নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহাদাত উদরাজী\'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - \'গল্প ও রান্না\' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

সাহাদাত উদরাজী

[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।

সাহাদাত উদরাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনার শেষের ঘন্টা ও কিছু কথা!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩২

এই বৃষ্টি ভেজা রাতে আজ অনেক ঘটনাই মনে পড়ছে, কোনটা রেখে কোনটা লিখি তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে! তবে প্রথম যে ঘটনা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তা হচ্ছে শেখ হাসিনার পলায়নের শেষের কয়েক ঘন্টা! তিনি কিভাবে পাশের দেশে নিখুঁতভাবে পালিয়ে গেলেন। এই বিষয়ে এখন পিএইচডি থিসিস লেখা যায় কারন এটা পুরাই রহস্যময়। আমি এই ঘটনার বেশ লেখা ও ভিডিও দেখেছি শুনেছি, সাংবাদিকেরা খুব একটা যে চরম সত্য লিখতে পেরেছেন তা এখনো মনে হয় নাই, রুট সিলেকশন, কোথা থেকে দিল্লির গাজিয়াবাদ গেলেন, ফ্লাইট সহ ডিটেইলস অনেক কিছুতে মিল পাওয়া গেলেও একদম সত্য এখনো আসছে না, কল্পনা অনুমান নিয়েই লেখা, যদিও তার এই সাকসেস পালিয়ে যাওয়া পুরাই আমাদের আর্মিরা করে দিয়েছে, তবে এই আর্মিদের নাম দল হেড সব কিছুই এখনো গোপনে। যাই হোক, এই নিয়ে আমাদের কয়েকটা পত্রিকা লিখেছে গল্পের মত করে, মুল একুরেইট তথ্য নেই।


এই বিষয়ে সর্বশেষ সাংবাদিক গোলাম মুর্তাজা সাহেবের ভিডিওটা পুরা সত্য না বলা গেলেও এই ভিডিও ঘটনার বর্ননা কাছাকাছি বা বলা চলে এভাবেই শেখ হাসিনা পালিয়েছিলেন তা স্পষ্ট। যাই হোক, এই বিষয়ে একদিন স্পষ্ট এই অপারেশনের হেড কোন আর্মি অফিসার আমাদের লিখে বা ভিডিও করে জানাবেন বলে আশা রাখি, আর তখন সেটা ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে। তিনি এই দেশের ছাত্র জনতার ক্ষোভ থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন, এটা দিব্য সত্য কথা, তাকে এই দেশে তখন রক্ষা করার কেহ অবশিষ্ট ছিলো না, পালানোই ছিল একমাত্র পথ। তিনি যদি গণভবনে থেকে যাবার চেষ্টা করতেন তবে আরো হাজারো মানুষ অকাতরে প্রাণ দিতো, তিনি তার হারিয়ে ফেলা প্রধানমন্ত্রীত্ব পেতেন না বা তাকে পেলে জনতা কি করত কে জানে?


সেই দিন গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হয়েছিল, সাদা ভাত, দেশী মুরগী, সবজি সহ আরো অনেক পদের রান্না, যা পরে ভিডিওতে দেখেছি। যারা খেয়েছেন তাদের খাবার কথা ছিলো না, অথচ রিজিক তাদের টেনে নিয়েছে, আর যার জন্য রান্না হয়েছে তিনি সেই দিন দুপুরে কি খেয়েছেন তা এখনো অজানা, তবে পানি ছাড়া হয়ত আর কিছুই সেইদিন দুপুরে জুটে নাই, আর এই অবস্থায় সাধারন মানুষ হলে রুটি কলা বিস্কুট হয়ত ভাগ্যে জুটত!


যাই হোক, শেখ হাসিনার শেষ সময়ের এই ঘটনাকে প্রথম পলায়ন লিখে দৈনিক মানবজমিন, তাদের হেডিং ছিলো, 'দেশ ছেড়ে পালালেন হাসিনা-রেহানা'।

শেষে একটা কথা স্পষ্ট বলে যেতে চাই, শেখ হাসিনার অনেক জ্ঞান ছিলো, তবে সেটা সুপথের জ্ঞান ছিলো না, সব চিন্তা জ্ঞান ছিলো কুপথের, এভাবে এই চিন্তায় তিনি অনেক দিন মাস বছর শত হাজার মায়ের বুক খালি, প্রাণের স্বামী হারানো, ভালবাসার পিতার গুম খুন, সন্তানের জীবন নষ্ট করলেও নিজের পরিনতির সামান্য চিন্তা করতে পারেন নাই। অথচ যে সময় পেয়েছিলেন, তাতে তিনি দেশের সাধারন মানুষের মাথার মনি হয়ে উঠতে পারতেন, শুধু তার চারিপাশের নষ্ট চরিত্রদের শাসনে এনে, গরীব দুখি মানুষের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলেই, তিনি ভেতরে বাইরে কখনো এক ছিলেন না, কাকে ক্ষমা কাকে শাস্তি, তাতেও তার কোন দিশা ছিলো না!

ভালবাসার বাংলাদেশ নুতন করে এগিয়ে যাবে একদিন, যদি এরা না পারে তবে অন্যেরা এসে আবারো হাল ধরবে, আর এই সময়ে শেখ হাসিনার ফেলে যাওয়া দুই প্রধান ব্যক্তি যতদিন থাকবে বা তার সেটাপ অনেক প্রতিষ্ঠান হেড যতদিন থাকবে, ততদিন এখনো এই জাতির দুরাশা থাকবেই, অনেক কাজ এগুবেই না। বিপ্লবের পরে নির্ভীক স্পষ্ট একজন ব্যক্তির দরকার হয়, যে স্পষ্ট পুরানো পাপীদের বিচার ও শাস্তির বিচারে কোন পিছে মুড়েও দেখবে না, পুরানো পাপীদের স্থান হতে পারে জাহান্নামে, যারা পুরা দেশের কোটি কোটি মানুষকে বলা চলে পুরাই জিম্মি করে ফেলেছিল।

মালিবাগ, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং
ভিডিওটা দেখতে পারেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০২

প্রহররাজা বলেছেন: শেখ হাসিনা পালায়নি, নাকি অস্ত্রের মুখে প্লেনে তুলে দেয়া হয়েছে, উনার পদত্যাগের কোন প্রমাণ সেনাবাহিনী বা ইউনুস গ্যাং দেখাতে পারিনি। আর গণভবনে যারা সেদিন ঢুকেছিল এদের চৌদ্দগুষ্টি চোর না হলে এমন ভাবে চুরি করতে পারত না। সুযোগ পেলে এরা আপনার ঘরে ঢুকেও মহিলাদের অন্তর্বাস নিয়ে উল্লাস করবে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: উনার নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি তো উনার পদত্যাগ পত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সাথে উনার নিযুক্ত আর্মি প্রধানও বলেছে তিনি [পদত্যাগ করেছে। এই লিঙ্ক দেখেও আপনি বিশ্বাস করবেন না জানি। রাষ্ট্রপতি ও আর্মি প্রধানের কথা শুনুন।

https://www.youtube.com/watch?v=06N1mi9QEf8

https://www.youtube.com/watch?v=qNKhmFzDMKc

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া ইউটিউবের বর্ণনাটাই সত্যি মনে হয়। আমি শুনেছি যে গণভবনের হেলিপ্যাড শেখ হাসিনা নিজের ইচ্ছেতেই অনেক দিন আগে থেকেই অকেজো করেছিলেন ওনার নিরাপত্তার কারণে। যে কারণে গণভবনে হেলিকপ্টার নামার কোন সুযোগ ছিল না। গণভবনের পিছনের দিকে আরেকটা গেট আছে। যেটার কাছে শেরে বাংলা কৃষি কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেই গেট দিয়ে বের হয়ে কোন একটা জায়গা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সরাসরি কুর্মিটোলা বিমান ঘাটিতে গিয়েছেন (এটা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সাথে লাগানো প্রায়)। বঙ্গভবনে উনি যাননি। এমনও শুনেছি (সত্যি কি না জানি না। তবে যারা বলেছে তারা সম্ভবত কিছু ভিতরের খবর জানতে পেড়েছিলেন) যে হেলিকপ্টারটা নাকি মাটি থেকে কয়েক ইঞ্চি বা ফুট উপরে থাকা অবস্থায় ওনাকে হেলিকপ্টারে উঠানো হয়। সম্ভবত নীচে মাটি নরম থাকার কারণে হেলিকপ্টার মাটি টাচ করেনি। জনগণকে ফাঁকি দেয়ার জন্য একটা গাড়ি গণভবনের গেট দিয়ে বের হয়ে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে সেনানিবাসে প্রবেশ করে। কিছু পাবলিক এই গাড়িটা দেখেছে এবং কটু মন্তব্য করেছে। ওনার বিমান যখন আকাশে তখন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ শ এর অধিক উৎসুক মানুষ অনলাইনে ওনার ফ্লাইটটাকে অনুসরণ করেছে। উনি আগরতলা সম্ভবত যাননি। কারণ ফ্লাইট ওনার প্রস্থানের সময়, ফ্লাইট টাইম এবং ভারতে ওনার অবতরণের সময় হিসাব করলে মনে হচ্ছে যে উনি সরাসরি দিল্লি গিয়েছেন। আগরতলা হয়ে গেলে বিকাল সাড়ে ৫ টা বা ৬ টায় দিল্লী পৌছাতে পারতেন না। ভারতীয়ও সূত্রগুলির তথ্য অনুযায়ী উনি ৫ তারিখ ৫ টা থেকে ৬ টার মধ্যে দিল্লীতে পৌঁছান।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার সাথে একমত। তবে যারা অপারেশন পরিচালনা করেছিল তারা লিখে জানালে ভাল হত!

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: যেভাবে হোক যার সাহয্যে হোক তিনি পালিয়েছেন এবং বেঁচে আছেন এটাই ভাল। আপনি সম্ভবত ফেসবুকে লিখেছেন শেখ হাসিনা ক্ষমতার ছাড়ার পর যেন দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন যাতে করে সে দেখতে পারে কি পরিমাণ মানুষ তাকে ঘৃণা করে আর তার বিকল্প আছে এ দেশে শত শত।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: হ্যাঁ, এই শাস্তি তো তিনি পাবেন। তবে এই সময়ে তিনি আবারো কথা বলেছেন, তাতে মনে হয় তিনি এখনো নিজের ভুল বুঝতে পারেন নাই।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৯

আজব লিংকন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ে শোনা ঘটনা পরে নতুন জিনিস জানলাম। হেলিকপ্টার হেলিপ্যাড না ছুইয়ে তাদের উঠানো হলো হতেও পারে কারণ তাদের পালানোর কোন পূর্ব প্ল্যান ছিল না। ইমার্জেন্সি এক্সিট নেবার সময় কি কি ওনার সাথে ঘটেছিল এ নিয়ে হয়তো উনি ওনার আত্মজীবনী বইয়ে লিখে যাবেন। শুনলাম অবসর কাটাতে উনি বই লেখা শুরু করেছেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ার বার পার পেয়ে তিনি ভেবেছিলেন তাকে কিছুতেই হাটানো যাবে না, তিনি তা বলেছেন অনেকবার। পুলিশ আর্মি দিয়ে তিনি ভেবেছিলেন আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। পলায়ন করতে হবে এটা ভেবেছেন তা মনে হয় নাই কখনো।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১১

প্রহররাজা বলেছেন: লেখক বলেছেন: উনার নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি তো উনার পদত্যাগ পত্র পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সাথে উনার নিযুক্ত আর্মি প্রধানও বলেছে তিনি [পদত্যাগ করেছে। এই লিঙ্ক দেখেও আপনি বিশ্বাস করবেন না জানি। রাষ্ট্রপতি ও আর্মি প্রধানের কথা শুনুন।
মুখে তো অনেকে অনেক কথা বলে। ক্ষমতাসীন রা মিথ্যা বলতে ওস্তাদ। যার যার স্বার্থ অনুযায়ী কথা বলে। কোন প্রমান দেখাতে পারে নাই।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৯

জটিল ভাই বলেছেন:
এ জাতি মনে হয়না কোনো সময়ই সত্যি ইতিহাস জানতে পারবে :(

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩১

ফেনা বলেছেন: এই পৃথিবীতে কোন দূঃসাশনই টিকে থাকতে পারেনি। সেই ধারাবাহিকতাই তাকেও (হাসিনাকে) যেতে হয়েছে।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যেতে নাহি দিব হায়, তবুও যেতে দিতে হয় - তবুও চলে যায়।

আর তাইতো না চাইতেও হাসু দিদি পালিয়ে চলে গেছে (ইচছায় কিংবা অনিচছায়) কালের পরিক্রমায় মুদি দাদার ডেরায় :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.