![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ০১৯১১৩৮০৭২৮গল্প ও রান্না udrajirannaghor.wordpress.comপ্লে স্টোরে ‘গল্প ও রান্না’ এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! আনন্দ সংবাদ! বাংলা রেসিপি নিয়ে এই প্রথম প্লে স্টোরে এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন! ‘গল্প ও রান্না’ এখন Play Store এ Apps হিসাবে আপনার হাতের কাছে। নেট কানেশন বা WiFi জোনে থেকে Play Store এ যেয়ে golpo o ranna বা “Golpo O Ranna” বা “com.udraji.rannaghor” লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খুব সহজেই আপনি আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘গল্প ও রান্না’র আইকন ইন্সটল করে নিতে পারেন। ফলে আপনাকে আর মোবাইলে আমাদের সাইট দেখতে লিঙ্ক বা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে না। নেট কানেশন বা ওয়াইফাই জোনে থাকলেই আপনি ওয়ান ক্লিকেই গল্প ও রান্না দেখতে পাবেন।
বলা চলে ইউটিউবে এই সময়ে আমি ৪টা দেশের উপর নজর রাখছি, মানে এই দেশ গুলো এখন কেমন, কি তাদের সামাজিক অবস্থা এবং তাদের রাস্তাঘাট এবং মানুষ জন। মিসেস কে এবং মি গোগো এখন ইন্দোনেশিয়াতে আছেন (এরা কিছু দিন আগে বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন, এদের বাংলাদেশের ভিডিও গুলোতে সব চেয়ে বেশী ভিউ), তাদের ভিডিও গুলো দেখে ইন্দোনেশিয়া নিয়ে নুতন করে ভাবতে হয়, ইন্দোনেশিয়ার পারিপার্শিক অবস্থা দেখে খুব বিমোহিত, এরা খুব একটা বড় বড় কথা না বলে এগিয়ে যাচ্ছে, এদের বড় বড় বিল্ডিং গুলো দেখে অবাক হতে হয়, পাশাপাশি তারা তাদের স্থানীয় ট্র্যাডিশন ধরে রেখেছে। ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম সংখ্যা বেশী হলেও হিন্দু বৌদ্ধ কম নয়, কিন্তু তেমন কোন দন্দ ছাড়াই এরা এগিয়ে যাচ্ছে।
এর পরেই আছে ইচি বুটস যার আসল নাম মিস নোরালী, হল্যান্ডের নাগরিক, মটর সাইকেলে সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি বহু বছর ধরে তাকে দেখে আসছি। অসাধারন সাহসী এক নারী, তার চোখে আমাদের দুনিয়া দেখার আলাদা আনন্দ আছে। যে কোন পরিস্থিতিতে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন, অবিশ্বাস্য। তিনি এখন আছে লাহোরে। তার ক্যামেরায় লাহোরে মোগল আমলের তৈরী মসজিদ ও শিষ মহল দেখলাম। এই স্থাপনা তো তাজমহলকে হার মানাবে, ২০ হেক্টর জমিতে লাহোরে মোগলদের এই নানাবিধ স্থাপনা সত্যি অদ্ভুত, এখনো ১৬শতকের তৈরী এই স্থাপনা টিকে আছে, তবে রক্ষণাবেক্ষণ তেমন নেই বলেই মনে হল। শিষ মহলের কথা বই পত্রে পড়েছিলাম, এখন দেখলাম। লাহোর সত্যি অসাধারন পুরানো শহর, যদিও তার ভাব ধরে রাখতে পারে নাই। সামনে আরো অনেক শহর দেখা যাবে।
এর পরে আছে, মেরিকা কানাডার ড্রাগ পরিস্থিতি (জাপান জার্মানীর শহর গুলোও দেখি)। আমি অনেক গুলো চ্যানেল দেখি। লসএঞ্জেলস কিংবা ভাংকুভারের ড্রাগ পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ড্রাগ নিয়ে দুই পাশাপাশি দেশ দুই ধরনের মত প্রকাশ করে। মেরিকা ড্রাগ এডিক্টদের খবর রাখে না, আর কানাডা সরকারীভাবে স্থান করে দিয়েছে এবং সিরিঞ্জ সাপ্লাই দেয় বিনা মুল্যে! এই যে মাথা নিচু কোমর বাঁকা ড্রাগ এডিক্টদের দেখেন, এরা মুলত ফেন্টানাইল নামের এক প্রকারের ড্রাগ যা ইঞ্জেক্ট করে শরীরে প্রবেশ করানো হয়। মেরিকা কানাডায় আগে কোকেন হিরোইন বেশী চল্লেও এখন চলে ফেন্টানাইল, এই ড্রাগ কোকেনের চেয়ে ৫০ গুণ শক্তিশালী, একবার শরীরে প্রবেশ করালে অন্তত ৭২ ঘন্টা আর কিছু করার থাকে না, একদম বাতাসে ঘুরে বেড়ায় এডিক্টেডেরা, ফলে কোথায় তার মাথা সেটা সে ভুলে যায় এবং মাথা পায়ে এসে পড়ে।
মেরিকায় অনেক এনজিও নানাবিধ চেষ্টা করে কিন্তু এদের আর ফেরানো যায় না, রাস্তায় বিনামুল্যে খাবার পাওয়া যায় বলে এই ড্রাগ এডিক্টেরা আর রাস্তা ছাড়ে না। ফেন্টানাইল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না বলা চলে, নেশায় ৫০গুন বেশী হলেও দাম মাত্র ২/৩ ডলার (কানাডাতে কানাডিয়ান ৫ ডলার) এবং সহজ লভ্য, ফলে আরো জেকে বসেছে। তবে এই ড্রাগের উৎপত্তি খুঁজে দেখলাম, মুলত কাঁচামাল হয় চায়নাতে, এবং চায়না থেকে তা যায় ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং উত্তর আমেরিকার অনেক দেশে, সে সব স্থানে আরো প্রসেস হয়ে চোরাচালান হয়ে মেরিকা কানাডাতে প্রবেশ করে। এদের দমন করা সহজ ব্যাপার নয়। আপনারা খেয়াল করেছেন যে মি ট্র্যা/ম্প ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ধরার জন্য পুরুস্কার ঘোষনা করেছেন, এর কারন হিসাবে ড্রাগ সাপ্লাইকে সামনে আনা হয়েছে। Tru/mp administration increases rew/ard for arrest of Vene/zuela's Mad/uro to $50 million।
যাই হোক, বর্তমান দুনিয়ার কোন দেশ আসলে কোথায় যাচ্ছে কে জানে, সেই তুলনায় বাংলাদেশ এখনো শিশু মাত্র! ধর্মীয় মুল্যবোধ ও মানুষের বাস্তব জ্ঞানের জন্য আমরা এখনো টিকে আছি, দেশ ধনী হলে সমস্যাও প্রচুর হয়। (অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, আরো বিস্তারিত পরে লিখবো)
মালিবাগ, ঢাকা থেকে।
©somewhere in net ltd.