![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
সকালে ঘুম ভাঙল ফোনে, দুঃসংবাদ, একজন বন্ধুর মাতা রাতে মারা গিয়েছেন। নরসিংদীতে গ্রামের বাড়িতে দাফন হবে। আল্লাহ উনাকে বেহেশত নসীব করুন।
তার পরে হেলায় ফেলায় আজকের দিন কেটে গেছে। আবার বৃষ্টিও ছিলো, প্রায় সময়ে গুড়ি গুড়ি, কোথায়ও যাবো ভেবে বিকেলে নিচেও নেমেছিলাম, যাওয়া হয়নি, ইচ্ছা হচ্ছিলো না। রাস্তা পার হয়ে বাজার থেকে লাউ ও পেঁপে কিনে বাসায় ফিরে আসলাম, অনেকেদিন পেঁপে ভাজি খাওয়া হয় নাই, আগামীকাল সকালের নাস্তায় পেঁপে ভাজি ও পরোটা পেলে ভাল লাগত, তবে এটাও প্রিয়তমা স্ত্রীকে বলা হয় নাই, আজকাল আসলে আর কাউকেই কোন বিষয়ে বলতে ইচ্ছা হয় না, মনে হয় ধুর কাউকে বিরক্ত করে আর কি হবে, চলে চলুক এভাবেই। এখন তো মৃত্যুর অপেক্ষা মাত্র!
তবে আমি আল্লাহকে প্রায় বলি, যেন কিছু বছর বেশী বাঁচি, এখনো অনেক কিছু দেখা হয় নাই, আমার বেঁচে থেকে অনেক কিছুই দেখে যেতে ইচ্ছা হয়, প্রযুক্তির উন্নতিতে আমার এখনো মন ভরে নাই, আগামী ৫০ বছরে আর কি কি হতে পারে, দেখে যেতে পারলে মন্দ হত না। অন্যদিকে খুব খারাপ শোনালেও আরো অনেক মনে ইচ্ছা আছে, লজ্জায় বলছি না।
দুপুরের পর পরেই মেরিকা থেকে খালেদ শিহাব ফোন করলো, পুরানো বন্ধু, অনেক বছর দেখা নাই, তবে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হয়, ভাল লাগে আমার। অহেতুক অদ্ভুত সব কথা বলি আমরা, দেশ নিয়ে তার অনেক চিন্তা, আমি নিষেধ করি, তবুও ঘুরে ফিরে সেই সব উঠে আসে। সেই কবে আমরা একসাথে দাম্মামে ছিলাম! ওর আর কখনোই দেশে ফেরা হবে না জানি, তবুও বলি, একবার এসো, দেশ দেখে যাও, তোমাদের মালিবাগের বাড়ি এখনো আছে। প্রায় ৩০ বছর মেরিকা থেকে কেমন যেন হয়ে গেছে, মুখে বলে কিন্তু দেশে আসার সাহস করে না।
যাই হোক, মানুষের যেখানে যে দেশে জন্ম সেটাই তার জন্য সব চেয়ে ফিট দেশ, আর তার মায়ের ভাষাই হচ্ছে তার জন্য সেরা ভাষা, মায়ের মুখে শুনে সে যে ভাষায় প্রথম কথা বলা শিখে সেটা দিয়েই সারা জীবন মনের কথা প্রকাশ করতে পারে, পরে শেখা ভাষা গুলো যদিও কর্ম জীবনে কাজে লাগে, তবে মনের ভাব প্রকাশের আর সেরা হয়ে উঠে না।
পাশের প্রতিবেশী দেশের মাতৃভাষা যাদের বাংলা, তারা এখন খুব কষ্টে আছে। তাদের মায়ের ভাষায় কথা বললেই তাদের ভিন্ন দেশী বলা হচ্ছে, এই এক নিষ্ঠুর সময়ে তারা পড়ছে। এক দেশে হাজারো ভাষা থাকতে পারে, এবং সেই ভাষায় আবার অন্য কোন দেশের লোকেরাও কথা বলে পারে, তাই বলে তারা কি ভিনদেশি হয়ে যাবে! এই সরকার পরিচালকদের উপরেও নালত, আপা শেখ হাসিনার মত মোদি ভাইয়ের পতন না দেখে মরতে চাই না! এই ঝুলুম্বাজদের মৃত্যুও দেখে যেতে চাই।
মানুষ দরিদ্র থাকবে এবং এটাই স্বাভাবিক মানুষের জন্য, ধনী দেশ গুলোতেও ভিক্ষুক দেখা যায়। রাজপ্রাসাদের সিড়ির নিচে হাত পাতা লোক থাকাই স্বাভাবিক। একটা দেশের শতভাগ মানুষ কখনো দারিদ্রতা সীমা পার করতে পারে না, করেও না (অপ্রসাঙ্গিক হলেও বলি, আমি নিজেই ইংল্যান্ডের আন্ডার গ্রাউন্ডের সিঁড়িতে বৃটিশ ভিক্ষুক দেখেছি ও দান করেছি)। কারন সব ঠিক থাকলেও অনেকে দারিদ্রতাকে ইচ্ছা করে হলেও গ্রহন করে বা সে অন্য কোন কাজের যোগ্য থাকে না। এই যেমন আমি, আমাকে দারিদ্রতা যত টানে, অর্থবিত্ত ততটা নয়, ধন সম্পদ উপার্জন আমার কাছে পুরাই ফালতু মনে হয়। তবে আল্লাহকে বলি, তিনি যেনো যতদিন বাঁচিয়ে রাখেন, অন্ততত কারো কাছে যেন হাত না পাতান, ঠিক যতটা প্রয়োজন (বেইজ্জ্বতি যেন না হই) ততটা যেন তিনি দিয়েই রাখেন।
এই তো জীবন, কেটে যাচ্ছে!
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সুখে দুখে পাওয়া না পাওয়ায় মানুষের দিন কেটেই যায়।