নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুল ক্ষতি সেই সাধারন জনগণেরই!

২৩ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

খুব সাধারন আলোচনা এটা, একদম ভিতরে প্রবেশের দরকার নেই! আসুন, ভেবে দেখি!

১। একজন সরকারী আমলা কামলা যখন বিপথে কোটি কোটি অর্থ উপার্জন করে গাড়ি বাড়ি ব্যবসা খামার বাড়ি বিদেশে পাচার ইত্যাদি ইত্যাদি করেন তাতে ক্ষতি হয় কার?
- এর উত্তর হচ্ছে মুল ক্ষতি হয় দেশের আপামর সাধারন জনগণের, কারন কোন না কোন ভাবেই এই টাকা সাধারন জনগন থেকেই উনার পকেটে যায়।

২। কিভাবে জনগণের এই টাকা সরকারের আমলা আয় বা নিজের করেন?
- সরকারের চাকুরে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, সেখানেই তিনি নানান মানুষকে ধরেন এবং তার থেকে ঘুষ বা কমিশন নেন (নানান ক্ষেত্র আছে, যাতে বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়)। এখনে সাধারন মানুষ না গেলেও, যে ব্যক্তি বা লোকেদের কাজ থেকে এই টাকা নেন তারা এই টাকা দিয়ে যখন সাধারন মানুষের মধ্যে ফিরে আসেন, তখন তিনি তার প্রোডাক্টের দাম যে কোন ভাবেই বাড়িয়ে দেন, বলা চলে তিনি যে টাকা ঘুষ কমিশন দেন সেটা জনগণ থেকেই তুলে নেন, আপনি আমি চোখে না দেখলেও দিয়েই যাচ্ছি। পরিস্কার উদাহরণে বলা যায়, একটা বড় কোম্পানীর কয়েক কোটি টাকা ঘুষ দিলো, ফলে সেই কোম্পানীর পন্যের দাম বৃদ্ধি পাবেই, সে চুরি করবেই এবং সেই বাড়তি টাকা সাধারন জনগণের ঘাড়েই চাপবে, আমাদের অনেক দ্রব্যের মুল্যবৃদ্ধির নানান কারনের এটাও একটা।

৩। সরকারের এই দূগন্ধযুক্ত আমলারা সরকারের কি ক্ষতি করেন?
- এই ক্ষতি বিরাট এবং এর চাপও এক সময়ে সাধারন মানুষের উপরে এসে পড়ে। উল্লেখ আমলা যাকে বা যে প্রতিষ্টান থেকে ঘুষ কমিশন নেন, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দিতে হয়। ধরেন সরকার যেখানে পেত ১০০ টাকা, আমলা ঘুষ কমিশন খেয়ে তা করে দিল ১০টাকা, সরকারের ক্ষতি ৯০টাকা, এখন সরকার কি করবে? সরকার তার নিদিষ্ট আয় না পেয়ে আবার নুতন নুতন করারোপ করবে, ফলে খুব সাধারন মানুষকে সে টার্গেট করবে। সাধারন মানুষকেই টাকা দিতে হবে নানান ফরমেটে, সিগারেট কিংবা মোবাইল কলে নেটে! প্রতি বছর করারোপ বৃদ্ধির দায় মুলত এই আমলাদেরই, যারা অবাদে হাজার হাজার কোটি টাকা নিজদের পকেটে পুরছে। তারা এই টাকা না নিয়ে স্থির থাকলে সরকারকেও নানান খাত খুঁজতে হত না, সাধারন মানুষের উপর জুলুম করতে হত না।

৪। এই ঘুষ কমিশনের আমলারা কেন এত শক্তিশালী?
- এদের মুলদ জোট বেশ শক্তিশালী, ওস্তাদ থেকে নেয়া শিক্ষা এদের, সরকারের প্রতিটা বিভাগেই এদের বন্ধু পরিচিত থাকে, এদের টাকা নেয়ার সিস্টেমও বেশ গুছানো, অফিসের কেরানী পিয়ন ড্রাইভার এদের হয়ে কাজ করে, তারা নিয়ে তাকে দেয়, মাঝে এরাও ভাগ পায়, ফলে সবাই জড়িত হয়ে পড়ে, আর মুখ বন্ধ থাকে সকলের। এরা আবার নিজেরা যে খায় তা অন্যকেও দেয়, তার উপরের ওস্তাদেরও দেয়। মুখ খুললেই নিজেও ধরা, ফলে ভয়ে সবাই চুপ এবং নিজেরা শক্ত হয়।

৫। এদের থেকে কি সাধারন মানুষের মুক্তি নেই?
- খুব কঠিন প্রশ্ন, তবে উপায় একটাই সাধারন মানুষের সুষ্টু ভোটাধিকার, সাধারন মানুষ ভোট দিয়ে সুশাসক নির্বাচিত করতে পারলেই, এরা বিচারের মুখে পড়ত, এক একজনের বিচার হয়ে কঠোর শাস্তি হলে বাকীরা এই লোভ সামলাতে পারত, অন্তত চেষ্টা বা ভয় পেত, যা এখন একদম নেই।

(ক্রমশ, ব্লগে প্রকাশিত, মনে নুতন প্রশ্ন এলে করতে পারেন, আলোচনা চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

আমি সহজ কথায় বুঝি- শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার খায়েশ ধরে রাখতে একটি শক্তিশালী বাহিনী দরকার ছিল প্রশাসন ও বাহিরে। তিনি চমৎকারভাবে লীগ থেকে হাঁতুড়ি লীগ ও প্রশাসন থেকে বেনজীর গ্রুপ তৈরি করেছে, যেহতেু স্বার্থ ছাড়া কেউ কথা বলেবে না তাই তিনি তাদেরকে অবাধে দূর্ণীতি করার সুযোগ দিয়েছেন।

২| ২৩ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই দূর্ণীতি কবে শেষ হবে সেটাই ভাবি।

৩| ২৩ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩২

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


এইবার গ্রামে গিয়ে একটা বিষয় খুব স্পষ্ট হলাম- গ্রামেও সচ্ছল ও অসচ্ছল পরিবারের আর্থিক সামর্থের ব্যবধান বাড়ছে। দরিদ্র খুব অসহায় পর্যায় চলে যাচ্ছে কারণ তার আয়ের প্রায় সবটুকু দিয়ে তাকে পরিবারের জন্য খাবার কিনতে হচ্ছে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:০০

নাহল তরকারি বলেছেন: সব সরকারের আমলেই ঘুস খাওয়া বন্ধ হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.