নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাকস্বাধীনতা (Freedom of speech)

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৩

বাকস্বাধীনতা কি এবং কেন এই বাকস্বাধীনতার দরকার তা নিয়ে কিছু লেখার চিন্তা করছিলাম আজ অনেকদিন, যদিও এই নিয়ে আরো অনেক পড়াশুনার এবং খোঁজ খবরের দরকার আছে আমার। তবে এখন যেহেতু মনে পড়ছে সামান্য কিছু কথা বলে যাই।

উইকিপিডিয়া থেকে তুলে দিচ্ছি, "বাকস্বাধীনতা হচ্ছে স্বতন্ত্র্য ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের; নির্ভয়ে, বিনা প্রহরতায় বা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা, অনুমোদন গ্রহণের বাধ্যতা ব্যতিরেকে নিজেদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার সমর্থিত মুলনীতি। "মত প্রকাশের স্বাধীনতা" (freedom of expression) শব্দপুঞ্জটিকেও কখনও কখনও বাকস্বাধীনতার স্থলে ব্যবহার করা হয়, তবে এক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতার সাথে মাধ্যম নির্বিশেষে তথ্য বা ধারণার অন্বেষণ, গ্রহণ এবং প্রদান সম্পর্কিত যেকোন কার্যের অধিকারকেও বুঝিয়ে থাকে"।

আরো পড়া যেতে পারে, বেসামরিক ও রাজনৈতিক আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিয়ার) মানবাধিকার সনদ এর ১৯ নং অনুচ্ছেদ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী 'অভিব্যক্তির স্বাধীন প্রকাশ'কে শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে "প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজের মতামত এবং অভিব্যক্তি প্রকাশ করার। এই অধিকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে নিজের স্বাধীনচেতায় কোনো বাধা ব্যতীত অটল থাকা; পুরো বিশ্বের যে কোনো মাধ্যম থেকে যে কোনো তথ্য অর্জন করা বা অন্য কোথাও সে তথ্য বা চিন্তা মৌখিক, লিখিত, চিত্রকলা অথবা অন্য কোনো মাধ্যম দ্বারা জ্ঞাপন করার অধিকার"।

উপরের দুটো প্যারা কেতাবি কথা এবং বলা চলে এই দুই প্যারা বিশ্লেষণ করলেই এবং জ্ঞান খাটালেই সব পরিস্কার হয়ে ধরা দেয়। যাই হোক, বাকস্বাধীনতা মানে আবার সব বলে ফেলা না, প্রকাশ করে ফেলাও না, এই বলা ও প্রকাশে একটা লিমিট বা আইনের মারপ্যাঁচ আছে, আছে নিজস্ব একটা সেন্সরশীপ (যা বিবেকের কাজ বটে)! তবে আপনার কাছে যদি তথ্য উত্তাপ থাকে এবং আপনি যদি সেই তথ্য প্রকাশে সাহসী হন তবে তা করতেই পারেন এবং আপনি আপনার সর্বোচ্চ প্রকাশ করতেই পারেন। এখন কথা হচ্ছে আপনার এই প্রকাশে আপনি একটা নুতন শ্রেণী দেখতে পারেন, তারাও আপনার বিরোধীতায় এসে পড়বে এবং তারাও তাদের বাকস্বাধীনতা প্রকাশ করতে চাইবে। ব্যাপার না! কিন্তু এই দলের কাছেও সেটা মোকাবেলার তথ্য ও উত্তাপ থাকতে হবে যা দিয়ে প্রমান করতে হবে যে, আগের বাকস্বাধীনতার কথা গুলো ভুল!

একটু কঠিন কথা হয়ে যায়, হয়ত অনেকের বুঝতে আসুবিধা হচ্ছে, আসুন উদাহরণে হয়ে যাক! এই ধরেন আমি বাকস্বাধীনতার ব্যবহার করে কাউকে বা ক্ষমতাসীনে থাকা কাউকে 'রাজাকার' বললাম, আমার এই রাজাকার বলার হিসাবে আমি ১৯৭১ সালে তার ভূমিকার নানান তথ্য প্রকাশ করলাম এবং সেই তথ্যের রেফারেন্স প্রকাশ করলাম, যা আমি পড়ে বা গবেষনা করেই বের করেছি! এখন এটা পড়ে আপনার শরীরের বাকস্বাধীনতা শুরু হল কিন্তু আপনার এই বাকস্বাধীনতাতে আপনি আমাকে গালাগালি করতে পারেন না বা আমাকে মিথ্য প্রমান করতে পারেন না, আপনার উচিত হচ্ছে সেই রাজাকারকে নিয়ে পড়া শুনা করা এবং আমার তথ্যের বিপরীতে তথ্য হাজির করা যে, ঐ লোকটা রাজাকার নয় বা আমি ভুল তথ্য দিয়েছি!

বাকস্বাধীনতা হচ্ছে মনের স্বাধীনতা, অধিকারের স্বাধীনতা, তবে সাথে তথ্যের সুস্পষ্টতাও জরুরী! বাকস্বাধীনতা মানে যা তা বলে ফেলা নয় বটেই, তথ্যের বিপরীতে তথ্য কিংবা অধিকারের নিশ্চয়তা!

শেষে এসে পড়েছি, বড় লেখা কেহ পড়েন না, জানি! বাকস্বাধীনতা সমাজে দেশে কেন দরকার? অনেক বলা যায় তবে একটাই বলি, কোন কোন মানুষের ভয়াবহ অগ্রযাত্রা রুখতেই বাকস্বাধীনতার খুব দরকার, এই বাকস্বাধীনতা না থাকলে সেই খারাপ লোকটা আপনাকে, আমাকে, পরিবার, সমাজ দেশ ছারখার করে দিতে পারে!

(আরো ব্যাখ্যা নিয়ে লেখাটা হাজির করা যেত, এটা খুব বড় একটা বিষয়, তবে এটাই সারাংশ, নিজের ভিতরের বোধ, ছবি নেট থেকে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী,





স্বাধীনতা নিয়ে আমরা কতো কথাই তো বলি । বলি দেশের স্বাধীনতার কথা , কথা বলার স্বাধীনতার কথা, ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা , অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা ইত্যাদি ইত্যাদি সহ মানুষের সর্বপ্রকার স্বাধীনতার কথা বলি । এইসব সকল ধরনের স্বাধীনতা নিয়েই আজকাল বেশ কথা হচ্ছে। বিশেষ করে বাক স্বাধীনতা নিয়ে, যে কথা আপনি বলেছেন পোস্টে।
আসলে আমি -আপনি বলেই খালাস । কিন্তু স্বাধীনতা বলতে আসলে আমি -আপনি কিছু বুঝি কি ? স্বাধীনতা আসলে কি ?

বলেছেন , নিজের বোধ থেকে এই লেখাটি লিখেছেন এবং আরো ব্যাখ্যা হাজির করা যেত।

নীচের লিংকে আপনার বক্তব্যের সম্পুরক এই লেখাটি দেখে নিতে পারেনস্বাধীনতা মানেই এবসোলিয়্যুট পরাধীনতা । ব্যক্তি ও স্বাধীনতা : একটি সোনার শেকল ...........

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জাতিসংঘের একটা সংঙ্গা আছে,তাছাড়া প্রতিটা দেশের নিজস্ব কিছু বিধি নিষেধ আছে কতটুকু বলা যাবে কতটুকু বলা যাবে না।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি নিজের মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন কখনো?

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগেও বাক স্বাধীনতা নেই।
অনেকদিন ধরে ''জেনারেল'' হয়ে বসে আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.