নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবর্তনে চাই খোলা মন আর প্রবল আত্তবিশ্বাস।

প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।

উল্কাপাত

খুবই আশাবাদী ও স্বপ্নবান আমি।

উল্কাপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিমানবালাদের পোশাক কী হবে?

০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৯

বিমানবালাদের পোশাক কী হবে?

কালের কণ্ঠঃ ০৩/০৩/১১



আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক বেসরকারি বিমান সংস্থা অভ্যন্তরীণ বিমান চালু করেছে; এবং তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিমানবালাদের পোশাক ঠিক করেছে। এই পোশাক ঠিক করাটা একটা সাধারণ ব্যাপার নয়, যদিও আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে সাধারণ। এই পোশাকের ওপরই একটি দেশের নিজস্ব জাতীয় পরিচয় নির্ভর করে। আমাদের দেশের মেয়েদের জাতীয় পোশাক কী? আমরা সবাই জানি, আমাদের দেশের মেয়েদের জাতীয় পোশাক হচ্ছে শাড়ি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের ব্যক্তিত্বহীন মহিলারা, যাদের বয়স ৫০-এর কোঠায়, তারা সবাই সালোয়ার-কামিজে নিজেদের আচ্ছাদন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু বছর ধরে। এই পরিবর্তন খুব সহজেই এ দেশে চালু হয়েছে। কারণ ব্যক্তিত্বহীন মহিলারা প্রায়ই নকলনবিস হন। তাঁরা টেলিভিশনে ক্রমাগত হিন্দি সিনেমা দেখতে দেখতে নিজেদের অজান্তেই হিন্দি কালচারের ভক্ত হয়ে পড়েছেন বহু বছর ধরে। তাঁদের এই বিভ্রান্তি থেকে কেউ তাঁদের রক্ষা করে, এমন শক্তি এ দেশের কারো হাতে নেই। যেহেতু বুড়ো মহিলাদের সালোয়ার পরতে একটু ইতস্তত লাগে, সেহেতু তাঁরা হঠাৎ করে ধর্মভক্ত হয়ে পড়েছেন। শাড়ি পরলে তাঁদের পেট অনাবৃত থাকে এবং এতে নাকি ধর্ম পালনে বাধা সৃষ্টি হয় এবং আব্রুর প্রশ্ন আসে_এসব অজুহাতে তাঁরা ক্রমাগতভাবে পরে চলেছেন বাহারি সব সালোয়ার-কামিজ। আর যে পেট ঢাকার জন্য এত আয়োজন, সেই পেট যাতে কোমরের ওপর দিয়ে দেখা যায়, সে জন্য দুই দিকের কামিজ পেট পর্যন্ত চিরে রেখেছেন। অর্থাৎ নারী আত্মপ্রবঞ্চনায় সবার ওপরে স্থান করে নিতে পারদর্শী।

এত সব কথা বলার জন্য আমরা বসিনি। যে জন্য বসেছি, সেটা হলো_বিমানবালাদের পোশাক। বেসরকারি বিমানবালাদের পোশাক কী হবে, তা সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখাটা প্রথম থেকেই খুব জরুরি। কারণ এ দেশে শুধু আমরাই অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ করি না; বহু বিদেশিও ভ্রমণ করেন। একটি বিমান কম্পানিকে দেখছি, তারা তাদের বিমানবালাদের পোশাক রাতারাতি পাল্টে ফেলেছে; দেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়ারও হয়তো চেষ্টা করেনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরা যেমন দেশ-বিদেশের কোনো অনুষ্ঠানে অন্য কোনো পোশাক পরে যান না, তেমনি দেশের জাতীয় ঐতিহ্য শাড়িকে বাতিল করে হঠাৎ তাদের বিদেশি পোশাক পরিয়ে বিমানবালাদের গ্ল্যামারাস করে তোলার প্রচেষ্টাকে আমরা নিন্দার চোখে দেখি। বিশেষ করে বিশ্বে যেখানে নারীকে মানুষ হিসেবে দেখার চেষ্টা চলছে, যেখানে বিমানবালাদের চাকরির বয়স বাড়ানো হয়েছে, সেখানে আমাদের দেশে বিমানবালাদের এভাবে শারীরিক দিক দিয়ে ঝলমলে করে তোলার প্রচেষ্টা খুবই খারাপ।

এই বিমান কম্পানিটি খুব চতুরতার সঙ্গে প্রথমে তাদের আকাশে উড্ডীন বিমানবালাদের পোশাক পাল্টে দেখল, কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় কি না। বিরূপ প্রতিক্রিয়া অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটা তারা হয়তো কানে তোলে না। তারপর এখন দেখছি, তারা হঠাৎ করে গ্রাউন্ড বিমানবালাদের জার্সি পরিয়ে প্যাসেঞ্জার ডিল করতে লাগিয়ে দিয়েছে। এই মনোভাব কতখানি বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিজ দেশকে, নিজ দেশের বিমানবালাদের জাতীয় পোশাকে আবৃত করার গুরুত্ব যে কতখানি, তা তাদের খেয়াল হয় না। আমরা ক্ষুদ্র দেশ বলেই নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। বিমানের বিমানবালাদের পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা থেকে বিরত থেকে বরং এসব বেসরকারি বিমান সংস্থা সঠিকভাবে টাইম শিডিউল বজায় রাখলে তাদের প্যাসেঞ্জারের কখনো অভাব হবে না। কিন্তু কখনো বা কোনো দিনও এসব বিমান সময়মাফিক চলে না; নিজেদের ইচ্ছামতো চলে। আর তাই নিজেদের গাফিলতি ঢেকে রাখতে তারা অন্যভাবে পুরুষ প্যাসেঞ্জার ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা খুবই লজ্জার কথা।

দেশের একজন সাধারণ নাগরিকেরও দায়িত্ব আছে নিজ দেশকে সবার সামনে, বিশেষ করে বিদেশের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরার। দেশের নাগরিকরা এ কাজটি না করলে বাইরের কোনো দেশ এসে কাজটি করে দিয়ে যাবে না। দেশের মানুষের মধ্যে নিজস্ব সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধা জাগিয়ে রাখাটাও বড় বড় কম্পানির নিজ নিজ দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এগুলো কেউ কাউকে শেখাতে পারে না; এগুলো উপলব্ধির ব্যাপার। বিমান কম্পানিগুলোকে আমরা অনুরোধ করব, তারা যেন নিজ দেশের সভ্যতা এবং কৃষ্টিকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। নইলে আমাদের দেশটি ধীরে ধীরে বিস্মৃতির গহ্বরে তলিয়ে যাবে। তাদের বিমানবালারা অফ-ডিউটি আওয়ারে নেংটি পরে ঘুরে বেড়াক, সেটা তাদের রুচি এবং ইচ্ছার ব্যাপার। কিন্তু ডিউটি আওয়ারে যেন তাঁরা নিজ দেশের কথাটা একবার ভাবেন। বিমানবালারা হয়তো নিজেরাও জানেন না, শাড়ি পরিহিত অবস্থায় তাদের কতটা সুন্দর দেখায়! বিদেশিরা কিভাবে এই পোশাকটিকে প্রশংসা করে এবং পোশাকটি পরার ধরন দেখে বিস্মিত হয়, এ ব্যাপারে তাদের হয়তো ধারণাও নেই। এ রকম একটি জাতীয় পোশাক শুধু পুরুষ বসদের কথায় এবং বেশি পয়সার লোভে বিসর্জন দেওয়াটা কি ঠিক? মেয়েদেরই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। নিজ দেশের সংস্কৃতিকে এভাবে বিসর্জন দেওয়াটা কোনো কাজের কথা নয়।



আনোয়ারা সৈয়দ হক

লেখক : কথাসাহিত্যিক

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

রাফি১৯৭১ বলেছেন: পোষাকটা কি খুবই দরকার!!??

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২৬

১৪ বলেছেন:

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩

বালক বন্ধু বলেছেন: কথায় যুক্তি আছে। আমরা যেভাবে নিজেদের বিকিয়ে দিচ্ছি হয়তাবা সেই দিন বেশি দেরি নেই যখন বিমান বালাদের পুরুষের মনরঞ্জনের জন্য...........................।

আমরা সব জায়গাতেই নিজেদের সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিচ্ছি। এবং তর্কের সময় ঠিকই নিজেদের সংস্কৃতি গেল গেল বলে রব তুলছি।

আধুনিক হওয়ার জন্য বা পর্দার জন্য শাড়ি ছাড়ছে তা মানতে পারলাম না। শাড়ি ছাড়ার অন্যমত কারন হল নারীরা এখন কর্মস্থলে এগিয়ে আসছে। কর্মস্থলে শাড়িকে ঠিক রাখা একটু কষ্টকর। তাই শাড়ির বদলে সেলওয়ার-কামিজ বেশ স্বাচ্ছন্দকর। আবার যে নারীরা বিদ্যালয়, বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে তাদের ক্ষেত্রেও এটি প্রজজ্য (তবে তাদের অনেকে শাড়ি পড়া জানে না)। সেক্ষেত্রে ধর্মীয় বা আধুনিকতা এখানে খুব বেশী মুখ্য মনে হয়না।

০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩২

উল্কাপাত বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত পোষন করছি।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

মা-নবি০৩ বলেছেন: আদতে কি আমাদের নারী অথবা পুরুষদের কোন জাতীয় পোশাক আছে (ফর্মাল মানে রাষ্ট্রীয় ভাবে বা সাংর্স্কতিক ভাবে ) যদি থাকে সেটা কি ? কেই কি জানাবেন ?
নারীদের যদি শাড়ি ই হয় ব্লাউজ সহ না ছাড়া , পাঢ় ওয়ালা না পাড় ছাড়া এবং কোন রীতীতে পরা

০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৬

উল্কাপাত বলেছেন: আসলে লেখটি পোস্ট করার কারন হল লেখিকার সাথে দ্বিমত পোষন করা।
আমি মনে করি শাড়ী সালওয়ারের বিতরক না করে আগে আমদের একটি জাতীয় পোষাক নিরধারন করা জুরুরি।
কারন সালওয়ারের বিরোধীতা নাকরে কেন শাড়ি থেকে নারীরা
দূরে সরে যাচ্ছ?
শাড়ীর পক্ষে কথা না বলে কিভাবে এর সংক্ষিপ্ত ও ঊন্মুক্তায় রোধ আরও পরিতশীল ও গ্রহনীয় করা যায় সেটা ভেবে দেখা উচিত।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

রর্ঝনি৩০ বলেছেন: nije ekta jinish valo mne korlei arekjnr ekta kichu k kharap bolte hobe, e dhoroner manoshikota porihar korun. Bimanbaladr khetre ja bolechen shetay ekmot. Kin2 ponchashordho naridr belay ukti korar shmy mne rakha ucht j ekjn ma er bepare ktha bolchen. Apni chele na meye janina, kin2 meye hoe thakle oboshshoi janben shari ekta tough dress.eta shamlano atotao shohoj na. Ager dn e shobshmy shari pora ez chilo, kanona tokhn ekjn ma baritei thakten. Aj sheta kokhonoi shomvob na, jei ma chakri korena takeo dn rat ghor bair chutte hoy, chakri korle to kthai nei.r gari koyjnr thake? Bus e jokhn 100 ta loker shathe baddho hoe take cholachol korte hoy, tokhn she ki dkhbe? Safety, sachchondo na tothakothito oitijyo? Bangali narira tadr oitijyo bojay rakhte j cheshta koren,tar proman j kono onushthanei paben. Chhela ra jamn ekshmy proyojone lungi r panjabi chere shirt r trouser e eshechilo, shevbe meyedr k o nijer proyojnei baddho hoe cng korte hochche. Apnar vasha thekei bujha jay meyedr proti apnr drishtyvongi kamn. Nijer ma k shomman dte shikhun, narir protio shommanbodh ashbe :@

০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৯

উল্কাপাত বলেছেন: আপনি ঠিক কাকে বলছেন কি বলছেন বুজতে পারলাম না। একটু সহজ করলে ভাল হয়।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

মা-নবি০৩ বলেছেন: আনোয়ারা সৈয়দ হক দের বোঝা বড় কঠিন উনারা কখন প্রচলিত পোষাক পরতে বলবেন আর কখন আধুনিকতার নামে প্রচলিত পোষাক ছাড়তে বলেন ?
বাংগালি নারীদের লম্বা চুল ই উতিহ্য ।উনি যখন সেই চুল ছোট করেন জনগণকে কি তার ব্যাখ্যা দিয়ে করেন আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী বলে কিছু বলি না কিন্তু উনারা যখন নানাবিধ ছলে দেশীয় সাংস্কৃতি রক্ষায় চুলকানি মার্কা আচরন করেন তখন একটাই শব্দ বের হয় মুখ থেকে : ভন্ডামি

Click This Link

০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৪

উল্কাপাত বলেছেন: ভাই আপনার লিঙ্ক এর জন্য ধন্যবাদ। হাতে নাতে ভন্ডামির প্রমাণ দিলন।
একমন পোষণ করছি আপনার সাথে।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২

রর্ঝনি৩০ বলেছেন: sorry eta j original lekha na, ta age kheal korini. Eshb lekhikadr kichu bole ashole lav nai. Nijera tk r upor ac garite chole shadharon ma bonder k tuchcho dekhate enara onk kchui bolte paren :|

০৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৫

উল্কাপাত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮

মিয়াণো বিস্কুট বলেছেন: faltu post

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

আশালতা বলেছেন: আনোয়ারা হকের লেখার আইডিয়ার কি সংকট যাচ্ছে ? ফালতু পোস্ট...

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:১৬

মা-নবি০৩ বলেছেন: "আজকাল দেশের মেয়েরা বিদেশী পোশাক যেমন পাকিস্তানি পোশাক সালোয়ার কামিজে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এমনইভাবে অভ্যস্ত হয়েছে যে এই সালোয়ার কামিজই আমাদের জাতীয় পোশাকের স্থান অধিকার করে নিচ্ছে ধীরে ধীরে। দশ বছর পরে শুনব যে সালোয়ার কামিজই আমাদের জাতীয় পোশাক।"
বিমানবালার পোশাক

আনোয়ারা সৈয়দ হক ১০/১২/১০


১০/১২/১০ এ যা ছিল পাকিস্তানি পোষাক ০৩/০৩/১১ এ এসে তা হয়ে গেছে হিন্দি সিরিয়ালের অনুকরনে পোষাক । উনারা পারেন ও বটে




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.