস্বস্তিকর অবস্থা ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনি যদি ব্যক্তিকে বাস্তবে না চিনেন তবে যেন কমেন্ট করাই চলে না, কিন্তু এটা কেন? অনলাইন্তো একটা মুক্ত জায়গা। আপনি আমি পোষ্ট দেই সবাইকে দেখানোর জন্যই। সুন্দর বিতর্ক তো চলতেই পারে, সব জায়গাতেই।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন দাদা এখন এরকমী আছে--------------

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সমস্ত অমানুষ গুলো অনলাইনে গিজ গিজ করছে। এদের টার্গেট নারী। অনলাইন কেন্দ্রিক বহু কুৎসিত ঘটনা দেখেছি। জেনেছি।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পুরুষদেরকেই বাদ দিচ্ছে না, যেমন ইচ্ছা কমেন্ট করে ফেলছে, আর নারীদের তো অবস্থা কল্পনাই করা যায়।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ আধুনিক হতে পারেনি।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সবাই স্বশিক্ষিত বলেই হয়ত! আমাদের সাধারন জ্ঞান বা বিচারের কথা প্রশাসনের উপর থেকে কখনোই শেখানো হয় না।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: উদরাজি ভাই অনেক অনেক বছর আগে আমি আপনাকে একবার কটু কথা বলেছিলাম, সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় নি। আজ এ সুযোগে করে নিলাম। ভাই, আমি এই জ্বালায় ফেসবুক অফ রেখেছি ফেব্রুয়ারী থেকেই। মাঝে মাঝে কিছু একাডেমিক গ্রুপে ঢুকতে লগ ইন করে এক্টিভেট করি আবার ডি এক্টিভেট করে দেই। যোগাযোগের জন্য মেসেঞ্জারটা আছে এটাই। আমরা সো সো ফেসবুক বেজড জাজমেন্টাল হয়ে গেছি। ফেসবুকের এই ব্যবহার আমাদের দেশেই না সব খানেই। এটা মানুষকে অসহনশীল বানাচ্ছে। এই লাইক ডিসলাইক আপলোড আর জাজমেন্টের খেলা মানসিক অস্বস্তির একটা কারন। একটা হরমোনাল ব্যাপার জড়িত।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আমার মনে রাখার শক্তি কম ফলে আমি অনেক কিছু ভুলে যাই, সামান্য কিছু ঘটনা মনে রাখতে পারি। যাই হোক, আপনার কথা আমার মনে নাই, ব্যাপার না। বিতর্ক আর কটু কথা বলার মধ্য কিছু ফরাক আছে। আমি নিজেও অনেক সহনশীল, ঝামেলাতে জড়াতে চাই না। আর এই সব করেও মুলত কোন লাভ নেই বলে মনে করি, উপরন্তু মনো কষ্ট বাড়ে। আমি কাউকেই ব্লক করতে চাই না, তবুও আর না করে পারা যায় না।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া বুঝা যাচ্ছে তুমি কষ্ট পেয়েছো অনলাইনে এমন সব আচরণে। কিন্তু কি জানো অনলাইনে না এলে আমি মনে হয় জনমেও জানতাম না মানুষ এত এত গালাগালি শিখে বা দিয়ে হিরো মনে করে বা একে অন্যের পিছে লেগে থাকে বা গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লগিরি করে।


প্রথমে আমিও একটু টাসকি খেয়েছিলাম পরে বুঝলাম এই সব ছাগল পাগল গাধা গরু বা সর্বোপরি সাইকো মানুষদের কথা শুনে মন খারাপের তো দরকারই নেই বরং ইটের বদলে পাটকেলটা সেটা গালি বদলে গালি না কিছুতেই বরং না পাত্তা ও নিজের মনে যা চায় তাই লেখা যদি না তা অন্যের ক্ষতির কারণ হয়।

কারণ ভালো বা গুনগত কাজগুলিই টিকে থাকে। আগাছা হয় নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে মরে নয় কেউ না কেউ উপড়েই ফেলে।

আমার গবেষনালদ্ধ ফলাফলে এটাই বুঝেছি হতাশাগ্রস্থ এবং হিংসুটে মানুষেরাই গালাগালি বা লাগালাগি করে।

কাজেই তাদের প্রতি সহ মর্মিতা। তাড়াতাড়ি মানসিক রোগ থেকে বের হোক।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন,
আমি সারা দিনই বলা চলে অনলাইনে থাকি, শত শত কমেন্ট করি। গল্প ও রান্নার একটা সাইট চালাই। ফলে আমার ধৈর্য অনেক বলেই মনে করি। অনেক অনেক কটু কথা শোনা বা অহেতুক কাউকে উড়ে এসে কিছু বলে ফেলা আমিও দেখি প্রতিদিন। তবে এই ঘটনা আমার বলার ইচ্ছা হল এই জন্য যে, সে এই ঘটনা ব্লগে নিয়ে এসেছে এবং ব্লগে কুৎসিত মনতব্য করেছে। ফেইসবুকে এমন একটা গাল দিয়েছে যে, শুনলেই ওর গলা চিপে মারতে ইচ্ছা হয়েছিল। যাই হোক, তবুও আমি পাশ কেটে যাচ্ছিলাম। আমি আপনাকে এটা বলতে পারি যে, এই বিষয়ে এই বিষয়ে লিখুন, না লিখলে আপনাকে আনফেন্ড করবো। অনলাইনে কেহ কি কারো গোলামী করে নাকি! যাই হোক, এর পরেও চুপ ছিলাম। গালি দেয়াতেই মন খারাপ হয়েছে। যাই হোক, ব্যাপাআর না। এই রকম বহু দেখেছি।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: সবার জন্য প্রজুক্তি না !!!!
কুকুরের পেটে ঘি একদমই সহ্য হয় না !!!!

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, না বিতর্ক হতেই পারে। আমি নিজেও অনেক কমেন্ট করি সারাদিনে। বিতর্কেও যযাই, কিন্তু অযাচিতভাবে কাউকে গালি দেই না। সহ্যসীমা পার না হওয়া পর্যন্ত।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি দীর্ঘ সময় ব্লগে আছেন, সামান্য বাতাসে কাঁপছেন কেন? ব্লগে এসে, অনেক বাংগালী ফেরেশতায় পরিণত হয়েছেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: তা ঠিক না, আমার সহ্য শক্তি অনেক। অনলাইনে যে সময়ে মানুষ বাসার খাবারের ছবি দিতে লজ্জা পেত বা কেহ দিলে তার বারটা বাজাত সেই তখন থেকে এই সব দেখে আসছি। বিতর্ক আর গালি এক জিনিষ হল না। আমার স্ট্যাটাস পছন্দ না হলে বা ভাল না লাগলে এড়িয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু এই সামান্য ব্যাপারে এত নোঙ্গরা চিন্তার দরকার নেই। ফেরেস্তা নয়, সামান্য মানুষ হবার চিন্তা তো থাকতে হবে। না, আমি কখনো এমন করি নাই বা আগ বাড়িয়ে কাউকে গাল দেই নাই। মতবিরোধ হলেও চুপ থেকেছি। এই ঘটনা বলার কারন এই মানসিকতার ব্লগার কাউকে দেখি নাই, এটা প্রথম। ব্লগে তাকে ফলো করাও কি অপরাধ, এই কি অহংকার!

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভবিষ্যতে যদি নতুন নবী আসেন, সেটা সামু থেকেই আসবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই বিষয়ে আমার কোন বার্তা নেই!

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

জনৈক অপদার্থ বলেছেন: বাংলাদেশীদের বেশীরভাগ অথর্ব, পার্ভাট, ভেজা বেড়াল ও লোভী। রক্তের দোষ মোছা সহজ নয়

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সময় লাগবে, তবে এই সব এখন কিছুটা কমেছে বলে মনে হয়, তবে মাঝে মাঝে কিছু দেখা যায়।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: নেশাখোর বখাটে বেকারদের খিস্তি করার জায়গা এখন হয়ে দাড়িয়েছে অনলাইন । তবে আপনাকে বিনে পয়সায় একটা উপদেশ দিতে চাই যদি কিছু মনে না করেন। আপনি দেশে থাকেন। বিচারহীনতার এই দেশে কারো সাথে ঝগড়াঝাটিতে না জড়ানোই ভাল। কে কখন একটা ক্ষতি করে বসবে কিছুই বলা যায় না। আর ফেসবুকে অরিচিতদের বন্ধু বানানোটা নিতান্তই বোকামি। যাদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, শুধু তাদের মাঝেই ফেসবুক ফ্রেন্ড সীমাবদ্ধ রাখা সেইফ।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, হ্যাঁ, দেশে থাকি বলে এই ভয় আমাদের বেশি, সামান্য কারনে এই শ্রেণী বা সরকারের রোষানলে পড়ে জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমি সতর্ক থাকি, তবুও এমন কিছু এসে জুটে যায়, আপনি কল্পনা করে দেখুন, ব্লগে আমি তাকে ফলো করি বলে সে আমাকে তুচ্ছ মনে করছে, কেমন চিন্তার ব্লগার। কেহ কাউকে ফলো করা কি অপরাধ। এটা এই ছেলেকে না দেখলে জানতে পারতাম না! ধন্যবাদ আপনাকে সত্য বলার জন্য। হ্যাঁ, এই সব অহেতুক বিতর্কে না যাওয়াই ভাল। অহেতুক জীবন ক্ষতি হতে পারে। এবং এই সমস্ত হায়না আমাদের সমাজে কম না।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সমালোচনাকারী পরোক্ষভাবে আমাদের উপকারই করে আমাদের দোষ-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে। তাকে আমাদের বিনে পয়সার উপকারী
বন্ধু হিসাবেই সকলের দেখা উচিত ।কারন সে কোন কিছুর বিনিময় আশা না করেই আমাদের ফুটো খুঁজে ফেরে যার ফলে আমরা আমাদের ফুটো তথা দোষগুলি সংশোধনের সুযোগ পাই।

অবশ্য আমরা কেউই সমালোচনাকে পজিটিভলি নিতে পারিনা আর অসুস্থ মানসিকতার মানুষ সমাজের সকল স্থানেই বিদ্যমান।
আর একেবারে অপরিচিত কেউ, তা সে অন লাইন / অফ লাইন যাই হোকনা কেন তার বা তাদের সাথে লুতুপুতু সম্পর্কে জড়ানোর চেয়ে হাই-হ্যালো বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাই উত্তম।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সমালোচনা আলোচনা চলতেই পারে, এটা ব্যাপার না। কিন্তু অহেতুক জ্বালা ধরা মন্তব্য বা গালি মেনে নেয়া যায় না। আমি কি লিখবো না লিখবো সে কি নির্ধারন করে দিবে? যার যা খুশি লিখতেই পারে, এটাতে ভাল না লাগলে নিজ থেকেই সরে যেতে পারে, কিন্তু দেখুন এসে একটা মা তুলে একটা গাল দিয়ে দিয়েছে।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০০

মা.হাসান বলেছেন: বি দ্রঃ অনলাইনের নানান শ্রেণীর লোকের মধ্যে ব্লগারদের সব চেয়ে বেশি ভাল (বিবেক, বুদ্ধি, প্রকাশ, বিচারে) মনে হয় অথচ ধারনা পাল্টে যাচ্ছে।

আপনার আগের ধারনা ঠিক ছিলো না, পাল্টানো ধারনাই ঠিক। মসজিদে জুতা চোরও আসে।
ব্লগে মূলত দু ধরনের লোক পাবেন- একদল প্রানের ক্ষুধা মেটাতে আসেন, আরেক দল কোনো কাজ কাম নেই গুলতানি মারতে আসেন। করোনাকালে ২য় গ্রুপের সংখ্যা আরো বেড়েছে। করোনা চলে গেলে এরকম বেশ কিছু মুখকে ব্লগে দেখা যাবে না।

আমি অনুমান করছি আপনি কার কথা বলতে চাইছেন। কিছুদিন আগে ওনার এক পোস্টে এক কমেন্ট পছন্দ না হওয়ায় উনি কমেন্টকারিকে তুই তোকারি করা শুরু করে দেন। যদিও কম বয়সিরাই এই কাজ বেশি করে, বয়স্কদের কেউ কেউ ও কম যান না। সামুর লোক বল কম। মডারেটরদের পক্ষে ২৪ ঘন্টা মনিটর করা সম্ভব হয় না। এমনকি মডারেটরকেও কুৎসিৎ ফ্লাডিঙের শিকার হতে দেখেছি।

কেহ গালি গালাজ করতে আসলে পাল্টা গালি দিতে পারেন। তবে যেহেতু আপনি নিজ নামে এবং চেহারায় ব্লগিং করেন এবং ব্লগের বাইরেও আপনাকে অনেকেই চেনেন, ঢাবিয়ানের পরামর্শ ভালো। নিরাপত্তার জন্য ব্লগে এরকম লোককে ব্লক করা ই বুদ্ধিমানের কাজ। ফেসবুকের বিষয়ে ধারনা নাই, মন্তব্য করতে পারছি না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যাঁ, আমাকে অনেকে চিনে ফলে সতর্ক হয়ে থাকতে হয়, তবুও এরা কোথা থেকে উড়ে এসে জূটে যায়। তবে আমি সব সময়েই ভাবি ব্লগারেরা বুদ্ধি বিচারে উন্নত। যারা সাধারণত মোবাইল থেকে অনলাইনে থাকে বা বয়স কম তাদের থেকে এমনিতেই দূরে থাকি। ব্লগারেরা অধিক ব্যপ্তি নিয়ে চিন্তা বা কাজ করে ফলে এদের এমন বির্বোধ ভাবা যায় না।

শুভেচ্ছা নিন।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৭

শায়মা বলেছেন: কে সেই লোক জানিনা আমি। তবে জানতে ইচ্ছা করে । নিশ্চয় কোনো চুনোপুটি হবে যাকে চেনেই না কেউ।

চেনা জানা কারো মধ্যে তো এমন স্বভাব দেখিনা আজকাল।

ব্লগের পরিবেশ অনেক ভালো আছে এখন।

দু একটা আসে। লাফালাফি করে । মজা দেখি। মজা করিই আবার দরকার হলেই উড়েও যায়। মানে উড়িয়ে দেওয়া যায়/হয় আর কি।

পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে আর হতাশাগ্রস্থ্য পাগলরা এমন করে ফেলে নিজেই তা জানে না।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হা হা হা, আমিও এমন করি বা অভিজ্ঞতায় এমন হয়েছি। এমন অনেক পাই, যারা যা কিছু লিখবেন, যা কিছু আপলোড করবেন তাতেই তাদের সমস্যা এবং নেগেটিভ মনতব্য। রান্না ও রেসিপি নিয়ে মানুষের কম কথা শুনি নাই। টেবিলের খাবারের ছবি দেই বলে কত কথা শুনেছি, এখন অবশ্য কমেছে। এখন তাদের অনেকেই এমন ছবি আপলোড দেয়। হোটেলের খাবারের ছবি দিলেও এদের সহ্য হয় না, কত কথা, এখন দেখি এরাই সেই সব ছবি আপলোড দেয়। মানে যা করবেন তাতেই এদের মন্তব্য নেগেটিভ। অন্তত চুপ তো থাকা যায়, আমরা অনেক কিছুতেই তো কথা বলি না, বার দেখি নাই যে তাও নয়।

আপনি ঠিক বলেছেন, ব্লগের সি সব দিনের কথা এখনো মনে পড়ে। সেই ক্যাচাল করা এরা কে কোথায় গিয়েছে এখন আর এদের নাম দেখি না। অথচ আমরা অনেকে টিকে আছি।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:







আপনার ধৈর্য্য চমৎকার বলা চলে।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় ধন্যবাদ। আসলে অনলাইন বা অফলাইন যেটাই বলেন, সাধারণ সৌজন্যবোধ, নূন্যতম ভদ্রতা, শালীনতা, শিষ্টাচার, আদব কায়দা যাদের থাকে না তাদের দ্বারাই এসব কাজ হয়ে থাকে। এদেরকে সত্যিকারার্থে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র সবারই ভূমিকা থাকা উচিত।

উগ্র মনোভাব, আত্ম অহমিকা এবং অতিমাত্রায় নিজেকে জাহির করার প্রবনতা পরিহার করতে পারলে ব্লগ এবং অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। এজন্য সহনশীলতা এবং পরমতসহিষ্ণুতা সর্বাবস্থায় কাম্য।

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধনবাদ।
অভিজ্ঞতার কারনে আমি অনেক ধৈর্য্যশীল। আর এই সব দেখে দেখে তো শিখেছি।
তবে এখনো গালি সহ্য করা কঠিন। আমি নিজেও বিতর্ক করি, কিন্তু আগ বাড়িয়ে কাউকে গালি দিয়েছি তা নয়।

আমরা যারা অনলাইনে একটু বাড়িয়ে কাজ করি এবং আমাদের অনেকের সাথে ইন্টার‍্যাকশন আছে আমরা এমনিতেই সতর্ক থাকি যাতে কেহ মনে আহত না হয়!

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৪৩

সোহানী বলেছেন: হাতে অঢেল সময় তাই এসব করে সময় পার করে।

ব্লগে আমার পিছনে এরকম পাগল ছাগল লেগেছিল দিনের পর দিন। বাজে কমেন্ট, নোংরা ছবি ফ্লাডিং......... অনেক কিছুই করার চেস্টা করেছিল। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার লিখা আমি লিখি.... কে কি বললো বা ভাবলো তা নিয়ে পাত্তা দেই না। গঠনমূলক আলোচনা হলে আছি নাইলে বাদ। ছাগলদের সাথে ম্যাও ম্যাও করার মতো সময় নাই।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই কিছুক্ষন আগে একজন মেয়ের স্ট্যাটাস দেখলাম, দেখুন তিনি কি লিখেছেন। কত ব্লক করা যায়!

নাহ আমি অনেক ১০০ টা স্টাস্টাস দিনে দেই,নাহ আমি একগাদা ছবি আপ দেই টাইমলাইনে! নাহ আমি সাংঘর্ষিক কথাবার্তা বলে পোস্ট করি! কোন গ্রুপেও আমি একটিভ নাহ! নাহ কারো বফ/জামাই নিয়েও টানাটানি করি! কোনটাতেও আমি নাই।

তাও আপনেরা ফেক আইডি খুলে আমাকে গালির বর্ষন দিয়া মেসেজ দেন।

ক্যান ভাই-আপু,আমি কি আপনাদের চুটকিতে আগুন দিছি? এত ঝালা ক্যান আমাকে নিয়া?

খুব আগ্রহ আমাকে নিয়ে? অনেক ঝাল আমার উপর?
তা নিজের রিয়েল আইডি দিয়া আমাকে গালি দেন,তাও ভাল যে ভাববো আপনের সেই সৎ সাহস আছে।

অযথা আমার পিক নিয়ে ফেক আইডি খুলে প্রবাসী ছেলেদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেওয়া,দুই দিন পর পর কারন ছাড়া আমার আইডিতে রিপোর্ট দেওয়া,ফেক আইডি খুলে আমাকে গালি দেওয়া অফ করেন।

আমি হাসিখুশি টাইপ শান্তিপ্রিয় মেয়ে। অযথা পাত্তা পান নি আমার কাছে,তাই বলে এইগুলা বস্তিবাসী টাইপ কাজ করেন না। বিরক্ত হইতাসী খুব।

ফেক আইডি নিয়া সাইবার ক্রাইমে মামলা করতেও আমার ইচ্ছা হয়না। তাই আল্লাহর ওয়াস্তে এইগুলা বন্ধ করেন। আমার বিয়াহ নিয়াও মেসেজে গুতাগুতি অফ করেন।

একটু শান্তি চাইরে ভাই! তোরা শান্তিতে থাক,আমাকেও থাকতে দে! প্লিজ! #পিস

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: অনলাইনে সবচেয়ে বড় অসুবিধা, যার সামনে দাড়ানোর ক্ষমতা নেই- সে বিরাট এক কথা বলে ফেলে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই।
এটা আমিও চিন্তা করি, এদের অনেকে কি আমার বা আপনার বাস্তবের বন্ধু হতে পারত!
অথচ অনলাইনে দেখেন এরা কত কি বাঘ ভালুক মেরে ফেলছে!
শুভেচ্ছা।

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাস্তবজীবনে আমাদের চারপাশে এ ধরনের মানুষ সবসময় ছিলো, আছে। অনলাইনে/ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে যেহেতু কিছুটা গোপন থাকা সম্ভব, সেহেতু এই জগতে এসে এরাই আরও এক্সপোজড হয়ে পড়ে।

চরিত্রভেদে ভিন্নতা থাকলেও সাধারণভাবে প্রতিকুল পরিস্থিতিতে মানুষের ডিফেন্স মেকানিজম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। আপনি অভিজ্ঞ মানুষ, সাময়িকভাবে বিচলিত হলেও নিশ্চয় এ বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয় যে অপছন্দের বিষয়/ব্যক্তিকে ইগনোর করতে শিখে নিয়েছি। স্রেফ চুপচাপ থাকা। দুনিয়াজোড়া মানুষের চরিত্র শুধরানোর কোনো বটিকা যেহেতু আমার হাতে নেই, এটাই আমার কাছে নিরাপদ।

নকিব ভায়ের মন্তব্য ভালো লেগেছে।

ভালো থাকুন, শুভ ব্লগিং।

২২ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ, এমন তো আসলে প্রায় কিছু না কিছু পাই, মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করি না। তবে কথা বার্তা নেই হুট করে যারা গালি দেয়, তাদের সহ্য করা যায় না!
শুভেচ্ছা নিন।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫০

জাফরুল মবীন বলেছেন: এ ধরনের সাইবার বুলিইং ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।বিটিআরসি ও সরকারের সাইবার ক্রাইম হেল্প লাইন এসব প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছিলো ভূক্তভোগিদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করার জন্য।অবশ্য আমাদেরও ফ্রেন্ডলিস্ট পরিমার্জন করা দরকার।আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনে খারাপ লাগল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিও অনলাইনে দীর্ঘদিন ধরে আছি। আমিও প্রচুর কমেন্ট করি, পড়ি, লাইক দেই। বিতর্কও করি। কিন্তু অহেতুক কাউকে এমন কথা বলা বা গাল দেয়া এটা কেমন হল, এটা কোন সভ্য বা সাধারণ আচরণ হতে পারে না।

ফেন্ডলিষ্ট মুলত কি করে যেন বেড়েই যায়, আর যেহেতু আমি নানান বিষয়ে কাজ করি ফলে আমিও চাই যে, বন্ধু আসুক না, মানুষ জানুক, আর এই কাজ করতে গিয়েই এমন কিছু প্রবেশ করে ফেলেছে। আমার উল্লেখিত ছেলে নিজকে ব্লগার দাবী করছে, অথচ আচরণ দেখুন। এখানেই মুলত আমার আফসোস ছিল। ব্লগারেরা সাধারনত কম্পিউটার ব্যবহার করে বা এদের জগত অনেক বড় ফলে অন্তত তাদের কাছে থেকে এই আচরণ কাম্য হতে পারে না।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.